
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পতন মেনে নিতে না পেরে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন অ্যাডলফ হিটলার৷ এই ইতিহাসটি সকলেরই জানা৷ কিন্তু এই ইতিহাসকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেরার্ড উইলিয়ামের দাবি, হিটলার এবং তাঁর স্ত্রী আদৌ আত্মহত্যা করেননি৷ হিটলার যেমন নিজের মাথায় গুলি করেননি, তেমনই সায়নাইড খাননি তাঁর স্ত্রী ইভা ব্রাউন৷ সারা বিশ্বকে বোকা বানিয়ে জার্মানি থেকে গোপনে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার গল্প ফেঁদেছিল নাৎসিরা৷ তিনি আরও বলেন, হিটলার এবং তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু সম্পর্কে সরকারিভাবে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে মারাত্মক গলদ রয়েছে। কারণ, রুশরা তো ওই স্বৈরশাসকের দেহ পাওয়ার কথা জানাতেই পারেনি৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে যখন মিত্রবাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষ শক্তি, তখন এক বাঙ্কারে সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন হিটলার। জানা যায়, পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে বাঙ্কারেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সায়ানাইড খেয়ে আত্মঘাতী হন তাঁর স্ত্রীও। তারপর তাঁদের দেহের সৎকার করা হয়। কিন্তু এই কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেন উইলিয়াম৷ তিনি জানান, হিটলার দম্পতি ওই সময় মারা যাননি। বিশ্বকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল। সেই মিথ্যে এখনও চলছে। আসলে হিটলারকে ১৯৪৫-এর এপ্রিলে বাঙ্কার থেকে বের করে জার্মানির বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে রাশিয়া বাঙ্কার থেকে হিটলার ও তাঁর স্ত্রীর যে দেহ বার করেছিল, তা ছিল নকল৷ সবাই দেখেছেন বাঙ্কার থেকে দুটি দেহ বার করা হয়েছে৷ কিন্তু এমন কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই যিনি বলতে পারেন হিটলারকে আত্মহত্যা করতে দেখেছেন৷
আগামীকাল একটি টেলিভিশনে উইলিয়ামের এই নয়া তথ্য সম্প্রচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে এমন কিছু তথ্য দেখানো হবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত এতদিনের চলতি ঐতিহাসিক দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
No comments:
Post a Comment