Thursday, December 24, 2015

নবীজি যেভাবে কাটাতেন চব্বিশ ঘণ্টা


শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা. ছিলেন উত্তম আদর্শের প্রতীক। পবিত্র কোরআনে তার আদর্শকে সর্বোত্তম আদর্শ বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ [সুরা আহজাব : ২১] আদর্শবান এ মহান ব্যক্তির দিন-রাত কেমন ছিল? কিভাবে কাটাতেন চব্বিশটা ঘণ্টা? নিচে খানিকটা তুলে ধরা হলো।
মধ্য রাতে ঘুম থেকে উঠতেন
রাসুলে আকরাম সা. মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতেন । ঘুম থেকে উঠে ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আহয়ানা বা’দামা আমাতানা ও ইলাইহিন্ নুশুর’ এই দোয়া পড়তেন। তিনি কোনো স্বপ্ন দেখলে সাহাবায়ে কিরামকে তা শুনাতেন । সাহাবায়ে কিরামের স্বপ্নও শুনতেন ।
প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ
প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণে জুতা পরিধান করে তিনি বাথরুমে যেতেন। তখন মাথা ঢেকে রাখতেন। বাম পা দিয়ে প্রবেশ করতেন । প্রবেশের পূর্বে এই দুআ পাঠ করতেন ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবায়িস’ ।
শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায়
শেষ রাতে প্রথমে ওজু করতেন । তখন এই দোয়া বারবার পড়তেন ‘আল্লহুম্মাগফিরলী যাম্বী ওয়া ওয়াস্সিলী ফীদারী ওয়া বারীকলী ফি রিযকী’। অর্থ : হে আল্লহ! তুমি আমার গুনাহ মাফ করে দাও এবং আমার রিজিকে বরকত দাও এবং আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। ওজু শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে কালিমা পড়তেন। এরপর তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন । ৪, ৬, ৮, বা কখনো ১২ রাকাত আদায় করতেন । হজরত বেলাল রা. ফজরের আজান দিলে ২ রাকাত সুন্নত ঘরে আদায় করতেন । ফজরের নামাজ মসজিদে আদায় করতেন ।
জিকির-আযকার ও ওহি পাঠ
ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ নিজ স্থানে বসে থাকতেন । জিকির ও বিভিন্ন তাসবিহ পাঠ করতেন । কুরআন-হাদিসের বানী শুনাতেন । ওহি নাজিল হলে পরে সাহাবিদের নিকট হুকুম- আহকাম বর্ণনা করতেন । লোকদের মূর্তি পূজা ছেড়ে আল্লাহর ইবদত করার দাওয়াত দিতেন । ব্যবসা বাণিজ্যে সততা অবলম্বনের গুরুত্বারোপ করতেন ।
ঘরোয়া কাজে অংশগ্রহণ
ইচ্ছা ও আগ্রহ নিয়ে তিনি ঘরের কাজ-কর্মে অংশগ্রহণ করতেন । ঘর পরিস্কার করতেন, গৃহপালিত পশু-পাখিদের খাবার দিতেন। নিজহাতে বকরির দুধ দোহন করতেন । কাপড়, জুতা সেলাই করতেন । বাজার করতেন । নিজ হাতে আটা পিষতেন। এক কথায় ঘরোয়া কাজে তিনি স্বতস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করতেন।
রুচি সম্মত পোষাক পরিধান
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লম্বা জামা পরিধান করতেন। তাঁর জামার হাতাও কব্জি পর্যন্ত লম্বা থাকত। জামা পরিধানের সময় ডানদিক থেকে এবং খোলার সময় বাঁ দিক থেকে শুরু করতেন। তিনি জুমার দিন নতুন পোষাক পরিধান করতেন। সাদা পোষাক বেশি পরিধান করতেন। সাদা ছাড়া অন্য রঙের কাপড় ও পড়তেন। পাগড়ি পড়তেন। পাগড়ির নীচে টুপিও পড়তেন আবার কখনও শুধু টুপি পড়তেন।
দোয়া পড়ে খাবার খেতেন
রাসূলুল্লাহ সা. ঠান্ডা ও মিষ্টি পানীয় পছন্দ করতেন। পেয়াল গ্লাস ডান হাতে ধরতেন। বিসমিল্লাহ বলে বসে বসে পান করতেন। অল্প অল্প করে ২, ৩ বারে পান করতেন। হাত ধুয়ে মাটিতে বসে দস্তরখানায় খাবার খেতেন। বিসমিল্লাহ বলে সামনের দিক থেকে খাবার নিতেন। খাবার শেষ হলে আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং কোনো খাবার পাত্রে অবশিষ্ট রাখতেন না। নিজ পরিবারের সদস্যদেও সাথে বসে একত্রে খাবার খেতেন। নিজে এমনভাবে খেতন যাতে সাথীদেও লজ্জা পেতে না হয়। খাওয়া শেষে এই দোয়া পড়তেন ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতয়ামানা ওয়াসাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ অর্থ : সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর, যিনি আমাদের খাবার খাইয়েছেন, পানি পান করিয়েছেন এবং মুসলমান বানিয়ে জন্ম দিয়েছেন। [আবু দাউদ : হাদিস নং-৩৮৫১]
কারো ঘরে দাওয়াতে গেলে তিনি মেজবানের জন্য বরকত ওক কল্যাণ কামনা করতেন। ধনী গরীব সকলের দাওয়াত কবুল করতেন। তিনি কখনো চেয়ারে বসে বা হেলান দিয়ে খাবারক খেতেন না। পেট ভরে খেতেন না। খেজুর, রুটি, খুরমা, ছাতু ইত্যাদি নিত্যদিনের আহার্য ছিল।
সুগন্ধি ও তেল ব্যবহার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রায়হান মেশ্ক এবং উদের খোশবু পছন্দ করতেন। গোসলের পর ও রাতে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। মাথায় ও দাঁড়িতে তেল ব্যবহার করে তা চিরনী করতেন।
ডান পথে হাঁটতেন
সব সময় ডান পথ ধরে হাঁটতেন । কোথাও গমনকালে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে রওয়ানা করতেন। ঊচু স্থানে আরোহনে ‘আল্লহু আকবার’ এবং নীচে নামার সময় ‘সোবাহানাল্লাহ’ বলতেন। তিনি হাঁচির পরে ‘আল্হামদুলিল্লাহ’ বলতেন এবং হাঁচির জবাব দিতেন।
রোগীর সেবা করতেন
নিজ এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে তিনি পায়ে হেঁটে তার বাড়ি যেতেন। অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে রোগীর সেবা যতœ করতেন এবং কপালে হাত রাখতেন। সান্তনা দিয়ে তার আরোগ্যের জন্য দোয়া করতেন। অমুসলিম রোগীদেরও সেবা শুশ্রষা করতেন।
নবীজির হাস্য-রসিকতা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে মাঝে বাস্তবতার নিরিখে কৌতুক করতেন। তিনি একদা জনৈক সাহাবীকে বললেন, ‘ওহে দুই কান ওয়ালা।’ তিনি জনৈক বৃদ্ধা মহিলাকে বললেন, ‘কোন বৃদ্ধা মহিলা জান্নাতে যাবে না।’ একথা শুনে বৃদ্ধা কাঁদতে শুরু করল। রাসূলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বৃদ্ধারা যুবতী হয়েই জান্নাতে যাবে । তিনি মুচকি হাসতেন। কাঁদার সময়ও শব্দ করে কাঁদতেন না।
পরিচ্ছন্নতায় গুরুত্বারোপ
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে ঈমানের অঙ্গ বলেছেন নবীজি সা.। তিনি নিয়মিত গোসল করতেন এবং সাহাবিদের পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন । তিনি নাক পরিস্কার করতেন বা হাতে । প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের পর বাম হাতে পানি খরচ করতেন ।
রাতের শুরু অংশে ঘুমাতেন
জামাতে ইশার নামাজ আদায় করার পর সাহাবিদের বিদায় দিয়ে নিজ ঘরে যেতেন । রাতের শুরু অংশে ঘুমিয়ে পড়তেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিছানায় থাকত সুরমাদানী , কাঁচি, মেসওয়াক, চিরুনী , তেলের বোতল, আয়না এবং ছোট কাঠ যা দ্বারা তিনি গা চুলকাতেন । তিনি উজু অবস্থায় ডান কাত হয়ে কিবলার দিকে মুখ দিয়ে শয়ন করতেন । সেই সময় তিনি ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া’ পাঠ করে সুরা ইখলাস, সূরা ফালাক ,সূরা নাস্ পরে দুই হাতে ফুঁ দিয়ে সারা দেহে স্পর্শ করতেন । এই আমল তিনবার করতেন । হে আল্লাহ! নবী মুহাম্মদ সা. এর মতো জীবন ধারণের তাওফিক দান করুন আমাদের।
MY FACEBOOK
YOUTUBE CHEENEL

পৃথিবী কাঁপানো বিখ্যাত সেই ব্যক্তির করুণ পরিণতি


এই বিখ্যাত মনিষীর কাহিনী পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। হায় মানব জীবন। ১৯৬১ সালে পুরো ভারতবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম। এরপর ১৯৬৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মাত্র দুবছরের মাঝে গণিতে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করে ১৯৬৯ সালে গণিতে পিএইচডি। Reproducing Kernels and Operators with a Cyclic Vector- এর জনক হিসাবে স্বীকৃতি। ১৯৬৯ সালেই নাসার গবেষক হিসাবে যোগদান করে ১৯৭৩ সালে দেশ সেবার মহানব্রত নিয়ে ফিরে আসেন ভারতে। নাসা’তে উনার অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বলা হয়েছিলো- গণিতে যদি কোনো নোবেল পুরস্কার থাকতো তবে সেটা উনারই প্রাপ্য হতো। আইআইটিসহ ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তারপর শুরু হতে থাকে ধীরে ধীরে উনার মানসিক ভারসাম্য হীনতা। স্ত্রী, ঘর ,সংসার সবকিছু থেকে আলাদা হয়ে যান। ১৯৮৮ সালের পর থেকে একেবারেই নিঁখোজ । কারো সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। কেউ জানেনা উনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন।
তারপর, ১৯৯২ সালে উনাকে পাওয়া যায় গৃহহীন হয়ে বিহারের রাস্তার ফুটপাথে অর্ধউলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছেন। কোনো কথা নেই, কাউকে চিনেন না। গণিতের অসংখ্য সূত্র যিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা মুহুর্তেই বলে দিতে পারতেন- সেই বিদ্বান, মনিষী, গণিত বিজ্ঞানী নিজের নামটিও আর বলতে পারেননা। শুধু ভারত নয় , ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি একনামে পরিচিত গণিত বিজ্ঞানী হিসাবে -Dr.Vashishtha Narayan Singh| বিহারে যখন উনাকে ভবঘুরে অবস্থায় পাওয়া যায় তখনকার এই ছবি- পুরো ভারতবর্ষের মানুষ বিশেষকরে শিক্ষিতজন উনার এই ছবি দেখে চমকে ওঠেছিলো। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় হেডলাইন হয়। পাটনার এক ঘরে এখন তিনি বলতে গেলে একেবারে একাকী জীবন যাপন করেন। এবার, একবার কল্পনা করে দেখুন মানুষের কীসের এতো অহঙ্কার, কীসের এতো গৌরব। এই রকম জীবন্ত একটা দৃষ্টান্ত থেকে যদি শিখার কিছু না থাকে তবে আমাদের চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই। নিমিষেই সবকিছু চূর্ণ হয়ে যায়। আমি যা বলি আমার- আসলেই কি এসব কিছু আমার!
my facebook
youtube channel

Wednesday, December 23, 2015

“চিনচিনিয়ে বুকে ব্যাথা”


চিনচিনিয়ে বুকে ব্যাথা-নারীর জন্য ,এটা পুরুষপ্রজাতি প্রাণীদের সেই পুরানো রোগ। সেই আধিযুগ থেকে শুরু, আজ সভ্যযুগের পুরুষের চিনচিনিয়ে বুকে ব্যাথা করার ক্ষেত্রে কোনরুপ পরিবর্তন হয়নি তবে হয়েছে চিনচিনিয়ে বুকে ব্যাথার আধুনিকায়ন।
চিনচিনিয়ে বুকে ব্যাথা করাটা পুরুষের কথন থেকে শুরু সেটা গবেষনার বিষয় ।তবে যখন একটি ছোট্র ছেলে খেলার ছলে বুঝতে পারে পাশের বাড়ির তার সমবয়সি ছোট্র মেয়েটির ... See More

Top 50 Richest Man in Bangladesh in 2015


25It is examined that in 2013-14, according to the income statements of the rich people of the country’s top 50 list where found 27 people are worth of more than net Tk 100 crore. The number of worth of net Tk 50 crore is more than 46. This information has been out by the Internal NBR Resources Division.This is notify that after deleting the liabilities from the asset which is existing money called net asset. The top 50 list are as follows:
1)
Shawkat Ali Chowdhory Director of EasternBank TK 2,750,000,000.00 2)
Saiful Islam Navan Group 2,700,000,000.00 3)
Sadat Subhan Bashundhra Group 2,050,000,000.00 4)
Moazzem Hossain Hosaf Group 2,000,000,000.00 5)
Salman F. Rahman Beximco Group 1,650,000,000.00 6)
Afroza Begum 1,580,000,000.00 7)
Safuan Subhan Bashundhra Group 1,550,000,000.00 8)
S. K. Bashir Uddin Akij Group 1,400,000,000.00 9)
S. K. Jamil Uddin Akij Group 1,400,000,000.00 10)
S. K. Jasim Uddin Akij Group 1,400,000,000.00 11)
Sheikh Shamim Uddin Akij Group 1,400,000,000.00 12)
Sheikh Nasir Uddin Akij Group 1,400,000,000.00 13)
M. A. Khaleque Director of PrimeBank 1,400,000,000.00 14)
Sohel F. Rahman Beximco Group 1,370,000,000.00 15)
Manjurul Islam 1,350,000,000.00 16)
Anower Hossain 1,300,000,000.00 17)
Nazrul Islam Majumder Nasa Group 1,300,000,000.00 18)
Ahsan Khan Chowdhory Pran Group 1,250,000,000.00 19)
Md. Saiful Alam S. Alam Group 1,200,000,000.00 20)
Md. Jahirul Islam Chowdhory 1,200,000,000.00 21)
Md. Mosaddeque Ali NTV 1,100,000,000.00 22)
Hazi Younus Ahmed 1,070,000,000.00 23)
Golam Dostogir Gazi Gazi Group 1,050,000,000.00 24)
Morshed Alam 1,000,000,000.00 25)
Abdul Matlum Ahmed Nitol-Niloy Group 1,000,000,000.00 26)
Md. Faruque 960,000,000.00 27)
Md. Hanif 950,000,000.00 28)
Abdul Karim Orion Group 900,000,000.00 29)
Jahangir Alam Khan 880,000,000.00 30)
Md. Amanullah 860,000,000.00 31)
M. Moazzem Hossain 810,000,000.00 32)
Mehdadur Rahman 810,000,000.00 33)
Syed Hossain Chowdhory 760,000,000.00 34)
Mejor General (Ret) AmjadKhan Chowdhory Pran Group 750,000,000.00 35)
Motiur Rahman 720,000,000.00 36)
Abdus Salam 700,000,000.00 37)
Aziz Al Mahmud 680,000,000.00 38)
Monowara Begum 670,000,000.00 39)
Kutub Uddin Ahmed Envoy Group 670,000,000.00 40)
Salma Haque 640,000,000.00 41)
Mizanur Rahman 640,000,000.00 42)
Md. Nur Ali Unique Group 600,000,000.00 43)
Nasif Siqder 600,000,000.00 44)
Nazrul Islam Shawpan 590,000,000.00 45)
Abdus Salam Murshedi Envoy Group 580,000,000.00 46)
Md. Younus 500,000,000.00 47)
Ragib Ali Chairman of Southeast Bank 500,000,000.00 48)
Josna Begum 440,000,000.00 49)
Manjur Morshed Khan 420,000,000.00 50)
Azim Uddin 400,000,000.00

