<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: প্রথম 'রূপান্তরিত' কলেজ অধ্যক্ষা, মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়

Wednesday, May 27, 2015

প্রথম 'রূপান্তরিত' কলেজ অধ্যক্ষা, মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়


ভারতে এই প্রথম কোনও 'রূপান্তরিত' ব্যক্তি কলেজের প্রধানের দায়িত্বে এলেন। আর সেই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চতুর্দিকে। আর যিনি এই দায়িত্ব নিয়েছেন সেই মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। আগামী ৯ জুন থেকে অধ্যক্ষা হিসাবে কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের দায়িত্বভার নিজের কাঁধেই তুলে নেবেন মানবী। মানবীকে অধ্যক্ষা করার সিদ্ধান্তকে খোলা মনেই স্বীকার করেছে বিভিন্ন মহল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তটি কলেজ সার্ভিস কমিশনের। আমরা এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি।
#otiti2354 আমরা যে খোলা মনের তা ওরা জানে। এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। মঙ্গলবারদিনই কৃষ্ণনগরে ওয়মেন্স কলেজে যান মানবী। সেই একইভাবে কোঁকড়া চুলকে গুচ্ছ করে বাঁধা, প্লিট করা শাড়ি। কানে বড় দুল, চোখে রোদচশমা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দত্তক নেওয়া ছেলে দেবাশিস মানবীপুত্র ও আর এক রূপান্তরকামী বান্ধবী। মানবীর কথায়, আমার নতুন সহকর্মীরা হয়তো আমায় দেখেছেন টেলিভিশনের পর্দায়, আমার বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছেন। কিন্তু আমি ফোনে তাদের গলা শুনেছি মাত্র। তাই চেয়েছিলাম কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার আগে একবার ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে দেখা করি। মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নেওয়ায় খুশি কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপকরাও।
ভুগোলের অধ্যাপক জয়শ্রী মণ্ডলের কথায়, 'মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারিনী। অনেক চড়াই উতরাই দেখেছেন। তাঁর সময়ে কলেজের উন্নতি হবে বলেই আমাদের ধারনা।' রূপান্তরকামীদের অধিকার নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন মানবী। সমাজের মানসিকতার খুব ধীর গতিতে পরিবর্তন হলেও এখনও অনেক পথ চলার বাকি বলেই ধারণা কৃষ্ণনগর কলেজে সদ্য নিযুক্ত হওয়া এই অধ্যক্ষার। মানবীর কথায়, "এখনও অনেক অভিভাবকই মনে করে এটা মানসিক সমস্যা। কিছুদিন আগেই বর্ধমানের একটি ছেলে মা-বাবার দেওয়া চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন। কারণ সে রূপান্তরকামী বলে তার মা-বাবা চেয়েছিল মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে।"
"আবার এমনও অনেকে পুরুষ আছেন, যাঁরা এই দিক থেকে মা-বাবার সমর্থন পাননি। এদিকে তাদের মত ছাড়া অস্ত্রোপচার করাতেও চান না। তাঁরা জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট বা গুলি খান যাতে এই ওষুধের উচ্চমাত্রার এস্ট্রোজেনের সাহায্যে নিজেকে মহিলা হিসাবে ভাবতে পারেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারে না এই ওষুধে সাময়িক শান্তি দিলেও আদতে তা ক্ষতিই করছে তাঁদের।" জানালেন মানবী।

No comments :

Post a Comment