গত ২৫ এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পে কার্যত বিধ্বস্ত নেপাল। পরে ১২ মে আরও একদফা জোরাল কম্পন অনুভূত হয় পাহাড়ি এই দেশে। এছাড়াও একের পর এর পরবর্তী কম্পন আতঙ্ক ধরিয়েছে সেদেশে। এবার নেপালের ভূমিকম্প নিয়ে দু-দুটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। দুটি চ্যানেলে দেখা যাবে ওই দুই তথ্যচিত্র। ভূমিকম্পের কারণ ও দুর্গতদের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়েই ওই দুটি তথ্যচিত্র।
প্রথম তথ্যচিত্র ‘আর্থকোয়েক: ডিজাস্টার ইন নেপাল’। এতে ২৫ এপ্রিল ও ১২ মে-র ভূমিকম্পের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে।আগামী ৮ জুন ডিসকভারি চ্যানেলে ১ ঘন্টার ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হবে। ওই দুটি ভূকম্পে প্রায় আট হাজার মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৮ জন পর্বতারোহীও। এভারেস্টের বেসক্যাম্পে তুষার ধসে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। কাঠমাণ্ডুর বহু ঐতিহাসিক সৌধ, ভবন ভেঙে পড়েছে। গুড়িয়ে গিয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
ডিসকভারি চ্যানেলের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের পদস্থ আধিকারিক রাহুল জোহরি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ভয়াল রূপ দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে ওই তথ্যচিত্র। মানব সমাজের অন্যতম মর্মান্তিক বিপর্যয় নেপালের ভূমিকম্প। তথ্যচিত্রে ধ্বংসলীলা থেকে শুরু করে ভূমিকম্পের বিজ্ঞানসম্মত কারণের ব্যাখ্যা এবং দুর্গতদের ব্যক্তিগত অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যচিত্রে ভূ-বিশারদদের সাক্ষাত্কার ছাড়াও কাঠমাণ্ডুতে উদ্ধার কাজের ফুটেজ, বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখা যাবে। এছাড়া এধরনের বিপর্যয়ের আগাম পূর্বাভাসের সম্ভাবনা সংক্রান্ত গবেষণার বিস্তারিতও থাকছে তথ্যচিত্রে।
ভূমিকম্পের বেশ কয়েকদিন পরও ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল কয়েকজনকে। তাদের মধ্যে রয়েছে এক সদ্যজাতও। ২২ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়। তথ্যচিত্রে থাকছে ওই শিশুর মায়ের অভিজ্ঞতার কথাও। তিনি জানিয়েছেন তাঁর উত্কন্ঠিত প্রতীক্ষার কথা। দরবার স্কোয়ারের একটি বহুতলের ধ্বংসস্তুপে কয়েকদিন পর উদ্ধার করা হয়েছিল এই ছাত্রকে। সে-ও জানিয়েছে, তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। এভারেস্টের বেসক্যাম্পে তুষার ধসে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন এক নববিবাহিত দম্পতি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতার কথা জানা যাবে তাঁদের মুখ থেকেও।তথ্যচিত্রে ভারতীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্যও শোনা যাবে।
ডিসকভারির পাশাপাশি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলেও আগামী ১১ জুন সম্প্রচারিত হবে তথ্যচিত্র- ‘ট্র্যাপড ইন নেপাল’।
প্রখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক ডিক বোয়েরের ওই তথ্যচিত্রেও দুর্গতদের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
No comments :
Post a Comment