<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: January 2016

Sunday, January 31, 2016

একদিনে তিন ভাইয়ের যৌতুকবিহীন বিয়ে


নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় এক পিতা একদিনে তার তিন শিক্ষিত ছেলের যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের দক্ষিণ বটেশ্বর গ্রামে।
বিয়ের আয়োজন দেখতে সকাল থেকেই আশপাশের গ্রাম হতে দল বেঁধে মানুষ ছুটে আসে বিয়ে বাড়িতে। নাজির মৃধার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তার ছেলেদের বিয়ের আয়োজনটা স্মরণীয় করে রাখবেন।
সে অনুযায়ী তিন ছেলের যৌতুকবিহীন বিয়ে ঠিক করেন একইদিনে। অনার্স পাস চাকরিজীবী বড়ছেলে কাউছার মৃধাকে (২৮) একই উপজেলার বারৈচা গ্রামের আব্দুল হাই-এর অনার্স পাস মেয়ে সিমু আক্তারের সাথে, দ্বিতীয় ছেলে বিএ পাস কবির মৃধার (২৬) বিয়ে একই উপজেলার উজিলাব গ্রামের চাঁন বাদশার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সাথে, বিএ পড়ুয়া ছোট ছেলে মো. করিম মৃধার (২৩) বিয়ে নরসিংদীর আব্দুল মোতালিবের অনার্স পড়ুয়া কন্যা হূদয়া আক্তার রিপার সাথে আয়োজন করেন।
তিন ছেলের বরযাত্রীর গাড়িবহর তিনভাগে বিভক্ত হয়ে রওয়ানা হয় বিকাল সাড়ে তিনটায় কনেদের বাড়িতে। বর কাউছার মৃধা জানান, তিন ভাইয়ের একসাথে বিয়ে করার আনন্দটা অন্যরকম লাগছে। তাছাড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে করাতে আমরা তিনভাই সবচেয়ে বেশি খুশি।
নাজির মৃধা জানান, তিন ছেলের যৌতুকবিহীন এ বিয়েটা স্মরণীয় করে রাখতে আমার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।
MY FACEBOOK

Wednesday, January 27, 2016

NO ইন্টারেস্ট অষ্টাদশী সানিতে


মুখে স্বীকার না করলেও অনেক পুরুষের স্বপ্নচারিনী সানি লিওন। ষোল থেকে আটষট্টি লিওনির দিকে আড় চোখে তাকান না, এমন ছেলে খোঁজা আর তেলে জেলে এক করা প্রায় এক। তবে অষ্টাদশী সানিতে নাকি পাত্তা দিত না কোনও ছেলেই। শুনলে অবাক লাগলেও, পুরুষ মহলে সানি ছিলেন আউট অফ ফোকাস। সম্প্রতি নিজের মুখে এমনটাই জানালেন বেবিডল।
বলিউডে সানির আপকামিং মুভি ‘ মস্তিজাদে’। এই ছবির প্রচারে শহরে শহরে ঘুরছেন নায়িকা। আর সানিকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে উপচে পরছে তাঁর পুরুষ ফ্যানদের ভিড়। এই প্রচারে এসেই সানি বলেন, “ কলেজে পড়ার সময় আমাকে কোনও ছেলে পাত্তা দিত না। আসলে আমি খুব সাধারণ ছাত্রী ছিলাম। তাই সব সময় পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। সেকারণে আমার বন্ধু সংখ্যাও ছিল কম”। এছাড়া তিনি আরও জানান, “ পড়াশোনায় না ভাল হলেও কলেজে পড়ার সময় থেকেই তিনি ব্যবসা ভাল বুঝতেন। কারণটা অবশ্য তাঁর মার্কেটিংয়ে ইন্টারেস্ট। ১৮ বছর বয়সে ভিডিও এডিটিং, ফটোশপ ছাড়া তিনি আরও অনেক কিছু জানতেন”।
নীলছবির দুনিয়া ছেড়ে সানি এখন বলিপাড়ার কুইন। তবে শুধু হিন্দি ছবি নয় পাঞ্জাবি ছবিতেও অভিনয় করতে চান লিওনি। সানির কথা, “ জন্মসূত্রে আমি পাঞ্জাবি। অভ্যাস না থাকায় এই ভাষাটা সঠিক ভাবে বলতে পারি না। কিন্তু বুঝতে পারি। সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই পাঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করব”।
MY FACEBOOK

