<span class='st_sharethis_large' displayText='ShareThis'> </span> <span class='st_facebook_large' displayText='Facebook'> </span> <span class='st_twitter_large' displayText='Tweet'> </span> <span class='st_linkedin_large' displayText='LinkedIn'> </span> <span class='st_pinterest_large' displayText='Pinterest'> </span> <span class='st_email_large' displayText='Email'> </span> Elias ahmed Chondon: চাকরি হারিয়েছেন?- কিছু বাস্তব ঘটনার নিরীখে জেনে নিন করণীয়সমূহ

Sunday, August 23, 2015

চাকরি হারিয়েছেন?- কিছু বাস্তব ঘটনার নিরীখে জেনে নিন করণীয়সমূহ


সাইমন লরী তখন ২৫ বছরের উদ্দাম এক যুবক। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর। সে সময় তিনি একটি নামকরা বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদান করেন। সাইমন বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা ছিল আমার। অন্য কোথাও চাকরি করার কথা ভাবতেই পারতাম না আমি। কিন্তু, ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আমাদের কোম্পানি তার পূর্বেকার জৌলুস হারালো। কোম্পানিটি যে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত, সেই এলাকাটি আর শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বলে বিবেচিত হলো না। চাকরির ১৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, সাইমন-এর নাম উঠে আসলো অতিরিক্তের খাতায়। অতঃপর, যা ঘটার, সেটাই ঘটলো তার ভাগ্যে। চাকরিচ্যুত হলেন সাইমন। এই যন্ত্রণা তাকে এতটাই বিদ্ধ করেছিল যে, তিনি একে নিকটাত্মীয় বা স্বজন হারানোর বেদনার সাথে তুলনা করেন। এক বিশাল শূন্যতা ক্রমশঃই পেয়ে বসতে লাগলো তাকে।
সাইমন তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, কোন দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়নি আমাকে। বরং, উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনে কোনরূপ কার্পণ্য করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিষাদের ছায়া আমাকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করতে থাকে। চাকরি হারানোর ঠিক পরদিন অফিসে যে ডেস্কটিতে বসে কাজ করতাম আমি, সেটি শেষবারের মতো গুছিয়ে রাখতে যাই। সেখানেই কেটে যায় বাকি দিনটুকু। রাত ৯টার দিকে টেলিফোন বেজে উঠলো। আমার স্ত্রীর ফোন ছিল। সে আমার মনের প্রকৃত অব¯া বুঝতে পেরে বলেছিল, এই কোম্পানির হয়ে তুমি আর কাজ করছো না, সাইমন। তোমার কম্পিউটার বন্ধ করে দাও এবং ব্রিফকেসটা গুছিয়ে বাড়িতে চলে এসো।
সাইমনের উপরোক্ত প্রতিক্রিয়াকে কোনভাবেই অস্বাভাবিক বলা যাবে না। বিধ্বংসী মনোভাব, দুঃসহ মানসিক যন্ত্রণা অথবা পেটে লাথি মারা-এই শব্দগুলো মনস্তত্ত্বের একটি স্তরে খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পুরুষ কিংবা মহিলা- উভয়ের ক্ষেত্রেই একথা সমভাবে প্রযোজ্য। যারা জীবনের কোন পর্যায়ে এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা ক্ষুব্ধ, বিচলিত, লজ্জিত অথবা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন। অনেকেই বহু নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন এবং কেউ কেউ দিনের পর দিন চোখের পানি ফেলেছেন। আবার অনেকের মাঝে উঁকি দিয়েছে অজানা নানা আশঙ্কা- হয়তো তারা কোনদিনও চাকরি পাবেন না, বাড়ি ছাড়তে হবে এবং সন্তানদের জন্য যথাযথ শিক্ষার ব্যব¯াও হয়তো করতে পারবেন না তারা।
তবে, সাইমনের চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি আজকের বিষয় নয়। ১৯৯২ সালে ভয়ানক অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে ছাঁটাই হন তিনি। আজ ৫৮ বছর বয়সে তিনি একজন স্বনির্ভর নির্বাহী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আত্মকর্মসং¯ানের মতবাদে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি তার কাজকে কেবল ভালোবাসেন, তাই নয়। আজ তিনি যে পরিমাণ অর্থ উপাজর্ন করেন, তা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেননি কোনদিন। কারণ ১৬ বছর পূর্বে তিনি আত্মকর্মসং¯ানের কথা কল্পনাও করেননি। হয়তো চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি তাকে অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণায় কাতর করে তুলেছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে এই অভিশাপই তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেয়। আর এই ঘটনাটিই আরও উন্নত জীবনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
হঠকারিতা বা তাড়াহুড়ো করে কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে-শুনে ফেলুন। আমরা প্রত্যেকেই যে কোন মুহুর্তে আমাদের পছন্দের কাজটি হারাতে পারি। তাই বলে, উদ্যম ও মনোবল হারাবেন না। লেখিকা জ্যানেট ডেইভিস একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার উপদেশ বা পরামর্শ হবে এটাই যে, আজকের দিনে সঠিক পেশাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও বেশি কৌশলগত পন্থা অবলম্বন করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এটা ধরে নিয়েই যে, হয়তো তাদের সেই জীবিকা বা পেশা কোন একদিন হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে এবং রূপান্তরিত হয়ে পরিবর্তিত অবস্থায় পুনরায় তা ফিরে আসবে। এটা খানিকটা নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শেখার মতো ব্যাপার।
তবে সুসংবাদটি হচ্ছে, উন্নত বিশ্বে ছাঁটাই বা হঠাৎ চাকরি হারানোর মনোভাবে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব প্রগতিশীল দেশগুলোর ওপরও পড়ছে। লোকলজ্জা বা দুর্নামের যে শঙ্কা মানুষকে চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশায় নিমজ্জিত করতো ১৯৮০ সালের দিকেও সেই সঙ্কটাপন্ন মানসিক অবস্থা থেকে অনেকটাই সফলভাবে উত্তরণ করতে সমর্থ হয়েছে মানুষ আজকের দিনে, নিঃসন্দেহে সেটা বলা যেতে পারে। এ মন্তব্য করেন হিউম্যান রিসোর্সেস-এ কমরত কনসালট্যান্ট জেমস আন্ডারহেই। তিনি যোগ করেন, কারণ আজকের দিনে মানুষ চতুর্দিকে চাকরি খুঁজছে। পরিসরটা অনেক বেড়েছে। তারা এক জায়গায় ¯বির হয়ে বসে থাকছেন না। আগেকার দিনে একটি চাকরির পেছনে মানুষ তার পুরো কর্মজীবনটাই উৎসর্গ করতো। অথচ, বর্তমানে আমরা প্রতি ২-৫ বছর অন্তর আমাদের চাকরির প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে অভিজ্ঞতার নিরীখে আরও বড় কোন প্রতিষ্ঠানে ও ভালো বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে পারছি। পূর্বের তুলনায় নির্দিষ্ট বিষয়টিতে আমরা বিশেষ পারদর্শিতা বা দক্ষতা অর্জন করছি। সমসাময়িক ঘটনাবলী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করছি প্রযুক্তি ও প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে এবং অতীতের তুলনায় অনেক বেশি আত্মনিভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হতে পেরেছি দৈনন্দিন চর্চার মাধ্যমে।
