এক দেশে(সারা বিশ্ব)ছিল এক গ্রাম(বাংলাদেশ)।সে গ্রামের মানুষের মনে কোন শান্তি ছিল না।খুব খরতাপে ক্ষেতের ফসল সব পৃড়ে যাচ্ছে।ছাতক পাখির মত তাকিয়ে তাকে আকাশের দিকে কখন বৃষ্টি
(চাকরি নামের সোনার হরিণ) নামবে।এভাবে কেটে গেল একমাস,দু মাস।হাহাকার আর হাহাকার।কারও ঘরে চাল আছে ত ডাল নেই,লবন আছে ত তেল নেই।এভাবে আর কতদিন।তখন গ্রামের সকলে মিলে গনমোনাজাতের আয়োজন করল।যাতে সব সম্প্রদায়ের লোকেরা অংশগ্রহন করবে।
যেই কথা সেই কাজ।দিন তারিখ ঠিক করা হল,সেই মোতাবেক সবাই দলবেধে জড়ো হতে লাগল।সবাই সবার মত করে আসল কিন্তু একটি ছেলে হাতে ছাতা নিয়ে আসল।তা দেখে সবাই হতবাক।কারন সবাই ভাবল সে মশকরা করছে অন্যদের সাথে।এ ভেবে সবাই তার উপর খুব ক্ষিপ্ত হল এমন একটা বিষয় নিয়ে সে মজা করছে,যে বিষয়টা নিয়ে সারা গ্রাম চিন্তিত।একদল যুবক তেড়ে গেল তাকে মারতে।
ঘটনার বেগতিক দেখে প্রথান মুরুব্বির কাছে তাকে নিয়ে গেল তার বিচার করতে।তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হল এ পাগলামির কারন কি?ছেলেটা তখন মাথা নত করে বলল..আপনারা সবাই এসেছেন প্রভুর কাছে দোয়া চাইতে বৃষ্টির জন্য..আমিও এসেছি।তবে আমি এসেছি ছাতা নিয়ে কারন আমি বিশ্বাস করি এত লোক এত কায়মনো বাক্যে আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ না শুণে পারবেন না।বৃষ্টি হবেই হবেই..হবে।তাই ছাতা নিয়ে এসেছি।
আপনি কি বলবেন এ ছেলেটাকে? পাগল।না আমি তাকে বলব পাগল না ।কারন সারা গ্রামবাসী এসেছে কিন্তু কারও মনে কোন আত্ববিশ্বাস ছিল না যে আজ বৃষ্টি হবেই। সে ভেবেছে বিধাতা খালি হাতে ফিরাবেন না।গ্রাম বাসী স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু বিশ্বাস করেনি।
প্রতি শুক্রবার সারাবাংলাদেশের রেল স্টেশনে আপনি যদি যান তাহলে দেখতে পারবেন কত ছেলে মেয়ে চাকরির পরিক্ষা দেয়ার জন্য স্টেশনে আসে। আমার এক বন্ধুর মা তাকে টিফিনকারিতে করে খাবার দিয়ে দিত..বাবা দুপুরে খাস..কষ্ট করিস না।
সবাই ভাল চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।ভাই, ভাল চাকরি হবে না হবেনা তা ত অনেক বিষয় জড়িত।তার জন্য জীবনের চলার পথটাকে কেন কঠিন করছেন? লেগে পরুন না একটা ছোট কাজে তা হোক অফিস পিয়ন আর দারোআনের। একটু পাগলামী আর খামখেয়ালীপনা করুন আর শুথু এ বিশ্বাসটা রাখুন আপনি শিক্ষিত, অন্য আট দশটা পিয়নের থেকে সে কাজটা খুব আধুনিক ভাবে করতে পারবেন। আর সে কাজটাই হয়ত আপনাকে সহায়তা করবে ভাল কিছুর জন্য। GOOGLE,FACEBOOK,FORDS MOTOROS,ALI BABA,G-MAIL পাগলামী করেই সৃষ্টি হয়েছে আর আরও অনেক উদাহারন রয়েছে। আজ এরাই বিশ্বটাকে শাষন করছে। কিন্তু এরা কোন স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেনি।পাগলের মত খেলার ছলে শুরুটা হয়েছিল।আমরা একটু পাগল হতে দোষ কি?
