<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: August 2015

Friday, August 28, 2015

দর্শকের সিগারেটেই সুখটান শিম্পাঞ্জির


প্রচণ্ড কাজের চাপ৷ বেড়েছে টেনশন৷গ্রাস করেছে হতাশা৷ মুক্তি পেতে অনেকেই ধূমপানের আশ্রয় নেন৷কিন্তু, টেনশন থেকে মুক্তি পেতে সভ্য জীব মানুষই যে শুধু ধূমপানের আশ্রয় নেন না৷ সেটি যে বন্যপ্রাণীদেরও ভরসাস্থল, তার প্রমাণ পাওয়া গেল চিনের জিনজিয়াংয়ের এক চিড়িয়াখানায়৷দিনভর পর্যটকদের আনন্দ দিতে দিতে তারও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়৷আর সারাদিনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে সিগারেটে সুখটান দিতে দেখা গেল তিয়ানশান ওয়াইল্ড অ্যানিমাল জু-এর একটি শিম্পাঞ্জিকে৷দর্শকের হাত থেকে নিয়ে দিব্যি সিগারেটে সুখটান দিয়ে মানুষের মতোই ধোঁয়া ছাড়তেও দেখা গেল জিয়া কু-কে৷
তবে এই প্রথম নয়৷ আগেও মাদকাসক্ত শিম্পাঞ্জিদের দেখা মিলেছে৷শুধু সিগারেটই নয়, বিয়ারের ক্যানে চুমুক দিতেও দেখা গিয়েছে রাশিয়ার এক শিম্পাঞ্জিকে৷
আর এবার ফের সিগারেট হাতে ক্যামেরাবন্দি হল বছর কুড়ির এই শিম্পাঞ্জিটি৷

বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ


রূপালি পর্দায় তাঁর অনেক পরিচয়৷ তিনি জেমস বন্ড তারকা৷ অস্কার জয়ের খ্যাতিও আছে তাঁর৷ অনেকের কাছে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ৷ ৮৫ বছর বয়সেও তিনি তরুণ৷ শুভ জন্মদিন, শন কনারি! চিরসবুজ, চিরকালের ‘হীরা’
২৫ আগস্ট ৮৫-তে পা দিলেন শন কনারি৷ এই বয়সেও শার্ট খুললে অনেক তরুণীই তাঁর রোমশ বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এই ছবিটি অবশ্য আগের৷ ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ছবির গোয়েন্দা জেমস বন্ডকে গোসল করতে দেখা যাচ্ছে এখানে৷ হীরা চিরকালই যেমন অমূল্য, আকর্ষণীয়, শন কনারিও তেমনি৷
যেভাবে জনপ্রিয়, যে কারণে যৌনাবেদন
স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয়া শন কনারির ‘হার্টথ্রব’ হওয়া শুরু জেমস বন্ড দিয়ে৷ পর্দার চৌকষ, সুপুরুষ গোয়েন্দা বন্ড বাস্তব জীবনেও ভীষণ ড্যাশিং এবং স্টাইলিশ৷
‘প্রথম আলো’
‘জেমস বন্ড’ হওয়ার আগ পর্যন্ত হলিউডে খুব কঠিন সময় কাটিয়েছেন শন কনারি৷ বক্স অফিসে কিছুটা সাফল্য এসেছিল ১৯৫৮ সালে, ‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে৷ ওপরের ছবিতে সেই ছবিরই এক বিশেষ মুহূর্তে লানা টার্নার-এর সঙ্গে কনারি৷
সে আলো ছড়িয়ে গেল.....
‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’-এর ঠিক চার বছর পরই হলিউডে শুরু হয়ে গেল শন কনারির যুগ৷ জেমস বন্ড-এর ‘ডক্টর নো’-র মাধ্যমে জন্ম হলো নতুন এক মহানায়কের৷ ছবিতে উর্সুলা আনড্রেস-এর সঙ্গে কনারির কিছু দৃশ্য এখনো অনেকের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়৷
অভিনয়মানের টান
খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তার শিখরে থাকার সময়েও অভিনয়ে বৈচিত্র্য এবং মানকে গুরুত্ব দিয়েছেন কনারি৷ ১৯৬২ সালে আলফ্রেড হিচককের সাইকো-থ্রিলার ‘মারনি’-তে তাঁর অভিনয় দক্ষতা চিরস্মরণীয়৷
সুপার-ডুপার হিট কনারি
জেমস বন্ড সিকুয়ালে তাঁর তৃতীয় ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’৷ কল্পনাতীত সাফল্য পেয়েছিল ছবিটি৷ ১৯৬৪ সালে এ ছবি থেকে আয় হয়েছিল ১২৫ মিলিয়ন ডলার!
জেমস বন্ড থেকে মুক্তি
জেমস বন্ডে অভিনয় এক সময় বড় একঘেয়ে মনে হচ্ছিল৷ সবসময় অর্থ আর জনপ্রিয়তাই তো সব নয়! কনারি চাইছিলেন জেমস বন্ড ইমেজটাকে ভাঙতে৷ ১৯৭৪-এ মুক্তি পাওয়া ‘জারডোজ’ অবশেষে তাঁকে সেই তৃপ্তি দিল৷
অস্কারজয়ী ‘স্যার’ কনারি
শন কনারি অভিনয় জীবনের সেরা স্বীকৃতিটি পেয়েছেন ১৯৮৭ সালে৷ সে বছর ‘দ্য আনটাচেবলস’-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার দেয়া হয় তাঁকে৷ পরে একবার গোল্ডেন গ্লোবও জিতেছেন কনারি৷ ২০০০ সালে ‘নাইট’ উপাধিও দেয়া হয় তাঁকে৷
উদারতা
ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে অনেক ছবিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রে অভিনয়ের অফার প্রত্যাখ্যান করে সেই চরিত্র বয়সে তরুণদের দিতে শুরু করেন কনারি৷ ওপরের ছবিটি ১৯৮৬ সালের ‘হাইল্যান্ডার’ চলচ্চিত্রের৷ ‘মুখ্য’ চরিত্রটি ক্রিস্টোফার ল্যাম্বার্টের (ডান দিকে) জন্য ছেড়ে দিয়ে ছোট, অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন শন কনারি৷
হলিউডকে বিদায়
নব্বইয়ের দশক থেকে খুব ধীরে হলেও জনপ্রিয়তার ‘গ্রাফটা’ নীচের দিকে নামতে শুরু করে৷ ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ সহ বেশ কয়েকটি ছবি বক্সঅফিসে সফল হলেও কনারি বুঝতে পারছিলেন রূপালি পর্দাকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে৷‘দ্য লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেন্টলম্যান’ ছবির পর শন তাই আর অভিনয় করেননি৷ ২০০৩ সালে ঘোষণা দিয়েই অভিনয়জীবনে ইতি টেনে ব্যক্তিগত জীবনে ডুব দিয়েছেন হলিউড ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা৷

Monday, August 24, 2015

রকশার উপার্জনে হজে গেলেন জাহাঙ্গীর


প্রতিটি মুসলিমেরই স্বপ্ন থাকে হজ করার। সেই স্বপ্ন কারো পূরণ হয় কারো হয় না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় বলে প্রবাদ রয়েছে। সেই প্রবাদকে সত্যি করে হজে গেলেন রিকশা চালক জাহাঙ্গীর। ২২ আগস্ট তিনি পবিত্র হজের উদ্দেশে সৌদির পথে রওনা হয়েছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর খান আব্বাসির বয়স ৬২। ছোট বেলার হজের স্বপ্ন পূরণ করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই টাকা জমাচ্ছিলেন। দৈনন্দির প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে সব টাকাই রেখে দিচ্ছিলেন হজের জন্য। শেষ পর্যন্ত শনিবার তার স্বপ্ন পূরণ হলো।
জাহাঙ্গীর একাই হজে যাননি। সঙ্গে তার স্ত্রী জিনাত বেগমকেউ নিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের এমন খবরে আশ্চর্য হয়েছে গ্রামবাসী। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে তার প্রশংসা।
ভারতের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীর খান বলেন, স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্নই দেখতে হয়। আর স্বপ্ন পূরণে একান্ত ইচ্ছা থাকতে হয়। তবেই স্বপ্ন সত্যি হয়।

3 ভিডিও,14মিনিট BUT সারা জীবনের শিক্ষা


বিভিন্নি ভাষায় Heart Touching Nasheed-অতিথি
ভিডিওটা দেখুন..ভাবুন আপনি কতটা অসুখি-অতিথি
ভিডিওটা দেখুন নিজেকে নিয়ে পুনরায় ভাবুন-অতিথি

ইসলাম প্রচারে ব্যস্ত হ্যাপি


দর্শকপ্রিয় মডেল তারকা ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি সম্প্রতি মিডিয়া জগৎ থেকে বিদায় নিয়ে এখন ইসলামী জীবন গঠনে ও ইসলাম প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে ভক্তদের জানিয়ে দিচ্ছেন এই পরিবর্তনের খবর। সর্বশেষ দুটি স্ট্যাটাসে তিনি মিডিয়া ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ইসলাম প্রচারমূলক কথাও লিখেন।
নাজনিন আক্তার হ্যাপি নামে ওই আইডিতে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে রোববার বিকাল ৬টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৬শ ৮২ জন লাইক দিয়েছেন। ৫০ জন পোস্টটি শিয়ার করেছেন আর কমেন্টস করেছেন ৩৪ জন। এদিকে, দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে একই সময়ে ১০ হাজার ৫শ ১৯ জন লাইক দিয়েছেন। ৩শ ৩৯ জন পোস্টটি শিয়ার করেছেন আর কমেন্টস করেছেন ৩২ জন। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাস দুটি তুলে ধরা হল
স্ট্যাটাস : ১
২‘আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও বেশকিছুদিন আগে। আমি চলচ্চিত্র, মিডিয়া ওই সব রঙিন দুনিয়া থেকে একেবারের জন্য বিদায় নিয়েছি। জীবনটাকেই বদলে ফেলেছি। আল্লাহর কাছে তওবা করে এখন শুধু নামাজ আর ভালো মানুষ হওয়ার আকাক্সক্ষায় দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে অদ্ভূত এক শান্তি, যে শান্তি দুনিয়ার সব সম্পদ নিজের থাকলেও সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেকের এটাই চিন্তা করা উচিত যে, দুনিয়া খুব কম সময়ের এই সময়টা শুধু আল্লাহের ইবাদাত করার জন্য, আর কোনো কিছুর জন্য নয়। আমরা যদি সবাই একবার চিন্তা করি দুনিয়া কী? কীসের জন্য? মৃত্যুর পর কী হবে? তাহলে আমরা সব উত্তর পেয়ে যাব। আমি খুব ভাগ্যবতী যে, আমি নিজের ভুল বুঝে এখন শুধু আল্লাহর ভালোবাসায় মগ্ন। দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই আমাকে অসৎ পথে নিয়ে যাওয়ার বা আল্লাহর পথ থেকে সরানোর। আমার সঙ্গে যে বা যারা অন্যায় করেছে আমি সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি, আর চাই আল্লাহ তাদের সঠিক পথে আসার তৌফিক দান করুক এবং তাদের ক্ষমা করুক। বিশ্বাস করুন ইসলামের পথে চলা আর ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার মধ্যে বেহেশতের সুখ যা আপনি আর কোনোভাবে অনুভব করতে পারবেন না। দুনিয়াতে যে যত বেশি কষ্টে থাকে সে তত ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী কারণ, আল্লাহ তার যেই বান্দাদের বেশি ভালবাসেন তাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন আর এই পরিক্ষায় পাশ করতে পারলে আল্লাহ তার জন্য আখিরাতে অনেক বড় পুরস্কারের ব্যবস্থা করবেন। আর যেই মানুষ অন্য একজন মানুষকে নিয়ে হাসি-তামাসা, ঠাট্টা-বিদ্রুপ আর ছোট এবং অপমান করে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে আরও সুযোগ দেয় এবং মৃত্যুর পর তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে। আমি বেপর্দায় চলতাম, ইসলাম মেনে চলতাম না, রঙিন দুনিয়ায় চলতাম আমি যদি আল্লাহকে ভয় করে ও আল্লাহকে ভালোবেসে ইসলামের পথে আসতে পারি তাহলে আপনি/আপনারা কেন পারবেন না? আল্লাহ সবসময় অপেক্ষা করেন তার বান্দা কখন তার কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহের দেখানো পথে চলে! আমি আল্লাহকে ভালোবেসে যে সুখ পাচ্ছি যা জীবনে আর কখনোও পাইনি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার ইমান ঠিক রেখে বাকি জীবন আল্লাহর দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে পারি। মানুষ চাইলেই বদলাতে পারে আর আল্লাহর পথে চলতে চাইলে তিনি নিজে পথ দেখিয়ে দেন। এই মুহূর্তে যদি মারা যাই আল্লাহর কাছে কীভাবে পাপের জবাবদিহি করব? দুনিয়া থেকে পরকালের জন্য কী নিয়ে যাব? এ সব একবার ভাবুন তাহলেই একজন ভালো ও পবিত্র মানুষ হতে পারবেন। আমীন।’
স্ট্যাটাস : ২
১‘আমরা মানুষ, সৃষ্টির সেরা। আল্লাহ আমাদের অনেক ভালোবাসেন। আমাদেরকে আল্লাহ যে কাজের জন্য পাঠিয়েছেন সেই কাজই আমরা করার সময় পাই না অথচ যেগুলো আল্লাহ কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন সেই কাজগুলোই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, যার জন্য আমাদের কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। আল্লাহ পরম দয়ালু। আমাদের প্রত্যেকের উচিত ভালো পথে ফিরে আসা, কারও ক্ষতি না করা, কারও মনে কষ্ট না দেওয়া, মিথ্যা কথা না বলা, কোরান পাঠ সেইসঙ্গে কোরানের আলোকে জীবন গড়া, ইসলাম মেনে চলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ ক্ষমশীল ও ন্যায়বিচারক। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। এই দুনিয়ায় মানুষ হয়ে মানুষকে ছোট করা, মানুষকে ঠকানো আরও কত কী! এর মধ্যে শুধুই জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই। আসুন এখন, এই মুহূর্তে তওবা করে আল্লাহের পথে চলি। এর মধ্যেই শান্তি। তওবা কীভাবে করতে হবে, তওবার সঠিক নিয়ম। কারও তওবা কবুল হয়েছে কি না এটা বোঝার উপায়Ñ পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু মুখে মুখে তওবা করি, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা ছেড়ে দেবোÑ এ রকম হলে তওবা হবে না। অতীতের সব পাপ কাজ ও ভুলত্রুটি আল্লাহর কাছে স্বীকার করে তার কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। অন্তরে ওই কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে সব গুনাহখাতার জন্য ‘ইস্তিগফার’ করতে হবে (মাফ চাইতে হবে) + ‘তওবা’ করতে হবে (গুনাহ করা বন্ধ করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে)। কারো হক নষ্ট করে থাকলে তাকে তার হক ফিরিয়ে দিতে হবে, অথবা যেভাবেই হোক, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। (তওবা করলে আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি কারও পাপ আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। কিন্তু বান্দার কোনো হক নষ্ট করলে সেটা বান্দা মাফ না করলে তিনি মাফ করবেন না)।
অন্তরে আশা রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু আল্লাহ গাফুরুর রাহিমÑ অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং, তিনি আমার তওবা কবুল করবেন। তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি নেকির কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। যে পাপ কাজ থেকে তওবা করা হল (সব পাপ কাজ থেকেই তওবা করা ফরয), কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা করে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে আবার তওবা করে সেটা থেকে ফিরে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ হবে সঙ্গে সঙ্গেই তওবা করতে হবে, মৃত্যু পর্যন্ত।
কারও তওবা কবুল হয়েছে কি না এটা কীভাবে বুঝবেন? অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেন, কারও যদি তওবা করার পরের জীবন আগের জীবন থেকে ভালো হয় অর্থ্যাৎ, পাপের কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা করা যেতে পারেÑ তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। কিন্তু কারও যদি এমন না হয় অর্থ্যাৎ, তওবার আগের ও পরের জীবনে কোনো পার্থক্য না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার তওবাতে ত্রুটি আছে। তার উচিত হতাশ না হয়েÑ বার বার আন্তরিকতার সঙ্গে খালেস নিয়তে তওবা করা, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অন্তরিক তওবা করার তওফিক দান করুন। কী দোয়া পড়ে তওবা করতে হবে?
যেই দোয়া পড়ে রাসুলুল্লাহ সা. তওবা করতেন ও আমাদেরকে পড়তে বলছেনÑ উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যিমাল্লাযি লা- ইলা- হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোনো যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তার কাছে তওবা করছি। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামি হয়’। (অর্থ্যাৎ, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন)। তিরমিযি ৪/৬৯’

