<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon

Monday, August 26, 2019

ব্যাবসা করতে চান...? অথচ জানেন না এলসি কিভাবে খুলতে হয়...চলুন ঘুরে আসি


বর্তমান বিশ্বায়নের এ সময়ে প্রায় সব ধরনের ব্যাবসা বাণিজ্যই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ কাউকে চেনেন না। সেক্ষেত্রে বিক্রেতার একটু বাড়তি ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা এলসি বা লেটার ওব ক্রেডিট চান।
বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে চাইলে অবশ্যই ব্যাংকের মারফত এলসি খুলতে হয়। আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ মাধ্যম হল এলসি। এলসির মাধ্যমেই ব্যবসায়ীরা একদেশ থেকে অন্য দেশে পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।
এলসি করতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে...
১. এলসি করার জন্য সর্বপ্রথম দরকার হবে আপনার ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স এবং এটি অবশ্যই আপটুডেট হতে হবে।
২. সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট।
৩. একটি গ্রহনযোগ্য আইআরসি (IRC-Import Registration Certificate)
৪. স্থানীয় বাণিজ্য চেম্বার বা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট।
৫. আয়কর ছাড়পত্র বা নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণা পত্র।
৬. মূসক নিবন্ধন সনদপত্র।
এলসির জন্য আবেদনের পূর্বে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র দরকার হবে
১. এলসি আবেদন ফর্ম
২. ইনডেন্ট / পারফর্মা ইনভয়েস (PI)/ ক্রয় আদেশ / ক্রয় চুক্তি
৩. যথাযথভাবে ও সঠিকভাবে কার্যকর চার্জ নথি
৪. যথাযথভাবে সিল ও স্বাক্ষরিত এলসি অনুমোদন ফরম (LCAF)
৫. বীমা সংক্রান্ত নোট
এসকল কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর যে ব্যাংকে আপনি এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের নিকট কাগজপত্র গুলো দাখিল করতে হবে। তবে অবশ্যই সেই ব্যাংকে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংক কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে দেখতে কয়েকদিন সময় নিবে। এলসির সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেই জানিয়ে দিবে।
ব্যাংকের সাথে আপনার এলসি বিষয়ক লেনদেন কেমন হবে...
প্রথম দিকে ব্যাংকে আপনার পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরুন আপনার এলসি ভ্যালু ৪০,০০০ ডলার। তাহলে ব্যাংকে আপনাকে ৩২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে আপনার ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে পারবেন। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আরও কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।
যেমন: আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)
ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিতে হয়)
এরপর ব্যাংক আপনাকে আপনার কাংখিত এলসির একটা কপি দেবে। আর অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে। এলসির মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক লেনদেন হবে যেভাবে...
সকল ব্যাবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে দুটি পক্ষ থাকে একজন ক্রেতা আর একজন বিক্রেতা। এলসির মাধ্যমে আপনার লেনদেন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হবে চলুন সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
১. ক্রেতা প্রথমে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করবেন।
২. ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
৩. ইস্যুকৃত এলসি ব্যাংক থেকে বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন।
৪. বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংক এলসির কাগজপত্র গুলো বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন।
৫. কাগজপত্র গুলো দেখে বিক্রেতা শিপমেন্টের তারিখ ক্রেতাকে জানাবেন। এবং সাথে সাথে বিক্রেতা লেনদেনের সকল কাগজপত্র পরামর্শকারী ব্যাংককে দিবেন। ৬. পরামর্শকারী ব্যাংক কাগজপত্র গুলো ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করেছেন সেই ব্যাংকে পাঠাবেন।
৭. কাগজপত্র গুলো পর্যালোচনা করে এলসি ইস্যুকৃত ব্যাংক লেনদেনের ছাড়পত্র পাঠাবেন পরামর্শ দানকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন। এবং সাথে সাথে একটি ছাড়পত্র ক্রেতার নিকট পাঠাবেন। পরামর্শ দানকারী ব্যাংকও একটি ছাড়পত্র বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন।
আর এ ছাড়পত্র পাওয়ার পর ক্রেতা-বিক্রেতা লেনদেনের জন্য প্রস্তুত।
এলসি’র পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আপনার করণীয় কাজ...
ব্যাংকে অবশ্যই আপনার নিজস্ব কোম্পানীর একাউন্ট থাকতে হবে। পণ্য বা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীর নিকট থেকে পি আই /প্রোফরমা ইনভয়েজ আনতে হবে। পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ –এ পণ্য বা যন্ত্রাংশের মূল্য, পরিমাণ ও শর্তাবলী উল্লেখ থাকে। পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ – এর কাগজ কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক / পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীল প্রদান পূর্বক যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সেখানে জমা দিতে হবে।
পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ এর কাগজ পাওয়ার পর ব্যাংক থেকে ৬টা ফরম প্রদান করে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক / পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীল প্রদান সাপেক্ষে ফরম ৬টি এবং এলসি মার্জিনের সর্বনিম্ন শতকরা ২০ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
নিজ দায়িত্বে অথবা ব্যাংকের সহায়তায় আমদানীকৃত পণ্য/যন্ত্রাংশের বীমা করতে হয়। বীমা ও ব্যাংকের কাগজপত্র সরবরাহকারীর নিকট পাঠালে সে পণ্য বা যন্ত্রাংশ সমুদ্র/সড়ক পথে প্রেরণ করে। স্থল/সমুদ্র বন্দরে পণ্য/যন্ত্রাংশ পৌঁছানোর পর এলসি–এর বাকী অর্থ ব্যাংকে পরিশোধ করতে হয়। এরপর ব্যাংক এন ও সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে। এই এন ও সি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোম্পানী মনোনীত সি এন্ড এফ এজেন্টের মাধ্যমে স্থল/সমুদ্র বন্দরের শুল্ক বিভাগে প্রদর্শন ও অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করে পণ্য বা যন্ত্রাংশ খালাস করতে হয়।
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.

চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে বিশ্বনবীর ভাষ্য : করণীয় ও বর্জনীয়


সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার আছে। ওই সময় খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হবে, গর্ভবতী মায়েরা এ সময় যা করেন, তার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে, চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় যদি গর্ভবতী নারী কিছু কাটাকাটি করেন, তাহলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয় ইত্যাদি।
ইসলামি শরিয়া ও বাস্তবতার সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল নেই। জাহেলি যুগেও এ ধরনের কিছু ধারণা ছিল। সেকালে মানুষ ধারণা করত যে চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ হলে অচিরেই দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষ হবে। চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণ পৃথিবীতে কোনো মহাপুরুষের জন্ম বা মৃত্যুর বার্তাও বহন করে বলে তারা মনে করত। কিন্তু বিশ্বমানবতার পরম বন্ধু, মহান সংস্কারক, হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেগুলোকে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, মুগিরা ইবনু শুবা (রা.) বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের ইন্তিকালের দিনটিতেই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন আমরা বলাবলি করছিলাম যে নবিপুত্রের মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। এসব কথা শুনে নবীজি (সা.) বললেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ তায়ালার অগণিত নিদর্শন সমূহের দু’টি। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় না।’ (সহিহ বুখারি : ১০৪৩)
চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহ তায়ালার কুদরত হিসেবে অভিহিত করে অন্য হদিসে নবীজি (সা.) সাহাবিদের চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনগুলোর দুটি। তোমরা সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখলে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি : ৯৮৪)
নবীজী (সা.)-এর হাদিসগুলো থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর পড়ে না। সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসগুলো নিছকই কুসংস্কার।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি এর নেতিবাচক কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর না-ই পড়বে, তাহলে কেন নবীজি (সা.) এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সাহায্য চাইতে বলেছেন? শুধু নামাজে দাঁড়াতেই বলেননি তিনি; বরং চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণে তিনি কিয়ামতের মহাপ্রলয়ের আশঙ্কাও করেছেন। হজরত আবু মুসা (রা.) বলেন- নবীজি (সা.)-এর সময় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি এ আশঙ্কা করলেন যে, কিয়ামতের মহাপ্রলয় বুঝি সংঘটিত হবে।
তিনি (তাড়াতাড়ি) মসজিদে এলেন। অত্যন্ত দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু, সিজদাসহ নামাজ আদায় করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি নবীজি (সা.)-কে এমন করতে আগে আর কখনো দেখিনি। অতঃপর তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রেরিত এসব নিদর্শন কারো মৃত্যু বা জন্মের (ক্ষতি করার) জন্য হয় না। যখন তোমরা তা দেখবে, তখনই আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহ তায়ালার জিকির ও ইস্তিগফারে মশগুল হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৯৮৯) অন্য হাদিসে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে তা থেকে দ্রুত উদ্ধারে সদকা করার কথা বলেছেন।
আসুন, মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনধারাতে যখনই আমরা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ দেখব তখনই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের মত ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত বাকবিতায় লিপ্ত না হয়ে বরং নামাজে দাঁড়িয়ে যাবো এবং আমাদের জীবনাচারে ইসলামের এ সংস্কৃতির চর্চা করবো।
MY FACEBOOK PAGE:Click HERE
MY YOUNTUBE CHEENEL
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.