Saturday, December 12, 2015

পিপঁড়া , ফেসবুক ও আমরা

‘বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে পিপঁড়াদের দলপতি আরেক পিপড়াকে বলল সবাইকে খবর পাঠাও আর সতর্কৃ থাকার নির্দেশ দিলেন যে, ভূলেও যাতে এদের সামনে কেউ না পরে’।এটা আমার কাল্পনিক একটা গল্প।যেখানে পিপঁড়ারা কথা বলছে অপরের সাথে।যেটা হাস্যকর কারন পিপড়া আবার কথা বলে কিভাবে?
পবিত্র কোরআনের সূরা নামল্(বাংলা উচ্চারন)-এ বলা হয়েছে হযরত সোলায়মান আ:)এর বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে এক পিপড়া বলল “তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর যেন সোলায়মান ও তার বাহিনী তাহাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদিগকে পদতলে পিষিয়া না ফেলে” এটা কোন গল্প না।পবিত্র কোরআনের বাণী।তাহলে কোরআন শরীফে এসব রুপকথার গল্প কেন? পবিত্র কোরআনের কোন বাণীই কল্পকথা নয়। আমরা সাধানত মানুষজাতীর পরে জ্বীন জাতিকে স্থান দিয়ে থাকি।জ্বীণ হল মানুষের মত আরেকটা জাতি যারা অদৃশ্য অবস্থায় থাকে আর শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার ইবাদত করে।কুরআনশরীফে তা বলা হয়েছে।অথচ কিছু কবিরাজ হুজুরেরা জ্বীনদের দিয়ে পুত্র সন্তান লাভ, লাউ চোর অথবা মোবাইল বা ল্যাপটপ চোর ধরার কাজে ব্যাবহার করে অথচ একটা সুই কেন হারিয়ে যাওয়া বিরাট হাতি বের করারও ক্ষমতা জ্বিনদের নেই।আমরা সেই সব হুজুরদের বিশ্বাস করি যাদের মসজিদ আর নামাজের সাথে ভালো যোগেযোগ নেই। ধার্মিক হুজুরেরা মলমপার্টির সাথে তুলনা করে এদের।জ্বীনদের বশ করানের সে যুগও নেই,সে মানুষও নেই।
আচার আচরনের দিক থেকে মানুষের সাথে যে প্রাণীটি সবচেয়ে কাছাকাছি সেটি হল পিপড়া।তারা মানুষের মত কথা বলে,হাসে,কাঁদে।তারা আমাদের মত নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে সমাজবদ্ধভাবে।তাদেরও আছে বাজার,নেতা,শ্রমিক,ম্যানেজার বা অন্যান্যগুলো।সবচেয়ে অদ্ভুদ বিষয় হল তাদের যোগাযোগ ব্যাবস্তা মানুষের চেয়েও অনেক উন্নত অথচ তাদের মোবাইল, ফেসবুক,ভাইবার,মেচেন্জার নেই। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল তারা মৃত পিপড়াদের আমাদের মত কবর দেয়।বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বন্ধুরা?বা বিশ্বাসই করেননি।কারন এটা আমি বলেছি।আর যদি কোন ক্লিন সেভ করা হুজুর জ্বিন ডেকে এনে বলত তাহলে সে অদৃশ্য বক্তার কথা চোখবুজে বিশ্বাস করে নিতেন।
টমাস প্রিস বিখ্যাত প্রানীবিজ্ঞানী, ১৮০০ শতকে যিনি পিপড়াদের উপর গবেষণা করতে গিয়ে অবাক করা এসব তথ্য পেয়েছে।যা তাকে পর নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে।এবার মনে হয় বিশ্বাস হচ্ছে বন্ধুরা।অথচ এ বিশ্ময়কর তথ্য ১৪০০শত বছর আগে কুরআন শরীফে বলা হয়েছে পিপড়াদের নিয়ে।
যোগাযোগ ব্যাবস্থায় আমরা মানুষেরা চরম ভার্চুয়াল হয়ে গেছি।ফেসবুকব,ভাইবার,মেছেন্জার বা অন্যান্য মাধ্যম ছাড়া আমরা অচল মনে করি।কিন্তু সত্যিই কি তাই? সরকার এগুলো সাময়িক বন্ধ করছেল এতে সরকারের মন্ডুপাত করছি আমরা।অথচ এগুলো ব্যাবহার না করার ফলে আমরা আমাদের মা,বাবা, পরিবার বা পরিচিতজনদের বেশি সময় দিতে পেরেছি ফেসবুকে পরে না থেকে।সবক্ষেত্রেই তাই হয়েছে।এতে ওদের সাথে মনের যোগাযোগটা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন।আর এটাই হল সবচেয়ে বড় যোগাযোগ।পিপড়ারা নিজেদের মথ্যে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় তাই করে।তা্ই মানুষের থেকে এরা হাজারগুন উন্নত।গবেষনায় এও বলা হয়েছে যে মানুষ যে হারে ভার্চৃয়াল যোগাযোগ করছে এতে পিপঁড়াদের থেকেও হাজারগুন পিছিয়ে পরছি।অথচ আমরা শ্রে্ষ্টজাতি।
আমাদের ভার্চৃয়াল যোগাযোগ হবে আল্লাহতায়ালার সাথে ফেসবুক,ভাইবার,মেসেন্জার,টেংগো,ইমো্,স্কাইপ হবে নামাজ।নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে কথা বলব,যোগাযোগের মূলকেন্দ্রস্থল হবে মসজিদ।আর তা না হলে জ্বিনজাতি আর পিপড়ার কাছে পরাজয়ের মত অন্যান্য সব ক্ষেত্রে আমরা মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ব যা আজকের সময়ে প্রমাণিত হচ্ছে আরও হবে।
FACEBOOK
YOUTUBE CHANNEL অতিথি

Wednesday, December 9, 2015

5 লোভনীয় ও আকর্ষণীয় অজানা পেশা!


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কেরিয়ারের ধারণা পাল্টাচ্ছে। বিগতদিনে কেরিয়ারের কোনও অস্তিত্বই ছিল না, এখন তার জয়জয়কার। আবার অনেক পুরনো কেরিয়ার নতুন করে সাজছে। অনেকের অজানা আধুনিক পাঁচটি কেরিয়ারের কথা৷ যে পেশায় দাম দিন দিন বাড়ছে, সঙ্গে মিলছে মোটা অঙ্কের বেতন!
১. ট্রান্সলেটর
এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগ। তাই এক ভাষার লেখা কিংবা কথা অন্য ভাষায় ভাষান্তর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে ভাষান্তর যারা করতে পারেন, তাদের অত্যন্ত ভালো চাহিদা রয়েছে। সহজে এই কাজটি শেখা যায় না। এজন্য প্রয়োজন হয় যথাযথ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান, বিদেশি দূতাবাস, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে চাহিদা বাড়ছে ট্রান্সলেটরের।
২. বিজ্ঞাপন প্রফেশনাল
বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রির কদর দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় বিজ্ঞাপনের নানা কাজে জড়িত মানুষের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শুধু টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়া নয়, অনলাইনসহ আরও নানা ক্ষেত্রে বাড়ছে বিজ্ঞাপন প্রফেশনালদের কদর। বিজ্ঞাপনের এই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যারা প্রবেশ করবে, কিছুটা অভিজ্ঞ হলেই তাদের ভালো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রফেশনালদের কাজের জন্য মিডিয়া প্ল্যানিং অ্যান্ড বায়িং, প্রোডাকশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইভেন্টস অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন, চ্যানেল মার্কেটিং, রেডিও, পিআর ইত্যাদি ছাড়াও বহু ক্ষেত্র রয়েছে।
৩. অ্যাকচুয়ারি
বিমার ঝুঁকি বিষয়ে হিসাব করার কাজ করে এ পেশাজীবীরা। এই ধরনের ব্যক্তিরা মূলত তাদের অঙ্ক কষার দক্ষতা ব্যবহার করে সম্ভাব্যতা, ঝুঁকি ইত্যাদি নির্ণয় করে। তাদের নির্ণীত এই ঝুঁকির মাত্রা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বিমার প্রিমিয়াম ও অন্য আর্থিক বিষয়গুলো নির্ণয় করে। এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণেও কাজে লাগে।
৪. আইটি প্রোগ্রামার
অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামার কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ ও সংশোধন করেন। তারা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের কোডগুলি লেখেন। এ কাজের জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও অন্য সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকতে হবে। পাশাপাশি বিশ্লেষণী ও যুক্তি ক্ষমতা থাকা আবশ্যক। কাজ ঠিকঠাক শিখতে পারলে এই ক্ষেত্রে কাজ করে বিপুল অর্থ আয় করা সম্ভব।
৫. ভেটেরিনেরিয়ান
প্রাণীদের নানা রোগের চিকিৎসায় ভেটেরিনেরিয়ানরা কাজ করেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় আপনাকে প্রাচীন ধ্যান-ধারণা নয়, আধুনিক নানা পদ্ধতির সমন্বয় করতে হবে। আর এই কাজে সাফল্য পেতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। সঠিকভাবে কাজটি আয়ত্ব করতে সক্ষম হলে, যে কেউ যথেষ্ট অর্থ আয় করতে পারবে। পাশাপাশি প্রাণীসেবা করার সাধ থাকলে তাও মিটিয়ে নিতে পারবেন।

Tuesday, December 8, 2015

গ্যাসের সমস্যা ওষুধ খেয়ে না কমিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে কমান


ওয়েব ডেস্ক: গ্যাসের সমস্যায় আমরা কম বেশি সকলেই ভুগি। বেশিক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকলেই গ্যাস হয়ে যায় আমাদের পেটে। তার থেকে শুরু হয় বুকে পেটে ব্যথা, মাথা ধরা, গা বমি ভাব ইত্যাদি। অনেকের আবার গ্যাসের সমস্যা থেকে গ্যাস্টিকও হয়ে যেতে পারে। কখনও বেশি তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস হয়ে যেতে পারে। তাই যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তারা কোনও মশলাদার কোনও খাবার খাওয়ার আগে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে তবেই খাবার খান। তবে সব সময় গ্যাসের ওষুধ খেয়ে খাবার খেলে কয়েক বছর বাদে আর কোনও ওষুধই শরীরে গিয়ে কাজ করতে পারে না। তাই ওষুধ খেয়ে গ্যাস ঠিক না করে প্রাকৃতিকি উপায়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করে নেওয়াটাই সব থেকে ভালো...
আদা
গ্যাস-অম্লের জন্য আদা খুবই উপকারি। ২০০৮ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ গ্যাসট্রোএনটেরেলজি এন্ড হেপ্যাটোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে একটি তথ্য। যে আদা খাওয়ার ফলে হজম খুব তাড়াতাড়ি হয়। পেট যদি খুব তড়াতাড়ি খালি হয়ে যায় তাহলে সেই খালি পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মশলাদার অথবা ভারী কোনও খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক কুঁচি আদা খেয়ে নিলে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না।
রসুন
রসুন গ্যাসের জন্য খুবই উপকারি। রসুন শুধুমাত্রই খাবারে অন্য স্বাদ আনে না। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা হজম করতে সাহায্য করে।
জিরা
যে কোনও খাবারে অল্প একটু জিরে গুঁড়ো দিলে খাবারের স্বাদ পরিবর্তনের সঙ্গে ভালো হয়ে যাবে গ্যাসের সমস্যাও।
তুলসী পাতা
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জলে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর করা যায়। এছড়াও এই পাতার রস খেলে খুব তাড়াতাড়ি রোগাও হওয়া যেতে পারে।
মেনথল
মেনথল গ্যাসের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি দূর করতে পারে। চায়ের সঙ্গে মেনথল মিশিয়ে খেলে গ্যাসের পাশাপশি হজম খুব সহজে এবং শরীর বেশ সতেজ লাগে।
YOUTUBE CHANNAL

Monday, December 7, 2015

জানেন কি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তাঁর গোটা টেস্ট কেরিয়ারে মোট কতগুলো ছক্কা মেরেছেন?


ওয়েব ডেস্ক: স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে গড় রেখেছিলেন ৯৯.৯৪! শেষ ইনিংসে মাত্র ৪ রান করতে পারলেই তাঁর গড় ১০০ হতো! কিন্তু করতে পারেননি। শেষ ইনিংসে করেছিলেন ০।
টেস্ট কেরিয়ারে খেলেছিলেন ৫২ টি ম্যাচ। মাত্র ৮০ টি ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমেই করেছিলেন ৬৯৯৬ রান। আর সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ২৯ টি। এগুলো তো সবাই জানেন। মানে খুবই চর্চিত বিষয়।
কিন্তু জানেন কি, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তাঁর গোটা টেস্ট কেরিয়ারে ঠিক কতগুলো ছক্কা মেরেছেন? উত্তরটা শুনলে একটু অবাকই হবেন। কারণ, স্যার ডন তাঁর ৫২ টি টেস্টে ব্যাট হাতে নেমে মেরেছিলেন মাত্র ৬ টা ছয়!
রান করেছেন প্রায় ১০০ গড় রেখে। কিন্তু এই যদি তাঁর ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা হয়, তাহলে কি আজ পারতেন টি-২০ ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে? এই প্রশ্নটা যে থেকেই গেল।
YOUTUBE CHANNEL

Friday, November 20, 2015

৫ টা খাবার আপনার যৌবনকে ধরে রাখবে


মনের বয়স না হয় আপনি বাড়তে দিলেন না। কিন্তু শরীরের তো বয়স হবেই প্রকৃতির নিয়মেই। সে আর আপনি থামিয়ে রাখবেন কীভাবে? তবু নিজের যৌবন ধরে রাখতে কে না চায়। তাই নিচে দেওয়া হল এমন ৫ টা খাবার, যেগুলো নিয়মিত খেলে সত্যিই আপনি ধরে রাখতে পারবেন আপনার যৌবন।
১) দই - নিয়মিত দই খান। দইতে ব্যাকটেরিয়া থাকে। কিন্তু সেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের পক্ষে ভাল। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। দইতে অনেকটা পরিমাণ ক্যালসিয়ামও থাকে।
২) কমলালেবু - কমলালেবু শুধু সুস্বাদু কিংবা দেখতে সুন্দরই এক ফল না। কমলালেবু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভাল। কারণ, কমলালেবুতে অনেকটা পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। ত্বক টানটান রাখে কমলালেবু।
৩) রেড ওয়াইন - সময় সুযোগে, মাঝে-মাঝে অবশ্যই পান করুন রেড ওয়াইন। হৃদরোগের প্রকোপ থেকে আপনাকে অবশ্যই বাঁচাবে। ডায়াবেটিস থেকেও রক্ষা করবে আপনাকে রেড ওয়াইন।
৪) অলিভ অয়েল - অলিভ তেল আপনার যৌবনকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। রোগ থেকে যেমন দূরে সরিয়ে রাখবে, আপনার শরীরে এনে দেবে জেল্লা। যা আপনার বয়সকে সত্যিই কম করে দেখাবে।
৫) বেরি - স্ট্রবেরি হোক কিংবা ব্ল্যাকবেরি, সবকটিই আপনার শরীরের জন্য খুবই ভাল। কালোজাম বিশেষ করে। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। আপনার ত্বককে করে রাখবে সতেজ।
youtube channel

Thursday, November 19, 2015

নাসায় কর্মরত ১৭-র বিস্ময় বালক


কলেজের ডিগ্রি রয়েছে তার। বিমান চালাতে পারে অনায়াসে। কিন্তু এখনও ভোট দিতে পারে না। কারণ বয়স হয়নি। মাত্র ১৭। ক্যালিফোর্নিয়ার সান গ্যাব্রিয়েলের ছেলে কাভালিন শুধুই বিস্ময়। প্রথমে ১১ বচর বয়সে গ্রাজুয়েশন। চার বছর পর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অঙ্কে ডিগ্রি। এবছর ব্রান্দিস ইউনিভার্সিটি থেকে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়াশোনা করছে অনলাইনে। সেইসঙ্গে নাসা-কে এয়ারপ্লেন ও ড্রোনের প্রযুক্তি তৈরিতে সাহায্য করে নাসা-কে। এখানেই শেষ নয়। নিজের লেখা দ্বিতীয় বই প্রকাশ করেছে কিছুদিন আগেই। কারও কাছ থেকে গল্প শুনে ছবি আঁকা তার নেশা। চলতি বছরের শেষেই বিমান ওড়ানোর লাইসেন্সও আসবে তার হাতে। এতকিছুর পরও নিজেকে সাধারণ ভাবতেই পছন্দ করে কাভালিন। তার বাবা ব্রাজিলের ও মা তাইওয়ানের। তার জীবনের সবকিছুর জন্য সে বাবা-মা’কেই ধন্যবাদ দিতে চায়। সম্প্রতি নাসা-র এক সম্মেলনে সে বলে, ‘আমি অসাধারণ নই। বাবা-মায়ের উৎসাহ, নিজের ইচ্ছা আর উদ্যোগের ফল মাত্র। আমি শুধু নিজের সেরাটুকু করার চেষ্টা করি।’ কাভালিনের বাবা-মা জানিয়েছে খুব দ্রুত সব পড়াশোনা সেরে ফেলতে পারে সে। মাত্র সাত বছর বয়সেই শেষ হয়েছে ত্রিকোণমিতি। তবে তারও বাধা এসেছে। কাভালিন স্বপ্ন দেখেছিল অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট হওয়ার। কিন্তু ফিজিক্স পতে গিয়ে সে বুঝতে পারে তার উৎসাহ কম্পিউটার সায়েন্সেই। নাসা যখন তাকে ডেকেছিল রীতিমত অবাক হয়েছিল কাভালিন। নাসা-য় তার মেন্টর রিকার্ডি আর্তেগা জানিয়েছেন, কাভালিন অঙ্ক, কম্পিউটার, এয়ারক্রাফট টেকনোলজি সবটাই জানে। তাই ও এই প্রজেক্টের জন্য একদম পারফেক্ট ছিল। তাঁর দরকার ছিল এমন একজন যে অ্যালগোরিদিম করবে আবার প্লেনও ওড়াতে পারবে। আপাতত কাভালিন চায় ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বিজনেস-এ মাস্টার ডিগ্রি পেতে। পরে নিজের সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি খুলতে চায় কাভালিন।

Sunday, October 25, 2015

১০৩ বছরের জন্মদিনে কেক কেটে বললেন, কাজে ব্যস্ত থাকলেই আয়ু বাড়বে


১০৩! না না, কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া বাংলা ছবি রুম নম্বর ১০৩ এর কথা বলছি না।
এক ভদ্রমহিলা নিজে হাতে কেক কেটে নিজের ১০৩ বছরের জন্মদিন পালন করলেন!
ঘটনাটা ঘটেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। আর সেই "ওয়ান্ডার উওমেন" এর নাম মেরি কটার। মেরি মন্টক্লেয়ার সিনিয়র সেন্টারে রীতিমতো কাজ করেন! এই বয়সেও! সেইজন্যই তো তাঁকে বারমেইড বলা হয়।
মেরি সবাইকে নিজে হাতে জল, চা, কফি এবং স্ন্যাক্স পরিবেশন করেন। আর সবার চাই তাঁকেই। মেরি হাতে করে কোনও জিনিস পরিবেশন করলে তার স্বাদই যে বদলে যায়!
এত দিন সুস্থ সবলভাবে বেঁচে থাকার রহস্য কী? এই উত্তর জানতে চাইলে, মেরির জবাব খুব সহজ সরল এবং পরিষ্কার। বললেন, "ব্যস্ত থাকা। মানুষ কাজে যত ব্যস্ত থাকবে, ততই তার আয়ু বাড়বে।"! ছেলেবেলায় খুব ভাল সাঁতারু ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বাচ্চাদের সাঁতারও শেখাতেন। তারও পর মানে নিজের ৯০ বছর বয়স পর্যন্তও মেরি সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সাঁতার শেখাতেন। এমন মানুষ ১০৩ বছর বাঁচবেন না তো কে বাঁচবেন!
my facebook
my youtube channal

Saturday, October 24, 2015

বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে


প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত হচ্ছেন৷ বর্তমানে মধ্যবিত্তের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ৷
এভাবে মধ্যবিত্ত বাড়তে থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ উচ্চ ও মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৪০ লাখে৷ গত এক দশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধ ও কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী, ঊর্ধ্বমুখী ও গতিশীল হয়েছে৷
ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ' বা বিসিজি এর সেন্টার ফর কাস্টমার ইনসাইটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডি এশিয়া৷
বিসিজি দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভোক্তার ওপর জরিপ করে এবং তাদের ভোগের ধরণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে৷ এতে বলা হয়, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তারা ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, বিদেশি ব্র্যান্ডকে মূল্যায়ন করছে এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে৷ এসব কারণে এখানে ভোগ্যপণ্যের বাজার বিশ্বের উদীয়মান ও খুবই সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে৷
বিসিজির বাংলাদেশে কোনো কার্যালয় নেই৷ এসডি এশিয়া নামের প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমেই তারা প্রাথমিক কাজগুলো করছেন৷ এসডি এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রতিবেদনে মূলত ৬টি পয়েন্ট এসেছে৷ বাংলাদেশের মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ভয় পান৷ এখানে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি আছে, ঋণ নিলে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে৷ আবার অনলাইনের তথ্যকে তারা অনেক বেশি বিশ্বাস করেন৷ সেখানে প্রিন্ট বা অন্য কোনো মিডিয়ার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি বিশ্বাস করেন অনলাইনের তথ্যকে৷ অনলাইনে কেনাকাটা করতেও তারা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷''
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা জারিফ মুনির বলেন, বাংলাদেশের বাজার এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গতিশীল, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বেশিরভাগ বহুজাতিক ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানের নজরে আসেনি৷ যেসব প্রতিষ্ঠান এ বাজারে অবস্থান নিতে আসবে, তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির সুযোগ পাবে৷
বিকেলে তোলা ঢাকার কারওয়ান বাজারের একটি ছবি৷ এ রকম কয়েকটি ছাউনি আর আশেপাশের সড়ক জুড়েই রাতেরবেলা বসে ভোগ্য পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি এই বাজার৷ অবশ্য দিনেরবেলা এ বাজার অনেকটাই অলস পড়ে থাকে৷
গবেষণায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, এই শ্রেণির ৬৮ শতাংশ ভোক্তার হাতে ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন রয়েছে৷ নগদ অর্থের চেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য পরিশোধে এ শ্রেণির ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে৷ ৮১ শতাংশ মধ্যবিত্ত অনলাইনে পাওয়া তথ্যকেই বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে মনে করেন৷
ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বেসিস এর সভাপতি শামীম আহসান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারের জন্য অনেক উপকারে আসবে৷ বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে৷ দেশের টেলিকম খাতের ৯৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশি কোম্পানিগুলো৷ আর অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৭০ শতাংশই বিদেশি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে৷ এক্ষেত্রে দেশিয় উদ্যোক্তাদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে৷
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বা ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে আছেন৷ ভিয়েতনামে এমন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশটির মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৮ শতাংশ ও থাইল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ৷ আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, জনসংখ্যার অনুপাতে এখনো কম হলেও বাংলাদেশে প্রতিবছর সাড়ে ১০ শতাংশ হারে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ ভোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে বলা হয়েছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৮১ শতাংশ মনে করেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷
my youtube channal
my facebook

সাবান মেখে রোজ স্নান করবেন না, তাহলেই গেল!


আপনি রোজ স্নান করেন অনেকটা সময় ধরে। রোজ গায়ে দামি অথবা মাঝারি দামের সাবানও মাখেন? এই নিয়ে আপনার গর্বের শেষ নেই? সবার মাঝে ফলাও করে বলেন, আপনি কত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন?
আপনি ভাবেন এর জন্য আপনার ত্বক কত ভাল থাকবে? আপনি কত সুন্দর এবং টানটান হয়ে থাকবেন অনেক বয়স পর্যন্তও!
এক দম ভুল ভাবছেন। ইউরোপের ডাক্তাররা কিন্তু একেবারে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, স্নান রোজ করছেন এটা খুবই ভাল। কিন্তু যে সাবান দিয়ে আপনি রোজ ঘসে ঘসে গা পরিষ্কার করছেন, চকচকে হচ্ছেন, সেটা কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
সাবান মানেই খার। সেটা কম মাত্রা অথবা বেশি মাত্রা হতে পারে। কিন্তু রোজ আপনার শরীরে খার গেলে তা আপনার শরীরকে মোটেই চিরকাল ভাল রাখবে না। যার সুফল আজ টের পাচ্ছেন, তার অনকে বেশি কুফল কাল টের পেতে চলেছেন। তাঁদের পরামর্শ গায়ে মাটি মাখুন। ত্বক আজও ভাল থাকবে। আগামীতেও ভাল থাকবে। মাটির থেকে ভাল গায়ে মাখার আর কিছু নেই। কিন্তু আপনি কি এখনই এসব মানবেন?
my facebook
my youtube channal

Friday, October 23, 2015

সংসার বাড়ছেই, কিন্তু বেডরুমে সেক্সের জন্য হাহাকার


পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। কিন্তু গোটা দেশের বেডরুমে সেক্সের জন্য চোখের জল পড়েই চলেছে। স্বামী-স্ত্রী থাকছে তো চার দেওয়ালের মধ্যেই। হয়তো এক বিছানাতেও। সেখানে, নাক ডাকার আওয়াজ আছে। গাঢ় ঘুমে ঢলে পড়া আছে। কিন্তু সেক্সের ছিটেফোটাও দেখা নেই। মুখে বলতে পারছে না। কিন্তু খিদের জ্বালায় জ্বলছে পুড়ছে স্বামী-স্ত্রী। গোটা দেশ জুড়ে রীতিমতো গবেষণা করে এমনই তথ্য আসছে উঠে। কেন এমন?
উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিষ্কার এবং যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য তাঁদের। সহনশীলতা কমে যাচ্ছে মানুষের মধ্যে।
সারাদিন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া করলে, দুজন ঘনিষ্ঠ হবে কী করে! তাই বিয়ের এক ভচর পেরিয়ে গেলেই, সংসার আছে দিব্যি। কিন্তু সেক্স নেই একটুও।
যাদের কপাল আরও খারাপ। যাদের বিয়ের এক বছরেও বাচ্চা হয়নি, তেমন ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি।
দোষ কিংবা দুর্বলতা কার, এই নিয়ে তর্ক বা ঝগড়াতেই রাত গড়িয়ে যাচ্ছে। সেখানে দুই শরীর এক হবে এমন পরিবেশই যে গড়ে উঠছে না। সেক্সের চাহিদায় শরীরী উষ্ণতার থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাথাই যে গরম হচ্ছে বেশি।
FACEBOOK
YOUTUBE CHANNAL

Thursday, October 22, 2015

নিজের ফেসবুক পেজে ভিউয়ার্স সংখ্যা দেখে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই


আপনি কি আপনার ফেসবুক পেজে করা কোনো কমেন্টে, 'ভিউয়ার্স সংখ্যা' দেখতে পাচ্ছেন? যদি দেখতে পান তাহলে ঘাবড়াবার কোনো কারণ নেই। ভাববেন না যে আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে। নিজের ফেসবুক পেজে এবার থেকে দেখতে পাওয়া যাবে ভিউয়ার্স সংখ্যা।
ফেসবুকে 'বাগে'র মাধ্যমে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে পর্যন্ত আমরা কোনো ছবি বা স্টেটাস আপলোড করার পর তার নিচে শুধু লাইক এবং কমেন্ট এই দুটি কথাই দেখতে পেতাম। কিন্তু এবার থেকে লাইক এবং কমেন্টের পাশে ভিউস কথাটিও দেখতে পাবেন। অবশ্য এই সুবিধাটি গুটি কয়েক ইউজারদেরকেই দেওয়া হয়েছে। তাই, যদি আপনি দেখেন আপনার পেজেও ভিউয়ার্স সংখ্যা দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে ভয় না পেয়ে আনন্দ করুন।
কারণ সেই গুটি কয়েক ইউজারদের মধ্যে আপনিও হলেন একজন সৌভাগ্যবান ফেসবুক ইউজার।
FACEBOOK
YOUTUBE CHANNAL