লোকে কি বলবে? ভাই আপনি যখন বেকার ছিলেন তখন কেউ বলেনি আক্ষেপ করেও যে ছেলেটা লেখাপড়া করে চাকরির জন্য বেকার বসে আছে।বাবা,বলে এবার একটা কিছু কর..বাড়ি থেকে বের করে দেবার নজীর কম নেই,ভাই,বোন সবাই তাকিয়ে তাকে…আর পেমিকা থাকলে ত কথাই নাই। মাথা নষ্ট করার জন্য এই প্রজাতির প্রানীরা এক কদম নয় হাজার কদম এগিয়ে।
তাই, ভাই লোকের কথা না শুনে লেগে পড়ুন।
অনেক লোক এক লম্বা গাছেল ডালে খুব লোভনীয় এক জিনিস দেখে খুব আফসোস করতেছে।কিন্তু গাছটা খুব বড় হওয়াই কেউ সাহস করছে না।নতুন এক লোক সাহস করে উপরে উঠার সাহস করল আর ভাবতে লাগল ওরা কত বোকা।যেই ভাবা সেই কাজ,লোকটা উপরে উঠতে লাগল আর নিচ হতে লোকের চেচামেছি করে বলতে লাগল না উঠার জন্য। লোকটা উঠল এবং সে জিনিসটা নিয়ে নিচে নামল।সবাই যখন মানা করছিল তখন তা সে শুনতে পায়নি কারন সে কানে শুনতে পেত না।আর কানে শুনলে হয়ত তা সে করত না।
তাই ভাই, স্বপ্ন না দেখে, কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি কানে কম শুনেন,বোকা হোন আর ওসাইন বোল্টের মত দ্রুত গতিয়মান হোন।দেখেন না কি হয় ।সমস্যা আসবে,এর জন্য নিজেকে কেন শেষ করবেন।
একটা ভাল চাকরি আর একটা ভাল কাজ জীবনে সুখের সমাথান না।
এত কষ্ট করে পড়াশুনা করেছেন মাঝ নদীতে তরীটা কেন ডুবাবেন?ঝড় থামবে তা না স্বপ্ন দেখে হালটা আগে ভাল করে থরে রাখুন না।দেখেন না ভাসিয়ে কোথায় নিয়ে যায়।পানিতে ঝাপ দেয়া কি আপনার শোভা পায়?
এক নাবিক মাঝ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে কোন এক দ্বিপে এসে পরল।দিন যায়,রাত যায়,মাস,বছর গেল অপেক্ষায় যে কোন এক জাহাজ ঘাটে ভিরায় কিনা।কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে সেখানে সে থাকার জন্য ঘর বাধল, খাবারের ব্যবস্থা করল। কিন্তু একদিন খাবার পাক করতে গিয়ে সে ঘরে আগুন লেগে গেল।সব আবার পুড়ে গেল।আর বিধাতাকে বলছে..আর কত কষ্ট দিবা।আর কতদিন এভাবে পড়ে থাকব বা আমাকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিয়ে নাও।
ঘর পৃড়ল কিন্তু কি হল, যে ঘরটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল সে ঘরের কালো ধোয়া উপরে উঠতে লাগল আর আর সে ধোয়ার কুন্ডলি দেখে পাশের কোন দ্বীপের একটি জাহাজ সে দ্বীপে এসে লোকটিকে তুলে নিল।
হাতাশা হবেন না।তাকান না আপনার মায়ের দিকে যে কিনা আপনার চাকরির বেতনের দিকে তাকায় না..কবে চাকরি হতে ঘরে ফিরবা সে আশায় পথ চেয়ে বসে থাকে। দেখুন না আপনার বোনের ফোকলা দাতের ফাকের হাসিটা।এটাতে কত সুখ।
আগে ভালবাসুন জীবনটা।বড় বড় স্বপ্ন দেখুন,না পেলে হতাশা না হয়ে ঝড়ে পরবেন না।ভালবাসুন আপনাকে,আপনার বিশ্বাসটাকে।আর সে বিশ্বাসটাকে মনে করুন আপনার প্রেয়সীর খুব আদরের দেহটার মত। যার শরীরের প্রতি লোমে লোমে আপনার আদর মাখা থাকবে খুব যত্ন সহকারে।যাকে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখবেন রাণীদের মত করে।
হত্য করুন স্বপ্নকে..আত্ববিশ্বাসটাকে বাড়িয়ে তুলুন।সাফল্য সে ত আসবেই..আসতেই হবে।
আরও ব্লগ:
CLICK ME