পিঁপড়া মেরে কোটিপতি: ক্রমশ কোটিপতির সংখ্যা ছাড়াচ্ছে


বাংলাদেশে এখন কোটিপতির সংখ্যা একলক্ষ্যেরও বেশি। যদিও ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা মাত্র সাড়ে ১৭ লক্ষ্য মানুষ কর দিচ্ছেন। জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকগুলিতে জমা থাকা এবং আগাম অর্থের হিসাবে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫জন। এই হিসাব ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যাংকে জমা থাকা টাকার হিসাবে। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা মাত্র ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন বলে জানান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।
সোমবার পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে মি. মুহিত জানান, গত পাঁচবছরে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৫০জন। ২০১২ সালে ছিল ৯০ হাজার ৬৫৫জন, ২০১৩ সালে ছিলেন ৯৮ হাজার ৫৯১জন, ২০১৪ সালে ছিলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪জন।
MY FACEBOOK

Tuesday, January 19, 2016

‘আশরাফুল বিশ্বাসঘাতক, সিডন্স মিথ্যাবাদী’-মাশরাফি বিন মুর্তজা


মোহাম্মদ আশরাফুলকে বিশ্বাসঘাতক এবং সাবেক কোচ জেমি সিডন্সকে মিথ্যাবাদী বললেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যয় রচিত মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে লেখা ‘মাশরাফি’ নামক বইয়ে আশরাফুল এবং সিডন্স সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এমন কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের রঙিন জার্সির অধিনায়ক।
মূলত: বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে আশরাফুলকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন মাশরাফি। দীর্ঘ সময়ের সতীর্থকে নিয়ে মাশরাফির এমন মন্তব্যে অবশ্য বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে, মাশরাফি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি তার পুরো ক্যারিয়ারে ‘বিতর্ক’ শব্দটাকেই সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন।
কিন্তু এ সময়ে এসে নিজের নামে বইটিতে দীর্ঘদিনের সতীর্থকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করে বেশ বিতর্কেরই সৃষ্টি করলেন মাশরাফি। বিপিএল ফিক্সিংয়ের সঙ্গে আশরাফুলের জড়িত হওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি নড়াইল এক্সপ্রেস। সতীর্থের এমন কা-ে তিনি খুবই হতাশ। দেবব্রত মুখোপাধ্যয় মাশরাফির সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এক জায়গায় জিজ্ঞাসা করেছেন, ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আপনি কি আশরাফুলকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করবেন?
মাশরাফি জবাবে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই। তিনি তো তাই। তিনি হয়তো সরাসরি দেশের ক্ষতি হয়- এমন কোন কাজ করেননি; কিন্তু তিনি তো লাখ লাখ সমর্থকের বিশ্বাস ভঙ করেছেন! এই দৃষ্টিকোণ থেকে তো, অবশ্যই আপনি তাকে বিশ্বাসঘাতক বলতে পারেন।’
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক গঠিত ট্রাইব্যুনাল ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে প্রথমে আট বছরের জন্য, পরে সেটা কমিয়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর আরও দুই বছর কমানো হয় তার শাস্তির মেয়াদ। যে কারণে, চলতি বছরই আগস্টে আবারও আশরাফুল ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
জেমি সিডন্সকে সরাসরি মিথ্যাবাদী বললেন মাশরাফি। ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে কোচ সিডন্স মাশরাফিকে কথা দিয়েছিলেন প্রাথমিক স্কোয়াডে নিয়ে ফিটনেস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবেন; কিন্তু সিডন্স তাকে প্রথমে আশ্বাস দিলেও, পরে তা বেমালুম অস্বীকার করেন। যে কারণে সিডন্সকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিলেন ম্যাশ।
‘মাশরাফি’ বইতেই উল্লেখ আছে বিষয়টা। মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘নতুন করে বিতর্ক টেনে আনার কোনো মানে হয় না। আমি শুধু তার মিথ্যা কথা বলা দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমাকে নিশ্চয় প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা হবে। সেখানেই তোমার ফিটনেস দেখা হবে এবং এরপরই সিদ্ধান্ত নেবো তোমাকে রাখা হবে কি হবে না। আমি চিন্তা করলাম, এটা অনেক বড় সুযোগ এবং মোহামেডানের হয়ে একটি ম্যাচও খেলে ফেললাম। অথচ, তিনি (সিডন্স) পুরোপুরি তা অস্বীকার করে গেলেন। আপনাদের অনেকেই হয়তো দেখেছিলেন, একদিন ইনডোরে আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তাকে বলেছিলাম যে, যেকোনো জায়গায় মিথ্যা বলতে পারাটা তোমার স্বভাব, তা আমি জানতাম না। এবার সেটাই জানলাম আমি।’
FACEBOOK
YOUTUBE CHANNAL

