<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা দেড় যুগ ধরে কে কোথায়?

Thursday, August 13, 2015

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা দেড় যুগ ধরে কে কোথায়?


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ছয় খুনিকে গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ ঝুলছে দেড় যুগ ধরে। বছরের পর বছর পার হলেও তারা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের ফিরিয়ে আনতে রয়েছে সরকারের কঠোর অবস্থান, নির্দেশনা ও তৎপরতা। কিন্তু বার বার অবস্থান পরিবর্তন করায় এসব খুনিকে শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আত্মগোপনে থাকা ফাঁসির দ-প্রাপ্ত খুনিরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক লে. কর্নেল এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আবদুর রশিদ, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। উচ্চ আদালতের রায়ে অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক লে. কর্নেল এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল আবদুর রশিদ, ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), মেজর একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার,) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও লে. কর্নেল আবদুল আজিজ পাশা। বাকি তিন অভিযুক্ত আসামি সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন কিসমত হাশমী, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আবদুল মজিদকে খালাস দেয়া হয়। দ-াদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জনকে ফাঁসি দেয়া হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তারা হলেন মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল ফারুক রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), শাহরিয়ার রশিদ খান ও এ কে এম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার)। বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড ও মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে দ- কার্যকর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও রেড নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। এর আগেই কারাগারে বন্দি ছিলেন বাকি তিন আসামি। আর জিম্বাবুয়ে আত্মগোপনে থাকা আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান।
এদিকে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন কিসমত হাশমী, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আব্দুল মজিদও আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের মধ্যে হাশমী ও আনসারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি রয়েছে। তারা দুজনেই বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। তবে বাকি আসামি মজিদ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই পুলিশ বিভাগে। পালিয়ে থাকা এই তিন আসামিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা (মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া ১৫ আসামির মধ্যে) থেকে খালাস দেয়া হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃতুদ-প্রাপ্ত ছয় খুনিকে শিগগির ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে রক্ষা করা হচ্ছে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি অনলাইনে নিউজ পোর্টালে এ কথা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, এখনই এ সম্পর্কে কিছু জানাতে চাচ্ছে না সরকার। খুনিদের ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। খুনিদের ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কয়েক বছর ধরে কাজ করছে এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেই জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেশ কয়েকজন খুনির অবস্থান সনাক্ত করা হয়েছে। এসব খুনি যুক্তরাষ্ট্র, লিবিয়া ও কানাডায় অবস্থান করছে।
তিনি জানান, পলাতক থাকা খুনিদের ফিরিয়ে আনতে আইনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দুইটি ল’ ফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লিবিয়ার কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এদিকে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, খুনি রাশেদ চৌধুরী রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। নূর চৌধুরী রয়েছেন কানাডায়। খন্দকার আব্দুর রশিদ রয়েছেন লিবিয়ার বেনগাজি শহরে। শরিফুল হক ডালিম কেনিয়ায় ব্যবসা করলেও তার যাতায়াত রয়েছে লিবিয়া ও পাকিস্তানে। আব্দুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিন পাকিস্তান কিংবা লিবিয়ায় থাকতে পারেন। তবে প্রায়শই তারা দেশ বদল করছেন বলে জানা গেছে। এসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে তাদের ওপর নজর রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

No comments :

Post a Comment