বস্তুতঃ চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি মানুষের জীবনকে কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করে। এটিকে একটি সুযোগ হিসেবেই ব্যাখ্যা করলেন আন্ডারহেই। তিনি বলেন, আমার পরিচিত কয়েকজন ফিন্যান্স ডিরেক্টর, যারা তাদের পেশাটিকে পছন্দ করলেও যে চাকরিটি তারা করতেন, সেটি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাকরি থেকে অব্যাহতি লাভের এই বিষয়টিকে তারা নিজেদেরকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবার জন্য অবকাশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভের পক্ষে একটি সুবর্ণ-সুযোগ হিসেবে মনে করতেন। এটি এমন এক সময়, যখন আপনি একটি নতুন গন্তব্য বা দিক-নির্দেশনা পেতে পারেন, যা আপনাকে ধীরে ধীরে সাফল্যের সর্বোচ্চ সোপানটিতে পৌঁছে দিতে পারে অথবা কোন পূর্ব-লালিত স্বপ্নকে অনুসরণ করে আরও বর্ণিল বা বর্ণময় জীবনযাপন করতে পারেন। এছাড়াও লাভজনক কোন ব্যবসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করতে পারেন স্বাধীনভাবে, যা পূবের অবস্থানে থেকে হয়তো আপনার পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব ছিলো না।
দৃষ্টান্তস্বরূপ, স্টিভেন লো-এর কথাই ধরুন। তিনি জীবনের সুদীর্ঘ ৩১টি বছর সিঙ্গাপুরের মেরিটসে ম্যান্ডারিন হোটেল-এর একটি ক্যাফেতে কমরত ছিলেন। সেখানকার একটি জনপ্রিয় খাবার চিকেন রাইস বা মোরগ-পোলাও বিশেষভাবে রান্নার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান ছিলো। ২০০৬ সালে স্টিভেন লো তার নতুন ব্যবসা চালু করেন। আর, একটি মাত্র খাবার দিয়েই লো তার ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করে ফেললেন। কয়েকজন বিশ্বস্ত পৃষ্ঠপোষকের সহায়তাও পেলেন তিনি। তিনি তার ফুড-স্টলটিতে সেই চিকেন-রাইস কিছুটা হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করা শুরু করেন। এরপর থেকে তাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তিনি আরও সুবৃহৎ পরিসরে তার ব্যবসার পরিধিকে বিস্তৃত করেছেন তারপর থেকেই।
এই সাফল্যের পেছনে আসল রহস্য বা মূল-মন্ত্র কি? চাকরিচ্যুত হয়ে পিছিয়ে পড়ার পর কিভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন? আপনার নিজের দক্ষতাকে উপলব্ধি করা হতে পারে আপনার প্রথম পদক্ষেপ- বলছিলেন ক্যারিয়ার কন্সাল্ট্যান্ট জিল ডীন। তিনি বলেন, একটি চাকরি হারনোর পর অন্য একটি চাকরি যত দ্রুত সম্ভব পেতে চাইলে, নিজের ওপর যে বিষয়টিতে আস্থা রাখেন, সর্বপ্রথম সেটি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি হয়তো কথোপকথন ও যোগাযোগের বিষয়টিতে বিশেষভাবে পারদর্শী অথবা আইটি বা প্রযুক্তি সেক্টরে আপনার বেশ ভালো দখল রয়েছে। কিন্তু, যিনি আপনাকে চাকরিটি প্রদান করবেন, অর্থাৎ, আপনার নিয়োগকর্তার কাছে যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজের যোগ্যতাকে উপ¯াপন ও প্রমাণের মতো আত্ম-বিশ্বাস ও সমর্থ্য সৃষ্টি করতে হবে আপনার মাঝে। প্রকৃত অর্থেই যে, কাজটির প্রতি যথেষ্ট উৎসাহ ও অবিচল-আগ্রহ রয়েছে, তা প্রকাশ করুন বেশ বিনয়ের সঙ্গে। এ জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে একটি জীবন বৃত্তান্ত বা জবংঁসব তৈরি করতে হবে। ঈ.ঠ. বা ঈঁৎৎরপঁষঁসহ ঠরঃধব তৈরির পর একটি ঈড়াবৎ-ষবঃঃবৎ লিখে একটি খামে আপনার ঠিকানা উল্লেখ করে ছবি-সমেত পাঠিয়ে দিন নির্বাচিত চাকরির প্রতিাষ্ঠানগুলোতে।
ইন্টারনেট বা অনলাইন মাধ্যমেও বিভিন্ন চাকরি বা জব-সাইটগুলোতে আপনার আবেদন পাঠিয়ে দিন। চাকরির সাইটগুলোতে সাইন-আপ করার পর একটি ছবি আপলোড করে জীবন-বৃত্তান্তের তথ্যসমূহ পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে তৈরি করা একটি সিভিও সেখানে আপলোড করে দিন। তারপর আপনি আপনার পছন্দের পেশা নির্বাচন করে, জবসাইটে আপনার সংরক্ষিত জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন বিভিন্ন চাকরি আহবানকারী প্রতিষ্ঠনগুলোতে। যদি আপনাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়, তবে আপনার সঙ্গে ফোন অথবা ই-মেইল-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। আর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দরকারী বিষয়গুলো বারবার অনুশীলন করুন।
