মোদীর নিরাপত্তা থেকে খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কিন্তু, মাছ ছোঁবেন না মোদী! এমনকি ছোঁবেন না ঢাকার বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানি, কিংবা মাংসের নানা কিসিমের পদ। তাতে কি! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাংলো গণভবনে চলছে এলাহি বন্দোবস্ত, একশো রকমের নিরামিষ পদ রেঁধে সাজিয়ে দেওয়া হবে অতিথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে৷
তালিকার মূল অন্ন-পদে থাকছে ‘ভাঘারেলি খিচুড়ি’৷ উপকরণ মসুর ডাল ও নানা ধরনের সবজি৷ একে মশালা খিচুড়িও বলে৷ সঙ্গে থাকবে নানা ধরনের এবং স্বাদের ডালনা, সর্ষে দিয়ে সজনে ডাঁটা, আমের চাটনি, সেও নানা স্বাদের৷ থাকবে মোদীর নিজস্ব পছন্দ ‘ভিন্ডি কড়ি’, ভিন্ডি অর্থাৎ ঢ্যাঁড়শ আর দুধ দিয়ে তৈরি। মোদীর পছন্দের গুজরাটি খাবার ‘সাদা খাট্টা ধোকলা’ও থাকবে৷ এসবের সঙ্গে থাকবে তাজা ফল, আর অবশ্যই বিখ্যাত পিঠেপুলি, পায়েস, ক্ষীর, সন্দেশ৷
নেপালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন চলার সময়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অন্য ধরনের খাদ্যাভ্যাস সংবাদমাধ্যমের নজরে আসে৷ সাংবাদিকরা রীতিমত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান, কী কী খেতে পছন্দ করেন তিনি৷ তখনই মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি খিচুড়ি খেতে ভালবাসেন৷ এছাড়া যে কোনও সবজি৷ খাওয়া নিয়ে কোনও বিলাসিতা নেই তাঁর৷ তিনি চান না যে তাঁর খাওয়া দাওয়া নিয়ে লোকে অসুবিধেয় পড়ুক৷ তিনি স্রেফ সুস্থ, সবল থাকতে চান৷ যদিও মোদীকে আপ্যায়ন করতে গিয়ে অসুবিধে যে হয় না, তা নয়৷
গত সেপ্টেম্বরে মোদী যখন রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে যোগ দিতে যান, তখন নবরাত্রি পালিত হচ্ছিল ভারতে৷ দিনক্ষণ মেনে নবরাত্রির উপোস করছিলেন মোদী৷ যে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার দেওয়া নৈশভোজে খাবার খাওয়া দূরে থাক, এক চুমুক জলও খাননি তিনি৷ এবার বাংলাদেশ সফরের দিন ঠিক হতেই খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের খাদ্যতালিকা জানতে চাওয়া হয়৷ তিনি কী কী খান না, সেটাও জেনে নেওয়া হয়৷ দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে দূতাবাস মারফৎ এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য বিনিময় হয় বলে খবর৷
No comments:
Post a Comment