<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: আফ্র্রিকান-পাক-ভারত গণমাধ্যমে টাইগারদের প্রশংসা

Monday, July 13, 2015

আফ্র্রিকান-পাক-ভারত গণমাধ্যমে টাইগারদের প্রশংসা


পাকিস্তানের শক্তিশালী দৈনিক পত্রিকা দ্য ডন বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘বোলিং শাইন এজ বাংলাদেশ থাম্প সাউথ আফ্রিকা টু লেভেল সিরিজ’ শিরোনামে সোমবার সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। বাংলাদেশের বোলারদের দাপুটে বোলিংরে জন্যই বাংলাদেশ একদিনের আর্ন্তজাতিক ম্যাচের সমতা আনতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া ডন’র প্রতিবেদনে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করা হয়েছে। ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জন্যই বাংলাদেশ সিরিজে সমতা এনেছে বলেও প্রশংসা করা হয়েছে।
শুধু পাকিস্তান নয় এর আগে ভারতের আনন্দবাজার প্রত্রিকাও বাংলাদেশের বোলার প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘ স্বমহিমায় ফিরছেন মুস্তাফিজ’ শিরোনামে আনন্দবাজার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রোববার।
‘মিরপুরে প্রোটিয়াদের বাঘের মুগুরপেটা’- বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারার পর দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া পত্রিকা স্পোর্টস২৪ডট.কম এই শিরোনাম করেছে। সিরিজে সমতা আনা এই ম্যাচটির কথা লিখতে যেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পত্রিকাটি। তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশ তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঐতিহাসিক সময় পার করছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ জেতার পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারায় দলটি। এরপর পাকিস্তান, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ওয়ানডে সিরিজে চোখ রাঙাচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক জনপ্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকা। গতকালের দ. আফ্রিকা জয়ের ম্যাচের খবরটিতে শিরোনাম করেছে সৌম্যকে নিয়ে অথচ ছবিটি ব্যবহার করেছে মুস্তাফিজুর রহমানের। শিরোনাম করেছে- ‘ আফ্রিকার সিংহ শিকার করে ম্যাচের ‘সরকার’ সৌম্য’। আর সঙ্গে ব্যবহার করেছে ডি কককে ফিরিয়ে দেওয়া উচ্ছ্বসিত মুস্তাফিজুর রহমানের ছবিটি। সংবাদের শুরুটাও করেছে মুস্তাফিজ এর গুণকীর্তন বর্ণনায়। মুস্তাফিজকে নিয়ে যে ভাবে যে বিশেষণের মধ্যদিয়ে রিপোর্টটি লেখা হয়েছে তাতেই স্পষ্ট তাকে চেনার পরিমাপটি।
রিপোর্টের শুরুটাই এমন- হাতিবাগান মার্কেটের অলিগলিতে যদি দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, চিনে বেরোতে পারবেন কি না সন্দেহ।
লাজুক, শান্ত, মিষ্টভাষী, বিনয়ী- ভাল ছেলের ব্যাখ্যায় যে যে উপমা ব্যবহার সম্ভব, স্বচ্ছন্দে সেগুলো এদের নামের পাশে বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে। মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখলে বিশ্বাস হবে না, তার হাত থেকে ও রকম মারণ-কাটার বেরনো সম্ভব। শান্তশিষ্ট কলেজপড়ুয়া হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু ক্রিকেট-বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া বোলার হিসেবে নয়। পেস বোলারের গলায় যে আগুনে ভাষাটা থাকতে দেখা যায়, সেটা শতচেষ্টাতেও খুঁজে পাওয়া কঠিন। সৌম্য সরকার দ্বিতীয় জন। কথাবার্তা এতটা মার্জিত, ব্যবহারে এতটা ভদ্র যে মনে হবে, এ ছেলে তো সাহিত্যের প্রফেসর হতে পারত! এ ক্রিকেটে কেন? মুগ্ধ হওয়ার মতোই বর্ণনা।
