Wednesday, October 21, 2015

'বয়স নিয়ে ভাবি না', স্পোর্টি মন্দিরার সাফ কথা


মন্দিরা বেদী ভীষণ ‘স্পোর্টি' খেলাধুলো জলভাত তাই জন্যই কি এই শো-তে আসা? আমি স্পোর্টি হতে পারি৷ এণ্টারটেনমেণ্ট বিজনেস-এ বহুদিন ধরে আছি, এটাও সত্যি৷ অনেক শো হোস্ট করেছি৷ কিন্তু নিজে পারফর্ম করিনি কখনওই সেরকমভাবে! ফলে যতটা সোজা ভাবছেন, আমার কাছে ততটা তো মোটেই ছিল না৷ বরং উল্টোটাই হয়েছে! যেমন? যেমন এইসব প্রোফেশনাল-রা যাঁরা এই শো-তে আমাদের শেখাচ্ছেন৷ তাঁরা এত বছর ধরে কোনও অ্যাক্ট-এর সঙ্গে যুক্ত, সাতদিনে তাঁদের থেকে শিখে পারফর্ম করাটা বেশ কঠিন, আমি তো ভাবছিলাম ৩/৪ বছরের শেখার জিনিসকে সাতদিনে শিখে তাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারব কিনা৷ দক্ষতা তো ছেড়ে দিন, আদৌ অ-আ-ক-খ-টা শিখতে পারব তো? আমার কাছে কিন্তু সহজ নয় মোটেও বিষয়টা! আপনাকে ডান্স রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চেও দেখা যায়নি পারফরমার হিসেবে–এবারে একেবারে কঠিন পারফরম্যান্স!
রিয়ালিটি শো দূরের কথা৷ এত বছরেও সত্যি কথা বলতে ক'টা স্টেজ পারফরম্যান্স করেছি বলুন তো? স্পোর্টি হওয়া আর গ্রেস এলিগ্যান্স নিয়ে ডান্স করা আলাদা ব্যাপার৷ আমার হাজব্যান্ড তো সবসময় বলে যা ইচ্ছে করো, ডান্স রিয়ালিটি শো-তে যেও না ভুলেও৷ ওটা তোমার জায়গা নয়৷ মানে আমার দ্বারা ঠিক হবে না আর কী! (হাসি) তাই শুরুতে আমায় যখন অ্যাপ্রোচ করা হয়–আমি ভাবলাম এ নিশ্চয়ই নাচ সংক্রান্ত ব্যাপার-স্যাপার! সোজা ‘না' বলে দিয়েছিলাম৷ এরা আমায় বোঝায়৷ এখানে শুধু নাচ করতে হবে এমনটা নয়, যেমন ইচ্ছে পারফরম্যান্স করতে হতে পারে৷  পরে কী মনে হল? ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন!
মনে হচ্ছে ওরা ঠিকই বলেছে৷ জাগলিং, অ্যাক্রোব্যাটিক্স, স্টাণ্ট বাইক, ম্যাজিক, ট্রাম্পোলিন কত রকমের খেলা! এখন এক্সাইটেড লাগছে প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন জিনিস শিখিছি৷ অবশ্য সাতদিনও না, হিসেব মতো ধরতে গেলে ৩/৪ দিন সময় পাচ্ছি প্র্যাকটিসের৷
নতুন নতুন অ্যাক্ট শেখাটাই প্রধান কারণ ছিল ‘হ্যাঁ' বলার?
আমি একজন মা, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কত বছর হয়ে গেল! এই শোয়ের বেশিরভাগ প্রতিযোগীই ছোট আমার থেকে, আসলে বয়সটাকে কখনওই সংখ্যার হিসেবে মাপতে চাইনি, কোনওদিনই৷ তাই বোধহয় হ্যাঁ, বলেছিলাম৷ প্রথম সপ্তাহে ম্যাজিক শিখলাম, দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্র্যাম্পোলিনের খেলা৷ প্রতি সপ্তাহে যখন নতুন কিছু, কঠিন কিছু শিখিছি–একটাই কথা মাথায় থাকে৷ আমার ছেলের জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই আমি৷ এই ইচ্ছেটাই আমার ড্রাইভিং ফোর্স৷
ছেলে এখন কী বলছে? টেলিকাস্ট হতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা!
ও প্রথম এপিসোডে এসেছিল, শুটিং-এর সময় তো ছিলই, মায়ের ম্যাজিক ট্রিক্স দেখে বেশ ইমপ্রেসড্ হয়েছে৷ সোজা স্টেজে উঠে আমার কাছে চলে এসেছে আর ঘোষণা করেছে–মাই মম ইজ আ সুপার মম! ওকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছিল কি না জানি না৷ তবে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম (হাসি) আমার কাছে এটা ইমপর্ট্যাণ্ট! আমি শোয়ের শেষে বলতে পারব দ্যাখো! আমি এমন কিছু করেছি, যেটা জীবনে আগে কখনও করিনি! যার জন্য আমাকে নতুনভাবে দেখবে আমার ছেলে! ওর চোখের বিস্ময়টা এনজয় করব৷
ময়দানে ল্যাজেগোবরে হতে হচ্ছে! নাকি তরতর করে এগোচ্ছেন৷
প্রথম এপিসোডে ম্যাজিক বেছেছিলাম৷ ম্যাজিক দেখতে ভালবাসি বলে নয়, ভেবেছিলাম অন্যগুলোর তুলনায় সহজ হবে! ও বাবা! একেবারেই না! হাতকড়া চেন দিয়ে বেঁধে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে খেল দেখাতে হবে! আমি যে ভীষণ ভাল সুইমার, সাঁতার ভালবাসি সেসব তখন ভুলে গেছি! মাইকের পিছন থেকে কে যেন কী বলছে! স্টেজ ভর্তি দর্শকের মাথা৷ সেদিন নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম৷
এখন কি ধ্যানজ্ঞান এই শো?
আমি একসঙ্গে মাল্টিপ্ল কাজ করতে পারি না৷ এটাতেই মন দেব৷ হ্যাঁ, অন্য কাজ বলতে আমি শাড়ি ডিজাইন করি৷ আমার বিজনেস আছে, আমার স্টোর এক্সপ্যান্ড করছি আজ তার লঞ্চ আছে৷ আর আমার ফুলটাইম ‘মম'-এর ডিউটি তো আছেই! দুর্গাপুজো এসে গেল –পুজোটা কি শুটিং ফ্লোরে?
না, না৷ তা কেন? গণেশ চতুর্থীতেও পুজো দেখতে বেরিয়েছিলাম৷ দুর্গাপুজোয় মুম্বইয়ে খুব বেশি প্যান্ডেল দেখার সুযোগ তো হয় না কিন্তু একটাও পুজো প্যান্ডেলে যাব না এমন হবে না৷ যতই ব্যস্ত থাকি৷ ছেলেকে দুর্গাপুজোয় নিয়ে বেরবো না হয় নাকি৷ আর ও না খুব ধার্মিক ধরনের৷ গুরুদ্বারে যেতে ভালবাসে, দুর্গাপুজোও ভাল লাগবে ওর
YOUTUBE CHANNEL
MY BROWSER
FACEBOOK

No comments:

Post a Comment