Wednesday, October 21, 2015

পর্ন সিনেমার শ্যুটিংয়ে মারপিট নায়ক-নায়িকার,


চলছিল নীল ছবির শ্যুটিং, হয়ে গেল লাল রক্তের প্রতীক WWF ম্যাচের রিং। ফ্রান্সে এক পর্ন সিনেমার মাঝে হঠাত্‍ই নায়ক-নায়িকার মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয়ে যায় মারামারি। নায়িকা এক চড় মারেন নায়ককে। নায়ক পাল্টা মারেন নায়িকাকে। এরপর ক্যামেরা হাতের সামনে পেয়ে নায়িকা ফের মারেন নায়ককে। এভাবেই চলতে থাকে মারামারি। তখন কোথায় নীল ছবি, কোথায় গায়ে শিহরণ জাগানো দৃশ্য!
পরিচালক, ক্যামেরাম্যানরা অনেক চেষ্টা করেও ঝামেলা মেটাতে পারেননি। শেষ অবধি নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। নীল ছবির বিছানায় শুধু পড়ে থাকে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া ক্যামেরা। পরিচালক বললেন, এত তাড়াতাড়ি সব ঘটে গেল যে তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। মজার কথা হল, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে একই নায়ক-নায়িকা নিয়ে হবে সেই নীল ছবির শ্যুটিং।
SEE MORE
FACEBOOK
YOUTUBE CHANNAL

'বয়স নিয়ে ভাবি না', স্পোর্টি মন্দিরার সাফ কথা


মন্দিরা বেদী ভীষণ ‘স্পোর্টি' খেলাধুলো জলভাত তাই জন্যই কি এই শো-তে আসা? আমি স্পোর্টি হতে পারি৷ এণ্টারটেনমেণ্ট বিজনেস-এ বহুদিন ধরে আছি, এটাও সত্যি৷ অনেক শো হোস্ট করেছি৷ কিন্তু নিজে পারফর্ম করিনি কখনওই সেরকমভাবে! ফলে যতটা সোজা ভাবছেন, আমার কাছে ততটা তো মোটেই ছিল না৷ বরং উল্টোটাই হয়েছে! যেমন? যেমন এইসব প্রোফেশনাল-রা যাঁরা এই শো-তে আমাদের শেখাচ্ছেন৷ তাঁরা এত বছর ধরে কোনও অ্যাক্ট-এর সঙ্গে যুক্ত, সাতদিনে তাঁদের থেকে শিখে পারফর্ম করাটা বেশ কঠিন, আমি তো ভাবছিলাম ৩/৪ বছরের শেখার জিনিসকে সাতদিনে শিখে তাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারব কিনা৷ দক্ষতা তো ছেড়ে দিন, আদৌ অ-আ-ক-খ-টা শিখতে পারব তো? আমার কাছে কিন্তু সহজ নয় মোটেও বিষয়টা! আপনাকে ডান্স রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চেও দেখা যায়নি পারফরমার হিসেবে–এবারে একেবারে কঠিন পারফরম্যান্স!
রিয়ালিটি শো দূরের কথা৷ এত বছরেও সত্যি কথা বলতে ক'টা স্টেজ পারফরম্যান্স করেছি বলুন তো? স্পোর্টি হওয়া আর গ্রেস এলিগ্যান্স নিয়ে ডান্স করা আলাদা ব্যাপার৷ আমার হাজব্যান্ড তো সবসময় বলে যা ইচ্ছে করো, ডান্স রিয়ালিটি শো-তে যেও না ভুলেও৷ ওটা তোমার জায়গা নয়৷ মানে আমার দ্বারা ঠিক হবে না আর কী! (হাসি) তাই শুরুতে আমায় যখন অ্যাপ্রোচ করা হয়–আমি ভাবলাম এ নিশ্চয়ই নাচ সংক্রান্ত ব্যাপার-স্যাপার! সোজা ‘না' বলে দিয়েছিলাম৷ এরা আমায় বোঝায়৷ এখানে শুধু নাচ করতে হবে এমনটা নয়, যেমন ইচ্ছে পারফরম্যান্স করতে হতে পারে৷  পরে কী মনে হল? ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন!
মনে হচ্ছে ওরা ঠিকই বলেছে৷ জাগলিং, অ্যাক্রোব্যাটিক্স, স্টাণ্ট বাইক, ম্যাজিক, ট্রাম্পোলিন কত রকমের খেলা! এখন এক্সাইটেড লাগছে প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন জিনিস শিখিছি৷ অবশ্য সাতদিনও না, হিসেব মতো ধরতে গেলে ৩/৪ দিন সময় পাচ্ছি প্র্যাকটিসের৷
নতুন নতুন অ্যাক্ট শেখাটাই প্রধান কারণ ছিল ‘হ্যাঁ' বলার?
আমি একজন মা, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কত বছর হয়ে গেল! এই শোয়ের বেশিরভাগ প্রতিযোগীই ছোট আমার থেকে, আসলে বয়সটাকে কখনওই সংখ্যার হিসেবে মাপতে চাইনি, কোনওদিনই৷ তাই বোধহয় হ্যাঁ, বলেছিলাম৷ প্রথম সপ্তাহে ম্যাজিক শিখলাম, দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্র্যাম্পোলিনের খেলা৷ প্রতি সপ্তাহে যখন নতুন কিছু, কঠিন কিছু শিখিছি–একটাই কথা মাথায় থাকে৷ আমার ছেলের জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই আমি৷ এই ইচ্ছেটাই আমার ড্রাইভিং ফোর্স৷
ছেলে এখন কী বলছে? টেলিকাস্ট হতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা!
ও প্রথম এপিসোডে এসেছিল, শুটিং-এর সময় তো ছিলই, মায়ের ম্যাজিক ট্রিক্স দেখে বেশ ইমপ্রেসড্ হয়েছে৷ সোজা স্টেজে উঠে আমার কাছে চলে এসেছে আর ঘোষণা করেছে–মাই মম ইজ আ সুপার মম! ওকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছিল কি না জানি না৷ তবে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম (হাসি) আমার কাছে এটা ইমপর্ট্যাণ্ট! আমি শোয়ের শেষে বলতে পারব দ্যাখো! আমি এমন কিছু করেছি, যেটা জীবনে আগে কখনও করিনি! যার জন্য আমাকে নতুনভাবে দেখবে আমার ছেলে! ওর চোখের বিস্ময়টা এনজয় করব৷
ময়দানে ল্যাজেগোবরে হতে হচ্ছে! নাকি তরতর করে এগোচ্ছেন৷
প্রথম এপিসোডে ম্যাজিক বেছেছিলাম৷ ম্যাজিক দেখতে ভালবাসি বলে নয়, ভেবেছিলাম অন্যগুলোর তুলনায় সহজ হবে! ও বাবা! একেবারেই না! হাতকড়া চেন দিয়ে বেঁধে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে খেল দেখাতে হবে! আমি যে ভীষণ ভাল সুইমার, সাঁতার ভালবাসি সেসব তখন ভুলে গেছি! মাইকের পিছন থেকে কে যেন কী বলছে! স্টেজ ভর্তি দর্শকের মাথা৷ সেদিন নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম৷
এখন কি ধ্যানজ্ঞান এই শো?
আমি একসঙ্গে মাল্টিপ্ল কাজ করতে পারি না৷ এটাতেই মন দেব৷ হ্যাঁ, অন্য কাজ বলতে আমি শাড়ি ডিজাইন করি৷ আমার বিজনেস আছে, আমার স্টোর এক্সপ্যান্ড করছি আজ তার লঞ্চ আছে৷ আর আমার ফুলটাইম ‘মম'-এর ডিউটি তো আছেই! দুর্গাপুজো এসে গেল –পুজোটা কি শুটিং ফ্লোরে?
না, না৷ তা কেন? গণেশ চতুর্থীতেও পুজো দেখতে বেরিয়েছিলাম৷ দুর্গাপুজোয় মুম্বইয়ে খুব বেশি প্যান্ডেল দেখার সুযোগ তো হয় না কিন্তু একটাও পুজো প্যান্ডেলে যাব না এমন হবে না৷ যতই ব্যস্ত থাকি৷ ছেলেকে দুর্গাপুজোয় নিয়ে বেরবো না হয় নাকি৷ আর ও না খুব ধার্মিক ধরনের৷ গুরুদ্বারে যেতে ভালবাসে, দুর্গাপুজোও ভাল লাগবে ওর
YOUTUBE CHANNEL
MY BROWSER
FACEBOOK

Tuesday, October 20, 2015

ভারত নয় আরও অনেককে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ


১৯৭১ সালে যে দেশটি শূন্য থেকে শুরু করেছিল, চার দশক পর সেই বাংলাদেশই বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে ভারতসহ অনেক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ)’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এমন একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনের উপরে লেখা ছিল : ‘বিশ্বব্যাংক গ্র“প কনসালটেশনস, অক্টোবর-নভেম্বর, ২০১৫’। কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়, বাংলাদেশ গঙ্গা-বহ্মপুত্র অববাহিকায় এক জনসংখ্যাবহুল ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপ শুধু জীববৈচিত্র্যেই সমৃদ্ধ নয়, এখানকার মানুষের সংস্কৃতি জীবনযাত্রাও বৈচিত্র্যে ভরপুর। যদিও সমগ্র দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকির মুখে এবং বেশির ভাগ বাংলাদেশির বসবাস গ্রামীণ এলাকায়, তারপরও শিল্প ও সেবা খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কারণে সাম্প্রতিককালে নগরায়ণ ঘটছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত চার দশকে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে শূন্য থেকেও অনেক কিছু অর্জন করা যায়। দেশটির মানব সূচক উন্নয়নে চমকপ্রদ অগ্রগতি ঘটেছে। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষার সুযোগ এবং নারী-পুরুষ বৈষম্য নিরসনের মতো বিষয়গুলোতে আশাব্যঞ্জক উন্নতি করেছে। স্বাধীনতার বছর, ১৯৭১ সালে অনেক সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পার্শ্ববর্তী ভারতের নিচে। কিন্তু আজ, ওইসব সামাজিক সূচকে শুধু ভারত নয়, অনেক স্বল্প এবং নিম্নমধ্যম আয়ের (লোয়ার মিডল ইনকাম) দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এরপর বেশ কিছু অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভারত ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর, ওই সময়ে ভারতের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫০ বছর। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছরে উন্নীত হয়েছে যেখানে ভারতের মানুষের গড় আয়ু ৬৬ বছর। একইভাবে ১৯৭১ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় আয়ু ৫২ বছর থেকে ২০১৩ সালে ৬৬ বছরে উন্নীত হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় আয়ুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ১৪৯ জন। ওই সময় ভারতে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১৪১ জন এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ১২৪ জন। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে ৩৩ জনে নামিয়ে আনে। অথচ ভারতে এখনো প্রতি হাজারে ৪১ জন এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রতি হাজারে ৪৪ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রেও ভারতসহ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর চেয়ে প্রভূত উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে জন্মহার (প্রতি নারীর) ছিল ৬ দশমিক ৯ জন শিশু। যা ভারতে ৫ দশমিক ৪ এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৫ দশমিক ৬টি শিশু ছিল। বর্তমানে সেটি কমে বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২টি শিশু (প্রতি নারী), যা ভারতে এখনো ৪ দশমিক ৪ এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে ২ দশমিক ৯টি শিশু।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সূচকে ভারত ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের তুলনায় ভালো করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের (২৫ বছর বা তার বেশি) স্কুলে শিক্ষা নেওয়ার গড় সময় ছিল ২ দশমিক ৪ বছর। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৫ দশমিক ১ বছরে উন্নীত হয়েছে। আর ভারতে এখন প্রাপ্ত বয়স্কদের গড় শিক্ষা বছর ৪ দশমিক ৪ বছর যা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ৫ দশমিক ৪ বছর রয়েছে। এক্ষেত্রেও ভারতকে ছাড়িয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাতারে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
শিশুর টিকাদানে বাংলাদেশের অগ্রগতির হার উন্নত দেশগুলোকেও বিস্মিত করেছে। ১৯৭১ সালে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ২ জন শিশুর টিকাদান নিশ্চিত হতো। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিশু টিকা নিচ্ছে। আর ভারতে শিশুদের টিকা নেওয়ার হার ৭২ এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৭৬ শতাংশ। উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালে দেশের ৩৫ শতাংশ মানুষ উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় ছিল। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছে। আর ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ৩৬ শতাংশ এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৩৪ জন শিশু জন্মের পর অপুষ্টির শিকার হতো। এটি কমে বর্তমানে ১৬ জনে নেমে এসেছে। ভারতে এই হার এখনো ১৭ আর নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর অপুষ্টির গড় হার ১৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকেও বাংলাদেশের অগ্রগতি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর সমমানে পৌঁছেছে বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিশ্বব্যাংক বলছে, দ্রুত প্রবৃদ্ধির ফলে ২০১৪ অর্থবছরে দেশটির মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪৬ ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। এ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় ২০১৫ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে এক হাজার ২২০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের এই অগ্রগতির ধারা এখানেই কী শেষ? নাকি আরও দূর যেতে হবে? এসব প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি বলেছে, ২০২১ সালে যখন বাংলাদেশ তার উচ্চাকাঙ্খা অর্জন করে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাবে তখন উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানোর নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, যা বর্তমান চ্যালেঞ্জের চেয়ে আরও বেশি কঠিন।
বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, এ প্রতিবেদনটি তাকেও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পেরুর লিমায় অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের উদ্বোধনী সেশনে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ড. জিম ইয়ং কিম একটি মাত্র দেশের নাম উচ্চারণ করে বলেছেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক স্বল্প আয়ের দেশের কাছেই অনুসরণযোগ্য।
SEE MORE
YOUTUBE

কোন দেশের পাসপোর্ট কত ‘দামি’