Friday, January 8, 2016

বড় হচ্ছে বাংলাদেশ, মানচিত্রে যোগ হলো ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি


চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের বুক চিরে জেগে উঠছে নতুন নতুন ভূখ-। এর পরিমাণ কমছে কম ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার।
আর এসব ভূমি অন্তর্ভুক্ত করে সরকার চলতি বছর নতুন মানচিত্র করতে যাচ্ছে, যাকে বাংলাদেশ বড় হতে চলেছে।
বছরেই নতুন মানচিত্র হবে বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের বুক চিরে জেগে উঠছে নতুন নতুন ভূখ-। এসব নতুন ভূখ-ের কোনোটিতে শুরু হয়েছে কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন।
কোনোটিতে আবার চলছে বনায়নের কাজ। আবার বাংলাদেশের সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়ায় কোনোটিতে ভূমিহীনরা শুরু করেছে বসতিও। ১৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সন্দ্বীপের তিন পাশে গড়ে ওঠা নতুন ভূমির পরিমাণ মূল সন্দ্বীপের প্রায় দ্বিগুণ!
আবার নোয়াখালী জেলা ঘিরে গড়ে উঠেছে নিঝুম দ্বীপ, চরকবিরা, চরআলীম, সাগরিয়া, উচখালী, নিউ ডালচর, কেরিং চরসহ প্রায় ৫,০০০ বর্গকিলোমিটারের নতুন ভূমি। এ জেলার দক্ষিণ প্রান্তে জেগে ওঠা নতুন ভূমির মধ্যে প্রায় ৭,০০০ হেক্টরে বনায়নও করেছে বন বিভাগ। একইভাবে নতুন ভূমি জেগে উঠেছে খুলনার সুন্দরবন এলাকা ঘিরেও।
নতুন এ ভূমি খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। কারণ নতুন ভূখ-ে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ও বেকারত্ব হ্রাসের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, ভূমি, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের ছয়টি বিভাগের সমন্বয়ে কাজ করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।
নেদারল্যান্ডস ও ইফাডের আর্থিক সহায়তায় ১৯৭০ সাল থেকেই এমন সমন্বিত কাজ করছে বাংলাদেশ। সমন্বিত এমন কার্যক্রমের সুফলও মিলছে। প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২০ বর্গকিলোমিটার নতুন চরের দেখা মিলছে। তবে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ভাঙনের কারণে গড়ে হারিয়ে যাচ্ছে এর আট বর্গকিলোমিটার।
সংশ্লিষ্ট সব সূত্রে আলাপ করে জানা গেছে, ভাঙাগড়ার এ খেলার মাধ্যমেই গত চার দশকে বাংলাদেশের ভূখ-ে যুক্ত হয়েছে অন্তত ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি। ক্রসড্যাম ও বনায়নের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে এর সঙ্গে আরো ২০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ২০ লাখ হেক্টর ভূমি যুক্ত হওয়ারও সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, জেগে ওঠা নতুন ভূমি মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজও শুরু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। জেগে ওঠা নতুন ভূমির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে ২০১৬ সালেই কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে এ মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘২০১৬ সালেই নতুন আইন চূড়ান্ত করব আমরা। এ আইনের খসড়ায় ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি উন্নয়ন, ভূমি ব্যবহার ও কৃষিজমি সুরক্ষাসহ ভূমি-সংক্রান্ত বিষয়াদি থাকবে। এজন্য ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বৈঠকও করেছি আমরা।’
একই প্রসঙ্গে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বললেন, ‘ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাইকোর্টেরও নির্দেশনা আছে। এজন্য ভূমি ব্যবহার বাস্তবায়ন নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ভূমি শ্রেণীকরণের কাজ করছে। ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এই শ্রেণীকরণের কাজ শেষ হবে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশের সমুদ্রতটে জেগে ওঠা নতুন ভূখ- ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিস (সিআইজিএস), চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিএসপি), অ্যাকুয়াচারি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইডিপি), ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংসহ (আইডব্লিউএস) এক ডজন সংস্থা। জেগে ওঠা নতুন ভূমির ফিসিবিলিটি স্টাডি করে এটি ব্যবহারের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে সরকারকে অবহিতও করছে তারা।
যেভাবে টেকসই হয় নতুন ভূমি
নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, সাগরের বুকে জেগে ওঠা নতুন ভূমিকে টেকসই করতে প্রথমে বনায়নের কাজ শুরু করে বন বিভাগ। ১৫ থেকে ২০ বছর বনায়ন করা হয়। নরম মাটিকে শক্ত করতে প্রথমে রোপণ করা হয় কেওড়া গাছ। এরপর পর্যায়ক্রমে রোপণ করা হয় বাইন, করমচা, পুনাইল ও কাঁকড়া গাছের চারা। এসব গাছ চরের নরম মাটিকে শক্ত করে। ১০ থেকে ১৫ বছর পর এসব গাছ বড় হয়ে মাটি আঁকড়ে রাখে। তখন নতুন ওই ভূখ- মানুষের বসবাসযোগ্য হয়।
যেসব নতুন ভূমিতে বড় হবে মানচিত্র
