নবীজী (সা.)-এর হাদিসগুলো থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর পড়ে না। সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসগুলো নিছকই কুসংস্কার।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি এর নেতিবাচক কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর না-ই পড়বে, তাহলে কেন নবীজি (সা.) এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সাহায্য চাইতে বলেছেন? শুধু নামাজে দাঁড়াতেই বলেননি তিনি; বরং চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণে তিনি কিয়ামতের মহাপ্রলয়ের আশঙ্কাও করেছেন। হজরত আবু মুসা (রা.) বলেন- নবীজি (সা.)-এর সময় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি এ আশঙ্কা করলেন যে, কিয়ামতের মহাপ্রলয় বুঝি সংঘটিত হবে।
তিনি (তাড়াতাড়ি) মসজিদে এলেন। অত্যন্ত দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু, সিজদাসহ নামাজ আদায় করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি নবীজি (সা.)-কে এমন করতে আগে আর কখনো দেখিনি। অতঃপর তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রেরিত এসব নিদর্শন কারো মৃত্যু বা জন্মের (ক্ষতি করার) জন্য হয় না। যখন তোমরা তা দেখবে, তখনই আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহ তায়ালার জিকির ও ইস্তিগফারে মশগুল হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৯৮৯) অন্য হাদিসে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে তা থেকে দ্রুত উদ্ধারে সদকা করার কথা বলেছেন।
আসুন, মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনধারাতে যখনই আমরা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ দেখব তখনই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের মত ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত বাকবিতায় লিপ্ত না হয়ে বরং নামাজে দাঁড়িয়ে যাবো এবং আমাদের জীবনাচারে ইসলামের এ সংস্কৃতির চর্চা করবো।
MY FACEBOOK PAGE:Click HERE
MY YOUNTUBE CHEENEL
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.
Monday, August 26, 2019
চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে বিশ্বনবীর ভাষ্য : করণীয় ও বর্জনীয়
নবীজী (সা.)-এর হাদিসগুলো থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর পড়ে না। সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসগুলো নিছকই কুসংস্কার।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি এর নেতিবাচক কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর না-ই পড়বে, তাহলে কেন নবীজি (সা.) এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার সাহায্য চাইতে বলেছেন? শুধু নামাজে দাঁড়াতেই বলেননি তিনি; বরং চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণে তিনি কিয়ামতের মহাপ্রলয়ের আশঙ্কাও করেছেন। হজরত আবু মুসা (রা.) বলেন- নবীজি (সা.)-এর সময় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি এ আশঙ্কা করলেন যে, কিয়ামতের মহাপ্রলয় বুঝি সংঘটিত হবে।
তিনি (তাড়াতাড়ি) মসজিদে এলেন। অত্যন্ত দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু, সিজদাসহ নামাজ আদায় করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি নবীজি (সা.)-কে এমন করতে আগে আর কখনো দেখিনি। অতঃপর তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রেরিত এসব নিদর্শন কারো মৃত্যু বা জন্মের (ক্ষতি করার) জন্য হয় না। যখন তোমরা তা দেখবে, তখনই আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহ তায়ালার জিকির ও ইস্তিগফারে মশগুল হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৯৮৯) অন্য হাদিসে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে তা থেকে দ্রুত উদ্ধারে সদকা করার কথা বলেছেন।
আসুন, মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনধারাতে যখনই আমরা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ দেখব তখনই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের মত ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত বাকবিতায় লিপ্ত না হয়ে বরং নামাজে দাঁড়িয়ে যাবো এবং আমাদের জীবনাচারে ইসলামের এ সংস্কৃতির চর্চা করবো।
MY FACEBOOK PAGE:Click HERE
MY YOUNTUBE CHEENEL
আপনার পন্যটি আমদানী রপ্তানি করতে যোগাযোগ করুন: 01911-922554, 01550006986.
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment