Sunday, April 26, 2015

মৃত্যুপুরী নেপালে কাঁদছে সবাই: "ভূমিকম্পের সময় ঘর থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক"

রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে প্রথম আঘাত হানে। ঘনবসতিপূর্ণ কাঠমান্ডু উপত্যকা কাঁপিয়ে রাজধানী কাঠমান্ডুজুড়ে প্রলয় তাণ্ডব চলে। ক্রমে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে তা। উত্তরে হিমালয় ও তিব্বত, দক্ষিণে ইন্দো-গঙ্গা অঞ্চল, পূর্বে বাংলাদেশ আর পশ্চিমে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূগর্ভের ১১ কিলোমিটার গভীরে।
এর এক ঘণ্টা পর রিখটার স্কেলে ৬.৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর ভূমিকম্প-পরবর্তী একের পর এক ভূকম্পন অব্যাহত থাকে কয়েক ঘণ্টাজুড়ে। ভীতসন্ত্রস্ত নিবাসীরা যে যেখানে ছিলেন বের হয়ে আসেন বাইরে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। ভবনগুলো ধসে পড়ে তাসের ঘরের মতো। উপড়ে যায় গাছপালা আর বৈদ্যুতিক পিলারগুলো। রাস্তা ঘাটে সৃষ্টি হয় বিশাল ফাটল।
চার পাশ ধুলাবালিতে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বিভীষিকাময় স্থানে পরিণত হয় কাঠমান্ডু ও পোখরা শহরসহ আক্রান্ত এলাকাগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে লামজুংয়ে। নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কাঠমান্ডুতে। শুধু সেখানেই নিহত হয় ৫৩৯ জন। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে প্রাচীন নিদর্শন বহনকারী অনেক স্থাপনা।
নেপাল সরকার আক্রান্ত এলাকাগুলোয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন অনেক মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
যেন ফিরে এল ৮১ বছর আগে জানুয়ারির সেই দুপুর! ১৯৩৪-এর এই ভরদুপুরে নেপাল কেঁপে উঠেছিল এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৮.১। নেপাল ও বিহার মিলিয়ে মারা গিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। শনিবার দুপুরে নেপালে জন্ম নেয়া ভূমিকম্প অবশ্য সেই মাত্রা পেরোতে পারেনি। মার্কিন ভূতত্ত্ব সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এ দিন পোখরার লোপজাঙে জন্ম নেয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৯। মূল ভূমিকম্পের পরে অন্তত ১৬ বার আফটার-শকে কেঁপে উঠেছে মাটি। এ দিনের ঘটনার পরেই ভারতের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট দাবি করেছে, ১৯৩৪ সালের পর নেপালের ইতিহাসে এটাই সব থেকে বড় ভূমিকম্পের ঘটনা।
কি করবেন বা কি করার থাকে ভূমিকম্প হলে?
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে লোকজন বিভিন্ন ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন।
শত শত মানুষ বাসা-বাড়ি এবং অফিস কার্যালয় থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বহুতল অনেক ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায় অনেককেই।
কিন্তু ভূমিকম্প হলে আসলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে সচেতন নন অনেকেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বিবিসিকে বলেন, ভূমিকম্প যখন চলতে থাকে তখন কোনভাবেই আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নামা যাবে না।
তিনি বলেন, 'বাড়ি ঘর কিংবা অফিস যে যেখানে আছে সেখানেই শক্ত কোনো কিছুর আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করতে হবে। যেমন কলাম কিংবা বীমের সংযোগস্থলে, টেবিল বা খাটের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু ওপর তলা থেকে নিচে নামা কিংবা রাস্তায় দাঁড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।'
তিনি জানান, অনেক সময় দেখা গেছে কম্পনে স্থাপনার কোনো ক্ষতি না হলেও, লাফিয়ে পড়ে কিংবা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
‘বড় ভূমিকম্প হলে কোনোভাবেই অবকাঠামো টিকবে না। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলে কাঠামো টিকে যাবে এবং এভাবে আশ্রয় নিতে পারলে মাথা কিংবা শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রক্ষা পেতে পারে। পরবর্তীতে উদ্ধারকর্মীরা এসে উদ্ধারকাজ চালাতে পারেন। কিন্তু ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক কামাল।
তবে ঢাকার মত একটি জনবহুল এবং বহুতল ভবনে ঠাসা শহরে সে ধরনের সুযোগ কতটা? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অফিস বা ভবন নির্মাণের সময় নগর দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয় না। সেই দিক থেকে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
অধ্যাপক কামাল মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ নেপালে ৮০ বছর পর এ ধরনের বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্প হল। বাংলাদেশে এক শ' বছরের বেশি সময় আগে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ভূমিকম্প এখানেও হতে পারে বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে।
তার মতে, ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে গণমাধ্যমে সরকার ছোট ছোট তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সচেতন করতে পারে। সেইসাথে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
নেপালবাসীর প্রতি আমার সমবেদনা এবং দ্রত এ প্রাকৃতিক দূর্যেোগ যেন মোকাবেলা করতে পারে সে দোআ রইল।

Saturday, April 25, 2015

১৯৭১ থেকে ২০১৫


১৯৭১থেকে ২০১৫-সেই যে শুরু..........
তখন কাঠের পিস্তল দিয়ে আর এখন কাঠের ব্যাট দিয়ে....কি বুঝলেন গুরু।

Tuesday, April 14, 2015

বর্ষাযাপন-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সোনার তরী)


তেতালার ছাতে
কাঠের কুঠরি এক ধারে;
আলো আসে পূর্ব দিকে প্রথম প্রভাতে,
বায়ু আসে দক্ষিণের দ্বারে।
মেঝেতে বিছানা পাতা,-----------------দুয়ারে রাখিয়া মাথা
বাহিরে আঁখিরে দিই ছুটি,
সৌধ-ছাদ শত শত-------------- ঢাকিয়া রহস্য কত
আকাশেরে করিছে ভ্রূকুটি।
নিকটে জানালা-গায়----------------এক কোণে আলিসায়
একটুকু সবুজের খেলা,
শিশু অশথের গাছ------------------আপন ছায়ার নাচ
সারা দিন দেখিছে একেলা।
দিগন্তের চারি পাশে-----------------আষাঢ় নামিয়া আসে,
বর্ষা আসে হইয়া ঘোরালো,
সমস্ত আকাশ-জোড়া------------------গরজে ইন্দ্রের ঘোড়া
চিক্‌মিকে বিদ্যুতের আলো।
চারি দিকে অবিরল---------------ঝরঝর বৃষ্টিজল
এই ছোটো প্রান্ত-ঘরটিরে
দেয় নির্বাসিত করি দশ দিক অপহরি
সমুদয় বিশ্বের বাহিরে।
বসে বসে সঙ্গীহীন-------------ভালো লাগে কিছুদিন
পড়িবারে মেঘদূতকথা--
বাহিরে দিবস রাতি-----------বায়ু করে মাতামাতি
বহিয়া বিফল ব্যাকুলতা;
বহু পূর্ব আষাঢ়ের------------মেঘাচ্ছন্ন ভারতের
নগ-নদী-নগরী বাহিয়া
কত শ্রুতিমধু নাম--------------কত দেশ কত গ্রাম
দেখে যাই চাহিয়া চাহিয়া।
ভালো করে দোঁহে চিনি,বিরহী ও বিরহিণী
জগতের দু-পারে দুজন--
প্রাণে প্রাণে পড়ে টান,------মাঝে মহা ব্যবধান,
মনে মনে কল্পনা সৃজন।
https://www.facebook.com/OTITI2354

Sunday, April 12, 2015

বিশ্বময় পহেলা বৈশাখ ও কিছু মজার আনুষ্টানিকতা

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ। বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। সারা বিশ্বের বাঙালিরা এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা।
হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন
নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটামুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রাম-এর লালদিঘী ময়দান-এ। এটি জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।
ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা।
বউমেলা
ঈশা খাঁর সোনারগাঁয় ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে, যার নাম 'বউমেলা'। জয়রামপুর গ্রামের মানুষের ধারণা, প্রায় ১০০ বছর ধরে পয়লা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিনব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুজোর জন্য এখানে সমবেত হয়। বিশেষ করে কুমারী, নববধূ, এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমি ফলমূল নিবেদন করে ভক্তরা। পাঁঠাবলির রেওয়াজও পুরনো। বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা। এখন কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর কাছ থেকে। বউমেলায় কাঙ্ক্ষিত মানুষের খোঁজে কাঙ্ক্ষিত মানসীর প্রার্থনা কিংবা গান্ধর্ব প্রণয়ও যে ঘটে না সবার অলক্ষে, তা কে বলতে পারবে।
ঘোড়ামেলা
সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে প্রচলিত যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে।
শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।
পার্বত্য জেলায়, আদিবাসীদের বর্ষবরণ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিসত্তা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি। উৎসবের নানা দিক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মার্মাদের পানি উৎসব।
অন্যান্য দেশে পয়লা বৈশাখ
বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরো নানান দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে যেমনঃ সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাতে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নাচ-গান-ফ্যাশন শো-খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারাকে আনন্দময় করে তোলে। বাংলাদেশ শিক্ষার্থী সংস্থা আয়োজিত ১৪১৭ সালের পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশি নাচের অনুষ্ঠান।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় আগে বার্নউড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে সিডনি অলিম্পিক পার্কে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মেলায় বিপুল পরিমাণ লোকের সমাগম ঘটে এবং প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এটি একটি আনন্দঘন দিন।
সুইডেন
সুইডেনেও বিপুল উৎসাহের সাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।
ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রবাসী বাঙালিরা স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল (পথ উৎসব) পালন করে। এই উৎসবটি লন্ডনে করা হয়। ইউরোপে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ এশীয় উৎসব এটি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সর্ববৃহৎ বাঙালি উৎসব।

Tuesday, April 7, 2015

আইপিএল-৮ এর সবকটি দলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

বিশ্বকাপের জ্বর নামতে না নামতেই আইপিএল ৮-এর উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে ভারতের ক্রিকেট উৎসব আইপিএল ৮। ৮ এপ্রিল ইডেনের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ানসের প্রথম খেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে এবছরের আইপিএল। ৪৭ দিনে ৬০টি ম্যাচ। কলকাতাবাসীদের তো উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। টুর্নামেন্ট শুরুও হচ্ছে শহরের মাঠে। আবার শেষও ঘরের মাঠেই। কলকাতা ফাইনালে উঠবে কী না তা তো সময় বলবে। তবে ২৮ মে (রবিবার) আইপিএল-এ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসেই।ক কোন দলে কোন তারকা রয়েছেন এবার।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
গৌতম গম্ভীর (অধিনায়ক), সুনীল নারাইন, রবিন উথাপ্পা, পীষূষ চাওলা, ইউসুফ পাঠান, শাকিব আল হাসান, মর্নি মর্কেল, উমেশ যাদব, মনীশ পান্ডে, প্যাট কামিন্স, রায়ান টেন ডেসকাটে, সূর্যকুমার যাদব, আন্দ্রে রাসেল, বীর প্রতাপ সিং, কুলদীপ যাদব, ব্যাড হগ, সুমিত নারওয়াল, শেলডন জ্যাকসন, আদিত্য গারওয়াল, কেসি কারিওয়াপ্পা, বৈভব রাওয়াল, আজহার মাহমুদ, জোহান বোথা
চেন্নাই সুপার কিংস
মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক) মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), আশিস নেহরা, বাবা অপরাজিত, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, ডোয়েন ব্রাভো, ডোয়েন স্মিথ, ফাফ ডু প্লেসি, ইশ্বর পান্ডে, ম্যাট হেনরি, মিথুন মানহাস, মোহিত শর্মা, পবন নেগি, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, স্যামুয়েল বদ্রী, সুরেশ রায়না, রনিত মোর, সাইকেল হাসি, রাহুল শর্মা, কাইল অ্যাবোট, অঙ্কুশ বাইন্স, ইরফান পাঠান, প্রত্যুষ সিং, অ্যান্ড্রু টাই, একলব্য দ্বিবেদী
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস
জেপি ডুমিনি (অধিনায়ক) জেপি ডুমিনি (অধিনায়ক), মহম্মদ শামি, কুইন্টন ডি কক, মনোজ তিওয়ারি, কেদার যাদব, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, শাবাজ নাদিম, সৌরভ তিওয়ারি, জয়ন্ত যাদব, ইমরান তাহির, নাথান কুল্টার-নাইল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউস, যুবরাজ সিং, অমিত মিশ্র, জয়দেব উনাদকাট, গুরিন্দর সান্ধু, শ্রেয়াস আইয়ার, সিএম গৌতম, ট্রাভিস হেড, শ্রীকর ভরত, অ্যালবি মর্কেল, মার্কাস স্টোইলিস, জাহির খান, কেকে জিয়াস, ডমনিক জোসেফ
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব
জর্জ বেইলি (অধিনায়ক) জর্জ বেইলি (অধিনায়ক), অক্সর প্যাটেল, অনুরীত সিং, বি হেনড্রিক্স, ডেভিড মিলার, গ্লেন ম্যাকওয়েল, গুরকিরত মন সিং, করণবীর সিং, মনন ভোহরা, মিচেল জনসন, পরবিন্দর আওয়ানা, ঋষি ধাওয়ান, সন্দীপ শর্মা, শার্দুল ঠাকুর, শন মার্শ, শিবম শর্মা, থিসারা পেরেরা, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, ঋদ্ধিমান সাহা, মুরলী বিজয়, নিখিল নায়েক, যোগেশ গোলওয়াকার
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক) রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লাসিথ মালিঙ্গা, কায়রন পোলার্ড, অম্বাতি রায়াডু, হরভজন সিং, কোরি অ্যান্ডারসন, আদিত্য তারে, জসপ্রীত বুমরাহ, জোশ হ্যাজেলউড, মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গ, পবন সুয়াল, শ্রেয়াস গোপাল, লেন্ডল সিমন্স, অ্যারন ফিঞ্চ, প্রজ্ঞান ওঝা, মিচেল ম্যাকক্লেনগান, অভিমন্যু মিথুন, এডেন ব্লিজার্ড, অক্ষয় ওয়াখারে, নীতীশ রানা
রাজস্থান রয়্যালস
শ্যেন ওয়াটসন (অধিনায়ক) শ্যেন ওয়াটসন (অধিনায়ক), স্টুয়ার্ট বিনি, জেমস ফকনার, অজিঙ্ক রাহানে, সঞ্জু স্যামসন, স্টিভ স্মিথ, রজত ভাটিয়া, টিম সাউদি, ধবল কুলকার্নি, অভিষেক নায়ার, কেন রিচার্ডসন, বেন কাটিং, করুণ নায়ার, দীপক হুডা, দিশান্ত ইয়াগনিক, বিক্রমজিত মালিক, অঙ্কিত শর্মা, রাহুল তেওয়াটিয়া, প্রবীন তাম্বে, ক্রিস মোরিস, দীনেশ সালুঙ্খে, খুয়ান থেরন, প্রদীপ সাহু, বরিন্দর সেরান, সাগর ত্রিবেদী
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক) বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), এবি ডেভেলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, মিচেল স্টার্ক, নিক ম্যাডিনসন, বরুণ অ্যারন, অশোক দিন্দা, হর্শল প্যাটেল, বিজয় জোল, আবু নেচিম, সন্দীপ ওয়ারিয়ের, যোগেশ তাকাওয়ালে, জুভেন্দ্র চাহাল, রিলি রুসৌ, ইকবাল আবদুল্লা, মনবিন্দর বিসলা, মনদীপ সিং, দীনেশ কার্তিক, এস বদ্রীনাথ, ড্যারেন স্যামি, শ্যেন অ্যাবট, অ্যাডাম মিলনে, ডেভিড ওয়েইসে, সরফরাজ খান, জলজ সাক্সেনা
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক) ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, ডেল স্টেইন, ভুবনেশ্বর কুমার, ইশান্ত শর্মা, মোয়েস এনরিকেস, লোকেশ রাহুল, পারভেজ রসুল, নমন ওঝা, আশিস রেড্ডি, রিকি ভুঁই, চামা মিলিন্দ, কর্ণ শর্মা, কেন উইলিয়ামসন, কেভিন পিটারসন, ইয়ন মর্গ্যান, রবি বোপারা, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, ট্রেন্ট বোল্ট, প্রবীণ কুমার, হনুমা বিহারি, প্রশান্ত পদ্মনাভন, সিদ্ধার্থ কৌল <blockquote>আইপিএল-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী - ৮ এপ্রিল থেকে ২৪ মে
ম্যাচ ১
- ৮ এপ্রিল (বুধবার) - কেকেআর বনাম এমআই (কলকাতা) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২
- ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) - সিএসকে বনাম ডিডি (চেন্নাই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৩
- ১০ এপ্রিল (শুক্রবার) - কে১১পি বনাম আরআর (পুণে) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪
- ১১ এপ্রিল (শনিবার) - সিএসকে বনাম এসআরএইচ (হায়দ্রাবাদ) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৫
- ১১ এপ্রিল (শনিবার) - কেকেআর বনাম আরসিবি (বেঙ্গালুরু) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৬
- ১২ এপ্রিল (রবিবার) - ডিডি বনাম আরআর (দিল্লি) বিকেল ৪ টে
ম্যাচ ৭
- ১২ এপ্রিল (রবিবার) - এমআই বনাম কে১১পি (মুম্বই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৮
- ১৩ এপ্রিল (সোমবার) - আরসিবি বনাম এসআরএইচ (বেঙ্গালুরু) রাত ৮টা
ম্যাচ ৯
- ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) - আরআর বনাম এমআই (আহমেদাবাদ) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ১০
- ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) - কেকেআর বনাম সিএসকে (কলকাতা) রাত ৮ টা
ম্যাচ ১১
- ১৫ এপ্রিল (বুধবার) - কে১১পি বনাম ডিডি (পুণে) রাত ৮টা
ম্যাচ ১২
- ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) - এসআরএইচ বনাম আরআর (বিশাখাপত্তনম) রাত ৮ টা
ম্যাচ ১৩
- ১৭ এপ্রিল (শুক্রবার) - এমআই বনাম সিএসকে (মুম্বই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ১৪
- ১৮ এপ্রিল (শনিবার) - এসআরএইচ বনাম ডিডি (বিশাখাপত্তনম) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ১৫
- ১৮ এপ্রিল (শনিবার) - কে১১পি বনাম কেকেআর (পুণে) রাত ৮ টা
ম্যাচ ১৬
- ১৯ এপ্রিল (রবিবার) - আরআর বনাম সিএসকে (আহমেদাবাদ) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ১৭
- ১৯ এপ্রিল (রবিবার) - আরসিবি বনাম এমআই (বেঙ্গালুরু) রাত ৮ টা
ম্যাচ ১৮
- ২০ এপ্রিল (সোমবার)- ডিডি বনাম কেকেআর (দিল্লি) রাত ৮টা
ম্যাচ ১৯
- ২১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) - আরআর বনাম কে১১পি (আহমেদাবাদ) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২০
- ২২ এপ্রিল (বুধবার) - এসআরএইচ বনাম কেকেআর (বিশাখাপত্তনম) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ২১
- ২২ এপ্রিল (বুধবার) - আরসিবি বনাম সিএসকে (বেঙ্গালুরু) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২২
- ২৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) - ডিডি বনাম এমআই (দিল্লি) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২৩
- ২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) - আরআর বনাম আরসিবি (আহমেদাবাদ) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২৪
- ২৫ এপ্রিল (শনিবার) - এমআই বনাম এসআরএইচ (মুম্বই) বিকেল ৪ টে
ম্যাচ ২৫
- ২৫ এপ্রিল (শনিবার) - সিএসকে বনাম কে১১পি (চেন্নাই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২৬
- ২৬ এপ্রিল (রবিবার) - কেকেআর বনাম আরআর (কলকাতা) বিকেল ৪ টে
ম্যাচ ২৭
- ২৬ এপ্রিল (রবিবার) - ডিডি বনাম আরসিবি (দিল্লি) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২৮
- ২৭ এপ্রিল (সোমবার) - কে১১পি বনাম এসআরএইচ (মোহালি) রাত ৮ টা
ম্যাচ ২৯
- ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার)- কেকেআর বনাম ডিডি (কলকাতা) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৩০
- ২৯ এপ্রিল (বুধবার) - আরসিবি বনাম আরআর (বেঙ্গালুরু) রাত ৮টা
ম্যাচ ৩১
- ৩০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) - সিএসকে বনাম কেকেআর (চেন্নাই) রাত ৮টা
ম্যাচ ৩২
- ১ মে (শুক্রবার) - ডিডি বনাম কে১১পি (দিল্লি) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৩৩
- ১ মে (শুক্রবার) - এমআই বনাম আরআর (মুম্বই) রাত ৮টা
ম্যাচ ৩৪
- ২ মে (শনিবার) - কেকেআর বনাম আরসিবি (বেঙ্গালুরু) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৩৫
- ২ মে (শনিবার) - এসআরএইচ বনাম সিএসকে (হায়দ্রাবাদ)রাত ৮টা
ম্যাচ ৩৬
- ৩ মে (রবিবার) - কে১১পি বনাম এমআই (মোহালি) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৩৭
- ৩ মে (রবিবার) - আরআর এবং ডিডি রাত ৮টা ম্যাচ
৩৮
- ৪ মে (সোমবার) - সিএসকে বনাম আরসিবি (চেন্নাই) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৩৯
- ৪ মে (সোমবার) - কেকেআর বনাম এসআরএইচ (কলকাতা) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪০
- ৫ মে (মঙ্গলবার) - এমআই বনাম ডিডি (মুম্বই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪১
- ৬ মে (বুধবার) - আরসিবি বনাম কে১১পি (বেঙ্গালুরু)রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪২
- ৭ মে (বৃহস্পতিবার) - আরআর বনাম এসআরএইচ রাত ৮টা
ম্যাচ ৪৩
- ৮ মে (শুক্রবার) - সিএসকে বনাম এমআই (চেন্নাই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪৪
- ৯ মে (শনিবার) - কেকেআর বনাম কে১১পি (কলকাতা) বিকেল ৪ টে
ম্যাচ ৪৫
- ৯ মে (শনিবার) - ডিডি বনাম এসআরএইচ (রায়পুর) রাত ৮টা
ম্যাচ ৪৬
- ১০ মে (রবিবার) - এমআই বনাম আরসিবি (মুম্বই) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৪৭
- ১০ মে (রবিবার) - সিএসকে বনাম আরআর (চেন্নাই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৪৮
- ১১ মে (সোমবার) - এসআরএইচ বনাম কে১১পি (হায়দ্রাবাদ) রাত ৮টা
ম্যাচ ৪৯
- ১২ মে (মঙ্গলবার) - ডিডি বনাম এসআরএইচ (রায়পুর) রাত ৮টা
ম্যাচ ৫০
- ১৩ মে (বুধবার) - কে১১পি বনাম আরসিবি (মোহালি) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৫১
- ১৪ মে (বৃহস্পতিবার) - এমআই বনাম কেকেআর (মুম্বই) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৫২
- ১৫ মে (শুক্রবার) - এসআরএইচ বনাম আরসিবি (হায়দ্রাবাদ) রাত ৮টা
ম্যাচ ৫৩
- ১৬ মে (শনিবার) - কে১১পি বনাম সিএসকে (মোহালি) বিকেল ৪টে
ম্যাচ ৫৪
- ১৬ মে (শনিবার) - আরআর বনাম কেকেআর রাত ৮ টা
ম্যাচ ৫৫
- ১৭ মে (রবিবার) - আরসিবি বনাম ডিডি (বেঙ্গালুরু) বিকেল ৪ টে
ম্যাচ ৫৬
- ১৭ মে (রবিবার) - এসআরএইচ বনাম এমআই (হায়দ্রাবাদ) রাত ৮ টা
লিগ স্তর শেষ
১৮ মে - বিশ্রাম প্লে-অফ
ম্যাচ ৫৭
- কোয়ালিফায়ার ১ - ১৯ মে (মঙ্গলবার) রাত ৮ টা
ম্যাচ ৫৮
- এলিমিনেটর - ২০ মে (বুধবার) রাত ৮ টা <blockquote>২১ মে - বিশ্রাম ম্যাচ ৫৯ - কোয়ালিফায়ার ২ - ২২ মে (শুক্রবার) রাত ৮ টা
২৩ মে
- বিশ্রাম ম্যাচ ৬০ - ফাইনাল - ২৪ মে (রবিবার) (কলকাতা) রাত ৮ টা