Sunday, August 23, 2015

চাকরি হারিয়েছেন?- কিছু বাস্তব ঘটনার নিরীখে জেনে নিন করণীয়সমূহ


সাইমন লরী তখন ২৫ বছরের উদ্দাম এক যুবক। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর। সে সময় তিনি একটি নামকরা বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদান করেন। সাইমন বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা ছিল আমার। অন্য কোথাও চাকরি করার কথা ভাবতেই পারতাম না আমি। কিন্তু, ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আমাদের কোম্পানি তার পূর্বেকার জৌলুস হারালো। কোম্পানিটি যে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত, সেই এলাকাটি আর শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বলে বিবেচিত হলো না। চাকরির ১৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, সাইমন-এর নাম উঠে আসলো অতিরিক্তের খাতায়। অতঃপর, যা ঘটার, সেটাই ঘটলো তার ভাগ্যে। চাকরিচ্যুত হলেন সাইমন। এই যন্ত্রণা তাকে এতটাই বিদ্ধ করেছিল যে, তিনি একে নিকটাত্মীয় বা স্বজন হারানোর বেদনার সাথে তুলনা করেন। এক বিশাল শূন্যতা ক্রমশঃই পেয়ে বসতে লাগলো তাকে।
সাইমন তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, কোন দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়নি আমাকে। বরং, উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনে কোনরূপ কার্পণ্য করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিষাদের ছায়া আমাকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করতে থাকে। চাকরি হারানোর ঠিক পরদিন অফিসে যে ডেস্কটিতে বসে কাজ করতাম আমি, সেটি শেষবারের মতো গুছিয়ে রাখতে যাই। সেখানেই কেটে যায় বাকি দিনটুকু। রাত ৯টার দিকে টেলিফোন বেজে উঠলো। আমার স্ত্রীর ফোন ছিল। সে আমার মনের প্রকৃত অব¯া বুঝতে পেরে বলেছিল, এই কোম্পানির হয়ে তুমি আর কাজ করছো না, সাইমন। তোমার কম্পিউটার বন্ধ করে দাও এবং ব্রিফকেসটা গুছিয়ে বাড়িতে চলে এসো।
সাইমনের উপরোক্ত প্রতিক্রিয়াকে কোনভাবেই অস্বাভাবিক বলা যাবে না। বিধ্বংসী মনোভাব, দুঃসহ মানসিক যন্ত্রণা অথবা পেটে লাথি মারা-এই শব্দগুলো মনস্তত্ত্বের একটি স্তরে খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পুরুষ কিংবা মহিলা- উভয়ের ক্ষেত্রেই একথা সমভাবে প্রযোজ্য। যারা জীবনের কোন পর্যায়ে এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা ক্ষুব্ধ, বিচলিত, লজ্জিত অথবা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন। অনেকেই বহু নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন এবং কেউ কেউ দিনের পর দিন চোখের পানি ফেলেছেন। আবার অনেকের মাঝে উঁকি দিয়েছে অজানা নানা আশঙ্কা- হয়তো তারা কোনদিনও চাকরি পাবেন না, বাড়ি ছাড়তে হবে এবং সন্তানদের জন্য যথাযথ শিক্ষার ব্যব¯াও হয়তো করতে পারবেন না তারা।
তবে, সাইমনের চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি আজকের বিষয় নয়। ১৯৯২ সালে ভয়ানক অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে ছাঁটাই হন তিনি। আজ ৫৮ বছর বয়সে তিনি একজন স্বনির্ভর নির্বাহী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আত্মকর্মসং¯ানের মতবাদে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি তার কাজকে কেবল ভালোবাসেন, তাই নয়। আজ তিনি যে পরিমাণ অর্থ উপাজর্ন করেন, তা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেননি কোনদিন। কারণ ১৬ বছর পূর্বে তিনি আত্মকর্মসং¯ানের কথা কল্পনাও করেননি। হয়তো চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি তাকে অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণায় কাতর করে তুলেছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে এই অভিশাপই তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেয়। আর এই ঘটনাটিই আরও উন্নত জীবনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
হঠকারিতা বা তাড়াহুড়ো করে কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে-শুনে ফেলুন। আমরা প্রত্যেকেই যে কোন মুহুর্তে আমাদের পছন্দের কাজটি হারাতে পারি। তাই বলে, উদ্যম ও মনোবল হারাবেন না। লেখিকা জ্যানেট ডেইভিস একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার উপদেশ বা পরামর্শ হবে এটাই যে, আজকের দিনে সঠিক পেশাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও বেশি কৌশলগত পন্থা অবলম্বন করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এটা ধরে নিয়েই যে, হয়তো তাদের সেই জীবিকা বা পেশা কোন একদিন হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে এবং রূপান্তরিত হয়ে পরিবর্তিত অবস্থায় পুনরায় তা ফিরে আসবে। এটা খানিকটা নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শেখার মতো ব্যাপার।
তবে সুসংবাদটি হচ্ছে, উন্নত বিশ্বে ছাঁটাই বা হঠাৎ চাকরি হারানোর মনোভাবে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব প্রগতিশীল দেশগুলোর ওপরও পড়ছে। লোকলজ্জা বা দুর্নামের যে শঙ্কা মানুষকে চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশায় নিমজ্জিত করতো ১৯৮০ সালের দিকেও সেই সঙ্কটাপন্ন মানসিক অবস্থা থেকে অনেকটাই সফলভাবে উত্তরণ করতে সমর্থ হয়েছে মানুষ আজকের দিনে, নিঃসন্দেহে সেটা বলা যেতে পারে। এ মন্তব্য করেন হিউম্যান রিসোর্সেস-এ কমরত কনসালট্যান্ট জেমস আন্ডারহেই। তিনি যোগ করেন, কারণ আজকের দিনে মানুষ চতুর্দিকে চাকরি খুঁজছে। পরিসরটা অনেক বেড়েছে। তারা এক জায়গায় ¯বির হয়ে বসে থাকছেন না। আগেকার দিনে একটি চাকরির পেছনে মানুষ তার পুরো কর্মজীবনটাই উৎসর্গ করতো। অথচ, বর্তমানে আমরা প্রতি ২-৫ বছর অন্তর আমাদের চাকরির প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে অভিজ্ঞতার নিরীখে আরও বড় কোন প্রতিষ্ঠানে ও ভালো বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে পারছি। পূর্বের তুলনায় নির্দিষ্ট বিষয়টিতে আমরা বিশেষ পারদর্শিতা বা দক্ষতা অর্জন করছি। সমসাময়িক ঘটনাবলী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করছি প্রযুক্তি ও প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে এবং অতীতের তুলনায় অনেক বেশি আত্মনিভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হতে পেরেছি দৈনন্দিন চর্চার মাধ্যমে।
বস্তুতঃ চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি মানুষের জীবনকে কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করে। এটিকে একটি সুযোগ হিসেবেই ব্যাখ্যা করলেন আন্ডারহেই। তিনি বলেন, আমার পরিচিত কয়েকজন ফিন্যান্স ডিরেক্টর, যারা তাদের পেশাটিকে পছন্দ করলেও যে চাকরিটি তারা করতেন, সেটি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাকরি থেকে অব্যাহতি লাভের এই বিষয়টিকে তারা নিজেদেরকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবার জন্য অবকাশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভের পক্ষে একটি সুবর্ণ-সুযোগ হিসেবে মনে করতেন। এটি এমন এক সময়, যখন আপনি একটি নতুন গন্তব্য বা দিক-নির্দেশনা পেতে পারেন, যা আপনাকে ধীরে ধীরে সাফল্যের সর্বোচ্চ সোপানটিতে পৌঁছে দিতে পারে অথবা কোন পূর্ব-লালিত স্বপ্নকে অনুসরণ করে আরও বর্ণিল বা বর্ণময় জীবনযাপন করতে পারেন। এছাড়াও লাভজনক কোন ব্যবসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করতে পারেন স্বাধীনভাবে, যা পূবের অবস্থানে থেকে হয়তো আপনার পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব ছিলো না।
দৃষ্টান্তস্বরূপ, স্টিভেন লো-এর কথাই ধরুন। তিনি জীবনের সুদীর্ঘ ৩১টি বছর সিঙ্গাপুরের মেরিটসে ম্যান্ডারিন হোটেল-এর একটি ক্যাফেতে কমরত ছিলেন। সেখানকার একটি জনপ্রিয় খাবার চিকেন রাইস বা মোরগ-পোলাও বিশেষভাবে রান্নার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান ছিলো। ২০০৬ সালে স্টিভেন লো তার নতুন ব্যবসা চালু করেন। আর, একটি মাত্র খাবার দিয়েই লো তার ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করে ফেললেন। কয়েকজন বিশ্বস্ত পৃষ্ঠপোষকের সহায়তাও পেলেন তিনি। তিনি তার ফুড-স্টলটিতে সেই চিকেন-রাইস কিছুটা হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করা শুরু করেন। এরপর থেকে তাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তিনি আরও সুবৃহৎ পরিসরে তার ব্যবসার পরিধিকে বিস্তৃত করেছেন তারপর থেকেই।
এই সাফল্যের পেছনে আসল রহস্য বা মূল-মন্ত্র কি? চাকরিচ্যুত হয়ে পিছিয়ে পড়ার পর কিভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন? আপনার নিজের দক্ষতাকে উপলব্ধি করা হতে পারে আপনার প্রথম পদক্ষেপ- বলছিলেন ক্যারিয়ার কন্সাল্ট্যান্ট জিল ডীন। তিনি বলেন, একটি চাকরি হারনোর পর অন্য একটি চাকরি যত দ্রুত সম্ভব পেতে চাইলে, নিজের ওপর যে বিষয়টিতে আস্থা রাখেন, সর্বপ্রথম সেটি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি হয়তো কথোপকথন ও যোগাযোগের বিষয়টিতে বিশেষভাবে পারদর্শী অথবা আইটি বা প্রযুক্তি সেক্টরে আপনার বেশ ভালো দখল রয়েছে। কিন্তু, যিনি আপনাকে চাকরিটি প্রদান করবেন, অর্থাৎ, আপনার নিয়োগকর্তার কাছে যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজের যোগ্যতাকে উপ¯াপন ও প্রমাণের মতো আত্ম-বিশ্বাস ও সমর্থ্য সৃষ্টি করতে হবে আপনার মাঝে। প্রকৃত অর্থেই যে, কাজটির প্রতি যথেষ্ট উৎসাহ ও অবিচল-আগ্রহ রয়েছে, তা প্রকাশ করুন বেশ বিনয়ের সঙ্গে। এ জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে একটি জীবন বৃত্তান্ত বা জবংঁসব তৈরি করতে হবে। ঈ.ঠ. বা ঈঁৎৎরপঁষঁসহ ঠরঃধব তৈরির পর একটি ঈড়াবৎ-ষবঃঃবৎ লিখে একটি খামে আপনার ঠিকানা উল্লেখ করে ছবি-সমেত পাঠিয়ে দিন নির্বাচিত চাকরির প্রতিাষ্ঠানগুলোতে।
ইন্টারনেট বা অনলাইন মাধ্যমেও বিভিন্ন চাকরি বা জব-সাইটগুলোতে আপনার আবেদন পাঠিয়ে দিন। চাকরির সাইটগুলোতে সাইন-আপ করার পর একটি ছবি আপলোড করে জীবন-বৃত্তান্তের তথ্যসমূহ পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে তৈরি করা একটি সিভিও সেখানে আপলোড করে দিন। তারপর আপনি আপনার পছন্দের পেশা নির্বাচন করে, জবসাইটে আপনার সংরক্ষিত জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন বিভিন্ন চাকরি আহবানকারী প্রতিষ্ঠনগুলোতে। যদি আপনাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়, তবে আপনার সঙ্গে ফোন অথবা ই-মেইল-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। আর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দরকারী বিষয়গুলো বারবার অনুশীলন করুন।
জিল ডীন-এর মতে, নেটওয়ার্কিং চাকরি লাভের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। সম্পর্কোন্নয়ন এবং যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষার ব্যাপারে হেলাফেলার কিঞ্চিৎ অবকাশ নেই। তিনি বলেন, নচেৎ, আপনার প্রতি অফিস-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগ্রহ সৃষ্টির পরিবর্তে উদাসীনতার মনোভাব সৃষ্টি হবে, যা আপনার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না মোটেও। এটাকে আপনি এক ধরনের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বিভিন্ন মানুষ যাদের সাথে আপনার প্রতিনিয়ত সাক্ষাৎ হয়; যেমন আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অথবা আপনার পুরনো অফিসের সহকারী, প্রত্যেকের সঙ্গে যথাসম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখুন।
৪৮ বছর বয়স্ক গিলবার্ট চাকরিচ্যুত হয়ে যখন কঠোর জীবন-সংগ্রামের সম্মুখীন, তখন তিনি জীবনের এক নতুন পথের সন্ধান পেলেন। ৯/১১-এর পরবর্তী ২ বছর এবং ২০০২ সালের ঝঅজঝ মহামারী চলাকালীন সময়ে বেকারত্বকে বরণ করে নিতে হয় তাকে। সিঙ্গাপুরের অধিবাসী গিলবার্ট অনুধাবন করলেন যে, যদি তিনি নিয়ন্ত্রিত আবেগ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন, তবে তিনি এ ঘোরতর অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও ভালোভাবে বের হয়ে আসতে পারবেন।
চাকরি খুঁজতে গিয়ে তিনি যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। তিনি চাকরি সন্ধানকারীদের উৎসাহিত করেন ঘরের বাইরে বের হয়ে চাকরি খোঁজার জন্য। শুধু ঘরে বসে থেকে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারটি নিতান্তই দুঃসাধ্য ও সময়-সাপেক্ষ। তিনি তার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দরখাস্ত করতাম এবং বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন আমার পুরনো দিনের এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর অচিরেই একটি খ-কালীন চাকরি যোগাড় করতে সক্ষম হই আমি। তিনি বলেন, সেখানে বেশি অর্থ উপার্জনের বা আয়ের কোন সুযোগ ছিলো না আমার। তবে বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত ও নিভার হতে পেরেছিলাম আমি। কেননা, দীর্ঘ ২০ মাস বেকার থাকার পর সামান্য হলেও সেটাই আমার প্রথম উপার্জন।
খ-কালীন চাকরিটিতে যোগদানের মাধ্যমে নিজের প্রতি আস্থা ও মনোবল দুটোই ফিরে পেলেন গিলবার্ট। তিনি বলছিলেন, আজও পর্যন্ত সেই বন্ধুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং ঋণী যে আমাকে সেই চাকরিটি দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলো। কারণ, এ ঘটনাই আমার জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেয়। ৬ মাস ওই প্রতিানে কাজ করার পর ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে পুঁজি করে একটি বা পূর্ণকালীন চাকরি পেয়ে যান গিলবার্ট। পুনরায় যোগ করলেন তিনি, সুযোগ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু, আমরা যদি শুধু ঘরে বসে থাকি, তবে সুযোগগুলো আমাদের অধরা বা নাগালের বাইরে থেকে যাবে।
গিলবার্ট সেন্ট্রাল সিঙ্গাপুর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-এ ক্যারিয়ার কন্সালট্যান্ট বা পেশা-নির্বাচন পরামর্শদাতা হিসেবে বর্তমানে কমরত রয়েছেন এবং চাকরি সন্ধানকারী ব্যক্তিদের পরামর্শ, তথ্য ও উৎসাহ প্রদান করে সহায়তা করে চলেছেন। তাই চাকরি খুঁজতে হলে, নেমে পড়ুন আজই। শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন, হতাশাকে না বলুন, নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখুন এবং এগিয়ে চলুন অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনিও সফল হবেন।

