<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: শবেকদর অন্বেষণ করুন(ভিডিও)

Sunday, July 12, 2015

শবেকদর অন্বেষণ করুন(ভিডিও)


রমজান মাসের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় একটি রাত হলো লায়লাতুল কদর বা শবেকদর। কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা কোরআন মাজিদের সূরা কদর নামে স্বতন্ত্র একটি সুরাই অবতীর্ণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিবরিল (আ.) মহান রবের আদেশে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন। রাত্রিময় নামে শান্তির ধারা, অব্যাহত থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং সওয়াব লাভের আশায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ রাতে ইবাদত করে, তার অতীত জীবনের সব গোনাহ (সগিরা) মাফ করে দেওয়া হয়। অন্য এক হাদিসে আছে, তোমাদের মাঝে এ মাস সমাগত। এতে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এ রাতের বরকত থেকে বঞ্চিত হবে সে সর্বপ্রকার কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হবে। বস্তুত হতভাগ্য ও দুর্ভাগা লোকেরাই এ রাতের মঙ্গল থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। খোদাপ্রেমিক বান্দাগণ সারা বছর ধরে এ রাতের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে থাকেন। তাদের দুয়ারে এ রাত এলে সাদরে তাকে বরণ করে নেন।
রমজান মাসের শেষ দশকের যে কোনো একটি বেজোড় রাত্রি শবেকদর। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ দশকে বিশেষত বিজোড় রাতগুলোয় শবেকদর অন্বেষণ করতে সাহাবিদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। অবশ্য বিজোড় রাত্রিগুলোর মাঝেও আবার ২৭তম রাত শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। হযরত উবাই বিন কা’ব (রা.) কসম করে বলতেন, শবেকদর হলো রমজানের ২৭তম রাত্রি। ওই রাতে ইবাদত করতে রাসুল (সা.) আমাদের আদেশ করেছেন। যেহেতু অন্যান্য রাতের ব্যাপারেও হাদিসে বলা হয়েছে তাই শেষ দশকের সব বিজোড় রাতেই শবেকদরের বরকত লাভের আশায় ইবাদতে নিমগ্ন থাকা কাম্য। কোনো গোনাহ, বিদআত কাজকর্ম বা ভুল আমল যেন এ রাতকে নষ্ট করে না দেয় সেদিকেও যথাযথভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
শবেকদরে সব ধরনের আমল করা যাবে। বিশেষত নামাজ, কোরআন মাজিদ তিলাওয়াত, তাসবিহ পাঠ, দুরুদ শরিফ ও ইস্তেগফার পাঠ ইত্যাদি। এ সময়ে অতীতের সব গোনাহ থেকে তাওবা করে আল্লাহতায়ালার দরবারে কান্নাকাটি করা উচিত।
হযরত আয়েশা (রা.) একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, শবেকদর পেলে আমি তাতে কী দোয়া পড়ব? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তখন তুমি এই দোয়া বেশি বেশি পড়বে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন কারিম তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’
শবেকদরে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি দায়িত্বশীল ফেরেশতাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক সবকিছুর পরিমাণ লেখা থাকে। এমনকি কে হজ করবে সেটাও। আল্লাহতায়ালা আমাদের এ রাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমল করার তওফিক দিন।

No comments :

Post a Comment