Friday, April 3, 2015

রুবেলের হবু বৌ’কে নিয়ে বিতর্তিক মন্তব্য হ্যাপির


https://www.facebook.com/video.php?v=1551038201805065&set=vb.1502136600028559&type=2&theater
কোনওভাবেই হ্যাপির ছায়া থেকে বেরোতে পারছেন না রুবেল হোসেন৷ আগে বারবার রুবেলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার কথা দিয়েও থেমে নেই ঢলিউডের মডেল-অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি৷নিত্য নতুন বিতর্কের জন্ম দেওয়াই যেন প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন হ্যাপির কাছে। রুবেলকে ভুলে অন্য একজনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের আলোচনা রটানোর পর সকলে সম্ভবত হাফ ছেড়ে মনে বেঁচেছিলেন৷ মনে করা হয়েছিল, ‘এবার বুঝি থেমে যাবে হ্যাপি-রুবেল বিতর্ক’।কিন্তু সকলের ধারণায় জল ঢেলে নাছোড়বান্দা হ্যাপি আবারও রুবেলের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কে মেতে উঠেছেন৷
এবার ক্রিকেটার রুবেলকে জড়িয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন হ্যাপি। ছবির মেয়েটিকে রুবেলের হবু বৌ বলেই দাবী করেছেন হ্যাপি৷ তাঁর এই ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে নতুন করে বিতর্খ তৈরি হয়েছে৷