সন্দ্বীপের উত্তরে বামনী নদী এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী। এরও পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপ। পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল। এ চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তে চট্টগ্রাম। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকু- উপকূলের বর্তমান দূরত্ব ১০ মাইল। নোয়াখালী থেকে ১২ মাইল এবং হাতিয়া থেকে ২০ মাইল। কিন্তু বর্তমানে এ দূরত্ব ক্রমশই কমছে। কারণ সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের আজিমপুর এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম কোণের দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় জেগেছে নতুন ভূমি।
আবার উত্তর-পশ্চিম অংশে থাকা উড়িরচরের দক্ষিণে জেগে উঠেছে আরো প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ লক্ষ্মীচর ও ভবের চর। নতুন ভূমি জেগেছে সন্দ্বীপের পূর্ব প্রান্তেও। এ দ্বীপের উত্তরেও জেগে উঠেছে কয়েক হাজার হেক্টর নতুন ভূমি। এরই মধ্যে এ ভূমির একটি অংশকে দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ ইউনিয়নে বসবাস শুরু করা কয়েক হাজার ভূমিহীন পরিবারকে সুরক্ষা দিতে ২০১১ সালের জুন মাসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রশাসক। ২০১২ সালে নতুন এ ইউনিয়নে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিও নির্বাচন করা হয়েছে।
সন্দ্বীপের আশপাশে জেগে ওঠা নতুন ভূখ-ে এখন চলছে কৃষিকাজ। নতুন চরের বিস্তীর্ণ ঘাস ব্যবহার করে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ লালন-পালন করছে নিম্নবিত্তের মানুষ।
সন্দ্বীপের উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ বলেন, ‘জেগে ওঠা নতুন ভূমির পরিমাণ সন্দ্বীপের মূল ভূখ-ের প্রায় দ্বিগুণ। যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে এ ভূখ- খুলে দেবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।’
নতুন ভূমিতে গড়ে ওঠা দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে হারে চর জাগছে তাতে সন্দ্বীপের উত্তর সীমান্তের ভবানী নদী ভরাট হয়ে হয়তো লেগে যাবে উড়িরচরের সঙ্গে। তখন সন্দ্বীপের আয়তন আরও বাড়বে।’
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপ সংলগ্ন নতুন ভূমি নিঝুম দ্বীপেও শুরু হয়েছে মানুষের বসবাস। এ অঞ্চলের ঘন বনাঞ্চলে চরছে হরিণ, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। নিঝুম দ্বীপের পাশে এখন নতুন করে জেগেছে চরকবিরা নামক একটি এলাকা। একটু দূরে গেলে দেখা মিলছে চরকালাম, চরআলীম, সাগরিয়া, উচখালী, নিউ ডালচর নামক নতুন নতুন ভূখ-ের। হাতিয়া দ্বীপের দক্ষিণ এবং উত্তর প্রান্তেও জেগে উঠেছে নতুন ভূমি। একই অবস্থা দেখা গেছে কেরিং চরের দক্ষিণ প্রান্তেও।
উপকূলীয় এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাব মতে, গত চার দশকে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১০ লাখ হেক্টর নতুন ভূমি পেয়েছে বাংলাদেশ। জেগে ওঠা এসব ভূমির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই হচ্ছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলায়।
ক্রসড্যামের মাধ্যমে নতুন ভূমি উদ্ধার প্রসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত একটি প্রকল্প প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ১৯৫৭ সালে এ অঞ্চলে প্রথম ক্রসড্যাম দিয়ে ২১ হাজার হেক্টর নতুন ভূমি উদ্ধার করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে নোয়াখালীতে রামগতি নামক এলাকাকে মূল ভূখ-ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।
আবার ১৯৬৫ সালে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ আরও একটি ক্রসড্যাম তৈরি করে সোনাপুর রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় চরজব্বার নামক এলাকাকে। এতে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৭৯ হাজার হেক্টর নতুন ভূমি।
সিডিএসপি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, মেঘনা নদী, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে পরিচালিত পৃথক তিনটি প্রজেক্টে তারা ২৫,৮৯৯ একর ভূমিতে এরই মধ্যে ১৮,৫১৬ পরিবারকে পুনর্বাসন করেছেন।
এদিকে, ভোলার মনপুরা দ্বীপেও নতুন ভূখ- পেয়েছে বাংলাদেশ। সুন্দরবন ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের আশপাশে যুক্ত হওয়া নতুন ভূখ-কে বিবেচনায় আনলে সব মিলিয়ে সীমানায় যুক্ত হওয়া নতুন ভূখ-ের পরিমাণ হবে অন্তত ১০ লাখ হেক্টর।
জেগে ওঠা নতুন ভূখ-ের সম্ভাবনা
জেগে ওঠা নতুন ভূখ-ের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ‘নতুন ভূমিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা গেলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ ভূমি কৃষিজ কাজে ব্যবহার করেও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারে সরকার।’
একই প্রসঙ্গে হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, ‘নতুন ভূখ- সংরক্ষণ করা গেলে বদলে যাবে বাংলাদেশের মানচিত্র। বদলানো সম্ভব দেশের অর্থনীতিও। এ জন্য নতুন ভূমির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশার কথা যে, এজন্য কাজও শুরু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।’
MY FACEBOOK
MY YOUTUBE CHANNAL