আর এই বর্ণনা শেষে বলা হয়, ‘মুস্তাফিজুর-সৌম্যরও তাই আফ্রিকার সিংহদের বিস্ফোরিত করে ছেড়ে দেওয়ায় অবিশ্বাস্য কিছু নেই। কিন্তু শুধু বিস্ফারিত করে আফ্রিকার সিংহদের এরা ছেড়ে দিলেন বললে, খুব অন্যায় হবে। রবিবাসরীয় মিরপুর আরও একটা দেশের ইতিহাস শুধু দেখল না, দেখল দেশের ক্রিকেট-ভবিষ্যতও ঠিক দিকে এগোচ্ছে। মাশরাফি মুর্তাজার পরে কে, তামিম ইকবালদের পরে কে, এ দিনের পর থেকে প্রশ্নগুলোর ভিড় আর থাকা উচিত নয়।’ রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে- ‘পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের তিন মহাশক্তিকে পর্যদুস্ত করে ছেড়ে দিলেন মাশরাফি মুর্তাজারা। নির্যাসে ধরলে ওই দু’জন- মুস্তাফিজুর এবং সৌম্য। প্রথম জন স্বমূর্তি ধরে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে তিনটে উইকেট। দ্বিতীয় জন, ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৮৮। পদ্মাপারের ক্রিকেটকে তারা মনে রাখার মতো দিনই উপহার দিলেন না, চলতি ওয়ান ডে সিরিজের সিংহদরজাও হাট করে দিলেন। সিরিজ এখন সেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে যেখান থেকে দু’টো ট্রেন ছাড়তে পারে। একটা, ও পারের গৌরবের। অন্যটা, আফ্রিকার সম্মানের। সিরিজ এখন তো ১-১।’
রিপোর্টে তার পরের বর্ণনায় যা এসেছে তাও মুগ্ধ হওয়ার- লিখেছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে এ দিন তুলেছিল ১৬২। যাকে মোটেও অঘটন বলা যাবে না। কারণ এর পিছনে একটাই, বাংলাদেশের দুর্ধর্ষ বোলিং। মুস্তাফিজুর যে বলটায় কুইন্টন ডি’কক আউট হলেন, সেটা কাটার ছিল না। কিন্তু স্বপ্নের ডেলিভারি ছিল। যা ডি’কককে অসহায় করে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকা বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে যখন, দ্বিতীয় ধাক্কাটা দেন মুস্তাফিজুর। জে পি ডুমিনিকে তুলে নিয়ে। হাসিম আমলাও ব্যর্থ।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের জায়গায় তাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে তো বল্গাহীন দৌড়ের সুযোগই দিচ্ছে না বাংলাদেশ। এ দিন ২২ রানের বোল্ড। ঘাতকের নাম রুবেল হোসেন। একশো রানেরও কমে এ দিন পাঁচ উইকেট চলে গেল, দেড়শোর আগে সাতটা, বাংলাদেশকে বাঁচাত কে?
মুস্তাফিজুর তিনটে, নাসির হোসেন তিনটে, রুবেল দু’টো, মাশরাফি একটা- এরা মাত্র ১৬২ রানে গুঁড়িয়ে দিলেন।’ তার পরের বর্ণনা এ রকম- তখনও অর্ধেক কাজ সমাপ্ত মাত্র, পুরোটা নয়। উদ্যত দাঁতনখ নিয়ে পূর্ণ উদ্যোমে বাংলা ব্যাটিংয়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আফ্রিকার বোলিং। তার সামনে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন সৌম্য সরকার। সৌম্যকে তো আউট করাই গেল না। মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন ঠিকই, কিন্তু তখন বাংলাদেশের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষায়।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, নভেম্বর ২০১৪ থেকে আজ পর্যন্ত যে ওয়ান ডে ক্রিকেটে জয়ীর তালিকায় এর পর বাংলাদেশ দুইয়ে। একে নিউজিল্যান্ড। তারা জিতেছে উনিশটা। বাংলাদেশ চৌদ্দো। মহাশক্তি হয়েও যাদের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা পাকিস্তান নেই। এমন মহাসাফল্য যদি এখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচিতি হয়, তা হলে একটা কথা লিখে ফেলা উচিত।
পদ্মাপারের সামনে ক্রিকেট-গৌরবের অনন্ত আকাশ অপেক্ষা করে আছে। এমন বর্ণনায় আনন্দবাজারের জন্য রেখে দিলাম আমার এক আকাশ মুগ্ধতা। কারণ, গৌরবের সেই অনন্ত আকাশেই ভেসে যেতে চায় বাংলাদেশ।

No comments :

Post a Comment