দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর সফরের মূল লক্ষ্য স্থলসীমান্ত চুক্তি৷পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন নমো৷প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির এক ঝলক-
নথি হস্তান্তর : স্থল সীমান্তচুক্তি সংক্রান্ত নথি এবং ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্তচুক্তি ও এর আওতায় ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকাল বাস্তবায়নের কার্যপদ্ধতি সংবলিত পত্র হস্তান্তর৷
ভিত্তি ফলক উন্মোচন :
খু
লনা-মংলা রেললাইনের ফলক৷
শিলিগুড়ির রবীন্দ্র ভবন৷
ফেনী নদীর উপরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১
কুলাউড়া-শাহজিবাজার রেলপথ
সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন
উদ্বোধন :
বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ত্রিপুরা সীমান্ত হাট
চুক্তি-প্রোটোকল:
দ্বি
পক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর
উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি
অভ্যন্তরীণ নৌ ট্রানজিট প্রটোকল
কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি বাস চলাচলে চুক্তি ও প্রটোকল৷
সমঝোতা স্মারক
ভারত-বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের সহযোগিতা বিষয়ক
মুদ্রা জালিয়াতি প্রতিরোধ
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সার্কের জন্য ভারতের অনুদান
মানবপাচার রোধবিষয়ক
সাংস্কৃতিক বিনিময়
মনমোহন সিং আঞ্চলিক মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটা করে ঢাকা সফর করেছিলেন৷ কিন্তু আচমকা বেঁকে বসে সেই সাফল্য নস্যাৎ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার নরেন্দ্র মোদীর সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর ভূমিকার উপর সবার নজর৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন৷ অনেক কারণে তাঁর সাম্প্রতিক আচরণ বাংলাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে৷তবু কেন মমতা বাংলাদেশ যাচ্ছেন, মোদীর সফরসঙ্গী না হয়েও, আলাদাভাবে কিন্তু একই সময়ে কেন যাচ্ছেন, সেই ধোঁয়াশায় একটি ক্ষীণ সম্ভাবনার আলোকরেখাই কেবল দেখা যাচ্ছে৷ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার চায়, যদি তিস্তা জলবণ্টনের পুরনো সমস্যা এখনই মেটানো নাও যায়, সীমান্তপার জঙ্গি যাতায়াত এবং সন্ত্রাসকে দমন করাটা অত্যন্ত জরুরি৷ শুধু স্থলসীমান্ত চুক্তি করলেই হবে না, সেই সীমান্তের মান্যতা রক্ষা করে জঙ্গি উপদ্রবও রুখে দিতে হবে৷ কারণ ভারত – বাংলাদেশ, দু'দিকেই শোনা যাচ্ছে স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় উগ্রপন্থাকে জিইয়ে রাখা, প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কোনো আঞ্চলিক সফরকে ঘিরে এত জল্পনা-কল্পনা সহজে দেখা যায় না৷
No comments:
Post a Comment