Saturday, August 24, 2019

কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ কি ? আমদানি/রপ্তানি করতে কেন কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ দরকার ?


কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ হল ওই প্রতিষ্ঠান যারা সরকার থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে আপনার আমদানি বা রপ্তানির সকল কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। যেমন এক্সিম কার্গো ওয়ার্ল্ড ঢাকা কাস্টমস হাউস থেকে ২০১২ সালে এই লাইসেন্স পারপ্ত হয়।
একটি কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ কোম্পানি নিন্মক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে ।
> ইম্পোর্টারকে পি আই / এল সি করতে সাহায্য করা ।
> ইম্পোর্টারকে পণ্যের সঠিক এইস এস কোড নির্ধারণ করতে সাহায্য করা ।
> পণ্যের সঠিক ডিউটি নির্ধারণ করতে ইম্পোর্টারকে সাহায্য করা ।
> এল সি পাপার কাস্টমস এ সাবমিট করা ।
> পণ্যের ডিউটি দেয়া হতে ছাড় করানো পর্যন্ত সকল কার্যাদি সম্পাদন করা।
> ইম্পোর্টার যাতে কোন ভাবেই সকারকে পণ্যের শুল্ক ফাঁকি না দিতে পারে তা নিশ্চিত করা ।
আমদানি করতে কেন কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ দরকার ?
প্রত্যেক কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ কে, সরকার একটি ইউনিক নাম্বার দেয় যা কাস্টমস এ ডকুমেন্টস প্রোসেসিং আটোমেশন করতে প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে সরকারকে মোটা অংকের টাকা জামানত হিসাবে দিতে হয়। ফলে কোন কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ সরকারকে কর ফাঁকি দিতে পারেনা । কিন্তু সাধারণ ইম্পোর্টারদের মধ্যে এই কর ফাঁকির প্রবনতা বেসি বিঁধায় তারা কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ হতে পারেনা। তবে কেউ যদি হতে চায় তবে তাকে শেল্ফ কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ লাইসেন্স দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে অনেক বিধি নিষেধ থাকে। আর যেহেতু এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া তাই আপনি চাইলেই কাস্টমস-সি অ্যান্ড এফ কোম্পানি খুলতে পারবেননা।
MY YOUTUBE CHENNEL
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.

