Friday, June 19, 2015

অর্থসহ পবিত্র মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া


১ম রমজানের দোয়া
اليوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامي فيهِ صِيامَ الصّائِمينَ، وَقِيامي فيهِ قيامَ الْقائِمينَ، وَنَبِّهْني فيهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلينَ، وَهَبْ لى جُرْمي فيهِ يا اِلـهَ الْعالَمينَ، وَاعْفُ عَنّي يا عافِياً عَنْ الُْمجْرِمينَ .
হে আল্লাহ ! আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক! এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।
২য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني : اَللّـهُمَّ قَرِّبْني فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ سَخَطِكَ وَنَقِماتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِقِرآءَةِ ايـاتِكَ بِرَحْمَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ . হে আল্লাহ! তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।
৩য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبيهَ، وَباعِدْني فيهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْويهِ، وَاجْعَلْ لى نَصيباً مِنْ كُلِّ خَيْر تُنْزِلُ فيهِ، بِجُودِكَ يا اَجْوَدَ الاَْجْوَدينَ . হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা , নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।
৪র্থ রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّني فيهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِكَ، وَاَذِقْني فيهِ حَلاوَةَ ذِكْرِكَ، وَاَوْزِعْني فيهِ لاَِداءِ شُكْرِكَ بِكَرَمِكَ، وَاحْفَظْني فيهِ بِحِفْظِكَ وَسَتْرِكَ، يا اَبْصَرَ النّاظِرينَ . হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।
৫ম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرينَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنْ عِبادِكَ الصّالِحينَ اْلقانِتينَ، وَاجْعَلني فيهِ مِنْ اَوْلِيائِكَ الْمُقَرَّبينَ، بِرَأْفَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .
হে আল্লাহ ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান ।
৬ষ্ঠ রমজানের দোয়া
اليوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْني فيهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِيَتِكَ، وَلاتَضْرِبْني بِسِياطِ نَقِمَتِكَ، وَزَحْزِحْني فيهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِكَ، بِمَنِّكَ وَاَياديكَ يا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্চিত ও অপদস্থ করোনা । তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিওনা । সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো । হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস ।
৭ম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّي فِيهِ عَلى صِيامِهِ وَقِيامِهِ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْني فيهِ ذِكْرَكَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفيقِكَ يا هادِيَ الْمُضِلّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর । আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো । তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও । হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী ।
৮ম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ رَحْمَةَ الاَْيْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْكِرامِ، بِطَولِكَ يا مَلْجَاَ الاْمِلينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও । হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল ।
৯ম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لي فيهِ نَصيباً مِنْ رَحْمَتِكَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِني فيهِ لِبَراهينِكَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِيَتي اِلى مَرْضاتِكَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِكَ يا اَمَلَ الْمُشْتاقينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর । আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে । হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল । তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও ।
১০ম রমজানের দোয়া
اليوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُتَوَكِّلينَ عَلَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْفائِزينَ لَدَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُقَرَّبينَ اِلَيْكَ، بِاِحْسانِكَ يا غايَةَ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর । তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও । হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য ।
১১তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي عشر : اَللّـهُمَّ حَبِّبْ اِلَيَّ فيهِ الاِْحْسانَ، وَكَرِّهْ اِلَيَّ فيهِ الْفُسُوقَ وَالْعِصْيانَ، وَحَرِّمْ عَلَيَّ فيهِ السَّخَطَ وَالنّيرانَ بِعَوْنِكَ يا غِياثَ الْمُسْتَغيثينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে সৎ কাজকে আমার কাছে প্রিয় করে দাও আর অন্যায় ও নাফরমানীকে অপছন্দনীয় কর । তোমার অনুগ্রহের উসিলায় আমার জন্য তোমার ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হারাম করে দাও । হে আবেদনকারীদের আবেদন শ্রবণকারী ।
১২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني عشر : اَللّـهُمَّ زَيِّنّي فيهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفافِ، وَاسْتُرْني فيهِ بِلِباسِ الْقُنُوعِ وَالْكَفافِ، وَاحْمِلْني فيهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالاِْنْصافِ، وَآمِنّي فيهِ مِنْ كُلِّ ما اَخافُ، بِعِصْمَتِكَ يا عِصْمَةَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলঙ্কারে ভূষিত কর । অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে আবৃত্ত কর । ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত কর । তোমার পবিত্রতার উসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখ । হে খোদা ভীরুদের রক্ষাকারী ।
১৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث عشر : اَللّـهُمَّ طَهِّرْني فيهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالاَْقْذارِ، وَصَبِّرْني فيهِ عَلى كائِناتِ الاَْقْدارِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِلتُّقى وَصُحْبَةِ الاَْبْرارِ، بِعَوْنِكَ يا قُرَّةَ عَيْنِ الْمَساكينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর । যা কিছু তকদীর অনুযায়ী হয় তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর । তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দাও । হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা ।
১৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع عشر : اَللّـهُمَّ لا تُؤاخِذْني فيهِ بِالْعَثَراتِ، وَاَقِلْني فيهِ مِنَ الْخَطايا وَالْهَفَواتِ، وَلا تَجْعَلْني فيهِ غَرَضاً لِلْبَلايا وَالاْفاتِ، بِعِزَّتِكَ يا عِزَّ الْمُسْلِمينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না । আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না ।তোমার মর্যাদার উসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না । হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।
১৫ তম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس عشر : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ طاعَةَ الْخاشِعينَ، وَاشْرَحْ فيهِ صَدْري بِاِنابَةِ الُْمخْبِتينَ، بِاَمانِكَ يا اَمانَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তৌফিক দাও । তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের উসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে খোদাভীরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত কর । হে খোদাভীরু মুত্তাকীদের আশ্রয়দাতা ।
১৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّقْني فيهِ لِمُوافَقَةِ الاَْبْرارِ، وَجَنِّبْني فيهِ مُرافَقَةَ الاَْشْرارِ، وَآوِني فيهِ بِرَحْمَتِكَ اِلى دارِ الْقَـرارِ، بِاِلهِيَّتِكَ يا اِلـهَ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সৎবান্দাদের সাহচর্য লাভের তৌফিক দাও। আমাকে মন্দ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমার খোদায়ীত্বের শপথ করে বলছি, আমাকে তোমার রহমতের বেহেশতে স্থান দাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক।
১৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع عشر : اَللّـهُمَّ اهْدِني فيهِ لِصالِحِ الاَْعْمالِ، وَاقْضِ لي فيهِ الْحَوائِجَ وَالاْمالَ، يا مَنْ لا يَحْتاجُ اِلَى التَّفْسيرِ وَالسُّؤالِ، يا عالِماً بِما في صُدُورِ الْعالَمينَ، صَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সৎকাজের দিকে পরিচালিত কর। হে মহান সত্ত্বা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার ও ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না । আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে দাও। হে তাবত দুনিয়ার রহস্যজ্ঞানী ! হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর রহমত বষর্ণ কর।
১৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن عشر : اَللّـهُمَّ نَبِّهْني فيهِ لِبَرَكاتِ اَسْحارِهِ، وَنَوِّرْ فيهِ قَلْبي بِضياءِ اَنْوارِهِ، وَخُذْ بِكُلِّ اَعْضائي اِلَى اتِّباعِ آثارِهِ، بِنُورِكَ يا مُنَوِّرَ قُلُوبِ الْعارِفينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সেহরীর বরকতের উসিলায় সচেতন ও জাগ্রত করে তোল। সেহরীর নূরের ঔজ্জ্বল্যে আমার অন্তরকে আলোকিত করে দাও। তোমার নূরের উসিলায় আমার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তোমার নূরের প্রভাব বিকশিত কর। হে সাধকদের অন্তর আলোকিতকারী !
১৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ فيهِ حَظّي مِنْ بَرَكاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبيلي اِلى خَيْراتِهِ، وَلا تَحْرِمْني قَبُولَ حَسَناتِهِ، يا هادِياً اِلَى الْحَقِّ الْمُبينِ . হে আল্লাহ ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে স্পষ্ট সত্যের দিকে পথো নির্দেশকারী।
২০ তম রমজানের দোয়া
اليوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لي فيهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّي فيهِ اَبْوابَ النّيرانِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، يا مُنْزِلَ السَّكينَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنينَ . হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।
২১ তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ دَليلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّيْطانِ فيهِ عَلَيَّ سَبيلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقيلاً، يا قاضِيَ حَوائِجِ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী ।
২২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني والعشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لى فيهِ اَبْوابَ فَضْلِكَ، وَاَنْزِلْ عَلَيَّ فيهِ بَرَكاتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِمُوجِباتِ مَرْضاتِكَ، وَاَسْكِنّي فيهِ بُحْبُوحاتِ جَنّاتِكَ، يا مُجيبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرّينَ .
হে আল্লাহ ! আজ তোমার করুণা ও রহমতের দরজা আমার সামনে খুলে দাও এবং বরকত নাজিল কর । আমাকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দাও। তোমার বেহেশতের বাগানের মাঝে আমাকে স্থান করে দাও। হে অসহায়দের দোয়া কবুলকারী।
২৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث والعشرون : اَللّـهُمَّ اغْسِلْني فيهِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَطَهِّرْني فيهِ مِنَ الْعُيُوبِ، وَامْتَحِنْ قَلْبي فيهِ بِتَقْوَى الْقُلُوبِ، يا مُقيلَ عَثَراتِ الْمُذْنِبينَ .
হে আল্লাহ ! আমার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তাকওয়া ও খোদাভীতির মাধ্যমে আমার অন্তরকে সকল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।
২৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ اِنّي اَسْأَلُكَ فيهِ ما يُرْضيكَ، وَاَعُوذُبِكَ مِمّا يُؤْذيكَ، وَاَسْأَلُكَ التَّوْفيقَ فيهِ لاَِنْ اُطيعَكَ وَلا اَعْصيْكَ، يا جَوادَ السّائِلينَ . হে আল্লাহ ! আজ তোমার কাছে ঐসব আবেদন করছি যার মধ্যে তোমার সন্তুষ্টি রয়েছে। যা কিছু তোমার কাছে অপছন্দনীয় তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমারই আনুগত্য করার এবং তোমার নাফরমানী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দাও। হে প্রার্থীদের প্রতি দানশীল। ২৫ তম রমজানের দোয়া اليوم الخامس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مُحِبَّاً لاَِوْلِيائِكَ، وَمُعادِياً لاَِعْدائِكَ، مُسْتَنّاً بِسُنَّةِ خاتَمِ اَنْبِيائِكَ، يا عاصِمَ قُلُوبِ النَّبِيّينَ . হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার বন্ধুদের বন্ধু এবং তোমার শত্রুদের শত্রু করে দাও। তোমার আখেরী নবীর সুন্নত ও পথ অনুযায়ী চলার তৌফিক আমাকে দান কর। হে নবীদের অন্তরের পবিত্রতা রক্ষাকারী।
২৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ سَعْيي فيهِ مَشْكُوراً، وَذَنْبي فيهِ مَغْفُوراً وَعَمَلي فيهِ مَقْبُولاً، وَعَيْبي فيهِ مَسْتُوراً، يا اَسْمَعَ السّامِعينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করে নাও। আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমার সব আমল কাজ কবুল করো এবং সব দোষ-ত্রু টি ঢেকে রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রোতা।
২৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ فَضْلَ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، وَصَيِّرْ اُمُوري فيهِ مِنَ الْعُسْرِ اِلَى الْيُسْرِ، وَاقْبَلْ مَعاذيري، وَحُطَّ عَنّيِ الذَّنْبَ وَالْوِزْرَ، يا رَؤوفاً بِعِبادِهِ الصّالِحينَ
হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে শবেকদরের ফজিলত দান কর। আমার কাজ কর্মকে কঠিন থেকে সহজের দিকে নিয়ে যাও। আমার অক্ষমতা কবুল কর এবং ক্ষমা করে দাও আমার সব অপরাধ। হে যোগ্য বান্দাদের প্রতি মেহেরবান।
২৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن والعشرون : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ حَظّي فيهِ مِنَ النَّوافِلِ، وَاَكْرِمْني فيهِ بِاِحْضارِ الْمَسائِلِ، وَقَرِّبْ فيهِ وَسيلَتى اِلَيْكَ مِنْ بَيْنِ الْوَسائِلِ، يا مَنْ لا يَشْغَلُهُ اِلْحـاحُ الْمُلِحّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে নফল এবাদতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর। তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা ! যাকে, অনুরোধকারীদের কোন আবেদন নিবেদন , ন্যায়বিচার থেকে টলাতে পারে না।
২৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع والعشرون : اَللّـهُمَّ غَشِّني فيهِ بِالرَّحْمَةِ، وَارْزُقْني فيهِ التَّوْفيقَ وَالْعِصْمَةَ، وَطَهِّرْ قَلْبي مِنْ غَياهِبِ التُّهْمَةِ، يا رَحيماً بِعِبادِهِ الْمُؤْمِنينَ . হে আল্লাহ ! আজ আমাকে তোমার রহমত দিয়ে ঢেকে দাও। গুনাহ থেকে মুক্তিসহ আমাকে সাফল্য দান কর। আমার অন্তরকে মুক্ত কর অভিযোগ ও সন্দেহের কালিমা থেকে । হে ঈমানদার বান্দাদের প্রতি দয়াবান।
৩০ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثلاثون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامى فيهِ بِالشُّكْرِ وَالْقَبُولِ عَلى ما تَرْضاهُ وَيَرْضاهُ الرَّسُولُ، مُحْكَمَةً فُرُوعُهُ بِالاُْصُولِ، بِحَقِّ سَيِّدِنا مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ، وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! তুমি ও তোমার রাসুল ঠিক যেমনিভাবে খুশি হবে তেমনি করে আমার রোজাকে পুরস্কৃত কর এবং কবুল করে নাও। আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার পবিত্র বংশধরদের উসিলায় আমার সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে মূল এবাদতের সাথে যোগ করে শক্তিশালী কর। আর সব প্রশংসা ও স্তুতি জগতসমূহের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর।
সর্ম্পকিত ব্লগ
পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
ইফতারের দাওয়াত হাসিনাকে খালেদার

গ্যালারিতে রুবেলের হ্যাপি,বাাংলার খেলায় আমরও হেপি


বিশ্বকাপ থেকেই রুবেল হোসেন মাঠে নামলে হ্যাপি হ্যাপি চিৎকারে মুখর হতো দর্শকরা। গতকাল সত্যি সত্যি মাঠে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি। রুবেল হ্যাপির রং-বেরংয়ের প্রেম কাহিনী সবারই জানা। এই অভিনেত্রীর করা প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলায় দুইদিন জেলও খাটতে হয়েছে জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনকে। হ্যাপি এতদিন বলেছিলেন আমি ক্রিকেট খেলা শুধু রুবেলের জন্য দেখি। রুবেল তার সঙ্গে প্রতারণা করার পর তিনি আর মাঠে যাবেন না। কিন্তু গতকাল গ্যালারিতে উপস্থিত হয়ে বললেন অন্য কথা।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে রুবেলের জন্য মাঠে আসিনি। ওর কথা শুনতেই চাই না। আমি এসেছি বাংলাদেশের খেলা দেখতে।’ কিন্তু কিছুদিন আগেই বলেছিলেন ক্রিকেট খেলা দেখেন শুধু রুবেলের কারণে। আর এখন ক্রিকেট নিয়ে এতো আগ্রহ। কথাটি সামনে আসতেই বলেন, ‘না না এটা ঠিক না, আমি বাংলাদেশের সমর্থনেই মাঠে এসেছি। আমি রুবেলকে ভুলে গেছি তাকে নিয়ে কোন কথা শুনতেও চাই না। আমার মাঠে আসার উদ্দেশ্য শুধু বাংলাদেশের খেলা অন্য কোন কিছুই নয়।’
সর্ম্পকিত ব্লগ
রুবেলের ‘এইডস’ কামনায় হ্যাপি

Thursday, June 18, 2015

চাদে বোরকা নিষিদ্ধ: মার্কেটে যত বোরকা সব পুড়িয়ে ফেলছে


চাদে সোমবারের বোমা হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হবার পর দেশটিতে বোরকা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী, কালজেবুয়ে পাহিমি দুবেত এই ঘোষণা দেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় চাদের রাস্তা ঘাটে প্রকাশ্যে বোরকা পড়া যাবে না। এমনকি নিজেদের বাড়ি ঘরেও বোরকা পড়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী সোমবারের আত্মঘাতী হামলার জন্য নাইজেরীয় জঙ্গিগোষ্ঠি বোকো হারামকে দায়ী করেন।
ধরা পড়ে যাওয়া ঠেকাতে বোকো হারাম এখন নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের বেশি ব্যবহার করছে।
সোমবার চাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। বুধবার ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী কালজেবুয়ে পাহিমি বলেন, “সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে বোরকা ও নেকাবের আশ্রয় নিচ্ছে। বোরকার ছদ্মবেশে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। এখন থেকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী বাজারে যত বোরকা ও নেকাব আছে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে”।
বোকো হারামকে প্রতিরোধে চাদ নতুন আঞ্চলিক বাহিনী গঠন করেছে।
চাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলাগুলোর দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম। তবে বোকো হারাম এর আগে চাদে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
এই জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে দমনে নাইজেরিয়াকে সহযোগিতা শুরুর পর থেকে চাদে হামলার হুমকি দিয়েছিল তারা।
চাদের সীমান্তবর্তী নাইজেরিয়ার বর্নো স্টেট থেকে জঙ্গিদের হটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল চাদের নিরাপত্তা বাহিনী।
জঙ্গি দমনে ওই অঞ্চলে একটি বহুজাতিক টাস্ক ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা চলছে, যার সদরদপ্তর হবে চাদে।
যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ওই টাস্ক ফোর্সকে ৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
চাদের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান এবং প্রধানত ধর্মীয় কারণেই সেখানে বোরকা পরা হয়। বোরকার কারণে সাহারার তপ্ত ও ধূলিময় আবহাওয়া থেকেও রক্ষা পান নারীরা।
সর্ম্পকিত ব্লগ:
ইফতারের দাওয়াত হাসিনাকে খালেদার
পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

Wednesday, June 17, 2015

১৬ শতকের কঙ্কাল সাজল সোনা রূপা জহরে


'সুইসাইড ইজ পেইনলেস'। আত্মহত্যার কোনও বেদনা নেই। এই গানে একসময় মুখরিত হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু মৃত্যুর সৌন্দর্য্য! মানুষের মৃত্যুর পরের সৌন্দর্য্য। সেই সৌন্দর্য্যের নিদর্শনের বহিঃপ্রকাশ দেখছে গোটা বিশ্ব। কোনও অলীক কল্পনা কিংবা গল্প কথন নয়। এমনই এক শিহরণ জাগানো ঘটনা ঘটিয়েছেন চিত্রগ্রাহক পল কৌদৌনারিস। ক্যামেরা বন্দি করেছেন ভুগর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্র থেকে সাধুদের কঙ্কালকে। আর সেখানেই প্রস্ফুটিত হয়েছে মৃত্যুর সৌন্দর্য্য।
ইউরোপের একটি চার্চে ৪০০ বছরের প্রাচীন সোনার গহনা দিয়ে সাজানো রয়েছে কঙ্কাল। অপরূপ সৌন্দর্য্যে সজ্জিত ওই কঙ্কালেই শোভা পেয়েছে মরণের পরের সুন্দর। ওই চার্চের এমন ১২টি কঙ্কালের ছবি তিনি নিজের ক্যামেরা বন্দি করেছেন যা পৃথিবীর সবথেকে গোপনীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে অন্যতম।
ভ্যাটিকানে এমন হাজারো কঙ্কাল রয়েছে, যেগুলি আনুমানিক ১৬ শতকের। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড থেকে। আবার ওই কঙ্কাল গুলির বেশির ভাগই পাঠানো হয়েছে ক্যাথোলিক চার্চ গুলিতে। সমস্ত চার্চগুলি ওই সুপ্রাচীন কঙ্কালের শোভাকে আরও বেশি স্বর্ণাঙ্কিত করতে তাদেরকে সাজিয়ে রেখেছে সোনা, রূপা ও নানান রকম জহরে। ওই স্বর্ণাঙ্কিত কঙ্কাল গুলির নামকরণ করা হয়েছে 'সাধু'। ইংরাজীতে তাদের বলা হয় 'Saint'। এই 'সাধু' কঙ্কালদের ছবি তুলে তা তথ্যচিত্র আকারে রেখেছেন চিত্রগ্রাহক পল।

বাংলার ছেলে কলকাতার নায়ক ‘সোহমে’র বাংলাপ্রীতি


কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক সোহম জানালেন, তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ছেলে। ময়মনসিংহে তার দাদুবাড়ি। টালিগঞ্জের এই সুঅভিনেতা বলেন, দাদুর কাছে বাংলাদেশের গল্প অনেক শুনেছি। খুব ইচ্ছা আছে দাদুর বাড়িটা ঘুরে যাওয়ার। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে এবার যেতে পারছি না। পরে যখন শুটিংয়ে আসবো তখন অবশ্যই ময়মনসিংহে দাদুর বাড়িটা ঘুরে আসবো। কলকাতার আলোচিত ছবি ‘অমানুষ’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘জামাই ৪২০’-এর জনপ্রিয় নায়ক সোহম সোমবার একদিনের জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘রকেট’ ছবির মহরতে। কলকাতার রাজাচন্দ্র ও ঢাকার কামাল মো. কিবরিয়া লিপু পরিচালিত এ ছবিতে তার নায়িকা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ।
ঢাকায় নামার পরই এ দেশের মানুষের ভালবাসায় আমি এতটাই মুগ্ধ যে, আমার প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছে ‘রকেট’ ছবিতে অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এ দেশের মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দিতে হবে। তাদের মনে আরও বেশি জায়গা করে নিতে হবে। সোহম বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা আমার খুব একটা দেখা হয়নি। তবে এখন থেকে দেখবো। এ দেশের দর্শক কি চায় সেটা আমার অবশ্যই জানতে হবে। বাংলাদেশের কোন কোন শিল্পীর সঙ্গে জানাশোনা আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সোহম বলেন, এ দেশের নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে জানাশোনা আছে। সবচেয়ে বেশি জানাশোনা আছে ফেরদৌসের সঙ্গে। মিম, অমিত হাসানসহ যাদের সঙ্গে কাজ করবো সবার সঙ্গেই জানাশোনা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে সোহম বলেন, এ দেশে যারা এসেছেন, কাজ করেছেন, তাদের সবার কাছেই এখানকার মানুষের আন্তরিকতার কথা শুনেছি। এবার চোখে দেখলাম। বাংলাদেশের মানুষ যে কতটা আন্তরিক তা বলে বোঝাতে পারবো না।

Tuesday, June 16, 2015

গত ভূমিকম্পে সরেছে সর্বচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট


গত এপ্রিলে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে দক্ষিণপশ্চিমে ৩ সেন্টিমিটার সরে গেছে বিশ্বে সর্বচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ করল চিনের স্টেট মিডিয়া।
৭.৮ ম্যাগনিটিউডের এই ভূমিকম্প এভারেস্টের ধীরে ধীরে উত্তরপূর্বের সরে যাওয়ার প্রবণতাকে উল্টে দিয়েছে। চিনের ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ সার্ভেইং, ম্যাপিং অ্যান্ড জিও ইনফর্মেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
ভূমিকম্পের আগে গত এক দশকে বছরে ৪ সেন্টিমিটার হারে উত্তরপূর্বে ৪০ সেন্টিমিটার সরেছিল মাউন্ট এভারেস্ট। এই সময়ে এভারেস্টের উচ্চতাও তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
নেপালের ভূমিকম্পের জেরে ধস নামে এভারেস্টে। প্রাণ যায় অন্তত ১৮জন পর্বতারোহীর। ধ্বংস হয়ে যায় ক্লাইম্বিং বেস ক্যাম্প। যার জেরে এই বছর নেপাল ও চিন উভয়দেশের কর্তৃপক্ষ সমস্ত এভারেস্ট অভিযান বাতিল করে দিয়েছে।
চিন-নেপাল সীমান্তেই অবস্থান পৃথিবীর শীর্ষ শৃঙ্গের। ২৫ এপ্রিল ও ১২ মে-এ, এই দু'দিনের ভূমিকম্পে নেপালে মারা গেছেন অন্তত ৮,৭০০ জন। যত্রতত্র ধস নেমেছে, ধূলিস্যাৎ হয়েছে ৫০ হাজার বাড়ি। বর্ষার এক সপ্তাহ আগে গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

গোপন সিনেমা দেখুন গোপন যন্ত্রে!


জাপানের বিজ্ঞানীরা কার্ডবোর্ড ব্যবহার করে এমন একটি ‘যন্ত্র’ আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে খুব সহজে গোপনীয়তার সঙ্গে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন একজন ব্যবহারকারী। সস্তা মূল্যের, সাধারণ প্রযুক্তির এই যন্ত্রটি একটি জনবহুল জায়াগায় একজন ব্যবহারকারিকে দিতে পারে গোপনে সিনেমা দেখার পূর্ণ আনন্দ।
প্রজুক্তিবিষয়ক খবরের সাইট ম্যাশবল জানিয়েছে, গোপনে নির্বিঘ্নে চলচ্চিত্র উপভোগ করার জন্যই মূলত এই যন্ত্রটি বানানো হয়েছে। যন্ত্রটিতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বড় আকারের কার্ডবোর্ড বাক্স এবং একটি ট্যাবলেট অথবা স্মার্টফোন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি কোনও অত্যাধুনিক আবিষ্কার না হলেও ইতিমধ্যেই জাপানের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছে।
যন্ত্রটিতে একটি কার্ড বোর্ডের নিচের দিকে একটি অংশ কাটা হয় ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন যুক্ত করার জন্য এবং এক পাশে আরও একটি অংশ কাটা হয় আস্ত মাথাটি কার্ডবোর্ড বাক্সটির ভিতরে ঢোকানোর জন্য। কার্ডবোর্ড বাক্সটির ভিতরে একবার মাথা ঢোকালেই ব্যবহারকারী বাইরের শব্দ ও আলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রবেশ করেন তার ‘একান্ত গোপনীয়’ জগতে।
কার্ডবোর্ডের সঙ্গে স্টিরিও সাউন্ড সিস্টেম সংযুক্ত করার বিষয়ে একটি ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। যদিও ভিডিওটি জাপানী ভাষায় তবুও সেটি খুব সহজ হওয়ায় জাপানী ভাষা না জানলেও কারও বুঝতে সমস্যা হবে না।
অবশ্যই কার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো এই থিয়েটারটিকে মুভি দেখার অন্যান্য ‘হেড মাউন্টেড’ ডিভাইস যেমন গ্লাইপ, সনির এইচ-এম-এজ-টি৩ডাব্লিউ সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। তবে একটি জনবহুল জায়গায়, অতিরিক্ত শব্দের মাঝে শান্তিতে সিনেমা দেখার সস্তা উপায় হতে পারে কার্ডবোর্ডের মাধ্যমে বানানো এই থিয়েটারটি

এবার youtube-এ “‘ইউটিউব গেমিং”


গেমিংয়ের জন্য আলাদা সাইট ও অ্যাপ চালু করবে ইউটিউব। ‘ইউটিউব গেমিং’য়ে ‘গেম’ ও ‘গেমার’ উভয়েরই আলাদা প্রোফাইল থাকবে। চলতি বছরেই এই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউব গেমিং-এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার অ্যালান জয়েস জানিয়েছেন, “ইউটিউবে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের পুরোপুরি নতুন একটি ধারা তৈরি করা হয়েছে। এবার আমাদের নজর গেমিং। এবার আমাদের পালা কেবল গেমারদের জন্য তৈরি কিছু দেওয়ার।”
গেমিং বিষয়ক ভিডিওগুলিকে সবসময় সাইটে আলাদা কদর রয়েছে ফেসবুকে। কোনও গেম কীভাবে খেলতে হবে তার বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে গেমের মধ্যে যে মিউজিক ব্যবহার হয়, তাতেও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে গেমারদের।
সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ২৫ হাজার গেমিং পোর্টালের ডেটার সমন্বয় করবে ইউটিউব গেমিং। বিবিসি জানিয়েছে, ইউটিউব গেমিংয়ের মাধ্যমে ভক্তদের একটি বড় অংশকে আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা করছে গুগল। আপাতত ব্রিটেন ও আমেরিকায় চালু হচ্ছে ইউটিউব গেমিংয়ের পরিষেবা।

বাংলাদেশে আসবে বাংলার আম!


আম বিদেশে রপ্তানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷‌ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন। কলকাতার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মালদার আমের দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা৷‌ বিদেশে তথা বাংলাদেশেও যাচ্ছে না বাংলার আম। প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লিখেছি৷‌ বিদেশে আম রপ্তানি হবে৷‌ কিন্তু সেটা রাজ্যের এক্তিয়ারে নেই৷‌ এটা কেন্দ্র সরকার দেখে৷‌
তবুও আমরা চিঠি লিখে কেন্দ্রকে জানিয়েছে যে মালদার আম যাতে বিদেশের বাজারে পাঠানো যায়৷‌ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে ঢুকে যান৷‌ মিটিংয়ের শুরুতেই অফিসারদের কাছে আম নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি জানতে চান৷‌ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের প্রধান সচিব চঞ্চলমোহন বাচোয়াত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিদেশে আম না যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন৷‌ এর পরই অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন এ ব্যাপারে মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স এবং রপ্তানিকারকদের নিয়ে আলোচনায় বসুন৷‌ বিদেশে আম পাঠাতে গেলে যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় তারও চেষ্টা হবে।

খাবার সমস্যায় হোটেল ছাড়তে চায় টিম ইন্ডিয়া


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে ইতিমধ্যেই ঢাকায় ধোনি অ্যান্ড কোম্পানি৷ কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে হোটেল আইটিসি সোনারগাঁও নিয়ে৷ যে হোটেলে টিম ইন্ডিয়ার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা পছন্দ হচ্ছে না রায়না, কোহলিদের। জানা গিয়েছে, হোটেলে ক্রিকেটারদের পছন্দের খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিজেদের পছন্দ মতো খাবার চেয়েও পাচ্ছেন না তাঁরা। পাশাপাশি অন্যান্যদের থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন বলে মনে হচ্ছে ধোনিদের। এমনকী ক্রিকেটারদের হোটেলের বাইরেও বেরোনোর বিষয়েও বাধা নিষেধ রয়েছে৷ হোটেল প্রায় ভর্তি থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণেই এমন অসুবিধা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত ভারতীয় দল ও ক্রিকেট বোর্ড।
এই কারণে ওই হোটেলটি ছেড়ে গুলসান-নামের অন্য একটি হোটেলে চলে যেতে চাইছেন দলের সদস্যরা। পুরো বিষয়টিই বিসিসিআই-এর অবগত। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট গোটা ঘটনাটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছেন। বিসিবি-র তরফে জানানো হয়েছে গুলসানে এই মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়ার থাকার মতো উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা তাদের পক্ষে কঠিন। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বিসিবি-র মধ্যে এনিয়ে কথাও চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছনো যায়নি৷
সর্ম্পকিত ব্লগ:
(18+) ভেনেজুয়েলার সমর্থনে পোশাক খুললেন সঞ্চালিকারা(ভিডিও).....

Monday, June 15, 2015

গরু-সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা ‘লেডি গাগা’!


সেরা সুন্দরীদের মেলা বসেছিল জার্মানিতে৷ মানুষ নয়, সুন্দর সুন্দর গরুদের মেলা৷ সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে সেরা সুন্দরী৷ সেই সুন্দরীর নাম জানেন? ‘ল্যাডি গাগা’!
বাছাই পর্বে ২০ লাখ প্রতিযোগী!
প্রতিযোগিতার নাম ‘হলস্টাইন শো’৷ ফাইনালের আগে ছিল হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাছাই পর্ব৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের অন্তত ২০ লাখ সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী গরু অংশ নিয়েছে সেই পর্বে৷ ২০ লক্ষ থেকে ‘গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন’ হবার আশা নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মাত্র দু’শ সুন্দরী৷
‘সাইজ জিরো’ নয়, ডাবল এক্সএল
মানবীদের বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো ‘হলস্টার শো’-তে কোনো প্রতিযোগী জিরো ফিগার নিয়ে এলে বাছাই পর্বেও নাম লেখাতে পারবে না৷ বিচারকরা এমন সব গরুই বেছে নিয়েছেন যাদের দু’জোড়া শক্ত পায়ের ওপর রয়েছে সবল, সুদৃঢ় কাঠামো এবং যাদের দুধের বাণও বেশ বড়৷ তেমন প্রতিযোগীই ছিল বেশি৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরুরা গড়ে প্রতিদিন ২৫ কেজি ঘাস এবং অন্যান্য খাবার খায়৷ এত খেলে কেউ মোটা-তাজা না হয়ে পারে!
সুন্দরীদের সাজগোজ
গরু সুন্দরীদের সাজগোজের জন্য ছিল ব্যাপক আয়োজন৷ শীতপ্রধান দেশ বলে গরুদের গায়ের রোম অনেক বড় বড় হয়৷ মাথার পাশে অনেক গরুর এমন ঘন, দীর্ঘ রোম থাকে যে তাদের ‘সুকেশিনী’ বলা যায় নির্দ্বিধায়৷ তাদের চুল কাটার জন্য ছিল বিশেষ সেলুন৷ পাঁজর আর দুধের বাটে মাখানোর জন্য ছিল বেবি অয়েল৷ চুল রং করানোর জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা৷
ক্যাটওয়াক!
বিশ্ববিখ্যাত মডেলদের মতো ক্যাটওয়াকেও অংশ নিয়েছে গরু-সুন্দরীরা৷ কান খাড়া করে, নিতম্বটা একটু যৌনাবেদনময়ীর ভঙ্গিতে তুলে সামনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে যারা এগিয়ে যেতে পেরেছে, তাদেরই ‘ফুল মার্কস’ দিয়েছেন বিচারকরা!
সাফল্যের মূল মন্ত্র
প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘পরিমিত খাবে এবং ঘুমাবে৷ শরীর কখনো নোংরা করবে না৷’’ প্রতিদিন শাওয়ারের নীচে দাঁড়াতে হতো প্রতিযোগীদের৷ চার পায়ের খুরও পরিষ্কার করা হতো প্রতিদিন৷ বিশ্রাম নিতে হতো বাঁধা সময় মেনে৷ এ সব সু-অভ্যাস রপ্ত করে তবেই সবাই ফাইনালে হাজির হয়েছিল বিচারকদের প্যানেলের সামনে৷
সুন্দরীরা নিলামে!
হলস্টাইন গরুদের জার্মানি, লুক্সেমবুর্গসহ ইউরোপের এ অঞ্চলে অনেক কদর৷ দুধ দেয়া গরুদের মধ্যে এই হলস্টাইন গরুই সবচেয়ে বেশি আছে এ অঞ্চলে৷ এমন গরুর ক্রেতার অভাব নেই৷ এ প্রতিযোগিতায় অনেক কৃ্ষকই এসেছিলেন রথ দেখার পাশাপাশি কলাও বেচার লক্ষ্য নিয়ে৷ অর্থাৎ সুন্দরী গরুটা যখন প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করছে, তখনও ক্রেতা খুঁজেছেন গরুর মালিক৷ নিলাম হয়েছে এবং সেই নিলামে বিক্রিও হয়েছে অনেক ‘সুন্দরী’!
এবং এবারের বিজয়িনী....
জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরু সমাজে সবচেয়ে সুন্দরী কে? দু’বছরের জন্য এ প্রশ্নের উত্তর সবার জানা হয়ে গেছে৷ আট বছর বয়সি ‘সুন্দরী’ লেডি গাগা জিতে নিয়েছে এবারের ‘হলস্টাইন শো’৷ পপস্টার ‘লেডি গাগা’-র নামে নাম রাখার পর এবার তাদের প্রিয় গরুটি সেরার স্বীকৃতিও পেল৷ কৃষক হেনরিক ভিলে সত্যিই ভীষণ গর্বিত৷
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ
শিক্ষা পেলে, মানুষের থেকেও নিষ্ঠাবান হয় কুকুর

শুধু নারীদের জন্য আলাদা পুলিশের হেল্পডেস্ক চালু হলো


বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার নারীদের জন্য আজ থেকে একটি হেল্পডেস্ক চালু করেছে পুলিশ।
সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে সহিংসতার শিকার নারীরা সরাসরি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং এক্ষেত্রে তাদেরকে সহায়তা করবে নারী পুলিশ সদস্যরা।
এর মাধ্যমে পুলিশ তাদের আইনগত সহায়তার পাশাপাশি সাময়িকভাবে আশ্রয়েরও ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন মিঃ ইসলাম। এমনকি মেডিকেল সহায়তার ব্যবস্থাও পুলিশ করবে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে যেহেতু নারী পুলিশ সদস্যরাই সহায়তা করবে, এই হেল্পডেস্ক চালিয়ে যাবার জন্য কি পর্যাপ্ত নারী পুলিশ সদস্য কি পুলিশ বাহিনীতে আছে?
নজরুল ইসলাম বলেছেন , “এই লেভেলে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর দেয়ার মতো অবস্থা রয়েছে প্রতি থানায়। কিন্তু সব থানায় যদি দুজন করে সাব ইন্সপেক্টর রাখা যায় তাহলে আমরা ২৪ ঘন্টা এই সার্ভিস দিতে পারবো। এই বিষয়ে আমরা কাজ করছি”।
নারীরা যাতে সাহায্যের জন্য পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য যায়, সেজন্যে সাধারণ মানুষকে এতে সম্পৃক্ত করার একটি প্রকল্পও রয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে পুলিশের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিলের সহায়তায় এ প্রকল্পের প্রথম হেল্পডেস্কটি আজ উদ্বোধন হয়েছে জামালপুরে।

ইফতারের দাওয়াত হাসিনাকে খালেদার


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে রাজনীতিবিদদের সন্মানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনেতিক কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এ সময় দলের সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করীম শাহিন উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন। পরে রিপন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছরের মতো দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির চেয়ারপারসন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সন্মানে এবারো ইফতার পার্টি দেবেন।
দেশের অন্য আরেকটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে আমরা এসেছি। এটা শুধু দাওয়াত দেয়ার জন্য আসা নয়, উনার আগমন প্রত্যাশা করি বলেই বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে আমি ম্যাডামের আমন্ত্রণ কার্ড নিয়ে এসেছি। আমরা আশা করি, এরকম সামাজিক অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক বার্তা জনগণের কাছে যাবে।
সর্ম্পকিত আরো খবর
শেখ হাসিনার দেয়া পছন্দের জামদানি মোদীর মায়ের গায়ে
শেখ হাসিনার অনুরোধ রাখলেন না মমতা

কম বয়সী আত্মঘাতী জঙ্গির কাহিনী


সবথেকে কম বয়সী জেহাদি তথা আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার শিরপা পেল এক ব্রিটিশ কিশোর। জানা গিয়েছে আবু ইউসুফ আল ব্রিটানি নামের ১৫ বছরের কিশোর ইতিমধ্যেই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে ইরাকের বাইজি অঞ্চলে। গত ১৩ জুনের ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় শিয়া সরকারের সেনা কর্মীদের। ওই ঘটনার পরেই ১৫ বছরের এই কিশোরের ছবি ছাপা হয়েছে আইএস মুখপাত্র দাবিকে। সেখানে ব্রিটিনিকে বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ জেহাদি।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের শুরুতে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের বাড়ি ছেড়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া পাড়ি দিয়েছিল সে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১ বছর খুব তাড়াতাড়ি জঙ্গি কার্যকলাপ শিখে নিয়েছিল সে।

Sunday, June 14, 2015

শিক্ষা পেলে, মানুষের থেকেও নিষ্ঠাবান হয় কুকুর


কুকুর এমনতেই বাধ্য, নিষ্ঠাবান। মানুষের আপদে-বিপদে তারা নিস্বার্থ বন্ধু হয়ে কাজ করে। আমাদের মনের ভাষা চট করে বুঝে নিতে পারে, তাই তো আমরা অপরাধ জগতের কুকর্ম থেকে নিজেদের বাড়ি পাহারা, সবেতেই কুকুরের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। কিন্তু তারা এতই নিয়মানুবর্তশীল হতে পারে, উপরের এই ছবি দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়।
স্যোশাল মিডিয়া রেডিটে এই ছবি প্রকাশ হয়। সেখানে দাবি করা হয় চিনের পুলিস ডগ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এইসব কুকুরদের। প্রতিদিন তারা খাওয়ার সময় মুখে থালা নিয়ে সারি করে দাঁড়িয়ে থাকে। এতটাই নিষ্ঠাবান যে তারা সোজা লাইন থেকে এক চুলও নড়েনা।
চিনের এইরকম মন ছুঁয়ে যাওয়া ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৪০ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে। ফিলল্যান্ডে এক মিলিটারি ক্যাম্পে সারি করে বসে রয়েছে মিলিটারি কুকুর। ঠিক একইরকম মুখে থালা নিয়ে খাওয়ার অপেক্ষায়।

প্রথম মানুষ, যার মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হবে অন্যের দেহে


চোখের প্রতিস্থাপন। কিডনির প্রতিস্থাপন। হৃদপিণ্ডের প্রতিস্থাপন। চিকিৎসায় একের পর এক ধাপ পেরিয়েছে বিজ্ঞান। বাকি ছিল শুধু মস্তিষ্কের প্রতিস্তাপন। এও কি সম্ভব?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে রাশিয়া। ৩০ বছরের ভ্যালারি স্পিরিডিনভের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে অন্য মানুষের দেহ। এই দুঃসাহসিক অপারেশনটি হতে চলেছে ২০১৭ সালে। অনেকেই এই প্রতিস্থাপনের সফলতা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। 'আদেও কি সফল হবে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন'? প্রশ্ন আর বিস্ময় যতই দানা বাধুক, বিজ্ঞানের অগ্রগতির দিকে এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপকে কুর্নিশ করছে গোটা বিশ্ব।
রাশিয়ার ভ্যালারি স্পিরিডিনভ এখন হফম্যান রোগে আক্রান্ত। মস্তিষ্ক বাদে পুরো দেহটাই অকেজ হয়ে গেছে তাঁর। হুইল চেয়ারে কাটছে জীবন। মৃত্যুর আগে নিজের মস্তিষ্ক দিয়ে যেতে চান অন্যের দেহে। তাঁর এই ইচ্ছেকেই সম্মান জানাতে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। সফল কিংবা অসফল, ফলাফল যাই হোক না কেন, মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে প্রথম নজির গড়তে চলেছেন ৩০ বছরের ভ্যালারি স্পিরিডিনভ।
ইতালিয়ান স্নায়ুবিজ্ঞানী ডঃ সার্জিও ক্যানভারো দাবি করছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই দুঃসহ কাজ করতে পারবেন। 'মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে সফলতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ৯০%। কিন্তু এটাও সত্যি, এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। আমি তা অস্বীকার করতে পারিনা', মন্তব্য ডঃ সার্জিও ক্যানভারোর। তবে এই দাবিতে সর্বতোভাবে সহমত দিতে পারছেন না অনেকেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত ভ্যালারি স্পিরিডিনভের মস্তিষ্ক কাজ করছে। কিন্তু তা প্রতিস্থাপনের পর সেটি আর কাজ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ রয়েছে।
তবে নিজের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে আশাবাদী ভ্যালারি স্পিরিডিনভ। তিনি বলেন, 'যদি আমি আমার গোটা দেহ প্রতিস্থাপনের সুযোগ পেতাম, আমি পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতাম'।
এই প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত যেই ব্যাক্তির দেহে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা হবে, তাঁর দেহের সমস্ত কোষ গুলিকে সংরক্ষন করতে হবে। অপারেশনের সময় সেই কোষ গুলির মৃত্যু হলে এই প্রতিস্থাপন কখনই সফল হবে না। এরপর খেয়াল রাখতে হবে রক্ত সঞ্চালনের দিকেও। এক্ষেত্রে আরও প্রয়োজন মস্তিষ্ক পর্যন্ত রক্তের সঞ্চালন। অপারেশন চলার সময় দেহের এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা রাখতে হবে ১০ ডিগ্রী থেকে ২০ ডিগ্রীর মধ্যে। এই জটিল অস্ত্রপচারে স্পাইনের প্রতিও হতে হবে যত্নবান। 'এই প্রতিস্থাপনটি সম্পূর্ণ গবেষণামূলক' মন্তব্য লন্ডনের জর্জ হাসপাতালের ডাক্তার মেথিউ ক্রোকারের।

‘পুষ্টি বোমা’।। স্লিম হতে চান, ফল আর সবজি মিশ্রিত ‘স্মুদি’ খান


আজকাল অনেকের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মুখে শোনা যায় ‘স্মুদি’, অর্থাৎ ফল আর সবজি মিশ্রিত এক ‘পুষ্টি বোমা’-র কথা৷ কী সেই জিনিস?
‘স্মুদি’ বা ট্রেন্ড পানীয়
স্লিম, সুস্থ এবং সুন্দর থাকতে হলে চাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরো অনেক কিছু৷ আর সেজন্য ফল আর সবজি মিশ্রিত পুষ্টি পানীয় ‘স্মুদি’-র তুলনা নেই৷ সবই রয়েছে এতে৷ ফলে সকালে স্মুদি দিয়ে দিনের শুরু হলে সারাদিন সুস্থ থাকা যায়৷ তার সঙ্গে এতে খিদে কম তো পায়ই, ওজনও কমানো যায় সহজে৷
কী দিয়ে তৈরি হয় এই ম্যাজিক পানীয়?
যে ফল, সবজি অথবা সালাদের পাতা দিয়েই ‘স্মুদি’ তৈরি করা হোক না কেন, তা হতে হবে একদম তাজা আর এটাই ‘স্মুদি’-র প্রথম শর্ত৷ সম্ভব হলে অরগ্যানিক উপায়ে উৎপাদিত সবজি এবং ফল হলেই সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে পুরো ভিটামিন বজায় থাকে৷ এছাড়া প্রয়োজন দুধ বা সাদা দই৷ তবে চাইলে আদা, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, মধু বা পছন্দের কোনো মশলাও মেশানো যেতে পারে৷
কী উপকার হয়?
‘স্মুদি’-তে বিভিন্ন ধরণের শাক এবং সালাদের পাতা থাকায় এতে শরীরের কেটে যাওয়া ক্ষত সহজে সেরে উঠে৷ এছাড়া এ পানীয় পেট পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে৷ স্মুদি খেলে অল্পতেই পেট ভরে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকা যায়৷ সোজা কথায়, অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সহজেই ওজন কমানো যায়৷
তরুণ প্রজন্মের জার্মানদের ‘স্মুদি’ প্রেম
যাদের সময় থাকে তারা ঘরেই তৈরি করে নেয় ‘স্মুদি’৷ আর সময়ের তাড়া রয়েছে যাদের, তারা দোকান থেকেই কিনে নেয় বিভিন্ন স্বাদ আর গন্ধের স্মুদি৷ এই স্বাস্থ্যকর পানীয় সহজেই যে কোনো জায়গায় খেয়ে ফেলা যায়, সহজে হজম হয়৷ তাই ‘স্মুদি’ তরণদের দারুণ প্রিয়৷
সবুজ স্মুদি
সবুজ ফল, সবুজ শাক-সবজি দিয়ে তৈরি এই ‘স্মুদি’ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি উপকারী৷ আসলে ‘সবুজ’-এর ভেতরে কেমন তাজাভাব লুকিয়ে থাকে, যা খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়৷ এতে ৫০ ভাগ সবুজ ফল আর ৫০ ভাগ সবুজ শাক-সবজি আর সালাদপাতার মিশ্রণই সবুজ রং দেয়৷ এছাড়া এতে দিতে হবে সামান্য মিনারেল ওয়াটার৷ ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল অসামান্য একটা ‘পাওয়ার ড্রিংক’৷ স্বাস্থ্যসম্পত এই ‘স্মুদি’ সবাইকে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখবে৷
মুহূর্তেই তরতাজা!
‘স্মুদি’-র জন্য প্রয়োজন একটি মানসম্পন্ন ‘ব্লেন্ডার’, এতে পছন্দের যা ইচ্ছে তাই ঢেলে দিন৷ প্রথমে সর্বনিম্ন স্তরে কয়েক সেকেন্ড, এরপরে সবচেয়ে বেশি ‘পাওয়ার’-এ ৩০ সেকেন্ড ‘ব্লেন্ড’ করুন৷ এর বেশি নয় অর্থাৎ ‘স্মুদি’ যেন গরম না হয়ে যায়৷ মাত্র এক গ্লাস ‘স্মুদি’ মুহূর্তেই আপনাকে করবে তরতাজা! ব্লেন্ড করা ‘স্মুদি’-র পুরোটা শেষ না হলে ঝটপট সঠিক পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলে দু’দিনেও এর গুণাগুণ নষ্ট হবে না৷

সিনেমা ছেড়ে দিতে পারি, সম্পূর্ণ সংসারী হয়ে যেতে চাইঃ দীপিকা পাড়ুকোন


বলিউডে এইমুহূর্তের অন্যতম ব্যস্ত, সফল অভিনেত্রী তিনি। শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর একের পর এক বক্স অফিস হিট। তিনি মহিলাদের অধিকার নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন, সমালোচনা শোনেন। আইফার মঞ্চে শ্রেষ্ঠ নারীর শিরোপা পান, কিন্তু এই সবকিছু তিনি একমুহূর্তে ছেড়ে দিতে পারেন। নিজেকে সংসার, সন্তানের বন্ধনে বেধে ফেলতে একটুও দ্বিধা করবেন না দীপিকা। প্রসঙ্গত প্রকাশ পাড়ুকোনের কন্যা সংসারী হওয়ার পর একাধিক সন্তানের জননী হতে চান এবং তিনি মনে করেন সংসার, বাচ্চাই তাঁকে একজন সম্পূর্ণ মানুষ তৈরি করবে।
তবে একাধিক সন্তান, সংসার এসব কখন হবে তা এখনও সঠিকভাবে দীপিকা না জানলেও, তিনি দাবি করেছেন, যখন তিনি মা হবেন তখন তা হৃদয়ের ভিতর থেকে উপভোগ করবেন। তাঁর বাবা, মা তাঁকে একটাই কথা বলেছেন, একটা সুখী পরিবারই মানুষকে একমাত্র সম্পূর্ণ করতে পারে, শান্ত করতে পারে এবং সেটাই হল সুখের চাবিকাঠি। মা-বাবার এই উপদেশটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চান দীপিকা। কবে, কোথায়, কখন হবে সেবিষয় সঠিক কিছু দীপিকার না জানা থাকলেও, যেদিন হবে, সেদিন সেইমুহূর্তটাকে সবচেয়ে বেশী করে উপভোগ করতে চান দীপিকা, প্রচারের সমস্ত আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ:
বলিউড তারকাদের গোপন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি

Saturday, June 13, 2015

(18+) ভেনেজুয়েলার সমর্থনে পোশাক খুললেন সঞ্চালিকারা(ভিডিও).....


বেশ কিছুদিন আগেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে খবর পরিবেশন করতে গিয়ে নিজের পোশাক খুলেছিলেন যুবি প্যালারেস৷ ভেনেজুয়েলার একটি টিভি চ্যানেলের হট সঞ্চালিকাকে ব্যবহার করেই রাতারাতি টিআরপি তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ৷ এবার সেই পথেই হাঁটল যুবির চ্যানেল৷
চ্যানেলের প্রতিটি সঞ্চালিকাকেই সম্পূর্ণ নগ্ন করেই একটি ভিডিও বানালো তারা৷ সেই ভিডিও বানানো হয়েছে ভেনেজুয়েলার সমর্থনেই৷ চ্যানেলের আটজন হট সঞ্চালিকার যৌথ প্রয়াসে চ্যানেল আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করছেন চ্যানেলের কর্তারা৷ রবিবারই উরুগুয়ের বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকার অভিযান শুরু করবে ভেনেজুয়েলা৷ইতিমধ্যেই এই ভিডিও তিন লক্ষ মানুষ ইউটিউবে দেখে নিয়েছেন৷
ভেনেজুয়েলার সঞ্চালিকাদের সেই ভিডিও দেখে নিন…
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ
বদলা নিলেন-নতুন প্রেমে রোনালদো

নিজেকে ‘কিং অফ ক্রিকেট’:‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’


বাইশ গজে এবার নিজেকে রাজা বললেন ক্রিস গেইল৷ আইপিএল–এর পর ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলছেন ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’৷
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘কিং অফ ক্রিকেট’ বলেন গেইল৷ ৩৫ বছরের ক্যারিবিয়ান বাঁ-হাতি বলেন, ‘লোকে বলে গেইল টি-২০র রাজা৷ কিন্তু আমি বলব, আমি টেস্ট ক্রিকেটেরও রাজা৷ টেস্টে আমার দু’টি ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে৷ ওয়ান ডে-তে ২১টি সেঞ্চুরি রয়েছে৷ সুতরাং আমি সব ফর্ম্যাটেই রাজা৷’
আইপিএল এইটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ব্যাটে ঝড় তোলার পর সমারসেটের হয়ে ন্যাট ওয়েস্ট টি-২০ ব্লাস্টে ধামাকা দেন গেইল৷ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে বিশ্বের সব প্রান্তে টি-২০ খেলে বেড়াচ্ছেন ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’৷ গত সপ্তাহেই কেন্টের বিরুদ্ধে সমারসেটের হয়ে ৬২ বলে ১৫টি ছয় ও ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন গেইল৷
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ
বিয়ে! কার? ক্রিস গেইলের

ভূমিকম্পের জন্য 'দায়ী' নগ্ন ৪ পর্যটককে গ্রেফতার


মাউন্ট কিনাবালুতে পর্যটক নগ্ন কাণ্ডে দশ জনের মধ্য ৪ পর্যটককে গ্রেফতার করল মালয়েশিয়া পুলিস। চার জন পর্যটকের মধ্যে দুই জন কানাডা, এক ব্রিটেন ও ডেনমার্কের অধিবাসী। বাকিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাসি চালাচ্ছে মালয়েশিয়া প্রশাসন।
মাউন্ট কিনাবালুতে দশ পর্যটকের নগ্ন ছবি ভাইরাল হয়ে ওঠে স্যোশাল মিডিয়ায়। সাবাহ পার্কের পরিচালক দাতুক জামিলি জানিয়েছিলেন, এখানকার নিয়ম অমান্য করে ৪ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ নগ্ন হয়ে ছবি তোলেন। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হন এইরকম 'অশালীন' আচরণের জন্য। তবে এই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় আরও জোরালো হয়, যখন এই ঘটনার কয়েকদিন পরই মালয়েশিয়ায় তীব্র মাত্রায় ভূমিকম্প হয়। প্রাণ যায় ১৮ জনের। আহত হয় শতাধিক। মালয়েশিয়ার এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সমস্ত দায় চাপিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসন।
সাবাহ প্রদেশের মন্ত্রী জোসেপ পেইরিন বলেন, পর্যটকদের নগ্ন হওয়ার কারণে ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, বিদেশি পর্যটকরা যদি দশটি মোষ বলি দেয়, তাহলে পাহাড়ের দেবতা ক্ষমা করে দেবেন।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ
মেয়েরা জিনস প্যান্ট পড়ছে, তাই এত ভূমিকম্প হচ্ছে

হিটলার আত্মহত্যা করেননি


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পতন মেনে নিতে না পেরে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন অ্যাডলফ হিটলার৷ এই ইতিহাসটি সকলেরই জানা৷ কিন্তু এই ইতিহাসকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেরার্ড উইলিয়ামের দাবি, হিটলার এবং তাঁর স্ত্রী আদৌ আত্মহত্যা করেননি৷ হিটলার যেমন নিজের মাথায় গুলি করেননি, তেমনই সায়নাইড খাননি তাঁর স্ত্রী ইভা ব্রাউন৷ সারা বিশ্বকে বোকা বানিয়ে জার্মানি থেকে গোপনে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার গল্প ফেঁদেছিল নাৎসিরা৷ তিনি আরও বলেন, হিটলার এবং তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু সম্পর্কে সরকারিভাবে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে মারাত্মক গলদ রয়েছে। কারণ, রুশরা তো ওই স্বৈরশাসকের দেহ পাওয়ার কথা জানাতেই পারেনি৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে যখন মিত্রবাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষ শক্তি, তখন এক বাঙ্কারে সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন হিটলার। জানা যায়, পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে বাঙ্কারেই নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সায়ানাইড খেয়ে আত্মঘাতী হন তাঁর স্ত্রীও। তারপর তাঁদের দেহের সৎকার করা হয়। কিন্তু এই কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেন উইলিয়াম৷ তিনি জানান, হিটলার দম্পতি ওই সময় মারা যাননি। বিশ্বকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল। সেই মিথ্যে এখনও চলছে। আসলে হিটলারকে ১৯৪৫-এর এপ্রিলে বাঙ্কার থেকে বের করে জার্মানির বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে রাশিয়া বাঙ্কার থেকে হিটলার ও তাঁর স্ত্রীর যে দেহ বার করেছিল, তা ছিল নকল৷ সবাই দেখেছেন বাঙ্কার থেকে দুটি দেহ বার করা হয়েছে৷ কিন্তু এমন কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই যিনি বলতে পারেন হিটলারকে আত্মহত্যা করতে দেখেছেন৷
আগামীকাল একটি টেলিভিশনে উইলিয়ামের এই নয়া তথ্য সম্প্রচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে এমন কিছু তথ্য দেখানো হবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত এতদিনের চলতি ঐতিহাসিক দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

নগ্ন প্রতিবাদে ব্রিটেন


ক্রমশই যেন মটর গাড়িতে আসক্ত হয়ে পড়ছেন ব্রিটেনের মানুষ৷ বাড়ছে খনিজ তেলের উপর নির্ভরতা৷ যা মেনে নেওয়া যায় না৷ এর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ব্রিটেনের রাস্তায় শুরু হবে নগ্ন প্রতিবাদ৷ রাজপথে দখল নেবে নগ্ন সাইকেল চালকেরা৷‌
এমনিতে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো আইনের চোখে অপরাধ নয় ব্রিটেনে৷‌ তবে রক্ষণশীল বলে পরিচিত ব্রিটিশ সমাজে তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে৷‌ নগ্ন সাইকেল পরিক্রমা নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটে সে কথাই জানিয়েছেন এক লন্ডনবাসী৷‌ তবে যে যাই বলুক, উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লন্ডন শহর স্তব্ধ করে নগ্ন হয়ে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামবে তারা৷ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই তাঁদের লক্ষ্য৷ শহরের ছ’টি প্রান্ত থেকে অর্ধ-নগ্ন বা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে সাইকেল চালকেরা ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে জড়ো হবেন৷‌ এরপর তাদের গন্তব্য হবে ওয়েলিংটন আর্চ৷‌ ৯ কি মি-র এই পরিক্রমা শেষ হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়৷‌ নগ্ন সাইকেল যাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তার জন্য সতর্ক আয়োজকরা৷‌

রুবেলের ‘এইডস’ কামনায় হ্যাপি


ঢলিউডের উঠতি মডেল-অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনের ইস্যু নিয়ম করে টাটকা রাখছেন হ্যাপি স্বয়ং৷ একের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নতুন তথ্য দিয়ে নিত্য-নতুন খবরের জন্ম দিচ্ছেন হ্যাপি।
ফের একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হ্যাপি। সেখানে তিনি যা লিখছেন, একেবারে সেটাই তুলে ধরা হল-
‘রুবেলের জন্য এখন আমার শুধুই ঘৃণা হয়। একটু আগে নিশ্চিত হলাম রুবেল নতুন রিলেশনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মেয়েটার নাম ইশরাত পায়েল, মেয়েটা মিডিয়ারই একজন সদস্য। হয়তো চিনলে চিনতেও পারেন। বিসিবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিল। রুবেল তার জন্য এখন খুব সিরিয়াস।
মেয়েটা আবার সবাইকে বলেও বেড়ায়। আর পায়েল ছাড়াও কিছু মেয়ে আছে যাদের সাথেও রুবেলের বেশ ভালই সখ্যতা আছে। যেমন রাতের বেলা গাড়িতে করে ঘোরাঘুরি, মদ্যপান করা আর বাকি কথাগুলো না-ই বা বললাম। ইদানীং মিডিয়া আর মডেলদের সাথে রুবেলের যেই লেভেলের ওঠাবসা এরকম দেখলে মনে হতেই পারে যে, ক্রিকেট ছেড়ে বোধহয় মিডিয়াতেই পাকাপাকি ভাবে নিজের নাম লেখাবে!
এ রকম ভাবে অন্য কোনও খেলোয়াড়কে তো আগে দেখা যায়নি! সাকিব-আল-হাসান, মাশরাফি, নাসির, তামিম সবাই তো মোটামুটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন৷ কিন্তু রুবেলের মত মডেলদের সাথে এত মাখামাখি তো কাউকে করতে দেখলাম না। সবাই তাদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলে। একজন খেলোয়াড়কে আমি একবার বলেছিলাম, রুবেল ফকির হয়ে গেলে ও সব হারিয়ে ফেলার পরও আমি রুবেলকে ভালবাসি। সে উত্তর দিয়েছিল “রুবেল কোনওদিন ফকির হবে বলে তোমার মনে হয়?” আমি তখন চুপ ছিলাম। মনে মনে বলছিলাম আল্লাহ চাইলে সব পারেন। সেখানে রাজা থেকে পথে বসানো তো কোনও ব্যাপারই না। আজ টেস্টে রুবেলের জায়গা হয়নি।
কে কি বলল বিষয় না, মূল বিষয় হল বিশ্বকাপ এর পর রুবেলের খুলনা টেস্টে বাজে খেলার জন্য , যেখানে ২২ ওভার বল করেও একটা উইকেট নিতে পারেনি। কিন্তু সেই খুলনাতেই রুবেল গতবার জিম্বাবোয়ের সাথে ২টি উইকেট নিয়েছিল। তখন আমি রুবেল এর সাথেই ছিলাম। হঠাৎ করে এমন ধস নামলো কেন? কারন খেলার দিকে তার এখন কোনও মন নেই। সবসময় মেয়েদের নিয়ে পড়ে থাকলে এছাড়া আর কি বা হবে! পায়েলের জন্য এখন সে পাগল বলা যায়। মেয়েটাও খুব সিরিয়াস। খুব ভাল কথা যে যেমন তার কপালে তেমনই হওয়া উচিৎ। আমাকে বিয়ে করলে তো আর এত মা__বাজি করা হত না। ছি! তোকে আমি ভালবাসি!! ছি! এখন থেকে আর আমি তোর মত জানোয়ারকে ভালবাসি না। তোর এইচআইভি হয়না কেন ???
আল্লাহর গজব পড়বে তোর ওপর। সবে তো শুরু একটু ওয়েট কর দেখবি তোর কেমন পরিণয় হয়। আল্লাহ খারাপ মানুষদের সুযোগ দিয়ে টেস্ট করে। তুই শেষ হয়ে যাবি। এখন থেকে যা খুশি তাই কর তাতে আমার আর কোনও মাথা ব্যাথা নেই। আল্লাহ তোর লুচ্চামি আর শয়তানির জন্য অবশ্যই অনেক ভাল উপহার রেখেছেন। please wait for your prize.
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ
রুবেলের ‘বিতর্কিত’ বান্ধবীর ‘বাবিসাস’ লাভ
হ্যাপি স্ক্যান্ডালের শ্রষ্টা রুবেলের কন্ঠে আয়ুব বাচ্চুর গান ‘অনেক রাতে’

Thursday, June 11, 2015

সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে


সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার উসকানি দিচ্ছে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী৷ মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নির্যাতনের ভুয়া ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে প্রতিশোধ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে তারা৷
নানা ধরণের ছবি সম্পাদনা ও ফটোশপ-এ কারসাজি করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলামানদের ওপর বৌদ্ধদের হামলা ও নির্যাতনের চিত্র বলে তা প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে৷ এছাড়া তার সঙ্গে তারা জুড়ে দিচ্ছে নানা কাল্পনিক তথ্য৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এ সব ভুয়া ছবি ও তথ্যের উদ্ধৃতি দেয়া হচ্ছে৷
যেসব ভুয়া ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে একটি ২০০৪ সালে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভকারীদের দমন করার ছবি৷ ২০১০ সালে চীনে ভূমিকম্পের পর তিব্বতের বৌদ্ধদের উদ্ধার করা মৃতদেহ, ২০১০ সালে কঙ্গোতে গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে দগ্ধ মানুষ, ২০১২ সালে দিল্লির একটি সড়কে এক তিব্বতি যুবকের নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে দৌঁড়ানোর ছবি, খেলনা বন্দুক নিয়ে খেলারত এক বার্মিজ শিশুর আলোকচিত্র, চীনের সাংহাই প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহতদের লাশের ছবিও রোহিঙ্গা নির্যাতেনের ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে৷ এমনকি শ্রীলঙ্কায় এক ধর্ষিত নারীর দেহের ছবিকেও রোহিঙ্গা নারীর দেহ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে৷
সম্প্রতি সাগরে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের উদ্ধারের বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতার পর, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই অপপ্রচার শুরু হয়েছে৷ একটি গোষ্ঠী এগুলোকে সংঘবদ্ধভাবে ফেসবুকে ‘পোস্ট' দেয়ার পর অনেকেই না বুঝে তা শেয়ার এবং নানা মন্তব্য করছেন৷ প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা৷
তবে এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই আবার প্রতিবাদ হচ্ছে৷ যেসব ছবি কারসাজি করে রোহিঙ্গাদের বলে চালানো হচ্ছে, তার মূল ছবি এবং আসল ঘটনাও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ৷ এ সব ছবি দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা৷
একজন ব্লগে লিখেছেন, ‘‘ফেসবুক, ব্লগে দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু লোক তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ফটোশপ বা ক্রপ করে ছবি পোস্ট দিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে৷ আমাদের মধ্যে অনেকেই তাদের ফাঁদে পা দিয়ে এই সব ভুয়া ছবি নিয়ে আলোচনা করি, ফেসবুকে শেয়ার করি, উত্তেজিত হই৷ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানরা নির্যাতিত তা সারা বিশ্ব জানে, অনেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার আছেন৷ তবে তাতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই৷ এই সুযোগে অনেকেই মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ফটোশপ করা ভুয়া ছবি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে৷ অনেকক্ষেত্রে তারা সফল ও হচ্ছে৷ এমনই কিছু ছবি শেয়ার করা হলো, যাতে ভুয়া তথ্যযুক্ত ছবির পাশে আসল তথ্য সমৃদ্ধ ছবি দেয়া হয়েছে৷''
এ নিয়ে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিক বাধন অধিকারী বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে একটি মহল পরিকল্পিতভাকে এ সব ভুয়া ছবি এবং তথ্য ছড়াচ্ছে৷ তাদের ‘টার্গেট' সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়৷ এ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷ তবে সরকারের উচিত এ সব অপপ্রচার নিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করা৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপপ্রচারের জবাব দেয়ার জন্য সরকারেরও উচিত এই মাধ্যম ব্যবহার করা৷''
তিনি বলেন, ‘‘এর আগে একই ধরণের অপপ্রচার হয়েছে৷ তবে এ ধরণের অপপ্রচার রোধ করা না গেলে যে কোনো সময় বড় ধরণের অঘটন ঘটে যেতে পারে৷''
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারী খোরশেদ আলম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এই অপপ্রচারের মাত্রা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে৷ তবে আগের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা সচেতন হয়েছেন৷ তাঁরা যে কোনো তথ্য এখন যাচাই করে দেখতে চান৷ কারণ তাঁরা জানেন যে, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সব ছবি বা তথ্য সঠিক নয়৷'' তবে তিনি মনে করেন, ‘‘এই সব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে মূল ধারার সংবাদমাধ্যমেরও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন৷''
এই অপপ্রচারের কারণে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় বসবাসকারীরা আতঙ্কে আছেন৷ চট্টগ্রামের সাংবাদিক হামিদ উল্লাহ জানান, ‘‘একটি মহল সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে৷ তারা এ ধরণের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালায়৷ অবশ্য এবার আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসনসহ সুশীল সমাজ সতর্ক অবস্থানে আছে৷''
২০১২ সালে মিয়ানমারে জাতিগত সংঘর্ষের পর কক্সবাজারের স্থানীয় মুসলমানদের একাংশ পরিকল্পিতভাবে বৌদ্ধদের ওপর হামলা করে৷ এ হামলায় অংশগ্রণকারীদের অধিকাংশই ছিল রোহিঙ্গা মুসলমান৷ ফেসবুকে এক বৌদ্ধ যুবক ইসলামকে অবমাননার ভুয়া অভিযোগ তুলে এ হামলা করা হয় তখন৷
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার কুশুম দেওয়ান জানান, ‘‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া ছবির বিষয়টি আমাদেরও চোখে পড়েছে৷ আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম একটি উসকানিমূলক প্রচারণাকারীর নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘বিষয় গুরুতর হওয়ার ফলে কোনো অভিযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করছি৷'' তিনি জানান, ‘‘আমরা সংখ্যালঘু বিশেষ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন এবং সতর্ক আছি৷ কোনো গোষ্ঠী যাতে এই অপপ্রচারের সুযোগ নিতে না পারে, আমরা সে ব্যাপারে কাজ করছি৷''

বাংলাদেশ সহ যেসব দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, সারা বিশ্বে গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে৷
গায়ানা
ক্যারিবীয় দেশ গায়ানায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১২ সালে সেখানকার প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪৪.২ জন আত্মহত্যা করেছে৷ প্রচণ্ড দারিদ্র্য, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এর কারণ বলে জানা গেছে৷ তরল বিষ পান করেই গায়ানার মানুষ বেশি আত্মহত্যা করেছে৷
উত্তর কোরিয়া
তালিকায় গায়ানার পরেই উত্তর কোরিয়ার অবস্থান৷ প্রতি বছর গড়ে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে৷ মানবাধিকার লঙ্ঘন, আর্থিক দৈন্যতা, সরকারি নির্যাতনের ভয় থেকে সৃষ্ট চাপ – এসব কারণে সেদেশের মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়৷
দক্ষিণ কোরিয়া
চাকরির চাহিদা পূরণের চাপ এবং পড়ালেখা ও সামাজিক চাপের কারণে দক্ষিণ কোরীয়রা আত্মহত্যা করে থাকে৷ বিশেষ করে নভেম্বরে কলেজ ভর্তি পরীক্ষার আগে আত্মহত্যার হার যায় বেড়ে৷ বিষয়টি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সরকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর উপর নজরদারি করে সম্ভাব্য আত্মহত্যা ঠেকানোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে৷ জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে সেদেশে এক লক্ষ জনের মধ্যে ২৮.৯ জন আত্মহত্যা করেছে৷
শ্রীলঙ্কা
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে৷ ২০১২ সালে সে দেশে প্রতি এক লক্ষের মধ্যে ২৮.৮ জন আত্মহত্যা করে৷ দারিদ্র্য ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা এর কারণ বলে জানা গেছে৷
লিথুয়েনিয়া
ইউরোপের মধ্যে এই দেশটিতেই আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১২ সালে লিথুয়েনিয়ার এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৮.২ জন আত্মহত্যা করেছে৷ সামাজিক ও আর্থিক সমস্যাই সেখানকার মানুষের আত্মহত্যার মূল কারণ৷ গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দেশটিতে আত্মহত্যার হার আরও বেশি ছিল৷
বাংলাদেশের অবস্থান?
জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে গড়ে ৭.৮ জন আত্মহত্যা করেছে৷ এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬.৮, আর নারীর সংখ্যা ৮.৭৷ অর্থাৎ নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যায় আত্মহত্যা করেছে৷ যদিও জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী পুরুষদের আত্মহত্যার সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি ছিল৷
সর্ম্পকিত ব্লগ
ধর্ষণে কী এই টু ফিঙ্গার টেস্ট?