Saturday, August 22, 2015

‘মুহাম্মদ সা.’ এর ট্রেইলার প্রকাশ (ভিডিও)


বিশ্বনবীর জীবনীভিত্তিক ছায়াছবি ‘মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সা.’ এর অফিসিয়াল ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানের বিখ্যাত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পাবে ২৬ আগস্ট। এর পাঁচদিন আগে ছবিটির অফিসিয়াল ট্রেইলার প্রকাশ করলেন পরিচালক।
ট্রেইলারটি মুহাম্মদমুভি ডটকম (www.mohammadmovie.com) নামের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে চলচ্চিত্রটির বেশকিছু স্থিরচিত্রও দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ আগস্ট ইমাম রেজা’র জন্মদিনে ইরানে মুক্তি পাবে এটি। একই সঙ্গে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত ৩৯তম বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে ২৭ আগস্ট। ফার্সি ভাষায় নির্মিত ছবিটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে।
ছবিটির পরিচালক মাজিদ মাজিদি সম্প্রতি তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসলামের সঠিক ভাবমর্যাদা বিশ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে ‘মুহাম্মদ সা.’। ইসলাম নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাও ছবিটির উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
মহানবী সা. কে নিয়ে নির্মিত ট্রিলজি বা তিনখ-ের ছায়াছবির এই প্রথম খ-ে তাঁর মক্কার জীবন আলেখ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৭১ মিনিটের এ ছায়াছবি নির্মাণে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ ছবি নির্মাণে ৫৫ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার জয়ী মাজিদি একাধারে চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক। ‘বাচ্চে হুয়ে অসেমন বা বেহেশতের শিশু’, ‘ রাঙ-এ বেহেশত বা বেহেশতের রঙ’ এবং দ্য কালার অব প্যারাডাইজ তার নির্মিত তিনটি বিশ্ব-নন্দিত ছায়াছবি। ১৯৯৮ সালে নির্মিত বাচ্চে হুয়ে অসেমন ছবিটির জন্য তিনি সেরা বিদেশী ভাষায় নির্মিত ছবির জন্য অপধফবসু অধিৎফং এর মনোনয়ন পান।

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট..শিক্ষিকা বিস্মিত!


