ব্রিটেনের সরকারি অর্থে পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’র সাংবাদিক আহমেন খাওয়াজা টুইটারে দেয়া বার্তায় রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর ভুল সংবাদ প্রচার করেছে। চার শব্দের এ বার্তায় এলিজাবেথের নামের বানানও ভুল হয়েছে এবং ‘এলিজাব্রেথ’ লেখা হয়েছে।
পরে বার্তাটি টুইটার থেকে সরিয়ে নেন এবং ভুল বলে স্বীকার করেন আহমেন খাওয়াজা । অবশ্য এর আগে টুইটারে দেয়া বার্তায় তিনি হাসপাতালে রানীর চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার হল বাৎসরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন এলিজাবেথ।
খাওয়াজা পরে এক টুইট বার্তায় দাবি করেছেন, ফোনটি বাসায় অরক্ষিত অবস্থায় রেখে এসেছিলেন। রানী এলিজাবেথের মৃত্যু সংবাদকে তার ভাষায় রুচিহীন ঠাট্টা বলেও অভিহিত করেন তিনি। কিন্তু বিবিসি’র এ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তার সাথে খাওয়াজার কথার মিল নেই।
বিবিসি’র বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, রানী মারা গেলে তার মৃত্যু সংবাদ কি করে প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে কারিগরি পর্যায়ের অনুশীলন চলছিল। আর এ সময়ে রাজপরিবারের এক সদস্যের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরটি বিবিসি’র একাউন্ট থেকে ভুলে পাঠানো হয় বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। টুইটারের এ বার্তা দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে এবং এ জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি।
এদিকে বিবিসির সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, খাওয়াজা এ অনুশীলন পর্বের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি হয়ত এ কথা শুনতে পেয়েছেন এবং ব্রেকিং নিউজ মনে করে তা টুইট করেছেন।
খাওয়াজা’র টুইটার বার্তার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিবিসি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে দৈনিকটি।
No comments:
Post a Comment