<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: 2017

Wednesday, January 18, 2017

তিন পা-ওয়ালা মেয়ে!


ফের ইন্টারনেটে ভাইরাল এক ছবি। আর এই ছবি এক তরুণীর। যে ছবি ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় হচ্ছে নেট দুনিয়া।
মাত্র একটা ছবি। আর সেই ছবির পিছনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করছে ফেসবুক-এর ইউজাররা। কেউ রহস্য ফাঁস করতে পারছেন। আবার কেউ ছবির রহস্য ফাঁস করতে না পেরে নানা কথা বলছেন। কেউ কেউ আবার সমানে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে যাচ্ছেন।
আসলে এমন অদ্ভুত ছবি আজ পর্যন্ত সে ভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয়নি। কী আছে এই ছবিতে? দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ে বিছানার উপর বসে রয়েছে। আর তার তিনটি পা দেখা যাচ্ছে। এক জন মানুষের তিনটে পা হওয়া সম্ভব? এই নিয়ে তরজা তো শুরু হয়েছেই। সেই সঙ্গে এই ছবিটি ফেক, না ফোটোশপ তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। তবে, খতিয়ে দেখা গিয়েছে ছবিটি ফোটোশপ নয়। মেয়েটির দু’টি পা। স্কার্টের শেষে দু’টি পা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, তৃতীয় পা বলে যেটাকে মনে করা হচ্ছে, সেটা আসলে একটি ফ্লাওয়ার ভাস। মাটির রঙের এই ফ্লাওয়ার ভাসটিকে মেয়েটি এমন ভাবে ধরে ছবিটি তুলেছে, যে মনে হচ্ছে মেয়েটির তিনটি পা।
বিশেষঞ্জদের মতে, এটা আসলে ‘অপটিক্যাল ইলিউশন’। অনেক সময়ে ক্যামেরার লেন্সে বিভিন্ন জিনিস অন্য রঙের সঙ্গে মিশে যায়। এ ক্ষেত্রেও ফ্লাওয়ার ভাসের মাথা মেয়েটির স্কার্টের রঙে চাপা পড়েছে। আর ফ্লাওয়ার ভাসের নীচের অংশের বাদামি বর্ণকে বোধ হচ্ছে মেয়েটির পা বলে। যেহেতু স্কার্টের শেষ প্রান্তে দু’টো পা-কে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাদামি ফ্লাওয়ার ভাসের নীচের অংশকে তৃতীয় পা বলে বোধ হওয়াতেই যত বিপত্তি।

অতি শৈশবে শোনা ভাষা ভোলে না মানুষ


বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে যত বেশী সম্ভব তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের পর প্রথম কয়েক মাসে শিশুরা যে ভাষা শোনে সেই ভাষাটা তাদের মস্তিষ্ক থেকে হারায় না।
এমনকি অন্য দেশে চলে গিয়ে জন্ম-ভাষা ভুলে গেলেও সেটা পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা তাদের থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেয়া শিশু, যাদেরকে ডাচ ভাষী দম্পতিরা দত্তক নিয়েছিলেন এবং নেদারল্যান্ডে তারা বেড়ে উঠেছেন তাদের উপর চালানো হয়েছে এই গবেষণা।
সেই শিশুরা বড় হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ভুলে গেছে।
গবেষণা চলাকালে দেখা গেছে, তারা কোরিয়ান ভাষা প্রত্যাশার চাইতেও দ্রুতগতিতে শিখছে।
এই গবেষণার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে যত বেশী সম্ভব তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
সৌলের হ্যানইয়াং ইউনিভার্সিটির ড. জিউন চোই এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন।
ড. চোই বলেন, এটাই প্রথম গবেষণা, যেখানে দেখানো হল দত্তক নেয়া শিশু অতি শৈশবে শোনা ভাষা ভুলে গেছে বলে মনে করলেও তা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারছে।
যারা এই গবেষণায় অংশ নেয় তাদের বয়স ত্রিশের কোঠায়।
তাদের দুটি দলে ভাগ করা হয়, একদল শৈশবে কোরিয়ান ভাষার সংস্পর্শে এসেছে আরেক দল কখনো আসেনি।
কিন্তু ভাষা প্রশিক্ষণ দেবার পর দেখা যাচ্ছে, যাদেরকে কোরিয়া থেকে দত্তক নেয়া হয়েছিল, তারা কোরিয়ান ভাষা শেখার দক্ষতায় প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে গেছে।