সবার আগে জার্মানি ও ব্রিটেন
বরাবরের মতো এ বছরও বিশ্বের সব দেশের পাসপোর্টের ব়্যাংকিং প্রকাশ করেছে ‘হেনলে অ্যান্ড পার্টনার্স’ নামের একটি সংস্থা৷ দেখুন তাদের বিচারে কোন দেশের পাসপোর্টের কত বেশি দাম বা কদর৷ জার্মানির পাসপোর্টই এ মুহূর্তে সবচেয়ে ‘দামি’৷ তবে ব্রিটেনও আছে সঙ্গে৷ ১৭৩ ব়্যাংকিং পয়েন্ট নিয়ে এই দুই দেশই এখন সবার ওপরে৷
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়!
যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের যে অনেক কদর, তা তো সবারই জানা৷ তবে এ মুহূর্তে তারা আর সবার সেরা নয়, ‘হেনলে অ্যান্ড পার্টনার্স’-এর ব়্যাংকিং অনুযায়ী তারা এখন দ্বিতীয়৷ ফিনল্যান্ড আর সুইডেনও আছে তাদের সঙ্গে৷ দেশ তিনটির ব়্যাংকিং পয়েন্ট ১৭২৷
ফ্রান্স, ইটালির সঙ্গে এশিয়ার দুই দেশ
বিশ্ব মন্দা শুরুর পর থেকে ফ্রান্স, ইটালির মতো কয়েকটি দেশের অর্থনীতি রীতিমতো ধুঁকছে৷ তারপরও তাদের পাসপোর্টের কদর কিন্তু খুব একটা কমেনি৷ ১৭১ ব়্যাংকিং পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন তৃতীয় স্থানে৷ ডেনমার্ক, লুক্সেমবুর্গ, নেদারল্যান্ডস আর নরওয়েও আছে তাদের সঙ্গে৷ শুধু তাই নয়, এশিয়ার দুই দেশ জাপান আর কোরিয়াও আছে তাদের সঙ্গে৷
তারপর বেলজিয়াম, ক্যানাডা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও স্পেন
১৭০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে বেলজিয়াম, ক্যানাডা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও স্পেন৷
সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড পাশাপাশি
পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড৷ তাদের ব়্যাংকিং পয়েন্ট ১৬৯৷
বাংলাদেশ ৯৫ , ভারত ৮৪ আর পাকিস্তান ১০৩ নম্বরে
৪০ পযেন্ট নিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছে ৯৫তম স্থান৷ ভারতের অবস্থা কিছুটা ভালো৷ তাদের পযেন্ট ৫১, অবস্থান ৮৪তম৷ তবে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের পাসপোর্টের কদর বাংলাদেশের পাসপোর্টের চেয়ে কম৷ ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার পাসপোর্ট পেয়েছে ৯৭তম স্থান, ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান ১০৩তম আর মাত্র ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে একেবারে শেষে, ১০৬তম স্থানে৷
YOUTUBE CHANNEL
FACEBOOK

Saturday, October 17, 2015

বাদাম’ময় শুধু এ জীবন


এ..কি!.........খুব কিউট, চুলগুলো সোনালী কালার করা, চোখদুটোর দিকে তাকালেই মনে হয় ইশারায় ডাকছে, আর মুখটায় যেন হাসি লেগে রয়েছে সব সময় ছোট্র ছেলেটির। কিন্তু ছেলেটি ফ্লোরে পরে গড়াগড়ি করছে আর কাঁদছে আমাকে বাদাম দাও..বাদাম দাও।কোনভাবেই কান্না থামাতে পারছে না তার মা।……হায়রে বাদাম.
See More

অার একজন, আর একবার ওদের চপেটাঘাত করুন


যুগে যুগে সমাজ পরিবর্তৃনে এমন কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে যাদের কাজে আমরা সমাজের সচেতন মানুষেরা হাসি তামাশায় মত্ত থাকতাম। সুলতান ইলতুংমিশ জং,কুতুবউদ্দিন আইবেক হাস্যকর আন্দোলন না করলে হয়ত আমরা আজও ক্রীতদাস থাকতাম। See More

Sunday, October 11, 2015

“Hmmm” শব্দের মানেটা কি ভাই? আমি যে বুঝি না, আপনি?


বাসার ছাদের এক কোণে অথবা হালকা আলো ছায়াময় কোন রুমের , খুব অভিমানে, খুব মন খারাপা করে বসে থাকা মেয়েটির মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা তুমি কর না। চেষ্টা তুমি করুনা আম গাছ হতে জাম পাতা, জাম গাছ হতে বরুই পাতা, বরুই গাছ হতে কলাপাতা নিয়ে কবিতার বইয়ে রচনা লিখার।এর উত্তর আসবে “hmmm” ।
SEE MORE

Wednesday, October 7, 2015

‘ম্যাকগাইভার’ আসছে


জনপ্রিয় সিরিজ ‘ম্যাকগাইভার’কে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে টেলিভিশনে। বিখ্যাত এ চরিত্রটি নিয়ে নতুন সিরিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নেটওয়ার্ক। খুব শিগগিরই এর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ‘ম্যাকগাইভার’ সিরিজটি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রচারিত হয় এবিসি নেটওয়ার্কে। সে সময় বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায় সিরিজটি। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন। এদিকে নতুন সিরিজটির নামও থাকছে ‘ম্যাকগাইভার’। এবারও ফিনিক্স ফাউন্ডেশনের গুপ্তচর ম্যাকগাইভারের মধ্যে দেখা যাবে অবিশ্বাস্য সব উৎস। এসবের মাধ্যমে নানান ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করে বিপজ্জনক সব পরিস্থিতি থেকে সহজেই উতরে যায় সে। পাশাপাশি নিজের অভিনব কৌশলে সব সমস্যার সমাধান করে সমাজের জন্য ক্ষতিকর ঘটনাগুলো প্রতিহত করেন।
নির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্ব পালনের সঙ্গে এ সিরিজটি চিত্রনাট্য তৈরি করবেন আর. স্কট জেমিল। হেনরি উইঙ্কলার ও মাইকেল ক্লিয়ারের পাশাপাশি নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আরও কাজ করবেন ‘ফিউরিয়াস সেভেন’ ছবির পরিচালক জেমস ওয়ান। এরই মধ্যে ‘ম্যাকগাইভার’-এর নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য একজন তরুণ অভিনেতাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে এখনও। খুব শিগগিরই একটি বড় ঘোষণার মাধ্যমে তাকে সামনে আনা হবে।

Saturday, September 19, 2015

যে অনু্ভতি গুলো চিরকাল করে রাখবে চির গোলাম


কিছু কিছু দিনকে,কিছু কিছু সময়ের জন্য যেমন খুব মনে পরে,তেমনি কিছু কিছু কিছু মুখ যেমন করে কিছু কিছু সময়কে স্তব্দ করে দেয় আর এ স্তব্দতার করুন আওয়াজ জীবন ভরে শুনতে হয়। শুনতে হয় তার না বলা কথাগুলো, যে কথাগুলো হয়ত শুণা হয়নি এখনো। এখনো বলা হয়নি যে কথাগুলো সে কথাগুলো হয়ত আর বলা যাবে না। যাবে না আর দেখা সেই মিষ্টি মাখা মুখটা,যে মুখটাতে লেগে থাকত সব সময় দুষ্টমির একটা আবেশ। কি বলবা না বলবা তা যেমন করে বুঝতে না পারার একটা অভিনয় যে অভিনয়ের শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ যে কবে হবে তা ভেবে হাসির আড়ালে থাকে চাপা ক্ষোপ যা আজও প্রকাশ করা গেল না। প্রকাশ করা গেল না সেই সব অনুভুতি গুলোকে,যে অনু্ভতি গুলো চিরকাল করে রাখবে চির গোলাম।
বিস্তারিত:CLICK HERE

Wednesday, September 2, 2015

হত্য কর লালিত স্বপ্নকে..তোমাকে না


এক দেশে(সারা বিশ্ব)ছিল এক গ্রাম(বাংলাদেশ)।সে গ্রামের মানুষের মনে কোন শান্তি ছিল না।খুব খরতাপে ক্ষেতের ফসল সব পৃড়ে যাচ্ছে।ছাতক পাখির মত তাকিয়ে তাকে আকাশের দিকে কখন বৃষ্টি(চাকরি নামের সোনার হরিণ) নামবে।এভাবে কেটে গেল একমাস,দু মাস।হাহাকার আর হাহাকার।কারও ঘরে চাল আছে ত ডাল নেই,লবন আছে ত তেল নেই।এভাবে আর কতদিন।তখন গ্রামের সকলে মিলে গনমোনাজাতের আয়োজন করল।যাতে সব সম্প্রদায়ের লোকেরা অংশগ্রহন করবে।
যেই কথা সেই কাজ।দিন তারিখ ঠিক করা হল,সেই মোতাবেক সবাই দলবেধে জড়ো হতে লাগল।সবাই সবার মত করে আসল কিন্তু একটি ছেলে হাতে ছাতা নিয়ে আসল।তা দেখে সবাই হতবাক।কারন সবাই ভাবল সে মশকরা করছে অন্যদের সাথে।এ ভেবে সবাই তার উপর খুব ক্ষিপ্ত হল এমন একটা বিষয় নিয়ে সে মজা করছে,যে বিষয়টা নিয়ে সারা গ্রাম চিন্তিত।একদল যুবক তেড়ে গেল তাকে মারতে।
ঘটনার বেগতিক দেখে প্রথান মুরুব্বির কাছে তাকে নিয়ে গেল তার বিচার করতে।তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হল এ পাগলামির কারন কি?ছেলেটা তখন মাথা নত করে বলল..আপনারা সবাই এসেছেন প্রভুর কাছে দোয়া চাইতে বৃষ্টির জন্য..আমিও এসেছি।তবে আমি এসেছি ছাতা নিয়ে কারন আমি বিশ্বাস করি এত লোক এত কায়মনো বাক্যে আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ না শুণে পারবেন না।বৃষ্টি হবেই হবেই..হবে।তাই ছাতা নিয়ে এসেছি।
আপনি কি বলবেন এ ছেলেটাকে? পাগল।না আমি তাকে বলব পাগল না ।কারন সারা গ্রামবাসী এসেছে কিন্তু কারও মনে কোন আত্ববিশ্বাস ছিল না যে আজ বৃষ্টি হবেই। সে ভেবেছে বিধাতা খালি হাতে ফিরাবেন না।গ্রাম বাসী স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু বিশ্বাস করেনি।
প্রতি শুক্রবার সারাবাংলাদেশের রেল স্টেশনে আপনি যদি যান তাহলে দেখতে পারবেন কত ছেলে মেয়ে চাকরির পরিক্ষা দেয়ার জন্য স্টেশনে আসে। আমার এক বন্ধুর মা তাকে টিফিনকারিতে করে খাবার দিয়ে দিত..বাবা দুপুরে খাস..কষ্ট করিস না।
সবাই ভাল চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।ভাই, ভাল চাকরি হবে না হবেনা তা ত অনেক বিষয় জড়িত।তার জন্য জীবনের চলার পথটাকে কেন কঠিন করছেন? লেগে পরুন না একটা ছোট কাজে তা হোক অফিস পিয়ন আর দারোআনের। একটু পাগলামী আর খামখেয়ালীপনা করুন আর শুথু এ বিশ্বাসটা রাখুন আপনি শিক্ষিত, অন্য আট দশটা পিয়নের থেকে সে কাজটা খুব আধুনিক ভাবে করতে পারবেন। আর সে কাজটাই হয়ত আপনাকে সহায়তা করবে ভাল কিছুর জন্য। GOOGLE,FACEBOOK,FORDS MOTOROS,ALI BABA,G-MAIL পাগলামী করেই সৃষ্টি হয়েছে আর আরও অনেক উদাহারন রয়েছে। আজ এরাই বিশ্বটাকে শাষন করছে। কিন্তু এরা কোন স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেনি।পাগলের মত খেলার ছলে শুরুটা হয়েছিল।আমরা একটু পাগল হতে দোষ কি?
লোকে কি বলবে? ভাই আপনি যখন বেকার ছিলেন তখন কেউ বলেনি আক্ষেপ করেও যে ছেলেটা লেখাপড়া করে চাকরির জন্য বেকার বসে আছে।বাবা,বলে এবার একটা কিছু কর..বাড়ি থেকে বের করে দেবার নজীর কম নেই,ভাই,বোন সবাই তাকিয়ে তাকে…আর পেমিকা থাকলে ত কথাই নাই। মাথা নষ্ট করার জন্য এই প্রজাতির প্রানীরা এক কদম নয় হাজার কদম এগিয়ে।
তাই, ভাই লোকের কথা না শুনে লেগে পড়ুন।
অনেক লোক এক লম্বা গাছেল ডালে খুব লোভনীয় এক জিনিস দেখে খুব আফসোস করতেছে।কিন্তু গাছটা খুব বড় হওয়াই কেউ সাহস করছে না।নতুন এক লোক সাহস করে উপরে উঠার সাহস করল আর ভাবতে লাগল ওরা কত বোকা।যেই ভাবা সেই কাজ,লোকটা উপরে উঠতে লাগল আর নিচ হতে লোকের চেচামেছি করে বলতে লাগল না উঠার জন্য। লোকটা উঠল এবং সে জিনিসটা নিয়ে নিচে নামল।সবাই যখন মানা করছিল তখন তা সে শুনতে পায়নি কারন সে কানে শুনতে পেত না।আর কানে শুনলে হয়ত তা সে করত না। তাই ভাই, স্বপ্ন না দেখে, কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি কানে কম শুনেন,বোকা হোন আর ওসাইন বোল্টের মত দ্রুত গতিয়মান হোন।দেখেন না কি হয় ।সমস্যা আসবে,এর জন্য নিজেকে কেন শেষ করবেন।
একটা ভাল চাকরি আর একটা ভাল কাজ জীবনে সুখের সমাথান না।
এত কষ্ট করে পড়াশুনা করেছেন মাঝ নদীতে তরীটা কেন ডুবাবেন?ঝড় থামবে তা না স্বপ্ন দেখে হালটা আগে ভাল করে থরে রাখুন না।দেখেন না ভাসিয়ে কোথায় নিয়ে যায়।পানিতে ঝাপ দেয়া কি আপনার শোভা পায়?
এক নাবিক মাঝ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে কোন এক দ্বিপে এসে পরল।দিন যায়,রাত যায়,মাস,বছর গেল অপেক্ষায় যে কোন এক জাহাজ ঘাটে ভিরায় কিনা।কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে সেখানে সে থাকার জন্য ঘর বাধল, খাবারের ব্যবস্থা করল। কিন্তু একদিন খাবার পাক করতে গিয়ে সে ঘরে আগুন লেগে গেল।সব আবার পুড়ে গেল।আর বিধাতাকে বলছে..আর কত কষ্ট দিবা।আর কতদিন এভাবে পড়ে থাকব বা আমাকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিয়ে নাও।
ঘর পৃড়ল কিন্তু কি হল, যে ঘরটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল সে ঘরের কালো ধোয়া উপরে উঠতে লাগল আর আর সে ধোয়ার কুন্ডলি দেখে পাশের কোন দ্বীপের একটি জাহাজ সে দ্বীপে এসে লোকটিকে তুলে নিল।
হাতাশা হবেন না।তাকান না আপনার মায়ের দিকে যে কিনা আপনার চাকরির বেতনের দিকে তাকায় না..কবে চাকরি হতে ঘরে ফিরবা সে আশায় পথ চেয়ে বসে থাকে। দেখুন না আপনার বোনের ফোকলা দাতের ফাকের হাসিটা।এটাতে কত সুখ।
আগে ভালবাসুন জীবনটা।বড় বড় স্বপ্ন দেখুন,না পেলে হতাশা না হয়ে ঝড়ে পরবেন না।ভালবাসুন আপনাকে,আপনার বিশ্বাসটাকে।আর সে বিশ্বাসটাকে মনে করুন আপনার প্রেয়সীর খুব আদরের দেহটার মত। যার শরীরের প্রতি লোমে লোমে আপনার আদর মাখা থাকবে খুব যত্ন সহকারে।যাকে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখবেন রাণীদের মত করে।
হত্য করুন স্বপ্নকে..আত্ববিশ্বাসটাকে বাড়িয়ে তুলুন।সাফল্য সে ত আসবেই..আসতেই হবে।
আরও ব্লগ: CLICK ME

Friday, August 28, 2015

দর্শকের সিগারেটেই সুখটান শিম্পাঞ্জির


প্রচণ্ড কাজের চাপ৷ বেড়েছে টেনশন৷গ্রাস করেছে হতাশা৷ মুক্তি পেতে অনেকেই ধূমপানের আশ্রয় নেন৷কিন্তু, টেনশন থেকে মুক্তি পেতে সভ্য জীব মানুষই যে শুধু ধূমপানের আশ্রয় নেন না৷ সেটি যে বন্যপ্রাণীদেরও ভরসাস্থল, তার প্রমাণ পাওয়া গেল চিনের জিনজিয়াংয়ের এক চিড়িয়াখানায়৷দিনভর পর্যটকদের আনন্দ দিতে দিতে তারও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়৷আর সারাদিনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে সিগারেটে সুখটান দিতে দেখা গেল তিয়ানশান ওয়াইল্ড অ্যানিমাল জু-এর একটি শিম্পাঞ্জিকে৷দর্শকের হাত থেকে নিয়ে দিব্যি সিগারেটে সুখটান দিয়ে মানুষের মতোই ধোঁয়া ছাড়তেও দেখা গেল জিয়া কু-কে৷
তবে এই প্রথম নয়৷ আগেও মাদকাসক্ত শিম্পাঞ্জিদের দেখা মিলেছে৷শুধু সিগারেটই নয়, বিয়ারের ক্যানে চুমুক দিতেও দেখা গিয়েছে রাশিয়ার এক শিম্পাঞ্জিকে৷
আর এবার ফের সিগারেট হাতে ক্যামেরাবন্দি হল বছর কুড়ির এই শিম্পাঞ্জিটি৷

বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ


রূপালি পর্দায় তাঁর অনেক পরিচয়৷ তিনি জেমস বন্ড তারকা৷ অস্কার জয়ের খ্যাতিও আছে তাঁর৷ অনেকের কাছে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ৷ ৮৫ বছর বয়সেও তিনি তরুণ৷ শুভ জন্মদিন, শন কনারি! চিরসবুজ, চিরকালের ‘হীরা’
২৫ আগস্ট ৮৫-তে পা দিলেন শন কনারি৷ এই বয়সেও শার্ট খুললে অনেক তরুণীই তাঁর রোমশ বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এই ছবিটি অবশ্য আগের৷ ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ছবির গোয়েন্দা জেমস বন্ডকে গোসল করতে দেখা যাচ্ছে এখানে৷ হীরা চিরকালই যেমন অমূল্য, আকর্ষণীয়, শন কনারিও তেমনি৷
যেভাবে জনপ্রিয়, যে কারণে যৌনাবেদন
স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয়া শন কনারির ‘হার্টথ্রব’ হওয়া শুরু জেমস বন্ড দিয়ে৷ পর্দার চৌকষ, সুপুরুষ গোয়েন্দা বন্ড বাস্তব জীবনেও ভীষণ ড্যাশিং এবং স্টাইলিশ৷
‘প্রথম আলো’
‘জেমস বন্ড’ হওয়ার আগ পর্যন্ত হলিউডে খুব কঠিন সময় কাটিয়েছেন শন কনারি৷ বক্স অফিসে কিছুটা সাফল্য এসেছিল ১৯৫৮ সালে, ‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে৷ ওপরের ছবিতে সেই ছবিরই এক বিশেষ মুহূর্তে লানা টার্নার-এর সঙ্গে কনারি৷
সে আলো ছড়িয়ে গেল.....
‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’-এর ঠিক চার বছর পরই হলিউডে শুরু হয়ে গেল শন কনারির যুগ৷ জেমস বন্ড-এর ‘ডক্টর নো’-র মাধ্যমে জন্ম হলো নতুন এক মহানায়কের৷ ছবিতে উর্সুলা আনড্রেস-এর সঙ্গে কনারির কিছু দৃশ্য এখনো অনেকের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়৷
অভিনয়মানের টান
খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তার শিখরে থাকার সময়েও অভিনয়ে বৈচিত্র্য এবং মানকে গুরুত্ব দিয়েছেন কনারি৷ ১৯৬২ সালে আলফ্রেড হিচককের সাইকো-থ্রিলার ‘মারনি’-তে তাঁর অভিনয় দক্ষতা চিরস্মরণীয়৷
সুপার-ডুপার হিট কনারি
জেমস বন্ড সিকুয়ালে তাঁর তৃতীয় ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’৷ কল্পনাতীত সাফল্য পেয়েছিল ছবিটি৷ ১৯৬৪ সালে এ ছবি থেকে আয় হয়েছিল ১২৫ মিলিয়ন ডলার!
জেমস বন্ড থেকে মুক্তি
জেমস বন্ডে অভিনয় এক সময় বড় একঘেয়ে মনে হচ্ছিল৷ সবসময় অর্থ আর জনপ্রিয়তাই তো সব নয়! কনারি চাইছিলেন জেমস বন্ড ইমেজটাকে ভাঙতে৷ ১৯৭৪-এ মুক্তি পাওয়া ‘জারডোজ’ অবশেষে তাঁকে সেই তৃপ্তি দিল৷
অস্কারজয়ী ‘স্যার’ কনারি
শন কনারি অভিনয় জীবনের সেরা স্বীকৃতিটি পেয়েছেন ১৯৮৭ সালে৷ সে বছর ‘দ্য আনটাচেবলস’-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার দেয়া হয় তাঁকে৷ পরে একবার গোল্ডেন গ্লোবও জিতেছেন কনারি৷ ২০০০ সালে ‘নাইট’ উপাধিও দেয়া হয় তাঁকে৷
উদারতা
ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে অনেক ছবিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রে অভিনয়ের অফার প্রত্যাখ্যান করে সেই চরিত্র বয়সে তরুণদের দিতে শুরু করেন কনারি৷ ওপরের ছবিটি ১৯৮৬ সালের ‘হাইল্যান্ডার’ চলচ্চিত্রের৷ ‘মুখ্য’ চরিত্রটি ক্রিস্টোফার ল্যাম্বার্টের (ডান দিকে) জন্য ছেড়ে দিয়ে ছোট, অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন শন কনারি৷
হলিউডকে বিদায়
নব্বইয়ের দশক থেকে খুব ধীরে হলেও জনপ্রিয়তার ‘গ্রাফটা’ নীচের দিকে নামতে শুরু করে৷ ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ সহ বেশ কয়েকটি ছবি বক্সঅফিসে সফল হলেও কনারি বুঝতে পারছিলেন রূপালি পর্দাকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে৷‘দ্য লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেন্টলম্যান’ ছবির পর শন তাই আর অভিনয় করেননি৷ ২০০৩ সালে ঘোষণা দিয়েই অভিনয়জীবনে ইতি টেনে ব্যক্তিগত জীবনে ডুব দিয়েছেন হলিউড ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা৷

Monday, August 24, 2015

রকশার উপার্জনে হজে গেলেন জাহাঙ্গীর


প্রতিটি মুসলিমেরই স্বপ্ন থাকে হজ করার। সেই স্বপ্ন কারো পূরণ হয় কারো হয় না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় বলে প্রবাদ রয়েছে। সেই প্রবাদকে সত্যি করে হজে গেলেন রিকশা চালক জাহাঙ্গীর। ২২ আগস্ট তিনি পবিত্র হজের উদ্দেশে সৌদির পথে রওনা হয়েছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর খান আব্বাসির বয়স ৬২। ছোট বেলার হজের স্বপ্ন পূরণ করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই টাকা জমাচ্ছিলেন। দৈনন্দির প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে সব টাকাই রেখে দিচ্ছিলেন হজের জন্য। শেষ পর্যন্ত শনিবার তার স্বপ্ন পূরণ হলো।
জাহাঙ্গীর একাই হজে যাননি। সঙ্গে তার স্ত্রী জিনাত বেগমকেউ নিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের এমন খবরে আশ্চর্য হয়েছে গ্রামবাসী। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে তার প্রশংসা।
ভারতের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীর খান বলেন, স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্নই দেখতে হয়। আর স্বপ্ন পূরণে একান্ত ইচ্ছা থাকতে হয়। তবেই স্বপ্ন সত্যি হয়।

3 ভিডিও,14মিনিট BUT সারা জীবনের শিক্ষা


বিভিন্নি ভাষায় Heart Touching Nasheed-অতিথি
ভিডিওটা দেখুন..ভাবুন আপনি কতটা অসুখি-অতিথি
ভিডিওটা দেখুন নিজেকে নিয়ে পুনরায় ভাবুন-অতিথি

ইসলাম প্রচারে ব্যস্ত হ্যাপি


দর্শকপ্রিয় মডেল তারকা ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি সম্প্রতি মিডিয়া জগৎ থেকে বিদায় নিয়ে এখন ইসলামী জীবন গঠনে ও ইসলাম প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে ভক্তদের জানিয়ে দিচ্ছেন এই পরিবর্তনের খবর। সর্বশেষ দুটি স্ট্যাটাসে তিনি মিডিয়া ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ইসলাম প্রচারমূলক কথাও লিখেন।
নাজনিন আক্তার হ্যাপি নামে ওই আইডিতে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে রোববার বিকাল ৬টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৬শ ৮২ জন লাইক দিয়েছেন। ৫০ জন পোস্টটি শিয়ার করেছেন আর কমেন্টস করেছেন ৩৪ জন। এদিকে, দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে একই সময়ে ১০ হাজার ৫শ ১৯ জন লাইক দিয়েছেন। ৩শ ৩৯ জন পোস্টটি শিয়ার করেছেন আর কমেন্টস করেছেন ৩২ জন। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাস দুটি তুলে ধরা হল
স্ট্যাটাস : ১
২‘আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও বেশকিছুদিন আগে। আমি চলচ্চিত্র, মিডিয়া ওই সব রঙিন দুনিয়া থেকে একেবারের জন্য বিদায় নিয়েছি। জীবনটাকেই বদলে ফেলেছি। আল্লাহর কাছে তওবা করে এখন শুধু নামাজ আর ভালো মানুষ হওয়ার আকাক্সক্ষায় দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে অদ্ভূত এক শান্তি, যে শান্তি দুনিয়ার সব সম্পদ নিজের থাকলেও সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেকের এটাই চিন্তা করা উচিত যে, দুনিয়া খুব কম সময়ের এই সময়টা শুধু আল্লাহের ইবাদাত করার জন্য, আর কোনো কিছুর জন্য নয়। আমরা যদি সবাই একবার চিন্তা করি দুনিয়া কী? কীসের জন্য? মৃত্যুর পর কী হবে? তাহলে আমরা সব উত্তর পেয়ে যাব। আমি খুব ভাগ্যবতী যে, আমি নিজের ভুল বুঝে এখন শুধু আল্লাহর ভালোবাসায় মগ্ন। দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই আমাকে অসৎ পথে নিয়ে যাওয়ার বা আল্লাহর পথ থেকে সরানোর। আমার সঙ্গে যে বা যারা অন্যায় করেছে আমি সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি, আর চাই আল্লাহ তাদের সঠিক পথে আসার তৌফিক দান করুক এবং তাদের ক্ষমা করুক। বিশ্বাস করুন ইসলামের পথে চলা আর ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার মধ্যে বেহেশতের সুখ যা আপনি আর কোনোভাবে অনুভব করতে পারবেন না। দুনিয়াতে যে যত বেশি কষ্টে থাকে সে তত ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী কারণ, আল্লাহ তার যেই বান্দাদের বেশি ভালবাসেন তাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন আর এই পরিক্ষায় পাশ করতে পারলে আল্লাহ তার জন্য আখিরাতে অনেক বড় পুরস্কারের ব্যবস্থা করবেন। আর যেই মানুষ অন্য একজন মানুষকে নিয়ে হাসি-তামাসা, ঠাট্টা-বিদ্রুপ আর ছোট এবং অপমান করে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে আরও সুযোগ দেয় এবং মৃত্যুর পর তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে। আমি বেপর্দায় চলতাম, ইসলাম মেনে চলতাম না, রঙিন দুনিয়ায় চলতাম আমি যদি আল্লাহকে ভয় করে ও আল্লাহকে ভালোবেসে ইসলামের পথে আসতে পারি তাহলে আপনি/আপনারা কেন পারবেন না? আল্লাহ সবসময় অপেক্ষা করেন তার বান্দা কখন তার কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহের দেখানো পথে চলে! আমি আল্লাহকে ভালোবেসে যে সুখ পাচ্ছি যা জীবনে আর কখনোও পাইনি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার ইমান ঠিক রেখে বাকি জীবন আল্লাহর দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে পারি। মানুষ চাইলেই বদলাতে পারে আর আল্লাহর পথে চলতে চাইলে তিনি নিজে পথ দেখিয়ে দেন। এই মুহূর্তে যদি মারা যাই আল্লাহর কাছে কীভাবে পাপের জবাবদিহি করব? দুনিয়া থেকে পরকালের জন্য কী নিয়ে যাব? এ সব একবার ভাবুন তাহলেই একজন ভালো ও পবিত্র মানুষ হতে পারবেন। আমীন।’
স্ট্যাটাস : ২
১‘আমরা মানুষ, সৃষ্টির সেরা। আল্লাহ আমাদের অনেক ভালোবাসেন। আমাদেরকে আল্লাহ যে কাজের জন্য পাঠিয়েছেন সেই কাজই আমরা করার সময় পাই না অথচ যেগুলো আল্লাহ কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন সেই কাজগুলোই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, যার জন্য আমাদের কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। আল্লাহ পরম দয়ালু। আমাদের প্রত্যেকের উচিত ভালো পথে ফিরে আসা, কারও ক্ষতি না করা, কারও মনে কষ্ট না দেওয়া, মিথ্যা কথা না বলা, কোরান পাঠ সেইসঙ্গে কোরানের আলোকে জীবন গড়া, ইসলাম মেনে চলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ ক্ষমশীল ও ন্যায়বিচারক। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। এই দুনিয়ায় মানুষ হয়ে মানুষকে ছোট করা, মানুষকে ঠকানো আরও কত কী! এর মধ্যে শুধুই জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই। আসুন এখন, এই মুহূর্তে তওবা করে আল্লাহের পথে চলি। এর মধ্যেই শান্তি। তওবা কীভাবে করতে হবে, তওবার সঠিক নিয়ম। কারও তওবা কবুল হয়েছে কি না এটা বোঝার উপায়Ñ পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু মুখে মুখে তওবা করি, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা ছেড়ে দেবোÑ এ রকম হলে তওবা হবে না। অতীতের সব পাপ কাজ ও ভুলত্রুটি আল্লাহর কাছে স্বীকার করে তার কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। অন্তরে ওই কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে সব গুনাহখাতার জন্য ‘ইস্তিগফার’ করতে হবে (মাফ চাইতে হবে) + ‘তওবা’ করতে হবে (গুনাহ করা বন্ধ করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে)। কারো হক নষ্ট করে থাকলে তাকে তার হক ফিরিয়ে দিতে হবে, অথবা যেভাবেই হোক, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। (তওবা করলে আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি কারও পাপ আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। কিন্তু বান্দার কোনো হক নষ্ট করলে সেটা বান্দা মাফ না করলে তিনি মাফ করবেন না)।
অন্তরে আশা রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু আল্লাহ গাফুরুর রাহিমÑ অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং, তিনি আমার তওবা কবুল করবেন। তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি নেকির কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। যে পাপ কাজ থেকে তওবা করা হল (সব পাপ কাজ থেকেই তওবা করা ফরয), কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা করে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে আবার তওবা করে সেটা থেকে ফিরে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ হবে সঙ্গে সঙ্গেই তওবা করতে হবে, মৃত্যু পর্যন্ত।
কারও তওবা কবুল হয়েছে কি না এটা কীভাবে বুঝবেন? অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেন, কারও যদি তওবা করার পরের জীবন আগের জীবন থেকে ভালো হয় অর্থ্যাৎ, পাপের কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা করা যেতে পারেÑ তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। কিন্তু কারও যদি এমন না হয় অর্থ্যাৎ, তওবার আগের ও পরের জীবনে কোনো পার্থক্য না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার তওবাতে ত্রুটি আছে। তার উচিত হতাশ না হয়েÑ বার বার আন্তরিকতার সঙ্গে খালেস নিয়তে তওবা করা, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অন্তরিক তওবা করার তওফিক দান করুন। কী দোয়া পড়ে তওবা করতে হবে?
যেই দোয়া পড়ে রাসুলুল্লাহ সা. তওবা করতেন ও আমাদেরকে পড়তে বলছেনÑ উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যিমাল্লাযি লা- ইলা- হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোনো যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তার কাছে তওবা করছি। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামি হয়’। (অর্থ্যাৎ, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন)। তিরমিযি ৪/৬৯’

Sunday, August 23, 2015

চাকরি হারিয়েছেন?- কিছু বাস্তব ঘটনার নিরীখে জেনে নিন করণীয়সমূহ


সাইমন লরী তখন ২৫ বছরের উদ্দাম এক যুবক। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর। সে সময় তিনি একটি নামকরা বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদান করেন। সাইমন বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা ছিল আমার। অন্য কোথাও চাকরি করার কথা ভাবতেই পারতাম না আমি। কিন্তু, ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আমাদের কোম্পানি তার পূর্বেকার জৌলুস হারালো। কোম্পানিটি যে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত, সেই এলাকাটি আর শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বলে বিবেচিত হলো না। চাকরির ১৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, সাইমন-এর নাম উঠে আসলো অতিরিক্তের খাতায়। অতঃপর, যা ঘটার, সেটাই ঘটলো তার ভাগ্যে। চাকরিচ্যুত হলেন সাইমন। এই যন্ত্রণা তাকে এতটাই বিদ্ধ করেছিল যে, তিনি একে নিকটাত্মীয় বা স্বজন হারানোর বেদনার সাথে তুলনা করেন। এক বিশাল শূন্যতা ক্রমশঃই পেয়ে বসতে লাগলো তাকে।
সাইমন তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, কোন দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়নি আমাকে। বরং, উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনে কোনরূপ কার্পণ্য করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিষাদের ছায়া আমাকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করতে থাকে। চাকরি হারানোর ঠিক পরদিন অফিসে যে ডেস্কটিতে বসে কাজ করতাম আমি, সেটি শেষবারের মতো গুছিয়ে রাখতে যাই। সেখানেই কেটে যায় বাকি দিনটুকু। রাত ৯টার দিকে টেলিফোন বেজে উঠলো। আমার স্ত্রীর ফোন ছিল। সে আমার মনের প্রকৃত অব¯া বুঝতে পেরে বলেছিল, এই কোম্পানির হয়ে তুমি আর কাজ করছো না, সাইমন। তোমার কম্পিউটার বন্ধ করে দাও এবং ব্রিফকেসটা গুছিয়ে বাড়িতে চলে এসো।
সাইমনের উপরোক্ত প্রতিক্রিয়াকে কোনভাবেই অস্বাভাবিক বলা যাবে না। বিধ্বংসী মনোভাব, দুঃসহ মানসিক যন্ত্রণা অথবা পেটে লাথি মারা-এই শব্দগুলো মনস্তত্ত্বের একটি স্তরে খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পুরুষ কিংবা মহিলা- উভয়ের ক্ষেত্রেই একথা সমভাবে প্রযোজ্য। যারা জীবনের কোন পর্যায়ে এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা ক্ষুব্ধ, বিচলিত, লজ্জিত অথবা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন। অনেকেই বহু নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন এবং কেউ কেউ দিনের পর দিন চোখের পানি ফেলেছেন। আবার অনেকের মাঝে উঁকি দিয়েছে অজানা নানা আশঙ্কা- হয়তো তারা কোনদিনও চাকরি পাবেন না, বাড়ি ছাড়তে হবে এবং সন্তানদের জন্য যথাযথ শিক্ষার ব্যব¯াও হয়তো করতে পারবেন না তারা।
তবে, সাইমনের চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি আজকের বিষয় নয়। ১৯৯২ সালে ভয়ানক অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে ছাঁটাই হন তিনি। আজ ৫৮ বছর বয়সে তিনি একজন স্বনির্ভর নির্বাহী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আত্মকর্মসং¯ানের মতবাদে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি তার কাজকে কেবল ভালোবাসেন, তাই নয়। আজ তিনি যে পরিমাণ অর্থ উপাজর্ন করেন, তা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেননি কোনদিন। কারণ ১৬ বছর পূর্বে তিনি আত্মকর্মসং¯ানের কথা কল্পনাও করেননি। হয়তো চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি তাকে অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণায় কাতর করে তুলেছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে এই অভিশাপই তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেয়। আর এই ঘটনাটিই আরও উন্নত জীবনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
হঠকারিতা বা তাড়াহুড়ো করে কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে-শুনে ফেলুন। আমরা প্রত্যেকেই যে কোন মুহুর্তে আমাদের পছন্দের কাজটি হারাতে পারি। তাই বলে, উদ্যম ও মনোবল হারাবেন না। লেখিকা জ্যানেট ডেইভিস একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার উপদেশ বা পরামর্শ হবে এটাই যে, আজকের দিনে সঠিক পেশাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও বেশি কৌশলগত পন্থা অবলম্বন করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এটা ধরে নিয়েই যে, হয়তো তাদের সেই জীবিকা বা পেশা কোন একদিন হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে এবং রূপান্তরিত হয়ে পরিবর্তিত অবস্থায় পুনরায় তা ফিরে আসবে। এটা খানিকটা নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শেখার মতো ব্যাপার।
তবে সুসংবাদটি হচ্ছে, উন্নত বিশ্বে ছাঁটাই বা হঠাৎ চাকরি হারানোর মনোভাবে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব প্রগতিশীল দেশগুলোর ওপরও পড়ছে। লোকলজ্জা বা দুর্নামের যে শঙ্কা মানুষকে চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশায় নিমজ্জিত করতো ১৯৮০ সালের দিকেও সেই সঙ্কটাপন্ন মানসিক অবস্থা থেকে অনেকটাই সফলভাবে উত্তরণ করতে সমর্থ হয়েছে মানুষ আজকের দিনে, নিঃসন্দেহে সেটা বলা যেতে পারে। এ মন্তব্য করেন হিউম্যান রিসোর্সেস-এ কমরত কনসালট্যান্ট জেমস আন্ডারহেই। তিনি যোগ করেন, কারণ আজকের দিনে মানুষ চতুর্দিকে চাকরি খুঁজছে। পরিসরটা অনেক বেড়েছে। তারা এক জায়গায় ¯বির হয়ে বসে থাকছেন না। আগেকার দিনে একটি চাকরির পেছনে মানুষ তার পুরো কর্মজীবনটাই উৎসর্গ করতো। অথচ, বর্তমানে আমরা প্রতি ২-৫ বছর অন্তর আমাদের চাকরির প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে অভিজ্ঞতার নিরীখে আরও বড় কোন প্রতিষ্ঠানে ও ভালো বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে পারছি। পূর্বের তুলনায় নির্দিষ্ট বিষয়টিতে আমরা বিশেষ পারদর্শিতা বা দক্ষতা অর্জন করছি। সমসাময়িক ঘটনাবলী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করছি প্রযুক্তি ও প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে এবং অতীতের তুলনায় অনেক বেশি আত্মনিভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হতে পেরেছি দৈনন্দিন চর্চার মাধ্যমে।
বস্তুতঃ চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি মানুষের জীবনকে কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করে। এটিকে একটি সুযোগ হিসেবেই ব্যাখ্যা করলেন আন্ডারহেই। তিনি বলেন, আমার পরিচিত কয়েকজন ফিন্যান্স ডিরেক্টর, যারা তাদের পেশাটিকে পছন্দ করলেও যে চাকরিটি তারা করতেন, সেটি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাকরি থেকে অব্যাহতি লাভের এই বিষয়টিকে তারা নিজেদেরকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবার জন্য অবকাশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভের পক্ষে একটি সুবর্ণ-সুযোগ হিসেবে মনে করতেন। এটি এমন এক সময়, যখন আপনি একটি নতুন গন্তব্য বা দিক-নির্দেশনা পেতে পারেন, যা আপনাকে ধীরে ধীরে সাফল্যের সর্বোচ্চ সোপানটিতে পৌঁছে দিতে পারে অথবা কোন পূর্ব-লালিত স্বপ্নকে অনুসরণ করে আরও বর্ণিল বা বর্ণময় জীবনযাপন করতে পারেন। এছাড়াও লাভজনক কোন ব্যবসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করতে পারেন স্বাধীনভাবে, যা পূবের অবস্থানে থেকে হয়তো আপনার পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব ছিলো না।
দৃষ্টান্তস্বরূপ, স্টিভেন লো-এর কথাই ধরুন। তিনি জীবনের সুদীর্ঘ ৩১টি বছর সিঙ্গাপুরের মেরিটসে ম্যান্ডারিন হোটেল-এর একটি ক্যাফেতে কমরত ছিলেন। সেখানকার একটি জনপ্রিয় খাবার চিকেন রাইস বা মোরগ-পোলাও বিশেষভাবে রান্নার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান ছিলো। ২০০৬ সালে স্টিভেন লো তার নতুন ব্যবসা চালু করেন। আর, একটি মাত্র খাবার দিয়েই লো তার ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করে ফেললেন। কয়েকজন বিশ্বস্ত পৃষ্ঠপোষকের সহায়তাও পেলেন তিনি। তিনি তার ফুড-স্টলটিতে সেই চিকেন-রাইস কিছুটা হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করা শুরু করেন। এরপর থেকে তাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তিনি আরও সুবৃহৎ পরিসরে তার ব্যবসার পরিধিকে বিস্তৃত করেছেন তারপর থেকেই।
এই সাফল্যের পেছনে আসল রহস্য বা মূল-মন্ত্র কি? চাকরিচ্যুত হয়ে পিছিয়ে পড়ার পর কিভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন? আপনার নিজের দক্ষতাকে উপলব্ধি করা হতে পারে আপনার প্রথম পদক্ষেপ- বলছিলেন ক্যারিয়ার কন্সাল্ট্যান্ট জিল ডীন। তিনি বলেন, একটি চাকরি হারনোর পর অন্য একটি চাকরি যত দ্রুত সম্ভব পেতে চাইলে, নিজের ওপর যে বিষয়টিতে আস্থা রাখেন, সর্বপ্রথম সেটি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি হয়তো কথোপকথন ও যোগাযোগের বিষয়টিতে বিশেষভাবে পারদর্শী অথবা আইটি বা প্রযুক্তি সেক্টরে আপনার বেশ ভালো দখল রয়েছে। কিন্তু, যিনি আপনাকে চাকরিটি প্রদান করবেন, অর্থাৎ, আপনার নিয়োগকর্তার কাছে যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজের যোগ্যতাকে উপ¯াপন ও প্রমাণের মতো আত্ম-বিশ্বাস ও সমর্থ্য সৃষ্টি করতে হবে আপনার মাঝে। প্রকৃত অর্থেই যে, কাজটির প্রতি যথেষ্ট উৎসাহ ও অবিচল-আগ্রহ রয়েছে, তা প্রকাশ করুন বেশ বিনয়ের সঙ্গে। এ জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে একটি জীবন বৃত্তান্ত বা জবংঁসব তৈরি করতে হবে। ঈ.ঠ. বা ঈঁৎৎরপঁষঁসহ ঠরঃধব তৈরির পর একটি ঈড়াবৎ-ষবঃঃবৎ লিখে একটি খামে আপনার ঠিকানা উল্লেখ করে ছবি-সমেত পাঠিয়ে দিন নির্বাচিত চাকরির প্রতিাষ্ঠানগুলোতে।
ইন্টারনেট বা অনলাইন মাধ্যমেও বিভিন্ন চাকরি বা জব-সাইটগুলোতে আপনার আবেদন পাঠিয়ে দিন। চাকরির সাইটগুলোতে সাইন-আপ করার পর একটি ছবি আপলোড করে জীবন-বৃত্তান্তের তথ্যসমূহ পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে তৈরি করা একটি সিভিও সেখানে আপলোড করে দিন। তারপর আপনি আপনার পছন্দের পেশা নির্বাচন করে, জবসাইটে আপনার সংরক্ষিত জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন বিভিন্ন চাকরি আহবানকারী প্রতিষ্ঠনগুলোতে। যদি আপনাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়, তবে আপনার সঙ্গে ফোন অথবা ই-মেইল-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। আর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দরকারী বিষয়গুলো বারবার অনুশীলন করুন।
জিল ডীন-এর মতে, নেটওয়ার্কিং চাকরি লাভের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। সম্পর্কোন্নয়ন এবং যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষার ব্যাপারে হেলাফেলার কিঞ্চিৎ অবকাশ নেই। তিনি বলেন, নচেৎ, আপনার প্রতি অফিস-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগ্রহ সৃষ্টির পরিবর্তে উদাসীনতার মনোভাব সৃষ্টি হবে, যা আপনার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না মোটেও। এটাকে আপনি এক ধরনের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বিভিন্ন মানুষ যাদের সাথে আপনার প্রতিনিয়ত সাক্ষাৎ হয়; যেমন আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অথবা আপনার পুরনো অফিসের সহকারী, প্রত্যেকের সঙ্গে যথাসম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখুন।
৪৮ বছর বয়স্ক গিলবার্ট চাকরিচ্যুত হয়ে যখন কঠোর জীবন-সংগ্রামের সম্মুখীন, তখন তিনি জীবনের এক নতুন পথের সন্ধান পেলেন। ৯/১১-এর পরবর্তী ২ বছর এবং ২০০২ সালের ঝঅজঝ মহামারী চলাকালীন সময়ে বেকারত্বকে বরণ করে নিতে হয় তাকে। সিঙ্গাপুরের অধিবাসী গিলবার্ট অনুধাবন করলেন যে, যদি তিনি নিয়ন্ত্রিত আবেগ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন, তবে তিনি এ ঘোরতর অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও ভালোভাবে বের হয়ে আসতে পারবেন।
চাকরি খুঁজতে গিয়ে তিনি যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। তিনি চাকরি সন্ধানকারীদের উৎসাহিত করেন ঘরের বাইরে বের হয়ে চাকরি খোঁজার জন্য। শুধু ঘরে বসে থেকে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারটি নিতান্তই দুঃসাধ্য ও সময়-সাপেক্ষ। তিনি তার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দরখাস্ত করতাম এবং বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন আমার পুরনো দিনের এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর অচিরেই একটি খ-কালীন চাকরি যোগাড় করতে সক্ষম হই আমি। তিনি বলেন, সেখানে বেশি অর্থ উপার্জনের বা আয়ের কোন সুযোগ ছিলো না আমার। তবে বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত ও নিভার হতে পেরেছিলাম আমি। কেননা, দীর্ঘ ২০ মাস বেকার থাকার পর সামান্য হলেও সেটাই আমার প্রথম উপার্জন।
খ-কালীন চাকরিটিতে যোগদানের মাধ্যমে নিজের প্রতি আস্থা ও মনোবল দুটোই ফিরে পেলেন গিলবার্ট। তিনি বলছিলেন, আজও পর্যন্ত সেই বন্ধুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং ঋণী যে আমাকে সেই চাকরিটি দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলো। কারণ, এ ঘটনাই আমার জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেয়। ৬ মাস ওই প্রতিানে কাজ করার পর ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে পুঁজি করে একটি বা পূর্ণকালীন চাকরি পেয়ে যান গিলবার্ট। পুনরায় যোগ করলেন তিনি, সুযোগ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু, আমরা যদি শুধু ঘরে বসে থাকি, তবে সুযোগগুলো আমাদের অধরা বা নাগালের বাইরে থেকে যাবে।
গিলবার্ট সেন্ট্রাল সিঙ্গাপুর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-এ ক্যারিয়ার কন্সালট্যান্ট বা পেশা-নির্বাচন পরামর্শদাতা হিসেবে বর্তমানে কমরত রয়েছেন এবং চাকরি সন্ধানকারী ব্যক্তিদের পরামর্শ, তথ্য ও উৎসাহ প্রদান করে সহায়তা করে চলেছেন। তাই চাকরি খুঁজতে হলে, নেমে পড়ুন আজই। শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন, হতাশাকে না বলুন, নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখুন এবং এগিয়ে চলুন অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনিও সফল হবেন।

