বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র দ্বিতীয় বারের মতো জিংকের আরো একটি দ্রুতবর্ধনশীল ধান আবিস্কার করেছেন। এই ধান একই সঙ্গে দ্রুতবর্ধনশীল, লাভজনক ও অধিক পুষ্টিমান সম্পন্ন। নতুন জিংক সমৃদ্ধ এ ধানের নাম বিআরআরআই ধান-৭২।
এর আগে ২০১৩ সালের আগস্টে জিংকের ধান আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্র। ওই ধানের নাম দেওয়া হয়েছিল বিআরআরআই ধান- ৬২। জাতীয় বীজ বোর্ড দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ১২ জুলাই এটি অবমুক্ত করেছে। আগামী আমন মৌসুমে কৃষকরা এ জিংক ধানের চাষাবাদ করতে পারবে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান।
জিংক সমৃদ্ধ বিআরআরবি ধান-৭২ প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.৭ টন ধান পাওয়া যাবে। আর বিআরআরআই ধান-৬২ থেকে সাড়ে ৪ টন ধান উৎপাদন করা হয়। ধান-৬২ থেকে ধান- ৭২ জিংকের দিক দিয়ে ৩ মিলিগ্রাম বেশি থাকবে।
নতুন এ ধান শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রতিরোধ করবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ করবে নতুন এ ধান। জিংকের অভাবে বাংলাদেশের শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এ ধান সেই সমস্যা সমাধান করবে বলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বে জিংকের অভাবে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ শিশু মারা যায়। বিশ্বে ১৭ শতাংশ মানুষ নতুনভাবে এ সংকটের মধ্যে পড়ছে।
No comments :
Post a Comment