রাজধানীর একটি কলেজের বাংলার একজন শিক্ষিকা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিতে বললেন। একজন ছাত্রীকে তিনি অ্যাসাইনমেন্ট দিলেন ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে ডায়েরি বা দিনলিপি’ লেখা বিষয়ে।
ওই ছাত্রী অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় যা লিখে জমা দিয়েছে তাতে বিস্ময়ে হতবাক শিক্ষিকা। অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় ওই ছাত্রী যা লিখেছে তার মূলকথা হলোÑ আফজাল নামে একজন ক্লাসমেটকে ভালো লাগে তার। আফজাল সবসময় কালো শার্ট পরে ক্লাসে আসে। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেও পিকনিকে গেছে কালো শাড়ি পরে। পিকনিক থেকে ফিরে এসে শাড়ি পরা অনেক ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছে সে। তাতে অনেকে অনেক ধরনের কমেন্টও করেছে এবং লাইক দিয়েছে। কিন্তু আফজাল ফেসবুকে অ্যাকটিভ থাকা সত্ত্বেও এখনো তার ছবিতে কোনো লাইক না দেয়ায় ও কমেন্ট না করায় সে মর্মাহতৃ।
অ্যাসাইনমেন্ট খাতা পড়ার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষিকা ছাত্রীকে ডেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে ছাত্রী জানাল, সে যা লিখেছে তা কোনো সত্য ঘটনা নয়। একটি গ্রামার বইয়ে এ রকম একটি ঘটনা লেখা রয়েছে দিনলিপিতে এবং সেটি দেখে সে তার অ্যাসাইনমেন্টটি লিখেছে।
এবার শিক্ষিকা ছাত্রীর কাছ থেকে ওই বইটি সংগ্রহ করে ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে দিনলিপি’ শীর্ষক লেখাটি পড়ে আরো হতবাক হলেন। বইটিতে লেখা হয়েছে
‘উফফ। যা একখান ঝক্কি গেল। শরীরের হাড্ডি- মাংস কিমা হয়ে গেছে। সারা শরীরে কান্তি, অবসাদ। চোখ বুঝে আসছে ঘুমৃ। পিকনিক থেকে ফিরে এলাম। হট শাওয়ার নিয়েছি। আফজাল হোসেন, বম্পি সব সময় কালো শার্ট পরে, তাই আমিও বেছে নিয়েছিলাম কালো শাড়ি। সবার চোখ ট্যারা হয়ে গেছে। গ্রুপছবিতে আমাকে চেনা যাচ্ছে আলাদা করে। বাসায় ফিরেই আমার ফেসবুক ওয়ালে বাছাই করা তিনটি ছবি আপলোড করেছি। দারুন দারুন সব কমেন্টস করা হচ্ছে। কিন্তু আফজাল এখনো কোনো কমেন্ট করেনি। অথচ ফেসবুকে ওকে এ্যাকটিভ দেখাচ্ছে।
বাসে আমি বসেছিলাম জানালার পাশে, ও বসেছিল ঠিক আমার দুই সারি পেছনে। ওর বন্ধু আল ফারাবি রিয়েল ও হৃদয় খান বারবার আমার দিকে তাকালেও ও একবারও আমার দিকে তাকায়নি। পিকনিকে যাওয়াই আমার ভুল হয়ে গেছে। মহা ভুল। বাসে নাস্তার বক্সে দেওয়া হয়েছিল আপেল, কলা আর একটা নিমকি। অথচ জার্নি করার সময় আমি মিষ্টি খেতে পারি না। বমি আসে। বাসে রিয়েল একটা প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘আফজাল পাঠিয়েছে।’ খুলে দেখি বার্গার সমুচা আর সিঙ্গারা। কাচ্চি বিরিয়ানি আমি খাই না অথচ আমাদের পিকনিকে দুপুরের মেনুই ওটা। খাবার সময় আলাদাভাবে তাই কাঁঠাল গাছটার তলায় গিয়ে বসেছিলাম। হৃদয় একটা প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘আফজাল পাঠিয়েছে।’ খুলে দেখি- চিকেন বিরিয়ানিৃ।
ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। ল্যাপটপ খুলে বসে আছি। আমার ছবিতে কত ফ্রেন্ডস লাইক দিচ্ছে, কমেন্টস করছে। কিন্তু ৃ কিন্তুৃ কান্নার একটা ধাক্কা আসে। সেটা সামলে নিয়ে আবার ওয়ালে তাকাই। আমার প্রোফাইল পিকচারটা চেঞ্জ করেছিল গত সপ্তাহে। ফাটাফাটি এসেছে ছবিটা। ছবিতে আমার মামাতো বাই তনয় আমার হাত ধরে হাসছে। আমিও বত্রিশ দাঁত বের করে হাসছি।’
বইটির নাম ‘উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি।’ বইয়ের কাভার পেজে প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. শফিউদ্দিন আহমদের নাম লেখা রয়েছে। বইয়ের ওপরে লেখা হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসারে উচ্চমাধ্যমিক, সøাতকসহ (পাস ও অনার্স) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত। বইয়ের ওপরে আরো লেখা হয়েছে ২০১৪-২০১৫, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের নতুন সিলেবাস অনুসারে প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিস্মিত ওই শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান, বইটি সংগ্রহ করে তিনি নাড়াচাড়া করে দেখেছেন এবং বইটিতে প্রচুর বানান ভুল রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে বইয়ের ভাষাও যাচ্ছেতাই ধরনের। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার জন্য রাজধানীর দু’টি নামকরা কলেজের পাশে অবস্থিত দু’টি লাইব্রেরিতে গিয়ে জানতে চাওয়া হয় ওই নামে কোনো গ্রামার বই আছে কি না। দু’টি লাইব্রেরিতেই বইটি পাওয়া যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেল, রাজধানীসহ দেশের অনেক নামকরা কলেজ থেকেই বইটি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের রেফার করা হচ্ছে।
বিশালাকৃতির বইটির মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৩৫১। একটি নামকরা প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করেছে এবং ৪৮০ টাকায় বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বইটি বিক্রি হচ্ছে। বইটি দেখতে সুদৃশ্য কিন্তু ভেতরের অনেক বিষয় রয়েছে যাকে মার্জিত বলা যায় না। যেমন ‘একজন কলেজছাত্রের অঘটনের দিনলিপি’ শিরোনামে লেখা হয়েছে ‘কাশ শেষে স্যারের মেজাজ খারাপ করার জন্য সবাই আমাকে দায়ী করল। কেউ কেউ আমাকে বেশ ঝাড়িও দিলো। আমি নিরবে সব মাথা পেতে নিলাম।
এই ফাঁকে দীপু সামীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করছিল। মজা করার জন্য আমিও বললাম, ‘দীপু আমি তো তোর কাছে আরো আগে থেকেই এক হাজার টাকা পাই। তুই আমারটা না দিয়ে ওর ধার শোধ করছিস য়ে’ বলাই বাহুল্য কথাটা বলেছিলাম নিছক মজা করার জন্য। কিন্তু আমার চোখ কপালে উঠল যখন এ কথা শুনে দীপু সুন্দর কড়কড়ে দুটো পাঁচ শো টাকার নোট বের করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘নে, খুশী?’ আমাকে আর কে পায়? দীপু, সামী আর সেই সাথে আরো চার- পাঁচজনকে সাথে নিয়ে কাবাব হাউসে গিয়ে সবাইকে শিক-পরোটা খাওয়ালাম। খাওয়া শেষ হতেই দীপু আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘অকেশনটা কী?’ সুন্দর করে বললাম, ‘দোস্ত মনে কিছু নিস না। আসলে আমি তোর কাছে কোনো টাকাই পেতাম না। এ খাওয়াটা আসলে তোর টাকাতেই হলো। তাই তু-ই বল অকেশনটা কী?’ দীপু লা-জবাব হয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগল আমাকে। আর সবাই হো হো করে হেসে উঠল।’
বইটির রচনামূলক অংশে দেখা গেছে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা মানানসই বলা যায় না। ‘কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছে এমন একজন শিক্ষার্থীর দিনলিপি’ শীর্ষক লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান আইনমন্ত্রীর নাম। অ্যাসাইনমেন্ট প্রদানকারী শিক্ষিকা নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘পিকনিক থেকে ফিরে এসে দিনলিপি’ শিরোনামে একজন ছাত্রীর বরাতে বইটিতে যা লেখা হয়েছে তা কখনো কাউকে ভালো কিছু শেখাতে পারে না। তার মতে, পাঠ্যবইয়ে এ জাতীয় বিষয় অশোভন ও অনৈতিক। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এ লেখাটি পড়ে একজন শিক্ষার্থী কী শিখবে। এমনিতেই আমাদের সমাজে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের অনাচার-বিকৃতি ছড়িয়ে পড়ছে। তারওপর কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এ জাতীয় লেখাকে উসকানিমূলক বলে মনে করেন তিনি।
উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটির কাভার পেজে প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. সফিউদ্দিন আহমদের নাম বড় করে লেখা থাকলেও তারা বইটির রচয়িতা নন। বইয়ের ইনার পেজে সব শেষে উল্লেখ করা হয়েছে রচয়িতাদের নাম। ইনার পেজে শুরুতে লেখা হয়েছে সম্পাদনায় প্রফেসর নিরঞ্জন অধিকারী ও প্রফেসর ড. সফিউদ্দিন আহমদ। তার নিচে লেখা হয়েছে পরিমার্জনায় প্রফেসর মো: আরিফুর রহমান, প্রফেসর আহমেদ ফারুক, ড. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, নিগার সুলতানা, প্রফেসর রোমজান আলী ও রাশিদা আক্তার। এরপর সবশেষে উল্লেখ করা হয়েছে রচনায় প্রফেসর মু. আব্দুল মান্নান ও জুলফিকার হোসেন তারা। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৯ সালে।

Thursday, August 20, 2015

চারটি বিষয় দেখে মানুষ বিয়েতে আগ্রহী হয়


রাসূল (সা.) বলেছেন, নারীর চারটি বিষয় দেখে মানুষ বিয়েতে আগ্রহী হয়। তার ধন-সম্পদ, তার মর্যাদা ও আভিজাত্য, তার রূপ-সৌন্দর্য, তার দ্বীন। তবে তোমরা নারীর দ্বীনকে প্রাধান্য দিও। (বুখারী ও মুসলিম)
তাই সবচেয়ে উত্তম হল, বিয়ের আগে প্রথমে পাত্রীর দ্বীনদারি জীবনযাপন সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া। এ ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক সংবাদ পাওয়া গেলে তারপর মহান আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্য চেয়ে কনে দেখার পয়গাম পাঠানো। যদি পাত্রী পক্ষ এ ছেলের ব্যাপারে নিজেদের সম্মতি প্রকাশ করে তখন দেখতে যাওয়া। নিজের বিশ্বস্ত কোনো নারী যেমন মা অথবা বোনের মাধ্যমে ওই মেয়ের চরিত্র এবং গঠন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া ভালো। তারপর উভয়ে উভয়ের পছন্দ হলে বিয়ের প্রস্তাব এবং অতঃপর শুভ বিবাহ।
বুখারী, মুসলিম, তিরমিযীসহ অন্যান্য বর্ণনায় হযরত মুগিরা বিন শোবা (রা.) বলেন, আমি রাসূলের (সা.) কাছে গিয়ে এক নারীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, আগে যাও, তাকে দেখে নাও। কারণ এ দেখাদেখি তোমাদের বন্ধনকে অটুট রাখতে সহায়ক। (বুখারী-৪৮৩৩, তিরমিযী-১০৮৭, মুসলিম-১৪৩৪) ইবনে মাজাহ এবং আহমদের বর্ণনায় মুহাম্মদ বিন মাসলামাহ (রা) বলেনশুনেছি,তিনি বলেছেন আল্লাহ পাক যখন কারো মনে কোনো নারীকে বিয়ের জন্য ইচ্ছা ঢেলে দেন, তখন ওই পুরুষের জন্য তার পাত্রীকে দেখে নেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই।
ইসলামী শরীয়তের বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম পাত্রী দেখাকে মুস্তাহাব বলেছেন। তবে কনের কোন কোন অংশ দেখা যাবে, তা নিয়ে সামান্য মতভেদ থাকলেও প্রায় সবাই একমত যে, পাত্রের জন্য পাত্রীর শুধু চেহারা এবং দু’হাত দেখা যাবে। একাকী মেয়ে এবং ওই ছেলেকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার বৈধতা ইসলামে নেই। কারণ তখনও তারা একে অপরের জন্য বেগানা (গায়ের মাহরাম)। বরং দেখাদেখির সময় সঙ্গে মুরব্বি অথবা অল্পবয়সী কেউ উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।
ইমাম আহমদের বর্ণনায় একটি হাদীস থেকে জানা যায়, বিশেষ প্রয়োজনে পাত্রীকে না জানিয়ে তাকে দেখে নেওয়া যাবে। তবে অগোচরে হোক কিংবা পাত্রীর সামনাসামনি হোক- সবসময় কয়েকটি বিষয়ের প্রতি সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পাত্র-পাত্রী দু’জনই দু’জনের জন্য উপযুক্ত এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক হতে পারে- এমন সম্ভাবনা থাকলে তখনই কেবল পাত্রীকে দেখার প্রস্তাব দেওয়া যাবে। পাত্র কিংবা পাত্রী- কারো পক্ষ থেকে যদি কোনোই সম্ভাবনা না থাকে, তবে এমন ক্ষেত্রে পাত্রী দেখার আয়োজন করা উচিত নয়।
পাত্রী দেখার সময় পাত্র বা ছেলের মনে যেন কোনো কুধারণা কিংবা কামনা না থাকে। ছেলেরও এ ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার যে, মেয়েটিকে পছন্দ হলে সে তাকেই বিয়ে করবে। শুধু দেখার জন্য দেখা নয়। দেখার মজলিসে অন্য কোনো পুরুষ যার সঙ্গে মেয়ের দেখা সাক্ষাত জায়েজ নেই, এমন কেউ থাকা যাবে না। চাই সে ছেলের বাবা কিংবা মামা-চাচা যেই হোন না কেন।
পাত্রী মাথা নিচু করে বসে থাকবে আর পাত্র তাকে দেখবে- মুরব্বিরা তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করবে, পাত্রীকে হাঁটতে বলা হবে, হাসতে বলা হবে- এসব কাম্য নয়। নারী বিয়ের পণ্য নয় যে তাকে এভাবে সবার সামনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, পাত্রীও তার পাত্রকে দেখে নিতে পারবে। তাই ছেলের চেহারা এবং গঠন দেখার অধিকার রয়েছে পাত্রীর। হযরত উমর (রা.) বলতেন, বিয়ের আগে পুরুষের যেমন নারীর কিছু বিষয় দেখে নেওয়ার রয়েছে, তেমনি নারীরও অধিকার রয়েছে তার সঙ্গীকে দেখে বেছে নেওয়ার।
মনে রাখতে হবে, মেয়ের গুণাগুণ ও মেজাজ মর্জি সম্পর্কে জানতে হলে অন্দরমহলের নারীদের মাধ্যমে আগে থেকেই খোঁজখবর নেওয়া ভালো। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তারপর পাত্রী দেখার আয়োজন। এর আগে নয়। কারণ মেয়ে দেখা তো আর ছেলেখেলা নয়। তবে প্রথমবার দেখে আসার পরও যদি কোনো সন্দেহ কিংবা সংশয় অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সুরাহা করার প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে আবারও পাত্রীকে সামনাসামনি দেখার অবকাশ ইসলামে রয়েছে।
পাশাপাশি পাত্রীর আসল রং আড়াল করার উদ্দেশে অথবা অন্য কোনো দোষ ঢেকে রাখার জন্য ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়। মানুষ হিসেবে স্রষ্টা যেভাবে যাকে সৃষ্টি করেছেন, সেটিই তার জন্য মঙ্গলময়। বিয়ের মজলিসে সামান্য লুকোচুরি পরবর্তী জীবনে অসামান্য বিবাদ ও অসহনীয় দ্বন্দ্ব বয়ে আনার কারণ হয়ে থাকে। এমনটি কারো কাম্য নয়।
আরেকটি বিষয়ে রাসূল (সা.) আমাদের সতর্ক করেছেন। ধরুন কোনো ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছে কিংবা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এমন সময়ে অন্য কেউ যেন সেখানে প্রস্তাব না পাঠায়। যখন নিশ্চিত জানা যাবে যে ওই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিংবা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তখনই নতুন কেউ সেখানে পয়গাম পাঠাবে। বুখারী, মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থে বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন অন্যের বিয়ের কথাবার্তা চলার সময় নতুন করে প্রস্তাব না পাঠায়।
পাত্রীকে দেখতে আসা উপলক্ষে মিষ্টিমুখ কিংবা খাবারের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে একে উপলক্ষ করে যেন নারী-পুরুষের বেপর্দা সমাগম না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পবিত্র কুরআনের একটি বৃহৎ এবং পূর্ণাঙ্গ সূরার নাম আল্লাহ পাক নারীদের (সূরা নিসা) নামে রেখেছেন। ইসলামই সর্বপ্রথম শিখিয়েছে, নারী কোনো পণ্য নয়। ভোগের বৃত্ত থেকে নারীকে মুক্ত করেছে ইসলাম। করুণার দৃষ্টি থেকে রেহাই দিয়ে প্রিয়নবী (সা.) নারীদের সবচেয়ে সম্মানিত অবস্থানে বসিয়েছেন। কাজেই পাত্রী দেখার আয়োজনে যেন কোনোভাবেই তার অধিকার ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা সচেতন মুসলমানের কর্তব্য।
বরপক্ষের সম্পদের প্রভাবে মোহগ্রস্ত হয়ে যে বাবারা নিজের মেয়ের সম্মতি ছাড়াই তাকে তুলে দেয়, তারপর জীবনভর দু’জনের সংসারে লেগে থাকা মনোমালিন্যের দায়ভার তিনি কীভাবে এড়িয়ে যাবেন! মেয়ের মুখ বুঁজে সব সয়ে যাওয়া মানে আল্লাহ পাকের কাছে পার পাওয়া নয়। সে হিসেব বড়ই কঠিন।