Thursday, January 7, 2016

রোবট দিয়ে ক্যানসার জয় করার পথে বাংলাদেশ


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানীর দারুণ সাফল্যের খবর৷ ড. তাহের এ সাইফের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী ‘জীবন্ত রোবট' উদ্ভাবন করেছেন৷ এখন ‘রোবট বিপ্লব' ঘটানোর দ্বারপ্রান্তে৷ সেটা সফল হলে ক্যানসার জয় করা সম্ভব হবে!
নিউইয়র্ক টাইমস-এর ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সংখ্যায় পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী এক কলামনিস্ট লিখেছেন, ২০১৬ সালে প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটাতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণা৷ গবেষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের ড. তাহের এ সাইফ৷ তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইতিমধ্যে ‘জীবন্ত রোবট' উদ্ভাবনের স্বপ্নপূরণ করেছেন৷
আণুবীক্ষণিক এই রোবট মানুষের রক্তনালিতে সাঁতার কাটতে পারে৷ ড. তাহের এ সাইফ ও তাঁর ছাত্ররা হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকেই তৈরি করেছেন বায়ো-বট বা ‘জীবন্ত রোবট'৷ এখন চলছে স্টেমসেল থেকে নেওয়া নিউরন আর পেশিকোষের সমন্বয়ে জৈব রোবট তৈরির চেষ্টা৷ চলমান গবেষণা সফল হলে নিউরনগুলো কখন, কোথায় যাওয়া দরকার তা নিজে নিজেই ঠিক করতে পারবে৷ ফলে নিউরনের নির্দেশে রোবট ক্যানসার সেলে যেতে পারবে, সেখানে গিয়ে প্রতিষেধক উৎপাদনকারী কিছু কোষ ক্যানসার সেল ধ্বংস করার উপাদান নিঃসরণ করবে৷
বাইরে থেকে কোনো ওষুধের প্রয়োগ ছাড়াই ক্যানসারকে জয় করার স্বপ্ন-রথের সারথী হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী তাহের এ সাইদ৷ বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানীর সাফল্যে আনন্দের ফোয়ারা বইছে অনেকের মনে৷ খবরটি সোৎসাহে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা৷
অথ্যাপক তাহের এ সাইফ ও তাঁর সুযোগ্য ছাত্রদের বায়ো-বট উদ্ভাবন এবং আরো বড় অর্জনের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবরে সাংবাদিক ও লেখক আনিসুল হক গর্বিত৷
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও যে গর্বিত, আনন্দিত তা বোঝা গেছে তাঁর টুইট দেখে৷ তাহের এ সাইফ সফল হলে শুধু নির্দিষ্ট কোনো দেশ, জাতি, ধর্ম বা গোত্রের নয়, সারা মানব জাতিরই কল্যাণ হবে৷ সবার গর্বিত হওয়া, আনন্দে উদ্বেল হওয়াই তো স্বাভাবিক৷
facebook
youtube