Saturday, August 22, 2015

‘মুহাম্মদ সা.’ এর ট্রেইলার প্রকাশ (ভিডিও)


বিশ্বনবীর জীবনীভিত্তিক ছায়াছবি ‘মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সা.’ এর অফিসিয়াল ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানের বিখ্যাত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পাবে ২৬ আগস্ট। এর পাঁচদিন আগে ছবিটির অফিসিয়াল ট্রেইলার প্রকাশ করলেন পরিচালক।
ট্রেইলারটি মুহাম্মদমুভি ডটকম (www.mohammadmovie.com) নামের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে চলচ্চিত্রটির বেশকিছু স্থিরচিত্রও দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ আগস্ট ইমাম রেজা’র জন্মদিনে ইরানে মুক্তি পাবে এটি। একই সঙ্গে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত ৩৯তম বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে ২৭ আগস্ট। ফার্সি ভাষায় নির্মিত ছবিটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে।
ছবিটির পরিচালক মাজিদ মাজিদি সম্প্রতি তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসলামের সঠিক ভাবমর্যাদা বিশ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে ‘মুহাম্মদ সা.’। ইসলাম নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাও ছবিটির উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
মহানবী সা. কে নিয়ে নির্মিত ট্রিলজি বা তিনখ-ের ছায়াছবির এই প্রথম খ-ে তাঁর মক্কার জীবন আলেখ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৭১ মিনিটের এ ছায়াছবি নির্মাণে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ ছবি নির্মাণে ৫৫ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার জয়ী মাজিদি একাধারে চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক। ‘বাচ্চে হুয়ে অসেমন বা বেহেশতের শিশু’, ‘ রাঙ-এ বেহেশত বা বেহেশতের রঙ’ এবং দ্য কালার অব প্যারাডাইজ তার নির্মিত তিনটি বিশ্ব-নন্দিত ছায়াছবি। ১৯৯৮ সালে নির্মিত বাচ্চে হুয়ে অসেমন ছবিটির জন্য তিনি সেরা বিদেশী ভাষায় নির্মিত ছবির জন্য অপধফবসু অধিৎফং এর মনোনয়ন পান।

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট..শিক্ষিকা বিস্মিত!


রাজধানীর একটি কলেজের বাংলার একজন শিক্ষিকা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিতে বললেন। একজন ছাত্রীকে তিনি অ্যাসাইনমেন্ট দিলেন ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে ডায়েরি বা দিনলিপি’ লেখা বিষয়ে।
ওই ছাত্রী অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় যা লিখে জমা দিয়েছে তাতে বিস্ময়ে হতবাক শিক্ষিকা। অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় ওই ছাত্রী যা লিখেছে তার মূলকথা হলোÑ আফজাল নামে একজন ক্লাসমেটকে ভালো লাগে তার। আফজাল সবসময় কালো শার্ট পরে ক্লাসে আসে। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেও পিকনিকে গেছে কালো শাড়ি পরে। পিকনিক থেকে ফিরে এসে শাড়ি পরা অনেক ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছে সে। তাতে অনেকে অনেক ধরনের কমেন্টও করেছে এবং লাইক দিয়েছে। কিন্তু আফজাল ফেসবুকে অ্যাকটিভ থাকা সত্ত্বেও এখনো তার ছবিতে কোনো লাইক না দেয়ায় ও কমেন্ট না করায় সে মর্মাহতৃ।
অ্যাসাইনমেন্ট খাতা পড়ার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষিকা ছাত্রীকে ডেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে ছাত্রী জানাল, সে যা লিখেছে তা কোনো সত্য ঘটনা নয়। একটি গ্রামার বইয়ে এ রকম একটি ঘটনা লেখা রয়েছে দিনলিপিতে এবং সেটি দেখে সে তার অ্যাসাইনমেন্টটি লিখেছে।
এবার শিক্ষিকা ছাত্রীর কাছ থেকে ওই বইটি সংগ্রহ করে ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে দিনলিপি’ শীর্ষক লেখাটি পড়ে আরো হতবাক হলেন। বইটিতে লেখা হয়েছে
‘উফফ। যা একখান ঝক্কি গেল। শরীরের হাড্ডি- মাংস কিমা হয়ে গেছে। সারা শরীরে কান্তি, অবসাদ। চোখ বুঝে আসছে ঘুমৃ। পিকনিক থেকে ফিরে এলাম। হট শাওয়ার নিয়েছি। আফজাল হোসেন, বম্পি সব সময় কালো শার্ট পরে, তাই আমিও বেছে নিয়েছিলাম কালো শাড়ি। সবার চোখ ট্যারা হয়ে গেছে। গ্রুপছবিতে আমাকে চেনা যাচ্ছে আলাদা করে। বাসায় ফিরেই আমার ফেসবুক ওয়ালে বাছাই করা তিনটি ছবি আপলোড করেছি। দারুন দারুন সব কমেন্টস করা হচ্ছে। কিন্তু আফজাল এখনো কোনো কমেন্ট করেনি। অথচ ফেসবুকে ওকে এ্যাকটিভ দেখাচ্ছে।
বাসে আমি বসেছিলাম জানালার পাশে, ও বসেছিল ঠিক আমার দুই সারি পেছনে। ওর বন্ধু আল ফারাবি রিয়েল ও হৃদয় খান বারবার আমার দিকে তাকালেও ও একবারও আমার দিকে তাকায়নি। পিকনিকে যাওয়াই আমার ভুল হয়ে গেছে। মহা ভুল। বাসে নাস্তার বক্সে দেওয়া হয়েছিল আপেল, কলা আর একটা নিমকি। অথচ জার্নি করার সময় আমি মিষ্টি খেতে পারি না। বমি আসে। বাসে রিয়েল একটা প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘আফজাল পাঠিয়েছে।’ খুলে দেখি বার্গার সমুচা আর সিঙ্গারা। কাচ্চি বিরিয়ানি আমি খাই না অথচ আমাদের পিকনিকে দুপুরের মেনুই ওটা। খাবার সময় আলাদাভাবে তাই কাঁঠাল গাছটার তলায় গিয়ে বসেছিলাম। হৃদয় একটা প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘আফজাল পাঠিয়েছে।’ খুলে দেখি- চিকেন বিরিয়ানিৃ।
ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। ল্যাপটপ খুলে বসে আছি। আমার ছবিতে কত ফ্রেন্ডস লাইক দিচ্ছে, কমেন্টস করছে। কিন্তু ৃ কিন্তুৃ কান্নার একটা ধাক্কা আসে। সেটা সামলে নিয়ে আবার ওয়ালে তাকাই। আমার প্রোফাইল পিকচারটা চেঞ্জ করেছিল গত সপ্তাহে। ফাটাফাটি এসেছে ছবিটা। ছবিতে আমার মামাতো বাই তনয় আমার হাত ধরে হাসছে। আমিও বত্রিশ দাঁত বের করে হাসছি।’
বইটির নাম ‘উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি।’ বইয়ের কাভার পেজে প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. শফিউদ্দিন আহমদের নাম লেখা রয়েছে। বইয়ের ওপরে লেখা হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসারে উচ্চমাধ্যমিক, সøাতকসহ (পাস ও অনার্স) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত। বইয়ের ওপরে আরো লেখা হয়েছে ২০১৪-২০১৫, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের নতুন সিলেবাস অনুসারে প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিস্মিত ওই শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান, বইটি সংগ্রহ করে তিনি নাড়াচাড়া করে দেখেছেন এবং বইটিতে প্রচুর বানান ভুল রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে বইয়ের ভাষাও যাচ্ছেতাই ধরনের। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার জন্য রাজধানীর দু’টি নামকরা কলেজের পাশে অবস্থিত দু’টি লাইব্রেরিতে গিয়ে জানতে চাওয়া হয় ওই নামে কোনো গ্রামার বই আছে কি না। দু’টি লাইব্রেরিতেই বইটি পাওয়া যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেল, রাজধানীসহ দেশের অনেক নামকরা কলেজ থেকেই বইটি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের রেফার করা হচ্ছে।
বিশালাকৃতির বইটির মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৩৫১। একটি নামকরা প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করেছে এবং ৪৮০ টাকায় বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বইটি বিক্রি হচ্ছে। বইটি দেখতে সুদৃশ্য কিন্তু ভেতরের অনেক বিষয় রয়েছে যাকে মার্জিত বলা যায় না। যেমন ‘একজন কলেজছাত্রের অঘটনের দিনলিপি’ শিরোনামে লেখা হয়েছে ‘কাশ শেষে স্যারের মেজাজ খারাপ করার জন্য সবাই আমাকে দায়ী করল। কেউ কেউ আমাকে বেশ ঝাড়িও দিলো। আমি নিরবে সব মাথা পেতে নিলাম।
এই ফাঁকে দীপু সামীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করছিল। মজা করার জন্য আমিও বললাম, ‘দীপু আমি তো তোর কাছে আরো আগে থেকেই এক হাজার টাকা পাই। তুই আমারটা না দিয়ে ওর ধার শোধ করছিস য়ে’ বলাই বাহুল্য কথাটা বলেছিলাম নিছক মজা করার জন্য। কিন্তু আমার চোখ কপালে উঠল যখন এ কথা শুনে দীপু সুন্দর কড়কড়ে দুটো পাঁচ শো টাকার নোট বের করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘নে, খুশী?’ আমাকে আর কে পায়? দীপু, সামী আর সেই সাথে আরো চার- পাঁচজনকে সাথে নিয়ে কাবাব হাউসে গিয়ে সবাইকে শিক-পরোটা খাওয়ালাম। খাওয়া শেষ হতেই দীপু আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘অকেশনটা কী?’ সুন্দর করে বললাম, ‘দোস্ত মনে কিছু নিস না। আসলে আমি তোর কাছে কোনো টাকাই পেতাম না। এ খাওয়াটা আসলে তোর টাকাতেই হলো। তাই তু-ই বল অকেশনটা কী?’ দীপু লা-জবাব হয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগল আমাকে। আর সবাই হো হো করে হেসে উঠল।’
বইটির রচনামূলক অংশে দেখা গেছে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা মানানসই বলা যায় না। ‘কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছে এমন একজন শিক্ষার্থীর দিনলিপি’ শীর্ষক লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান আইনমন্ত্রীর নাম। অ্যাসাইনমেন্ট প্রদানকারী শিক্ষিকা নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে দিনলিপি’ শিরোনামে একজন ছাত্রীর বরাতে বইটিতে যা লেখা হয়েছে তা কখনো কাউকে ভালো কিছু শেখাতে পারে না। তার মতে, পাঠ্যবইয়ে এ জাতীয় বিষয় অশোভন ও অনৈতিক। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এ লেখাটি পড়ে একজন শিক্ষার্থী কী শিখবে। এমনিতেই আমাদের সমাজে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের অনাচার-বিকৃতি ছড়িয়ে পড়ছে। তারওপর কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এ জাতীয় লেখাকে উসকানিমূলক বলে মনে করেন তিনি।
উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির কাভার পেজে প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. সফিউদ্দিন আহমদের নাম বড় করে লেখা থাকলেও তারা বইটির রচয়িতা নন। বইয়ের ইনার পেজে সব শেষে উল্লেখ করা হয়েছে রচয়িতাদের নাম। ইনার পেজে শুরুতে লেখা হয়েছে সম্পাদনায় প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. সফিউদ্দিন আহমদ। তার নিচে লেখা হয়েছে পরিমার্জনায় প্রফেসর মো: আরিফুর রহমান, প্রফেসর আহমেদ ফারুক, ড. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, নিগার সুলতানা, প্রফেসর রোমজান আলী ও রাশিদা আক্তার। এরপর সবশেষে উল্লেখ করা হয়েছে রচনায় প্রফেসর মু. আব্দুল মান্নান ও জুলফিকার হোসেন তারা। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৯ সালে।