হিটলার আমলের ‘স্বর্ণভর্তি ট্রেনের সন্ধান’


অ্যাডল্ফ হিটলারের আমলে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণভর্তি একটি ট্রেনের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন গুপ্তধন সন্ধানকারীরা। পোলান্ডের পর্বতসঙ্কুল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়ালব্রিচ জেলায় প্রায় ৭০ বছর আগের এই ট্রেনটির সন্ধান পাওয়ার দাবি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষপ্রান্তে ১৯৪৫ সালে ট্রেনটি নিখোঁজ হয়। সে সময় সোভিয়েত রেড আর্মি নাৎসি জার্মানির কাছাকাছি চলে এসেছিল। জনশ্রুতি অনুসারে সেটি ওয়ালব্রিচের উদ্দেশ্যে তৎকালীন জার্মানির রোক্লো ত্যাগ করে। কিন্তু আর কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
এখন দুজন লোক, যাদের একজন জার্মান এবং একজন পোলান্ডবাসী, বলছেন যে তারা ১৫০ ফুট দীর্ঘ ট্রেনটি খুঁজে পেয়েছেন। এতে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। ওয়ালব্রিচ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা মারিকা তোকারস্কা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সেটি ছিল একটি সামরিক ট্রেন। ফলে সেটিতে অবিস্ফোরিত বোমাসহ নানা অস্ত্রশস্ত্র থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এমনকি সেটিতে নাৎসি আমলের পরমাণু প্রযুক্তিও থাকতে পারে। তাই সামরিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তা চেয়েছে জেলা পরিষদ। পোলান্ডের আইন অনুসারে কেউ গুপ্তধনের সন্ধান পেলে তাকে তার ১০ ভাগ দেয়া হয়।

বুবকার মতো নিজের রেকর্ড ভেঙেই চলেছেন জুকারবার্গ


২০০৪ সাল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বন্ধু বানালেন HarvardConnection.com। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মুখ ও নাম সহ দারুণ মজার জিনিস হিসাবে উঠে এল হার্ভার্ড কানেকশন। পরে যা বদলে যায় ফেসবুকে। ২৪ বছর বয়সেই মিলিয়নেয়ার হিসাবে রেকর্ড করেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। তার পর থেকে বর্তমানে ফেসবুকের মোট যা গ্রাহক সংখ্যা, তাকে এক আলাদা দেশ বললেও অত্যুক্তি হয় না। জনসংখ্যার দিক থেকে দেশ হিসাবে যদি ধরা হয়, তাহলে তা হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। চিন এবং ভারতের পরেই। ২৪ বছর বয়সে প্রথম রেকর্ড গড়ার পরে বুধবার আবার এক নয়া রেকর্ড। ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সব থেকে ধনী হিসাবে উঠে এসেছে মার্ক জুকারবার্গের নাম।
ওয়েলথ এক্স নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মার্ক জুকারবার্গ আপাতত ৩৫ অনূর্ধ্ব বিশ্বে আয়ের দিক থেকে সবার উপরে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ৪১.৬ বিলিয়ন ডলার (এক বিলিয়ন = ১০০ কোটি)। তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন ফেসবুকের অপর প্রতিষ্ঠাতা ডাস্টিন মস্কোভিৎজ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯.৩ বিলিয়ন ডলার।
ওয়েলথ এক্স-এর তালিকায় অনূর্ধ্ব ৩৫ ধনীদের মধ্যে সেরা ২০-র তালিকায় রয়েছেন মাত্র ছ'জন মহিলা। এই তালিকায় এখন ঢুকে পড়েছে 'বাইরে লাল ভিতরে সাদা' কমিউনিস্ট চিনও। চিনা রিয়েল এস্টেট সংস্থা কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ৩৪ বছরের ভাইস চেয়ারম্যান হুইয়ান ইয়াংকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মহিলা বলে উল্লেখ করেছে এই ওয়েলথ এক্স। তিন নম্বরে রয়েছেন এই মহিলা।
তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ হলেন স্ন্যাপচ্যাটের সিইও ২৫ বছর বয়সী ইভান স্পিগেল। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৯ বিলিয়ন ডলার। সেরা কুড়ির এই তালিকায় ১১ জনই মার্কিন নাগরিক। লালচিন ও সুইজারল্যান্ডের তিন জন করে রয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয়র নাম নেই এই তালিকায়।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ: সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে

৩০ টাকায় ভারত ভ্রমণ


দার্জিলিং আর ভারত অনেকে একসাথেই ঘুরে আসলেও আলাদা করে ভারতে দেখার মতন আরো জায়গা রয়েছে। তাছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কিংবা কলকাতাও হতে পারে আপনার ঘুরতে যাওয়ার মতন জায়গা। হয়তো বাংলাদেশের চাইতে খুব বেশি আলাদা নয় সেগুলো। তবে অন্য সংস্কৃতির ছোঁয়া পাবেন আপনি সেখানে গেলে।
কলকাতা যেতে হলে বর্তমানে সবচাইতে সোজা ও কম খরচের ব্যবস্থা হচ্ছে রেল ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে দর্শনা যেতে হবে। সেখান থেকে মাত্র ৩০ টাকা ভাড়াতেই মৈত্রী এক্সপ্রেসে উঠে পৌঁছে যেতে পারবেন আপনি কলকাতাতে। কিছুদিন আগে ভারত ঘুরে আসা ছড়াকার হাসনাত আমজাদ একটি অনলাইন পোর্টালকে এমটিই জানিয়ে ছিলেন।
তবে এর জন্যে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে দর্শনা। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে সোজা কলকাতা। সময়ও কম লাগবে ভাড়াটাও কম!

Wednesday, August 19, 2015

পানীয় ক্যান-এ বাজিমাত, লাফিয়ে বাড়বে ইন্টারনেট স্পিড!


বেশ চলছিল। ঝটপট খুলে যাচ্ছিল যে কোনও ওয়েবসাইট। হঠাৎ শুরু হল বাফারিং। ইন্টারনেটের স্পিড কমে গিয়েছে অনেকটা। ক্লিক করে গালে হাত দিয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। অপেক্ষা, কখন স্পিড বাড়বে? এ সমস্যা সমাধান করে দেবে যে কোনও পানীয়ের ক্যান। এক লাফে স্পিড বেড়ে হবে দ্বিগুণ! হ্যাঁ, ছোট্ট কসরতে বাড়িতে বসেই কয়েক মিনিটের চেষ্টায় ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে পারবেন। এর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হওয়ারও প্রয়োজন নেই।
কী ভাবে?
পানীয়ের ক্যানটি প্রথমে খালি করুন। ফেলে খালি করবেন, না খেয়ে, সেটা আপনার ব্যাপার। ক্যানের উপরের অংশটি একটি ছোট ছুরি দিয়ে পুরোপুরি কেটে নিন। নীচে অংশের খানিকটা বাদ দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর ক্যানের বডির মাঝখান থেকে লম্বালম্বি কাটুন। পানীয়ের ক্যানটি দেখতে হবে অনেকটা স্যাটেলাইট ডিশের মতো। কোনও আঠা দিয়ে স্যাটেলাইট ডিশের মত দেখতে ক্যানটি স্রেফ রাউটারের সঙ্গে জুড়ে দিন।
তারপর ম্যাজিক-টা নিজেই দেখতে পাবেন। ব্রডব্যান্ড স্পিড হু-হু করে বাড়তে থাকবে। বাড়িতে এই সহজ পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন। ইন্টারনেটের স্পিড নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা (ভিডিও)-অতিথি


Tuesday, August 18, 2015

নড়াইলের ছোট্ট মেয়ে শুভ্রা থেকে ভারতের ফার্স্ট লেডি


ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতির স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের আদি নিবাস ছিল অধুনা বাংলাদেশের নড়াইল। শুভ্রা মুখোপাধ্যায় বিয়ের আগে ছিলেন শুভ্রা ঘোষ। তিনি ভদ্রবিলা গ্রামের স্বর্গীয় অমরেন্দ্র ঘোষের মেয়ে। ১৯৪৩ সালে নড়াইল সদরের চাঁচড়া গ্রামের নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শুভ্রা ঘোষ। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত কাটান নিজ গ্রাম ভদ্রবিলায়। এরপর তিনি আবার নানা বাড়ি বসবাস শুরু করেন এবং স্থানীয় চাঁচড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।
পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভারত চলে যান। বিয়ে হয় ১৯৫৭ সালের ১৩ জুলাই। ওই সময় তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। প্রণব ও শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের তিন সন্তান। দুই ছেলে অভিজিৎ ও সুরজিৎ এবং এক মেয়ে শর্মিষ্ঠা । রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সস্ত্রীক প্রণব মুখোপাধ্যায় একবার বাংলাদেশ সফরে ঘুরে গিয়েছিলেন তাঁর আদি শ্বশুরবাড়িতে এবং ঘণ্টা দুয়েক ওই পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান ভারতের রাষ্ট্রপতি। ২০১২ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর ঠিকানা হয়ে যায় রাইসিনা হিলস।
শুভ্রা মুখোপাধ্যায় ছিলেন রবীন্দ্রসংগীত এবং নৃ্ত্যশিল্পী৷ তিনি গড়ে তোলেন গীতাঞ্জলী ট্র্যুপ। উদ্দেশ্য নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রদর্শন তুলে ধরা ৷ দেশের পাশাপাশি ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অামেরিকার মাটিতে তিনি তাঁর নৃত্যনাট্য পরিবেশেন করেছেন বছরের পর বছর৷ মাঝে মাঝে তুলিও ধরেছেন তিনি এবং তাঁর ছবির প্রদর্শনী হয়েছে৷ এছাড়া দুটি বই লিখেছিলেন শুভ্রাদেবী ৷ শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ভিত্তি করে লিখেছিলেন ‘চোখের আলোয়’৷ অন্যদিকে ‘চেনা অচেনা চিন’ হল তাঁর চিন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কাহিনি ৷

অন্তর্বাসের ভিতর ৬৫টা সাপ নিয়ে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা


অন্তর্বাসের লুকিয়ে রাখা ছিল ৬৫টা সাপ। ব্লাউজে লুকিয়ে রাখা ৬টা টিকটিকি। প্রথমটা দেখে বোঝা যায়নি। কিন্তু পরে সন্দেহ হয় এক পুলিস কর্মীর। তখনই শুরু হয় তল্লাসি। এরপরই চমকে যান সবাই। বছর ৪২-এর এক মহিলার অন্তর্বাস থেকে কিলবিল করে বের হতে শুরু করে ৬৫টা সাপ। তার আগে বের হয় ৬টা টিকটিকি।
সুইডেনের কাস্টমস দফতরের কর্মীদের জেরার মুখে সেই মহিলা বলেন, তিনি একটা সরীসৃপ ফার্ম করতে চাইছেন। যে কারণে তিনি বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে সাপ, টিকটিকি সংগ্রহ করছেন। যেহেতু নিয়মমাফিক সাপ বা টিকটিকি সুইডেনে নিয়ে আসা বারণ তাই তিনি লুকিয়ে এই কাজ করেছেন। ঘটনায় স্তম্ভিত কাস্টমস দফতরের কর্মীরা। তারা বলছেন, এভাবেও কোনও জিনিস পাচার করা যায় তা বোঝা কঠিন।

Monday, August 17, 2015

বাংলাদেশের ইলিশ ভারতের গঙ্গা-পদ্মা উৎসবে


২৩ আগস্ট ভারতের গঙ্গা-পদ্মা ইলিশ উৎসবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌজন্য হিসেবে ৪টি কার্টুনে ২শ ইলিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ইলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়,আগামী ২৩ আগস্ট ভারতের কাকড়গাছি সুভাস পার্কে গঙ্গা-পদ্মা ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া জন্য আহবান করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়কে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে সৌজন্য হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ইলিশ গ্রহন করেন,কলকাতা পৌরসভার মেয়র শ্রী শোভন চ্যাটার্জী। ওই উৎসবের যোগ দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে বলেও জানা গেছে।
জাতীয় সংসদদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ এমপি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত আমাদের অনেক দিন ধরে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দু’ দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য মনোভাব আরও েেজারদার করতে এটা সামান্য উপহার।