Wednesday, April 1, 2015

অনুষ্কাকে নয়, হ্যাপিকে বিয়ে করছেন বিরাট কোহলি


একটু নড়েচরে বসেন। হাতের গিটগুলোকে ছেড়ে দিন। মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
ভারতের ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি আর বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার প্রেমকাহিনী এখন রোজনামচা৷নিন্দুকরা বলছেন, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অনুষ্কা মাঠে থাকার জন্যই নাকি ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারেননি কোহলি৷ আর তাতেই টিম ইন্ডিয়ার ভরাডুবি! এই ঘটনার পর থেকে ম্যাচে অনুষ্কার গ্যালারিতে থাকা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ বিরাট ব্যর্থতার জন্য অনুষ্কাকেই দায়ী করছেন অনেকে৷অনেকে আবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ অস্ট্রেলিয়া থেকে একই সঙ্গে, একই বিমানে দেশে ফিরেছেন বিরাট-অনুষ্কা৷ শোনা যাচ্ছিল, বিশ্বকাপের ব্যর্থতার হাতাশা-শোক দূরে সরিয়ে এবার নাকি বিয়েটা সেরে ফেলবেন তাঁরা৷
এত পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল৷কিন্তু কোহলির একটা টুইটের পর থেকেই হঠাৎ সব কেমন ওলট-পালট হয়ে গেল! কিছুক্ষণ আগে বিরাট কোহলি নিজে টু্ইট করে জানিয়েছেন, অনুষ্কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অস্ট্রেলিয়াতেই বিচ্ছেদ হয়েছে! একবারে পাকাপাকি বিচ্ছেদ! তাহলে বগলদাবায় জড়িয়ে একসঙ্গে দেশে ফেরার রসায়নটা কি? সবাই দেখছে সেই দৃশ্য৷সমস্ত মিডিয়া ছবি দিয়ে খবর করেছে৷ কোহলি অবশ্য সেই ব্যখ্যাটিও দিয়েছেন টুইটে৷ তিনি লিখছেন, ভারতের মিডিয়া যদি এই খবর বাড়ি ফেরার আগে জানতে পরাতো, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচমাস কাটানোর পর ঘরে ফেরাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াতো তাঁর কিংবা অনুষ্কার পক্ষে৷ তাই সংবাদমাধ্যমকে বোকা বানানোর জন্যই প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ‘গট আপ’ করে দেশের মাটিতে পা রাখেন তাঁরা! অনুষ্কাও ঘনিষ্ঠ মহলে সম্পর্ক বিচ্ছেদের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷
বিরাট কিংবা অনুষ্কা, দু’জনেই বড়মাপের সেলিব্রিটি৷ নিজনিজ ক্ষেত্রে দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত৷ এই ধরণের সেলিব্রিটিদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের উদাহরণ গোটা বিশ্বজুড়ে ভুরি ভুরি রয়েছে৷ফলে এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়৷
তবে অবাক করার বিষয়টা অন্য জায়গায়৷ এরপর কোহলি টুইটে যেটা লিখছেন সেটা সত্যিই বিষ্ময়কর৷ কোহলি লিখছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আমার সঙ্গে অনুষ্কার সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়৷ সেটা বড় আকার ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পর৷ কিভাবে ঘটনাটা ঘটে গেল আমিও নিজেও জানি না৷ ওদের রুবলে হোসেন ম্যাচের পর আমাদের ড্রেসিং রুমে এসে সেমিফাইনালের জন্য আমাকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে যায়৷ আমাদের হোটেলেই ওরা ছিল৷
হোটেলে ফিরে লাউঞ্চে বসে আমরা দু-জন অনেক্ষণ কথা বলি৷ ও অনুষ্কা নিয়ে জানতে চায়৷ আর আমি হ্যাপিকে নিয়ে৷ একটা সময় আমরা দু-জনেই খুব আবেগ-প্রবণ হয়ে পড়ি৷ ওর সমস্যা মেটাতে আমি হ্যাপির ফোন নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ ওইদিন সারারাত আমার আর হ্যাপির মধ্য অনেক কথা হয়৷ কেন জানি না, রুবেলের সমস্যা মেটাতে গিয়ে হ্যাপিকেই আমার ভাল লেগে যায়৷ হ্যাপির তরফ থেকেই অবশ্য প্রস্তাবটা প্রথমে এসেছিল৷ হ্যাপি নাকি অনেক আগে থেকেই আমার খুব বড় ভক্ত৷
পরেরদিন সকালে প্র্যাকটিস সেরে আমি অনুষ্কাকে ফোন করে সব কথা জানাই৷ ওর খারাপ লাগছিল সেটা বুঝতে পারছিলাম৷ তবে হ্যাপির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে কোনও আপত্তি করেনি অনুষ্কা৷ শুধু বলেছিল, শেষবার সামনে থেকে তোমার খেলা দেখতে সিডনি আসছি আমি৷ পরে হ্যাপিকে আবার ফোন করি৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিলেই হ্যাপিকে বিয়ে করছি আমি৷’
আজকের দিনটা মনে আছে? যদি মনে না থাকে, তাহলে মনে করিয়ে দিই! আজতো পয়লা এপ্রিল! ‘ফুল’ মানে বোকা বানানোর দিন৷
(আপনাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নেহাতই মজা করা হল৷ এ লেখার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই৷ কাউকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না আমাদের৷ তবে এই মজার প্রতিবেদন পড়ে কেউ যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী৷)
https://www.facebook.com/OTITI2354