এলসি( LC)কি? এতে কি কি থাকে ?ও এলসি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা


বিশ্বায়নের এই যুগে প্রায় সব ধরনের ব্যাবসা বাণিজ্যই আন্তর্জাতিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ কাউকে চিনেন না। সেক্ষেত্রে বিক্রেতার একটা ঝুঁকি থেকে যায়। এই ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা এই এলসি বা ল্যাটার ওব ক্রেডিট চান। বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানী করার চাইলে অবশ্যই ব্যাংকের মারফত এলসি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ মাধ্যমই হল এলসি। এলসির মাধ্যমেই ব্যবসায়ীরা একদেশ থেকে অন্য দেশে পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।
এলসি করতে যা যা প্রয়োজন ১। এলসি করার জন্য একজন ব্যবসায়ীর প্রথমেই দরকার হবে একটি ট্রেড লাইসেন্স এবং এটি অবশ্যই আপটুডেট হতে হবে। ২। সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট ৩। একটি গ্রহনযোগ্য আইআরসি (IRC-Import Registration Certificate) ৪। স্থানীয় বাণিজ্য চেম্বার বা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট ৫। আয়কর ছাড়পত্র বা নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণা পত্র ৬। মূসক নিবন্ধন সনদপত্র
এলসির জন্য আবেদনের পূর্বে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র দরকার হবে ১। এলসি আবেদন ফর্ম ২। ইনডেন্ট / পারফর্মা ইনভয়েস (PI)/ ক্রয় আদেশ / ক্রয় চুক্তি ৩। যথাযথভাবে ও সঠিকভাবে কার্যকর চার্জ নথি ৪। যথাযথভাবে সিল ও স্বাক্ষরিত এলসি অনুমোদন ফরম (LCAF) ৫। বীমা সংক্রান্ত নোট
এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর যে ব্যাংকে এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের নিকট কাগজপত্র গুলো দাখিল করতে হবে। অবশ্যই সেই ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।ব্যাংক কাগজপত্র গুলো যাচাই করে দেখবে। এর জন্য কয়েকদিন সময় নিবে ব্যাংক। এলসির সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে জানানো হবে।
ব্যাংকের সাথে এলসি বিষয়ক লেনদেন প্রথম দিকে ব্যাংক এ পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরা যাক এলসি ভ্যলু ২০,০০০ ডলার। ব্যাংক এ আপনাকে ১৬ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হবে। টাকার সাথে অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টও দিতে হবে। যেমন:
১। আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)
২। ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
৩। সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
৪। ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিত হবে)
এরপর ব্যাংক আপনাকে এলসির একটা কপি দেবে। অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে।
এলসির মাধ্যমে লেনদেন যেভাবে হবে
সকল ব্যাবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে দুটি পক্ষ থাকে একজন ক্রেতা আর একজন বিক্রেতা। এলসির মাধ্যমে লেনদেন প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপঃ
(১) ক্রেতা প্রথমে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করবেন
(২) ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন
(৩) ইস্যুকৃত এলসি ব্যাংক থেকে বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন
(৪) বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংক এলসির কাগজপত্র গুলো বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন
(৫) কাগজপত্র গুলো দেখে বিক্রেতা সীপমেন্টের তারিখ ক্রেতাকে জানাবেন। এবং সাথে সাথে বিক্রেতা লেনদেনের সকল কাগজপত্র পরামর্শকারী ব্যাংককে দেখাবেন।
(৬) পরামর্শকারী ব্যাংক কাগজপত্র গুলো ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করেছেন সেই ব্যাংকে পাঠাবেন।
(৭) কাগজপত্র গুলো পর্যালোচনা করে এলসি ইস্যুকৃত ব্যাংক লেনদেনের ছাড়পত্র পাঠাবেন পরামর্শ দানকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন। এবং সাথে সাথে একটি ছাড়পত্র ক্রেতার নিকট পাঠাবেন। পরামর্শ দানকারী ব্যাংকও একটি ছাড়পত্র বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন।
ছাড়পত্র পাওয়ার পর ক্রেতা-বিক্রেতা লেনদেনের জন্য প্রস্তুত। MY YOUTUBE CHENNET
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.

Wednesday, January 18, 2017

তিন পা-ওয়ালা মেয়ে!


ফের ইন্টারনেটে ভাইরাল এক ছবি। আর এই ছবি এক তরুণীর। যে ছবি ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় হচ্ছে নেট দুনিয়া।
মাত্র একটা ছবি। আর সেই ছবির পিছনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করছে ফেসবুক-এর ইউজাররা। কেউ রহস্য ফাঁস করতে পারছেন। আবার কেউ ছবির রহস্য ফাঁস করতে না পেরে নানা কথা বলছেন। কেউ কেউ আবার সমানে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে যাচ্ছেন।
আসলে এমন অদ্ভুত ছবি আজ পর্যন্ত সে ভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয়নি। কী আছে এই ছবিতে? দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ে বিছানার উপর বসে রয়েছে। আর তার তিনটি পা দেখা যাচ্ছে। এক জন মানুষের তিনটে পা হওয়া সম্ভব? এই নিয়ে তরজা তো শুরু হয়েছেই। সেই সঙ্গে এই ছবিটি ফেক, না ফোটোশপ তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। তবে, খতিয়ে দেখা গিয়েছে ছবিটি ফোটোশপ নয়। মেয়েটির দু’টি পা। স্কার্টের শেষে দু’টি পা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, তৃতীয় পা বলে যেটাকে মনে করা হচ্ছে, সেটা আসলে একটি ফ্লাওয়ার ভাস। মাটির রঙের এই ফ্লাওয়ার ভাসটিকে মেয়েটি এমন ভাবে ধরে ছবিটি তুলেছে, যে মনে হচ্ছে মেয়েটির তিনটি পা।
বিশেষঞ্জদের মতে, এটা আসলে ‘অপটিক্যাল ইলিউশন’। অনেক সময়ে ক্যামেরার লেন্সে বিভিন্ন জিনিস অন্য রঙের সঙ্গে মিশে যায়। এ ক্ষেত্রেও ফ্লাওয়ার ভাসের মাথা মেয়েটির স্কার্টের রঙে চাপা পড়েছে। আর ফ্লাওয়ার ভাসের নীচের অংশের বাদামি বর্ণকে বোধ হচ্ছে মেয়েটির পা বলে। যেহেতু স্কার্টের শেষ প্রান্তে দু’টো পা-কে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাদামি ফ্লাওয়ার ভাসের নীচের অংশকে তৃতীয় পা বলে বোধ হওয়াতেই যত বিপত্তি।

অতি শৈশবে শোনা ভাষা ভোলে না মানুষ


বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে যত বেশী সম্ভব তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের পর প্রথম কয়েক মাসে শিশুরা যে ভাষা শোনে সেই ভাষাটা তাদের মস্তিষ্ক থেকে হারায় না।
এমনকি অন্য দেশে চলে গিয়ে জন্ম-ভাষা ভুলে গেলেও সেটা পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা তাদের থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেয়া শিশু, যাদেরকে ডাচ ভাষী দম্পতিরা দত্তক নিয়েছিলেন এবং নেদারল্যান্ডে তারা বেড়ে উঠেছেন তাদের উপর চালানো হয়েছে এই গবেষণা।
সেই শিশুরা বড় হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ভুলে গেছে।
গবেষণা চলাকালে দেখা গেছে, তারা কোরিয়ান ভাষা প্রত্যাশার চাইতেও দ্রুতগতিতে শিখছে।
এই গবেষণার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে যত বেশী সম্ভব তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
সৌলের হ্যানইয়াং ইউনিভার্সিটির ড. জিউন চোই এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন।
ড. চোই বলেন, এটাই প্রথম গবেষণা, যেখানে দেখানো হল দত্তক নেয়া শিশু অতি শৈশবে শোনা ভাষা ভুলে গেছে বলে মনে করলেও তা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারছে।
যারা এই গবেষণায় অংশ নেয় তাদের বয়স ত্রিশের কোঠায়।
তাদের দুটি দলে ভাগ করা হয়, একদল শৈশবে কোরিয়ান ভাষার সংস্পর্শে এসেছে আরেক দল কখনো আসেনি।
কিন্তু ভাষা প্রশিক্ষণ দেবার পর দেখা যাচ্ছে, যাদেরকে কোরিয়া থেকে দত্তক নেয়া হয়েছিল, তারা কোরিয়ান ভাষা শেখার দক্ষতায় প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে গেছে।