জিল ডীন-এর মতে, নেটওয়ার্কিং চাকরি লাভের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। সম্পর্কোন্নয়ন এবং যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষার ব্যাপারে হেলাফেলার কিঞ্চিৎ অবকাশ নেই। তিনি বলেন, নচেৎ, আপনার প্রতি অফিস-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগ্রহ সৃষ্টির পরিবর্তে উদাসীনতার মনোভাব সৃষ্টি হবে, যা আপনার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না মোটেও। এটাকে আপনি এক ধরনের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বিভিন্ন মানুষ যাদের সাথে আপনার প্রতিনিয়ত সাক্ষাৎ হয়; যেমন আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অথবা আপনার পুরনো অফিসের সহকারী, প্রত্যেকের সঙ্গে যথাসম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখুন।
৪৮ বছর বয়স্ক গিলবার্ট চাকরিচ্যুত হয়ে যখন কঠোর জীবন-সংগ্রামের সম্মুখীন, তখন তিনি জীবনের এক নতুন পথের সন্ধান পেলেন। ৯/১১-এর পরবর্তী ২ বছর এবং ২০০২ সালের ঝঅজঝ মহামারী চলাকালীন সময়ে বেকারত্বকে বরণ করে নিতে হয় তাকে। সিঙ্গাপুরের অধিবাসী গিলবার্ট অনুধাবন করলেন যে, যদি তিনি নিয়ন্ত্রিত আবেগ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন, তবে তিনি এ ঘোরতর অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও ভালোভাবে বের হয়ে আসতে পারবেন।
চাকরি খুঁজতে গিয়ে তিনি যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। তিনি চাকরি সন্ধানকারীদের উৎসাহিত করেন ঘরের বাইরে বের হয়ে চাকরি খোঁজার জন্য। শুধু ঘরে বসে থেকে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারটি নিতান্তই দুঃসাধ্য ও সময়-সাপেক্ষ। তিনি তার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দরখাস্ত করতাম এবং বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন আমার পুরনো দিনের এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর অচিরেই একটি খ-কালীন চাকরি যোগাড় করতে সক্ষম হই আমি। তিনি বলেন, সেখানে বেশি অর্থ উপার্জনের বা আয়ের কোন সুযোগ ছিলো না আমার। তবে বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত ও নিভার হতে পেরেছিলাম আমি। কেননা, দীর্ঘ ২০ মাস বেকার থাকার পর সামান্য হলেও সেটাই আমার প্রথম উপার্জন।
খ-কালীন চাকরিটিতে যোগদানের মাধ্যমে নিজের প্রতি আস্থা ও মনোবল দুটোই ফিরে পেলেন গিলবার্ট। তিনি বলছিলেন, আজও পর্যন্ত সেই বন্ধুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং ঋণী যে আমাকে সেই চাকরিটি দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলো। কারণ, এ ঘটনাই আমার জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেয়। ৬ মাস ওই প্রতিানে কাজ করার পর ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে পুঁজি করে একটি বা পূর্ণকালীন চাকরি পেয়ে যান গিলবার্ট। পুনরায় যোগ করলেন তিনি, সুযোগ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু, আমরা যদি শুধু ঘরে বসে থাকি, তবে সুযোগগুলো আমাদের অধরা বা নাগালের বাইরে থেকে যাবে।
গিলবার্ট সেন্ট্রাল সিঙ্গাপুর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-এ ক্যারিয়ার কন্সালট্যান্ট বা পেশা-নির্বাচন পরামর্শদাতা হিসেবে বর্তমানে কমরত রয়েছেন এবং চাকরি সন্ধানকারী ব্যক্তিদের পরামর্শ, তথ্য ও উৎসাহ প্রদান করে সহায়তা করে চলেছেন। তাই চাকরি খুঁজতে হলে, নেমে পড়ুন আজই। শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন, হতাশাকে না বলুন, নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখুন এবং এগিয়ে চলুন অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনিও সফল হবেন।

No comments :

Post a Comment