Saturday, August 15, 2015

আজানের অর্থগুলো জেনে নেই


আমরা প্রতিদিন পাঁচবার করে আজান শুনি। ফলে আজানের শব্দগুলো আমাদের নিকট খুবই পরিচিত । কিন্তু এ আজানের শব্দগুলোর অর্থ কি আমাদের সবার কাছে পরিচিত নয়। আসুন! শব্দগুলোর অর্থ জেনে নিই।
الله أكبر، الله أكبر،
الله أكبر، الله أكبر،
আল্লাহু আক্বার, আল্লাহু আক্বার
আল্লাহু আক্বার, আল্লাহু আক্বার
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
أشهد أن لاإله إلاالله، أشهد أن لاإله إلاالله،
أشهد أن لاإله إلاالله، أشهد أن لاإله إلاالله،
আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্,
আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্,
অর্থ
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
أشهد أنَّ محمدًا رَسُوْلُ اللهِ،
أشْهَدُ أنَّ محمداً رسول الله،
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্,
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্,
অর্থ
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল।
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল।
حيَّ عَلىَ الصَّلاَةِ،
حي على الصلاة، হাইয়্যা আলাস্সালাহ্, হাইয়্যা আলাস্সালাহ,
অর্থ : এসো নামাজের দিকে, এসো নামাজের দিকে।
حي على الفَلاَحِ،
حي على الفلاح
হাইয়্যা আলাল্ ফালাহ, হাইয়্যা আলাল্ ফালাহ,
অর্থ : এসো কল্যাণের পথে, এসো কল্যাণের পথে।
الله أكبر، الله أكبر،
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
لاإله إلا الله
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
ফজরের আজানে অতিরিক্ত বলা হয়‘আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম, আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম। অর্থ : ঘুম থেকে নামাজ উত্তম, ঘুম থেকে নামাজ উত্তম।

ইউরোপ হামলার আহ্বান লাদেনপুত্র হামজার


আল-কায়েদা এবার ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেনের একটি বার্তা প্রকাশ করেছে। এতে তিনি লন্ডনসহ পাশ্চাত্যে হামলার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর ডেইলি টেলিগ্রাফের। জিহাদিদের টুইটারে অডিও বার্তাটি শেয়ার করা হয়েছে। এটাই হামজার প্রথম বার্তা।
হামজার বয়স ২৩-২৪ বছর বলে ধারণা করা হয়। তাকে এর আগে আল-কায়েদার মুখপাত্র হিসেবে দেখা যায়নি। তবে তাকে সংগঠনটির ভবিষ্যত নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিহত লাদেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা একটি চিঠিতে ইঙ্গিত মিলছে যে হামজাকে উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে তুলছিলেন লাদেন।
লাদেনের মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ডানহাত হিসেবে পরিচিত আয়মান আল-জাওয়াহিরি।
লাদেনের কনিষ্ঠ পুত্র হামজা ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
অডিও বার্তায় হামজা, লন্ডন, ওয়াশিংটন, প্যারিস ও তেল আবিবে হামলার আহ্বান জানান।
অ্যাবোটাবাদের লাদেনের সাথে হামজাও নিহত হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছিল। পরে জানা যায় যে তিনি মারা যাননি, নিহত হয় লাদেনের আরেক পুত্র খালেদ।
সে সময় তিনি ওই কম্পাউন্ড থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে কোনো কোনো খবরে বলা হয়। এরপর থেকে তার হদিস মেলেনি।
অডিও বার্তায় তিনি আমেরিকা এবং তার মিত্র এবং বিশ্বব্যাপী ইহুদি স্বার্থে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলে ট্ইুটারে বলা হয়েছে।
সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনটি আশা করা করছে, হামজার নেতৃত্বে আবার ঘুরে দাঁড়াবে আল কায়েদা।

সর্বনিম্ন টিকেট মূল্য ১৫০০০, ঢাকায় আসছেন সানি লিওন


বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী সানি লিওন ঢাকায় আসছে! খবরটিতে হয়তো অনেকেই চমকে উঠবেন। এর আগে অবশ্য সানি লিওনের আসার খবর বেশকিছু অনলাইন দৈনিক প্রকাশ করলেও শেষ অবধি চূড়ান্ত কোনো খবরে গড়ায়নি।
তবে এবারে সানি লিওনের নিজস্ব কনসার্টের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ সানি লিওনের এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে অফিসিয়ালি। মূলত সেই প্রতিষ্ঠানই ঢাকায় এই কনসার্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। এরই ভেতরে সাননিলিওন আসার প্রাথমিক সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। তারিখও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে মূল তারিখটি আয়োজক প্রতিষ্ঠান খুব শিগগিরই অফিসিয়ালি জানাবেন। বসুন্ধরার কনভেনশন হলে ৪ ক্যাটাগরির আসন বিন্যাসের মাধ্যমে এই টিকেট শোটি অনুষ্ঠিত হবে।
সানি লিওনের পারফর্মেন্সের আগে গান গাইবেন আতিফ আসলাম। মোট ৪০০০ টিকেট-এর এই শোটির সর্বনিম্ন টিকেট মূল্য ১৫০০০ টাকা রাখা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। একই সাথে সানি লিওনের নাচের পারফর্মেন্সের জন্য তার পুরো দলও ঢাকায় আসবে।

Thursday, August 13, 2015

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা দেড় যুগ ধরে কে কোথায়?


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ছয় খুনিকে গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ ঝুলছে দেড় যুগ ধরে। বছরের পর বছর পার হলেও তারা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের ফিরিয়ে আনতে রয়েছে সরকারের কঠোর অবস্থান, নির্দেশনা ও তৎপরতা। কিন্তু বার বার অবস্থান পরিবর্তন করায় এসব খুনিকে শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আত্মগোপনে থাকা ফাঁসির দ-প্রাপ্ত খুনিরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক লে. কর্নেল এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আবদুর রশিদ, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। উচ্চ আদালতের রায়ে অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক লে. কর্নেল এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আবদুর রশিদ, ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), মেজর একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার,) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও লে. কর্নেল আবদুল আজিজ পাশা। বাকি তিন অভিযুক্ত আসামি সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন কিসমত হাশমী, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আবদুল মজিদকে খালাস দেয়া হয়। দ-াদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জনকে ফাঁসি দেয়া হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তারা হলেন মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল ফারুক রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), শাহরিয়ার রশিদ খান ও এ কে এম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার)। বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড ও মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে দ- কার্যকর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও রেড নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। এর আগেই কারাগারে বন্দি ছিলেন বাকি তিন আসামি। আর জিম্বাবুয়ে আত্মগোপনে থাকা আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান।
এদিকে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন কিসমত হাশমী, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আব্দুল মজিদও আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের মধ্যে হাশমী ও আনসারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি রয়েছে। তারা দুজনেই বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। তবে বাকি আসামি মজিদ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই পুলিশ বিভাগে। পালিয়ে থাকা এই তিন আসামিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা (মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া ১৫ আসামির মধ্যে) থেকে খালাস দেয়া হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃতুদ-প্রাপ্ত ছয় খুনিকে শিগগির ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে রক্ষা করা হচ্ছে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি অনলাইনে নিউজ পোর্টালে এ কথা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, এখনই এ সম্পর্কে কিছু জানাতে চাচ্ছে না সরকার। খুনিদের ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। খুনিদের ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কয়েক বছর ধরে কাজ করছে এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেই জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেশ কয়েকজন খুনির অবস্থান সনাক্ত করা হয়েছে। এসব খুনি যুক্তরাষ্ট্র, লিবিয়া ও কানাডায় অবস্থান করছে।
তিনি জানান, পলাতক থাকা খুনিদের ফিরিয়ে আনতে আইনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দুইটি ল’ ফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লিবিয়ার কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এদিকে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, খুনি রাশেদ চৌধুরী রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। নূর চৌধুরী রয়েছেন কানাডায়। খন্দকার আব্দুর রশিদ রয়েছেন লিবিয়ার বেনগাজি শহরে। শরিফুল হক ডালিম কেনিয়ায় ব্যবসা করলেও তার যাতায়াত রয়েছে লিবিয়া ও পাকিস্তানে। আব্দুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিন পাকিস্তান কিংবা লিবিয়ায় থাকতে পারেন। তবে প্রায়শই তারা দেশ বদল করছেন বলে জানা গেছে। এসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে তাদের ওপর নজর রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

Tuesday, August 11, 2015

মেয়ের সঙ্গে মাও পাস


ভোলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মা পেয়েছেন জিপিএ ৪.৯১ এবং তার মেয়ে পেয়েছেন জিপিএ ৪.৭০। তারা হলেন- ভোলা শহরের পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাস্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নৃত্যশিল্পী সালাউদ্দিন হারুনের স্ত্রী কাওছার জাহান শিখা ও তার মেয়ে সানজানা আইভি বর্ষা।
তাদের মধ্যে- মা শিখা জেলা সদরের ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজ থেকে কারিগরি শাখায় এবং মেয়ে বর্ষা বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ থেকে মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
রোববার প্রকাশিত এইচএসসি ফলাফলে উভয়েই সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শুরু থেকেই নিজের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে পড়ালেখায় বেশ মনোযোগী ছিলেন তারা। শত ব্যস্ততার মধ্যেও কঠোর পরিশ্রম করে পড়ালেখায় ভালো ফলাফল করতে পেরে বেশ আনন্দিত মা ও মেয়ে। বর্ষা শহরের নামকরা নৃত্যশিল্পী। সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরের ধারার নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বর্ষা বলেন, মা এ বয়সে পাস করায় আমি মহাখুশি। তার মতে পড়ালেখার কোনো বয়স নেই। শুধু নিজের ইচ্ছা থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করে সফলতা অর্জন করা যায়।

একই দিনে দুই দলের হয়েই ক্রিকেট


একই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারত দুই দলেরই জার্সি গায়ে চাপালেন মানদীপ সিং। চেন্নাইয়ের ভ্যাপসা গরমে জীবন ওষ্ঠাগত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোববার দলটির কমপক্ষে দশজন খেলোয়াড় ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। অবস্থায় এমন দাঁড়িয়েছে যে আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ম্যাচটি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকেরা।
ভারতের চেন্নাইয়ে এই মুহূর্তে মাঠে আছে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় রোববারের ম্যাচটি প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের গণ অসুস্থতায় শেষ অবধি ‘প্রহসনে’ পরিণত হয়। অসুস্থতার কারণে মাঠে নামতে না পারা খেলোয়াড়দের শূন্যস্থান পূরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ভিডিও অ্যানালিস্ট হেনড্রিক্স কোয়ের্টজেন ও ভারতীয় ‘এ’ দলের ক্রিকেটার মানদীপ সিং। মানদীপ কোনো স্বীকৃত লিস্ট-এ ম্যাচে এই প্রথমবারের মতো একই দিনে দুটো দলের হয়ে ভিন্ন ভিন্ন রঙের জার্সিতে মাঠে নেমে গড়লেন ইতিহাসও।
ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া কুইন্টন ডি কক করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় অসুস্থ থাকায় ভারতের মাটিতে পা দিয়েই মাঠে নেমে যেতে হয় তাঁকে। অক্ষর প্যাটেল, কর্ন শর্মাদের বোলিং সামলে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজের জন্য স্বস্তি ফেরালেও শেষ অবধি পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। অসুস্থ শরীর নিয়ে খেলেছেন রেজা হেনড্রিক্স, খায়া জোন্ডো, থোকোজিসি শেজির মতো ক্রিকেটাররা। খেলার পর তাদের হাসপাতালমুখীই হতে হয়েছে।
আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে ফিকশ্চারে থাকা ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বদলে মাঠে নামবে ভারত।

Saturday, August 8, 2015

মহিলার বুকে খোঁজ মিলল 'কিডনি'র


এক মহিলার নিখোঁজ কিডনির সন্ধান পাওয়া গেল বুকের ভিতরে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে, তাও আবার ভারতেই।
উত্তরপ্রদেশের মোরারাবাদ জেলার চিকিৎসক বিনয় কুমার সাক্ষী থাকলেন চিকিৎসা জগতের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনার। তিনিই জানিয়েছেন তাঁর এই বিরল ঘটনায় সাক্ষী থাকার কথা।
পেশায় রেডিওলজিস্ট বিনয়কুমার জানিয়েছেন, পেটে ব্যথা নিয়ে চল্লিশ বছরের মীরা (নাম পরিবর্তিত) হাসপাতালে তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করতে বলা হয় অবধারিতভাবে। প্রথমে বিষয়টিকে তেমন ঘোরতর বিষয় বলে ভাবেননি চিকিৎসকেরা। তবে আল্ট্রা সোনোগ্রাফির পরই চোখ কপালে ওঠে সকলের। চিকিৎসকেরা দেখেন মীরার ডান দিকের কিডনি নেই। এরপরই তাঁকে নিয়ে গিয়ে আরও কয়েকটি পরীক্ষা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এক্স রে-তে দেখা যায়, মীরার বাম কিডনিটি সঠিক স্থানে থাকলেও ডানদিকের কিডনিটি বুকে উঠে গিয়েছে।
তবে মীরাদেবীর সেভাবে কোনও বড় অসুখ নেই। পেটের ব্যথার যে সমস্যার কথা তিনি বলেছেন তা অন্য কোনও কারণে হয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় এমন ঘটনাকে বলে 'ট্রান্স ডায়ফ্রাগম্যাটিক থোরাকিক একটোপিক কিডনি'। রয়েছে, দেখতেও এঅবস্থায় যেহেতু মীরার তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না, ফলে কোনও অস্ত্রপচারেরও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, এভাবেই সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন তিনি।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ: ১৬ শতকের কঙ্কাল সাজল সোনা রূপা জহরে

স্ত্রী পরপুরুষকে ভালোবাসে, খুশি মনে দুজনের বিয়ে দিলেন স্বামী (জয় হোক পুরুষ প্রজাতি প্রানি কোলের)


পরকীয়ার পরে সংসারে অশান্তি, নিত্য গণ্ডগোল এবং সবশেষে বিষাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ। বহু সংসারেই এই অশান্তি লেগেই রয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের বিকাপুর গ্রামের ফুলচাঁদ যেমন। ২০১২ সালে বিয়ে হওয়ার পরে টাকা রোজগারের জন্য তৎক্ষণাৎ গ্রাম ছেড়ে, স্ত্রীকে ছেড়ে জলন্ধরে চলে যেতে হয়েছিল। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে কথা হলেও ঘুণাক্ষরে কিছু বুঝতে পারেননি।
'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় যেমন অজয় দেবগণ যেমন বুকে পাথর রেখে তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যকে প্রেমিক সলমনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, তেমন কিছুই বাস্তবে করে দেখিয়েছেন ফুলচাঁদ। গত ৪ অগাস্ট ফুলচাঁদ যখন বাড়ি ফেরেন, স্ত্রী চন্দা নিজের মুখেই স্বীকার করেন সূরজ নামে একজনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। জানান, বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বাড়ির চাপে সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে।
মাঝের সময়েও দুজনে দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানান। ঘটনা শুনে প্রথমে খুব রেগে যান ফুলচাঁদ, ভীষণ দুঃখও পান। তবে সব সামলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে বিয়ে দেবেন প্রেমিকের সঙ্গে। সেইমতো বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে সবাইকে রাজি করিয়ে সূরজ ও চন্দার বিয়ে দিয়েছেন ফুলচাঁদ। প্রথমে গররাজি বিকাপুরের পঞ্চায়েত প্রধান গোটা ঘটনায় সেলাম ঠুকেছেন ফুলচাঁদকে। আর ফুলচাঁদ নিজে জানিয়েছেন, আমি খুশি কারণ চন্দা আমার সবটাই সত্যি কথা বলেছে এবং আমার উপরে বিশ্বাস রেখেছে।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ:
জন্মদিনে মেয়ের মুখে হাসি এনে দিতে বাবার অভিনব উপহারে হাততালি দিচ্ছে ওয়েবদুনিয়া

Thursday, August 6, 2015

১০ বিষয় যা আপনি জানতেন না


পৃথিবীতে প্রতিদিন কত কিছুই ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে কত কিছু। যার অধিকাংশই আপনি জানেন না। জানলেও এই মুহূর্তে মনে নেই। জেনে নিন এমন ১০ জিনিস। এক. ফেসবুকের জনক মার্ক জাকারবার্গের পেইজে যেতে হলে আপনাকে কষ্ট করে নাম লিখে সার্চ দিতে হবে না। ফেসবুকের ইউআরএল এর শেষে /৪ যোগ করলেই সেটি আপনাকে সরাসরি ফেসবুকের মালিকের পেইজে নিয়ে যাবে।
দুই. বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এটা জানলেও আপনি জানেন না ১৯৮২ সালে একে জাতীয় মসজিদ ঘোষণা করা হয়।
তিন. আমার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গিতটি সর্ব প্রথম প্রকাশ হয়েছিল বঙ্গদর্শন পত্রিকায়।
চার. বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ হলেও এটা অনেকেই জানি না ১ অগ্রহায়ন কৃষি দিবস।
পাঁচ. আমরা তিন বেলা ভাত খেলেও চাল উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কিন্তু চীন।
ছয়. পানির তলায় মাটি কাটা যায় জানলেও জানি না সেই যন্ত্রের নাম ড্রেডলার।
সাত. মুখ থাকলেও মাছেরা কথা বলতে পারে না, তারা দাঁতে দাঁত ঘঁষে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে।
আট. নামে বাঘ হলেও চিতাবাঘ গর্জন করতে পারে না, ডাকে অনেকটা বিড়ালের মতোই।
নয়. প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য।
দশ. ইউটিউবে প্রতি মাসে ৬০০ কোটি ঘণ্টারও বেশি ভিডিও দেখা হয় । অর্থাৎ যা বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের মাসে এক ঘণ্টা করে ভিডিও দেখার মতো।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ: গুরুত্বপূর্ণ ১০১টি সাধারণজ্ঞান

পবিত্র কাবা শরীফের ভেতরের দৃশ্য (ভিডিও)


কাবা শরীফ বা আল্লাহর ঘর বর্গাকৃতি। কাবাঘরের উচ্চতা ৩৯ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর পূর্ব দেওয়াল ৪৮ ফুট ৬ ইঞ্চি, পশ্চিম দেওয়াল ৪৬ ফুট ৫ ইঞ্চি, উত্তর দেওয়াল (হাতিমের পাশ) ৩৩ ফুট এবং দক্ষিণ দেওয়ালে (কালো পাথর কর্নার থেকে ইয়েমেনি কর্নার) ৩০ ফুট। (ইবরাহিমিক ফাউন্ডেশন) এ পবিত্র ঘরখানা মানব কল্যাণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আল্লাহর ঘর কাবা শরীফ সর্বোত্তম বরকতময় অর্থাৎ সব বরকতের আঁধার। এখানে আল্লাহ তাআলার অনেক প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী রয়েছে যেমন মাকামে ইবরাহিম, সাফা পাহাড়, মারওয়া পাহাড়, জমজম কূপ ইত্যাদি।
পবিত্র কাবা ঘরের ভিতরের দৃশ্য ডা. মুজ্জামিল সিদ্দিকি, প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক সোসাইটি, উত্তর আমেরিকা (আইএসএনএ) সৌভাগ্যক্রমে তিনি ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে এ পবিত্র ঘরখানার ভেতরে যাওয়ার সুযোগ পান। তিনি সাউন্ড ভিশনের সাক্ষাতকালে কাবাঘরের ভেতরের বর্ণনায় যা বলেন, তার কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো-
কাবা ঘরের ভেতরে কোনো ইলেকট্রিক লাইট নাই।
এ ঘরের মেঝে এবং ওয়াল মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত।
এ ঘরের কোনো জানালা নাই।
কাবা ঘরের ১টি মাত্র দরজা।
আল্লাহ পাকের পবিত্র কাবা ঘরটির দরজা হাজরে আসওয়াদের পাশে কাবা ঘরের পূর্ব পাশে অবস্থিত। হাজরে আসওয়াদঃ হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থ কালো পাথর। কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারে সিনা বরাবর উঁচুতে দেওয়ালের কোনো রূপার বৃত্তে গাঁথা কালো পাথরকে হাজরে আসওয়াদ পাথর বলে এটি বেহেশতের একটি পাথর। বেহেশত হতে আসার সময় এটি দুধের মতো সাদা ছিল। কিন্তু বনি আদমের গোনাহ্ এটিকে কালো বানিয়ে ফেলেছে। এটি চুম্বন করা সুন্নত কিন্তু চুম্বন করতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়া গুণাহ। বর্তমানে এখানে প্রচ- ভিড় থাকে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে দূরে থেকে হাত দ্বারা ইশরায় চুম্বন করা বাঞ্ছনীয়। হাজরে আসওয়াদ এবং চৌকাঠ ছাড়া বাইতুল্লাহ শরীফের অন্য কোনো জায়গায় চুমু খাওয়া জায়েজ নয়। মুলতাজামঃ কাবাঘরের দরজা ও হাজরে আসওয়াদ পাথরের মধ্যবর্তী স্থান। এটি দোয়া কবুলের স্থান। তাওয়াফ সমাপনের পর সম্ভব হলে বুক, চেহারা দেওয়ালে লাগাবেন এবং আঁকড়ে ধরবেন (যদি সুগন্ধি ব্যবহার না করে থাকেন)। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি এ স্থানে যে দোয়াই করেছি তা কবুল হয়েছে। আপনি যেহেতু ইহরাম অবস্থায় আছেন সেহেতু কাবা শরীফে মোড়ানো চাদর যেন আপনার মাথা বা চুলকে স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। রোকনে ইয়ামেনীঃ কাবাঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এটি অবস্থিত। যেহেতু এটি ইয়ামিনের দিকে অবস্থিত তাই একে রোকনে ইয়ামেনী বলা হয়। তাওয়াফের সময় এটিকে ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করতে হয়, তবে না পারলে কোনো ইশারা করার প্রয়োজন নেই। রোকনে শামীঃ কাবাঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণ, যা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত। হাতিমঃ কাবাঘরের উত্তর দিকে অবস্থিত অর্ধ বৃত্তাকারের কাঁধ পর্যন্ত উঁচু দেওয়াল ঘেরা স্থানকে হাতিম বলে। এটি কাবাঘরের অংশবিশেষ।
পবিত্র কাবা শরীফ সম্পর্কে মূল্যবান কিছু তথ্য-
মানুষের আদি পিতা হযরত আদম (আ.) ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ চেয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করলে আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতারা বাইতুল ইজ্জত এর নকশা পৃথিবীর মধ্যস্থলে ফেলে দেন। বাইতুল ইজ্জত হচ্ছে চতুর্থ আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদ যা ফেরেশতারা আল্লাহর ইবাদত করার জন্য ব্যবহার করে। হযরত আদম (আ.) এর ছেলে হযরত শীষ (আ.) ঐ নকশার উপর ভিত্তি করে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, এই মসজিদই আমাদের কাবা শরীফ।
অন্যান্য তথ্যঃ
১। কাবা শরীফের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার, পশ্চিম ও দক্ষিন দিক থেকে ১২.১১ মিটার এবং উত্তর দিক থেকে ১১.২৮ মিটার। এর ভেতরের মেঝে রঙ্গিন মার্বেল পাথরে তৈরী।
২। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে।
৩। এর ভেতরের দেয়ালগুলি সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলি প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়।
৪। এর ছাদে ১২৭ সে.মি লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর ধোয়া হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়।
৫। কাবা ঘরের ভেতর প্রতি বছর দুবার ধোয়া হয়, শাবান মাসের ১৫ তারিখ এবং মহররম মাসের মাঝামঝি সময়।
৬। মেঝে এবং দেয়াল গোলাপ আতর মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া হয়। ধোয়ার পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়।
৭। কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরনটি(কিশওয়া) প্রতি বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়। সূত্র : সৌদি গেজেট, ৩ জানুয়ারী, ২০১০।
ভিডিও: ভিডিও দেখতে এখানে ক্লক করুন

যৌবনের রক্তে বার্ধক্য দূর


কথায় বলে যৌবনে নাকি রক্তের তেজ বেশি থাকে। বিজ্ঞানীরা এখন পরীক্ষা করে দেখছেন, কথাটা উল্টো দিক থেকেও সত্যি। অর্থাৎ রক্তের তেজ যদি ধরে রাখা যায়, তা হলে যৌবনকেও হাতের মুঠোয় রাখা যেতে পারে!
অনন্ত যৌবনের আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরকালের সঙ্গী। মহাভারতের যযাতি নিজের জরা বিনিময় করেছিলেন ছেলের যৌবনের সঙ্গে! এখন চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূরে রাখতে কত কৃৎকৌশলই না আঁকড়ে ধরছে মানুষ! কেউ বোটক্স করাচ্ছেন, কেউ রূপটানে মন দিচ্ছেন। অনেকে আবার ভরসা রাখছেন সুষম আহার এবং শরীরচর্চাতেই। লক্ষ্য কিন্তু একটাই, জরা দূর হটো!
সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ কিন্তু আসল রাস্তাটা প্রায় দেখিয়েই দিয়েছে। টনি ওয়াসি-কোরে নামে এক গবেষক সেখানে জানিয়েছেন— রক্তই সেই অমূল্য রতন যার কল্যাণে কৈশোর যৌবনে এবং যৌবন জরায় রূপান্তরিত হয়। সেই সূত্রেই তাঁর দাবি, নবীন রক্তই পারে প্রবীণের জরা বিলম্বিত করতে।
টনি এমনিতে দীর্ঘদিনই বার্ধক্য নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল অ্যালঝাইমার্স। এই রোগে আক্রান্তদের বড় অংশই বয়স্ক। টনি খুঁজে দেখার চেষ্টা করছিলেন, বুড়ো বয়সে কে এই রোগের শিকার হবেন সেটা তাঁর যৌবন কালে আগাম বলে দেওয়া যায় কি না! শেষ অবধি টনি বুঝলেন, উত্তরটা লুকিয়ে আছে রক্তে।
কী রকম? ৭০০ রকম উপাদান নিয়ে ধমনী-শিরা-জালিকার ভেতর দিয়ে মানবদেহে প্রায় ৯৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় রক্ত। সেই উপাদানগুলিকে চিহ্নিত করা গেলেও তাদের প্রত্যেকের কাজ কী, বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে টনির মনে হয়েছিল, এদেরই কোনও একটির মধ্যে অ্যালঝাইমার্স-এর আগাম সঙ্কেত থাকতে পারে। বিস্তারিত গবেষণায় দেখা যায়, বয়স যত বাড়ে রক্তে কয়েকটি প্রোটিনের পরিমাণ তত কমে। কয়েকটি প্রোটিনের পরিমাণ আবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রবীণদের রক্তে কয়েকটি প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ হয়ে যায়। এই প্রোটিনের বাড়া-কমার সঙ্গে অ্যালঝাইমার্স-এর সম্পর্ক খুঁজে পেলেন টনি আর তাঁর দলবল।
অন্য দিকে স্টেম কোষ নিয়ে কাজ করছিলেন বি়জ্ঞানী টমাস রান্ডো। শরীরের কোষগুলিকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে ওই কোষের প্রয়োজন। কিন্তু প্রবীণদের দেহে স্টেম কোষ ঠিক মতো কাজ করে না। যে কারণে বয়সকালে ক্ষত সারতে সময় লাগে। টমাসের মাথাতেও প্রশ্ন এল, কোনও সঙ্কেত পেয়েই কি স্টেম কোষ তার কাজ বন্ধ করে দেয়? সেই সঙ্কেত কি রক্তেই আছে? উত্তর খুঁজতে একসঙ্গে কাজ শুরু করলেন টনি-টমাস। তরুণ ইঁদুরের রক্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হল বয়স্ক ইঁদুরের শরীরে। নবীন রক্ত মিরাকল-এর কাজ করল! দেখা গেল, রক্তে বেশ কিছু প্রোটিন আছে যারা কোষকে সতেজ রাখে। আবার কিছু প্রোটিন কোষকে বুড়োটে করে দেয়। কমবয়সিদের রক্তে এই সতেজ করার প্রোটিনগুলি বেশি মাত্রায় থাকে। ইঁদুরের পরীক্ষা সফল হওয়ার পরে এখন মানুষের শরীরেও পরীক্ষা চালাচ্ছেন টনিরা। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত বেশ কয়েক জনকে এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের শরীরে নবীন রক্তের প্লাজমা দেওয়া হচ্ছে। লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে ফলাফল।
তবে কি যৌবনকে অচলা রাখার ফর্মুলা বেরিয়েই গেল? এও কি সম্ভব? কী বলছেন চিকিৎসকরা? কলকাতার হেমাটোলজিস্ট আশিস মুখোপাধ্যায়ের মতে, এটা জটিল প্রক্রিয়া, কিন্তু অসম্ভব নয়। ‘‘শরীরে যে প্রোটিনগুলো আর বিভাজন হয় না বলে বার্ধক্য আসে, তাদের যদি বাইরে থেকে কোনও প্রক্রিয়ায় উদ্দীপ্ত করা যায়, তা হলে সেই প্রোটিন নতুন করে কাজ শুরু করবে। তা হলেই বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে।’’
প্লাস্টিক সার্জন অরিন্দম সরকারেরও বক্তব্য, ‘‘বার্ধক্য দূর করার জন্য আমাদের যে সব প্রয়াস তার অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে রক্ত।’’ যেমন অনেক সময় শরীর থেকে অল্প কিছুটা রক্ত নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তার বিভাজন করে শুধু প্লেটলেট সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সেই প্লেটলেটকে সক্রিয় করা হয়। তার পরে খুব দ্রুত সেই সক্রিয় প্লেটলেট মুখের ত্বকে বা মাথার পিছনে ইঞ্জেকশন দিয়ে ঢোকানো হয়। এতে বার্ধক্যের ছাপ কিছুটা আটকায়। তবে মেডিসিন-এর চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় মনে করছেন, চিরযৌবন ধরে রাখা এখনও অলীক স্বপ্ন। সুকুমারবাবুর কথায়, ‘‘মানুষের দেহের ভিতরের বিষয়টাকে বলে জিনোটাইপ। সে সম্পর্কে আমরা এখনও অনেক কিছু জানি না।’’
খোদার উপর খোদকারি করলে তার পরিণাম কতটা ভাল হবে, সে সম্পর্কেও অনেক সংশয় আছে। কিডনি, ফুসফুস, লিভার নিয়ে কালোবাজারির সঙ্গে এ বার রক্তও না জুড়ে যায়! আশার মধ্যে শঙ্কাতেও রয়েছেন টনিরা। এখানে সাহিত্যিক বাণী বসুর কথাতেও আশঙ্কারই সুর, ‘‘তরুণ রক্তের লোভে কী কারবার শুরু হবে, কে বলতে পারে!’’ তিনি বরং বলছেন, ‘‘জীবনে ক্রমশ বড় থেকে বুড়ো হওয়ার যে নিয়মটা চালু আছে, তা পাল্টানোর দরকার কী? অনন্ত যৌবন মানেই কি খুব উপভোগ্য?’’
কিন্তু দেহপট সনে নট সকলই হারায়! চিত্রতারকাদের মধ্যে তাই রূপ-যৌবন অটুট রাখার তাগিদ বেশি দেখা যায়। তার ফলও কিন্তু সব সময় ভাল হয় না, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এমনটাই বলছেন।
আবার এক ধরনের আশার আলোও দেখছেন স্বস্তিকা। ‘‘আজকাল প্রিয়জনেদের কারও না কারও জন্য টেনশনে থাকি। বুড়ো হওয়া ঠেকিয়ে রাখা গেলে আমি তো ওই মানুষগুলোকে সুরক্ষিত করতে চাইব।’’ ‘আশিতে আসিও না’ ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পুকুরে ডুব দিয়ে যৌবন ফিরে পেয়েছিলেন। সেই গল্প কি এ বার সত্যি হবে? বিজ্ঞান কিন্তু স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।

গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, ওজন কমাতে সাহায্য করে পালং শাক


পালং শাক মাত্রাতিরিক্ত খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ কমাতে সাহায্য করে। আর এর মধ্য দিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে পালং শাক।
নতুন এক গবেষণায় পালং শাকের এ গুণের কথা উঠে এসেছে। পালং শাকে রয়েছে থাইলোকোয়েড নামের একটি উপাদান। মানব দেহে খাবার গ্রহণের পর যে পরিতৃপ্তির সৃষ্টি হয় তা দেখা দেয় বিশেষ হরমোনের কারণে। থাইলোকোয়েড এমন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, চর্বি হজমের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। দুইয়ে মিলে খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ উভয়ই কমে। এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ জার্নাল অব দ্যা আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত হয়েছে।
আমেরিকার লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পেনিনংটন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এ গবেষণা চালিয়েছে। এ কাজে জড়িত অন্যতম গবেষক ফ্রাংক এল গ্রিনওয়ে বলেন, খাদ্যস্পৃহা এবং ক্ষুধাবোধ কমাতে সাহায্য করে থাইলোকোয়েড। তাই উচ্চরক্ত চাপ এবং অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে থাইলোকোয়েড।
এখানে অবশ্য একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ্য করা প্রয়োজন আর তা হলো, চিকিৎসক যদি কোনো কারণ আপনাকে পালং শাক খেতে নিষেধ করে থাকেন তা হলে এটি পড়ে তা খেতে যাবেন না। আসলে গবেষণা সংক্রান্ত এ সব খবর কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। তাই খাদ্য বা চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত কোনো খবর পড়েই তা পালন করতে মেতে উঠবেন না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করবেন। না হলে মারাত্মক বিপদ দেখা দিতে পারে।
সর্ম্পকিত আরো ব্লগ:
‘পুষ্টি বোমা’।। স্লিম হতে চান, ফল আর সবজি মিশ্রিত ‘স্মুদি’ খান

Wednesday, August 5, 2015

বউয়ের সেবায় দ্রুত সুস্থ রেলমন্ত্রী


বউয়ের সেবার কারণেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ জন্য তিনি স্ত্রী অ্যাডভোকেট হনুফা আক্তার রিক্তার কাছে কৃতজ্ঞ। সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ১৭ দিন পর দেশে ফিরে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী জানান,‘আমার এই দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পেছনে আমার স্ত্রীর অসামান্য অবদান রয়েছে। সে পাশে থেকে আমাকে যে সেবা দিয়েছে তার জন্য আমি তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিজের সুস্থতার জন্য সাংবাদিকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
২৮ রমজানের দিন নিজের নির্বাচনী এলাকায় তারাবী নামাজ পড়ার সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী। দ্রুত তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরদিন তাকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসাপাতালে রেফার করেন সিএমএইচ’র ডাক্তাররা। সিঙ্গাপুরে প্রায় ১৫দিনের চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি দেশে ফেরেন। সে সময় মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। সামান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ‍ুঐঁবিজপ৭৫চইসমুজিবুল হক বলেন, সিঙ্গাপুরে বসেই আমি বিভিন্ন টেলিভিশনে আমার জন্য দোয়া করতে দেখেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা বারবার স্মরণ করে বলেন, আমি অসুস্থ হলে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী আমার খোঁজ-খবর নেন। সেনাবাহিনী প্রধানকে আমার চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়ার নির্দেশ দেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিমাবন্দরের ভিআইপি গেটে অপেক্ষারত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে তিনি সাধুবাদ জানান।

জন্মদিনে মেয়ের মুখে হাসি এনে দিতে বাবার অভিনব উপহারে হাততালি দিচ্ছে ওয়েবদুনিয়া


জন্মদিনে আপনার বাবা কী উপহার দিয়েছিল মনে আছে? এই ধরুন আপনার যখন ৫ বছর বয়স। ঘুম থেকে উঠে কী সারপ্রাইজ পেয়েছিলেন? একটু ভাবলে ফিকে হয়ে যাওয়া স্মৃতি থেকে দুই একটি উপহারের কথা মনে পড়বে। টিনটিনের বই, টেডি বিয়ার, জামা কাপড়, কিংবা একটু ঘুরতে যাওয়া। আর পাঁচটা দিনের থেকে একটু অন্যরকম খাওয়াদাওয়া বন্ধু- পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু সেইসব অভিজ্ঞতা আজ ফিকে হয়ে গেছে। বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গেছে। টেডি বিয়ার হারিয়ে গেছে। জামা-কাপড় ছোটো হয়ে গেছে।
উপহার যদি বস্তু হয় হয়ত আগামী দিনে থাকবে না কিন্তু একটা দারুন অভিজ্ঞতা যদি জন্মদিনে উপহার হয় চিরদিন জ্বলজ্বল করবে স্মৃতির মণিকোটায়। ঠিক তেমনি এক বাবা তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ের জন্মদিনে অসাধারণ এক উপহার দিল। ঘুম থেকে উঠে মেয়েটি দেখে চারপাশে কোনও পুতুল নেই, আছে এদিক ওদিক জড়ানো সরু পাইপ। বাড়ির ছাদ বেয়ে, গাছে জড়িয়ে উপরে উঠে গেছে সেই পাইপ। পাইপ দিয়েই লেখা রয়েছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তাও। তারপর সেই পাইপ একটি জুসের বোতলে লাগানো রয়েছে। মেয়েটি ঘুম থেকে উঠে সেই পাইপে মুখ দিয়ে জুস খেতে থাকে।
আদৌ সেই জুস সাত সাগর তেরো নদী পেরিয়ে তার মুখে পৌঁছিয়েছে কিনা সন্দেহ থাকলেও তার বাবার এমন সৃষ্টিশীল ভাবনা মেয়েটির আজীবন মনে থাকবে। কারণ মজার অভিজ্ঞতা একটি টেডি বিয়ারের উপহারের থেকে অনেক বেশিদিন মনে থাকে। তাই না!

আরো একটি জিংক ধান আবিষ্কার


বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র দ্বিতীয় বারের মতো জিংকের আরো একটি দ্রুতবর্ধনশীল ধান আবিস্কার করেছেন। এই ধান একই সঙ্গে দ্রুতবর্ধনশীল, লাভজনক ও অধিক পুষ্টিমান সম্পন্ন। নতুন জিংক সমৃদ্ধ এ ধানের নাম বিআরআরআই ধান-৭২।
এর আগে ২০১৩ সালের আগস্টে জিংকের ধান আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র। ওই ধানের নাম দেওয়া হয়েছিল বিআরআরআই ধান- ৬২। জাতীয় বীজ বোর্ড দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ১২ জুলাই এটি অবমুক্ত করেছে। আগামী আমন মৌসুমে কৃষকরা এ জিংক ধানের চাষাবাদ করতে পারবে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান।
জিংক সমৃদ্ধ বিআরআরবি ধান-৭২ প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.৭ টন ধান পাওয়া যাবে। আর বিআরআরআই ধান-৬২ থেকে সাড়ে ৪ টন ধান উৎপাদন করা হয়। ধান-৬২ থেকে ধান- ৭২ জিংকের দিক দিয়ে ৩ মিলিগ্রাম বেশি থাকবে।
নতুন এ ধান শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রতিরোধ করবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ করবে নতুন এ ধান। জিংকের অভাবে বাংলাদেশের শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এ ধান সেই সমস্যা সমাধান করবে বলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বে জিংকের অভাবে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ শিশু মারা যায়। বিশ্বে ১৭ শতাংশ মানুষ নতুনভাবে এ সংকটের মধ্যে পড়ছে।

Tuesday, August 4, 2015

‘ভারতের ট্রয়’ : Baahubali full movie (2015)


ভারতের ফিল্মি ইতিহাসে ‘বাহুবলী’ প্রথম আঞ্চলিক সিনেমা যা বিশ্বের বাজারে টপকে ফেলেছে ৫০০ কোটির গণ্ডি।
বাহুবুলি-তে ক্লিক করুন: Baahubali Bahubali (2015)